ঢাকা ০৮:৪৭ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৭ জুলাই ২০২৫

আরও চাঞ্চল্যকর প্রতিবেদন প্রকাশের ঘোষণা হিন্ডেনবার্গের

  • আপডেট সময় : ০২:০০:১৯ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৩ মার্চ ২০২৩
  • ৮৬ বার পড়া হয়েছে

প্রত্যাশা ডেস্ক : শিগগিরই নতুন আরেকটি ‘বড়’ ও ‘চাঞ্চল্যকর’ প্রতিবেদন প্রকাশ করতে চলেছে যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক পরামর্শক ও বিনিয়োগ গবেষণা সংস্থা হিন্ডেনবার্গ রিসার্চ। গতকাল বৃহস্পতিবার প্রতিষ্ঠানটির পক্ষ থেকে দেওয়া এক টুইটে তথ্য জানানো হয়। হিন্ডেনবার্গ রিসার্চ আরও জানায়, এ প্রতিবেদনের ফলে আবারও বড় ধরনের হইচই শুরু হতে যাচ্ছে। তবে এ প্রতিবেদন ঠিক কবে প্রকাশ করা হবে ও এটিতে কোন ধরনের তথ্য থাকতে পারে, তা নিয়ে কোনো বিস্তারিত তথ্য দেওয়া হয়নি। চলতি বছরের ২৪ জানুয়ারি ভারতের আদানি গ্রুপকে নিয়ে একটি গবেষণা প্রতিবেদন প্রকাশ করে হিন্ডেনবার্গ রিসার্চ। তার পরপরই পতন শুরু হয় আদানি সাম্রাজ্যের। ওই প্রতিবেদনের ফলে সেসময় বিশ্বের শীর্ষ দ্বিতীয় ধনীর আসন থেকে ৩০ এর ঘরে নেমে যান গৌতম আদানি। অনুসন্ধানী ওই প্রতিবেদনে গৌতম আদানির বিরুদ্ধে ‘করপোরেট জগতের ইতিহাসে সবচেয়ে বড় ধোঁকাবাজি’র অভিযোগ তোলে হিনডেনবার্গ রিসার্চ। তাদের দাবি, আদানি গ্রুপের কোম্পানিগুলো কয়েক দশক ধরে শেয়ারবাজারে ধোঁকাবাজি এবং হিসাবপত্র জালিয়াতি করে আসছে। হিনডেনবার্গ আরও দাবি করেছে, আদানির কোম্পানিগুলোর কাঁধে বিশাল ঋণ রয়েছে, যা পুরো গ্রুপটির অর্থনৈতিক ভিত্তিকে অনিশ্চিত করে তুলেছে। গত ২৪ জানুয়ারি ওই প্রতিবেদন প্রকাশের পর থেকে এ পর্যন্ত আদানি গ্রুপের তালিকাভুক্ত সাতটি কোম্পানি প্রায় ১৪ হাজার কোটি ডলারের বাজারমূল্য হারিয়েছে। ধস নেমেছে আদানির ব্যক্তিগত সম্পদেও। প্রতিবেদনটি প্রকাশের আগে তিনি ছিলেন বিশ্বের তৃতীয় শীর্ষধনী। কিন্তু সম্পত্তি কমতে কমতে ধনীদের তালিকায় তিনি এখন ৩০তম। মাত্র এক মাসে আট হাজার কোটি ডলারের বেশি সম্পদ হারিয়েছেন ৬০ বছর বয়সী এ ব্যবসায়ী। তবে হিনডেনবার্গের তোলা সব অভিযোগই অস্বীকার করেছে আদানি গ্রুপ। তাদের দাবি, আদানির বিরুদ্ধে জালিয়াতির অভিযোগ তোলা ভারতের পরিকল্পিত আক্রমণের অংশ। এদিকে ২ মার্চ আদানি গ্রুপের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ তদন্ত করতে পাঁচ সদস্যের একটি স্বাধীন প্যানেল গঠনের নির্দেশ দিয়েছেন ভারতের সুপ্রিম কোর্ট। সূত্র: ব্লুমবার্গ

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

আরও চাঞ্চল্যকর প্রতিবেদন প্রকাশের ঘোষণা হিন্ডেনবার্গের

আপডেট সময় : ০২:০০:১৯ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৩ মার্চ ২০২৩

প্রত্যাশা ডেস্ক : শিগগিরই নতুন আরেকটি ‘বড়’ ও ‘চাঞ্চল্যকর’ প্রতিবেদন প্রকাশ করতে চলেছে যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক পরামর্শক ও বিনিয়োগ গবেষণা সংস্থা হিন্ডেনবার্গ রিসার্চ। গতকাল বৃহস্পতিবার প্রতিষ্ঠানটির পক্ষ থেকে দেওয়া এক টুইটে তথ্য জানানো হয়। হিন্ডেনবার্গ রিসার্চ আরও জানায়, এ প্রতিবেদনের ফলে আবারও বড় ধরনের হইচই শুরু হতে যাচ্ছে। তবে এ প্রতিবেদন ঠিক কবে প্রকাশ করা হবে ও এটিতে কোন ধরনের তথ্য থাকতে পারে, তা নিয়ে কোনো বিস্তারিত তথ্য দেওয়া হয়নি। চলতি বছরের ২৪ জানুয়ারি ভারতের আদানি গ্রুপকে নিয়ে একটি গবেষণা প্রতিবেদন প্রকাশ করে হিন্ডেনবার্গ রিসার্চ। তার পরপরই পতন শুরু হয় আদানি সাম্রাজ্যের। ওই প্রতিবেদনের ফলে সেসময় বিশ্বের শীর্ষ দ্বিতীয় ধনীর আসন থেকে ৩০ এর ঘরে নেমে যান গৌতম আদানি। অনুসন্ধানী ওই প্রতিবেদনে গৌতম আদানির বিরুদ্ধে ‘করপোরেট জগতের ইতিহাসে সবচেয়ে বড় ধোঁকাবাজি’র অভিযোগ তোলে হিনডেনবার্গ রিসার্চ। তাদের দাবি, আদানি গ্রুপের কোম্পানিগুলো কয়েক দশক ধরে শেয়ারবাজারে ধোঁকাবাজি এবং হিসাবপত্র জালিয়াতি করে আসছে। হিনডেনবার্গ আরও দাবি করেছে, আদানির কোম্পানিগুলোর কাঁধে বিশাল ঋণ রয়েছে, যা পুরো গ্রুপটির অর্থনৈতিক ভিত্তিকে অনিশ্চিত করে তুলেছে। গত ২৪ জানুয়ারি ওই প্রতিবেদন প্রকাশের পর থেকে এ পর্যন্ত আদানি গ্রুপের তালিকাভুক্ত সাতটি কোম্পানি প্রায় ১৪ হাজার কোটি ডলারের বাজারমূল্য হারিয়েছে। ধস নেমেছে আদানির ব্যক্তিগত সম্পদেও। প্রতিবেদনটি প্রকাশের আগে তিনি ছিলেন বিশ্বের তৃতীয় শীর্ষধনী। কিন্তু সম্পত্তি কমতে কমতে ধনীদের তালিকায় তিনি এখন ৩০তম। মাত্র এক মাসে আট হাজার কোটি ডলারের বেশি সম্পদ হারিয়েছেন ৬০ বছর বয়সী এ ব্যবসায়ী। তবে হিনডেনবার্গের তোলা সব অভিযোগই অস্বীকার করেছে আদানি গ্রুপ। তাদের দাবি, আদানির বিরুদ্ধে জালিয়াতির অভিযোগ তোলা ভারতের পরিকল্পিত আক্রমণের অংশ। এদিকে ২ মার্চ আদানি গ্রুপের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ তদন্ত করতে পাঁচ সদস্যের একটি স্বাধীন প্যানেল গঠনের নির্দেশ দিয়েছেন ভারতের সুপ্রিম কোর্ট। সূত্র: ব্লুমবার্গ