নিজস্ব প্রতিবেদক : গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি বলেছেন, বাজারব্যবস্থার সিন্ডিকেটের পেছনে দুর্নীতিবাজ, টাকা পাচারকারী ও ব্যাংক লুটেরা দায়ী। সেগুলোর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নিয়ে সরকার মানুষের কণ্ঠরোধ করতে চায়।
গতকাল শনিবার জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে আয়োজিত বিক্ষোভ সমাবেশে জোনায়েদ সাকি এসব কথা বলেন। নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের দাম কমানো, প্রথম আলো সম্পাদক মতিউর রহমান ও সাংবাদিক শামসুজ্জামানের নামে দায়ের করা হয়রানিমূলক মামলা প্রত্যাহার এবং শামসুজ্জামানের নিঃশর্ত মুক্তির দাবিতে এই সমাবেশের আয়োজন করা হয়।
দেশে চাল, ডালের স্বাধীনতার কথা বলার স্বাধীনতাও নেই বলে মন্তব্য করেছেন জোনায়েদ সাকি। তিনি বলেন, দেশের মানুষ যখন খেতে পায় না, তখন তার কাছে স্বাধীনতা মানে পেট ভরে খেতে পারা। বাজারে গিয়ে মানুষ হিমশিম খাচ্ছে, সে কথাও বলা যাবে না। দেশের মানুষ বাজারে দ্রব্যমূল্যের লাগামহীন ঊর্ধ্বগতিতে হিমশিম খাচ্ছে। নিজেদের ক্ষমতা টিকিয়ে রাখতে সরকার প্রথম আলোকে দিয়ে বাকি গণমাধ্যমকে চুপ থাকার শিক্ষা দিতে চায়।
বর্তমান সরকার আন্তর্জাতিক মহলে দেশের ভাবমূর্তি নষ্ট করছে দাবি করে জোনায়েদ সাকি বলেন, মানুষের ভোটাধিকার হরণ করে, লুটপাট করে, রাতের আঁধারে মানুষকে তুলে নিয়ে এই সরকার স্বাধীনতাকে হুমকির মুখে ফেলেছে। মানবাধিকার লঙ্ঘন করে র্যাব নিষেধাজ্ঞায় পড়েছে। র্যাবকে গুম, খুনে ব্যবহার করেছে এই সরকার। তাহলে দেশের ভাবমূর্তি ভূলুণ্ঠিত করল কারা?
সরকার সংবাদমাধ্যমের গলা চেপে ধরতে চাচ্ছে উল্লেখ করে গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী বলেন, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের প্রয়োগ মানে মানুষের অধিকার ও গণমাধ্যমের স্বাধীনতা হরণ করা। সরকার জানে, জনগণ তাদের ভোট দেবে না। তাই ক্ষমতা ধরে রাখতে সরকার যা ইচ্ছে করছে।
দুর্নীতিবাজদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নিয়ে সরকার মানুষের কণ্ঠরোধ করতে চায়: জোনায়েদ সাকি
ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ