ঢাকা ১২:৩৮ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৯ জুন ২০২৫

ব্যালটে ভোট নিয়ে দলে আলোচনার পর মন্তব্য, বললেন তথ্যমন্ত্রী

  • আপডেট সময় : ০১:৫৬:০৩ অপরাহ্ন, সোমবার, ৩ এপ্রিল ২০২৩
  • ৭৯ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক: আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সব আসনে ব্যালট পেপারে নির্বাচন করার সিদ্ধান্ত নেওয়ার এখতিয়ার নির্বাচন কমিশনের আছে জানিয়ে তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদ বলেছেন, বর্তমান অর্থনৈতিক প্রেক্ষাপটে ইভিএমের জন্য এক বিলিয়ন ডলার ব্যয়ের যৌক্তিকতা নিয়েও প্রশ্ন রয়েছে অনেকের।
গতকাল সোমবার দুপুরে ‘৩ এপ্রিল জাতীয় চলচ্চিত্র দিবস ২০২৩ উদযাপন’ উপলক্ষে তেজগাঁওয়ে বাংলাদেশ চলচ্চিত্র উন্নয়ন করপোরেশনের (বিএফডিসি) জহির রায়হান কালার ল্যাব মিলনায়তনে আয়োজিত আলোচনা সভায় সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন। ইভিএমের বদলে ব্যালটে ভোট করার নির্বাচন কমিশনের সিদ্ধান্ত নিয়ে সাংবাদিকরা মন্ত্রীকে প্রশ্ন করেন। জবাবে তিনি বলেন, “আমরা দেশকে ডিজিটাল করতে পেরেছি। বহু নাগরিক সেবা ও সুবিধা এখন ডিজিটাল। তবে নির্বাচন কমিশন স্বাধীন। কী পদ্ধতিতে নির্বাচন হবে সেই সিদ্ধান্ত নেওয়ার এখতিয়ার নির্বাচন কমিশনের আছে। আমি এই মাত্র আপনাদের মাধ্যমে জানতে পারলাম তারা ঘোষণা করেছে যে, ৩০০ আসনেই প্রচলিত পদ্ধতিতে নির্বাচন হবে।
“এ নিয়ে আমাদের দল দলীয়ভাবে আলাপ আলোচনা করে জানাবে। তবে নির্বাচন কমিশন স্বাধীন এবং স্বাধীনভাবেই যে কোনো সিদ্ধান্ত গ্রহণ করতে পারে। ইভিএম কেনা আর মেরামতের জন্য নির্বাচন কমিশন থেকে এক বিলিয়ন ডলারের বেশি বাজেট চাওয়া হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, “আজকের পরিস্থিতিতে এই এক বিলিয়ন ডলার খরচ করার যৌক্তিকতা আছে কি না সে নিয়েও অনেকে প্রশ্ন তুলেছে।”
এদিন নির্বাচন কমিশনের সভায় আসন্ন দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে ইভিএমের বদলে ৩০০ আসনেই সনাতনী ব্যালট পেপার আর স্বচ্ছ ব্যালট বাক্স ব্যবহার করে ভোট নেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়। অর্ধশতাধিক আসনে ইভিএমে ভোট নেওয়ার মেশিন হাতে থাকলেও মেরামতের জন্য অর্থ প্রাপ্তি অনিশ্চিত হয়ে পড়ায় নির্বাচনের সাত মাস আগে ইসি নতুন এ সিদ্ধান্ত নেয় বলে বৈঠক শেষে জানানো হয়।
আলোচনা সভায় চলচ্চিত্র শিল্পের অবস্থা তুলে ধরে হাছান মাহমুদ মানুষ পরিবার-পরিজন নিয়ে দেখতে পারে এমন সিনেমা বানানোর তাগিদ দেন। এসব সিনেমা যাতে বিনোদনের পাশাপাশি দেশ, সমাজ, রাষ্ট্র গঠনে ভূমিকা রাখে, মানুষের তৃতীয় নয়ন খুলে দিতে পারে সেদিকে মনোযোগ দিতে বলেন। দেশের চলচ্চিত্র ইতিহাসের দিকে তাকিয়ে তিনি বলেন, “১৯৫৭ সালের এই দিনে তৎকালীন তরুণ নেতা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান প্রাদেশিক পরিষদে চলচ্চিত্র উন্নয়ন করপোরেশন বিল উত্থাপন করেছিলেন। তিনি অনুধাবন করেছিলেন যে, সংস্কৃতির সমস্ত শাখার সন্নিবেশে যা সৃষ্টি হয়, সেটি হলো চলচ্চিত্র। চলচ্চিত্রে গান থাকে, নৃত্য থাকে, চলচ্চিত্র সমস্ত শাখার সন্নিবেশ ঘটায়। জাতির পিতা এ সকল কিছু তখনই অনুধাবন করেছিলেন বলেই বিলটি উত্থাপন করেছিলেন।”
বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আবার আমাদের চলচ্চিত্র শিল্প ঘুরে দাঁড়িয়েছে, এ জন্য অনেকগুলো পদক্ষেপ তিনি গ্রহণ করেছেন উল্লেখ করে তথ্যমন্ত্রী বলেন, “সিনেমা হল নির্মাণ এবং পুরনো হল সংস্কারের জন্য সহজ শর্তে ১ হাজার কোটি টাকার এক বিশেষ তহবিল গঠন করা হয়েছে। ইতোমধ্যে অনেকেই দরখাস্ত করেছেন। ইতোমধ্যে অনেকে সিনেপ্লেক্স চালু করেছে এবং বন্ধ হয়ে যাওয়া সিনেমা হলও চালু হয়েছে। দু’বছর করোনা মহামারীর বেড়াজালে আবদ্ধ না থাকলে আরো সিনেমা হল চালু হত।“ চলচ্চিত্রে অনুদানের পরিমাণ ও সংখ্যা দুইই বেড়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, এফডিসিতে নতুন দৃষ্টিনন্দন কমপ্লেক্স নির্মাণ কাজ চলছে, সেখানে চারটি শুটিং স্পট থাকবে এবং একজন নির্মাতা সেখান থেকে একটা সিনেমা বানিয়ে মুক্তি দিতে পারবে। এছাড়া চলচ্চিত্র শিল্পের জন্য একশ একর জায়গায় চলচ্চিত্র নির্মাণের সব সুবিধা কমপ্লেস গড়ে তোলার কথাও জানান তিনি।

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

ব্যালটে ভোট নিয়ে দলে আলোচনার পর মন্তব্য, বললেন তথ্যমন্ত্রী

আপডেট সময় : ০১:৫৬:০৩ অপরাহ্ন, সোমবার, ৩ এপ্রিল ২০২৩

নিজস্ব প্রতিবেদক: আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সব আসনে ব্যালট পেপারে নির্বাচন করার সিদ্ধান্ত নেওয়ার এখতিয়ার নির্বাচন কমিশনের আছে জানিয়ে তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদ বলেছেন, বর্তমান অর্থনৈতিক প্রেক্ষাপটে ইভিএমের জন্য এক বিলিয়ন ডলার ব্যয়ের যৌক্তিকতা নিয়েও প্রশ্ন রয়েছে অনেকের।
গতকাল সোমবার দুপুরে ‘৩ এপ্রিল জাতীয় চলচ্চিত্র দিবস ২০২৩ উদযাপন’ উপলক্ষে তেজগাঁওয়ে বাংলাদেশ চলচ্চিত্র উন্নয়ন করপোরেশনের (বিএফডিসি) জহির রায়হান কালার ল্যাব মিলনায়তনে আয়োজিত আলোচনা সভায় সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন। ইভিএমের বদলে ব্যালটে ভোট করার নির্বাচন কমিশনের সিদ্ধান্ত নিয়ে সাংবাদিকরা মন্ত্রীকে প্রশ্ন করেন। জবাবে তিনি বলেন, “আমরা দেশকে ডিজিটাল করতে পেরেছি। বহু নাগরিক সেবা ও সুবিধা এখন ডিজিটাল। তবে নির্বাচন কমিশন স্বাধীন। কী পদ্ধতিতে নির্বাচন হবে সেই সিদ্ধান্ত নেওয়ার এখতিয়ার নির্বাচন কমিশনের আছে। আমি এই মাত্র আপনাদের মাধ্যমে জানতে পারলাম তারা ঘোষণা করেছে যে, ৩০০ আসনেই প্রচলিত পদ্ধতিতে নির্বাচন হবে।
“এ নিয়ে আমাদের দল দলীয়ভাবে আলাপ আলোচনা করে জানাবে। তবে নির্বাচন কমিশন স্বাধীন এবং স্বাধীনভাবেই যে কোনো সিদ্ধান্ত গ্রহণ করতে পারে। ইভিএম কেনা আর মেরামতের জন্য নির্বাচন কমিশন থেকে এক বিলিয়ন ডলারের বেশি বাজেট চাওয়া হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, “আজকের পরিস্থিতিতে এই এক বিলিয়ন ডলার খরচ করার যৌক্তিকতা আছে কি না সে নিয়েও অনেকে প্রশ্ন তুলেছে।”
এদিন নির্বাচন কমিশনের সভায় আসন্ন দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে ইভিএমের বদলে ৩০০ আসনেই সনাতনী ব্যালট পেপার আর স্বচ্ছ ব্যালট বাক্স ব্যবহার করে ভোট নেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়। অর্ধশতাধিক আসনে ইভিএমে ভোট নেওয়ার মেশিন হাতে থাকলেও মেরামতের জন্য অর্থ প্রাপ্তি অনিশ্চিত হয়ে পড়ায় নির্বাচনের সাত মাস আগে ইসি নতুন এ সিদ্ধান্ত নেয় বলে বৈঠক শেষে জানানো হয়।
আলোচনা সভায় চলচ্চিত্র শিল্পের অবস্থা তুলে ধরে হাছান মাহমুদ মানুষ পরিবার-পরিজন নিয়ে দেখতে পারে এমন সিনেমা বানানোর তাগিদ দেন। এসব সিনেমা যাতে বিনোদনের পাশাপাশি দেশ, সমাজ, রাষ্ট্র গঠনে ভূমিকা রাখে, মানুষের তৃতীয় নয়ন খুলে দিতে পারে সেদিকে মনোযোগ দিতে বলেন। দেশের চলচ্চিত্র ইতিহাসের দিকে তাকিয়ে তিনি বলেন, “১৯৫৭ সালের এই দিনে তৎকালীন তরুণ নেতা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান প্রাদেশিক পরিষদে চলচ্চিত্র উন্নয়ন করপোরেশন বিল উত্থাপন করেছিলেন। তিনি অনুধাবন করেছিলেন যে, সংস্কৃতির সমস্ত শাখার সন্নিবেশে যা সৃষ্টি হয়, সেটি হলো চলচ্চিত্র। চলচ্চিত্রে গান থাকে, নৃত্য থাকে, চলচ্চিত্র সমস্ত শাখার সন্নিবেশ ঘটায়। জাতির পিতা এ সকল কিছু তখনই অনুধাবন করেছিলেন বলেই বিলটি উত্থাপন করেছিলেন।”
বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আবার আমাদের চলচ্চিত্র শিল্প ঘুরে দাঁড়িয়েছে, এ জন্য অনেকগুলো পদক্ষেপ তিনি গ্রহণ করেছেন উল্লেখ করে তথ্যমন্ত্রী বলেন, “সিনেমা হল নির্মাণ এবং পুরনো হল সংস্কারের জন্য সহজ শর্তে ১ হাজার কোটি টাকার এক বিশেষ তহবিল গঠন করা হয়েছে। ইতোমধ্যে অনেকেই দরখাস্ত করেছেন। ইতোমধ্যে অনেকে সিনেপ্লেক্স চালু করেছে এবং বন্ধ হয়ে যাওয়া সিনেমা হলও চালু হয়েছে। দু’বছর করোনা মহামারীর বেড়াজালে আবদ্ধ না থাকলে আরো সিনেমা হল চালু হত।“ চলচ্চিত্রে অনুদানের পরিমাণ ও সংখ্যা দুইই বেড়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, এফডিসিতে নতুন দৃষ্টিনন্দন কমপ্লেক্স নির্মাণ কাজ চলছে, সেখানে চারটি শুটিং স্পট থাকবে এবং একজন নির্মাতা সেখান থেকে একটা সিনেমা বানিয়ে মুক্তি দিতে পারবে। এছাড়া চলচ্চিত্র শিল্পের জন্য একশ একর জায়গায় চলচ্চিত্র নির্মাণের সব সুবিধা কমপ্লেস গড়ে তোলার কথাও জানান তিনি।