ঢাকা ০২:৫৪ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ০১ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

করোনা পরিস্থিতি ভয়াবহ

  • আপডেট সময় : ০১:৫৬:৫৩ অপরাহ্ন, রবিবার, ১১ জুলাই ২০২১
  • ৪০ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক : দেশে গত এক দিনে করোনাভাইরাসে মৃত্যুর নতুন রেকর্ড হয়েছে। উল্লেখিত সময়ে মারা গেছেন ২৩০ জন, যা এক দিনে সর্বোচ্চ মৃত্যু। এ নিয়ে দেশে মৃত্যু ১৬ হাজার ৪১৯ জনের।
এদিকে সর্বোচ্চ মৃত্যুর দিনে করোনা শনাক্তেও রেকর্ড হয়েছে। গত এক দিনে শনাক্ত হয়েছেন ১১ হাজার ৮৭৪ জন।
গতকাল রোববার বিকালে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তি থেকে এসব তথ্য জানা যায়। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় ৪০ হাজার ১৫টি নমুনা পরীক্ষায় ১১ হাজার ৮৭৪ জন শনাক্ত হন, যাতে শনাক্তের হার ২৯.৬৭ শতাংশ। এ নিয়ে মোট শনাক্ত ১০ লাখ ২১ হাজার ১৮৯ জন। মোট পরীক্ষার তুলনায় শনাক্তের হার ১৪ দশমিক ৬৫ শতাংশ।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর আরও জানায়, গত এক দিনে যারা মারা গেছেন তাদের মধ্যে ১৩৩ জন পুরুষ এবং ৯৭ জন নারী। নতুন মৃতদের মধ্যে খুলনার ৬৬, ঢাকার ৫৬ জন, চট্টগ্রামে ৩৯, রাজশাহীতে ২৬, বরিশালে ৮, সিলেটে ৮, রংপুরে ২২ এবং ময়মনসিংহে ৫ জন মারা গেছেন।
বয়সভিত্তিক বিশ্লেষণে দেখা গেছে, গত ২৪ ঘণ্টায় মারা যাওয়াদের মধ্যে ১১১ জনের বয়স ৬০ বছরের বেশি। এছাড়া ৫১ থেকে ৬০ বছরের ৫১ জন, ৪১ থেকে ৫০ বছরের ৪২ জন, ৩১ থেকে ৪০ বছরের ১৯ জন এবং ২১ থেকে ৩০ বছরের ৭ জন রয়েছেন। এ নিয়ে দেশে করোনার মৃত্যুর মোট সংখ্যা দাঁড়ালো ১৬ হাজার ৪১৯ জনে। ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছেন ৬ হাজার ৩৬২ জন এবং এখন পর্যন্ত সুস্থ হয়েছেন ৮ লাখ ৭৪ হাজার ৫০১ জন। দেশে গত বছরের ৮ মার্চ প্রথম করোনা রোগী শনাক্ত হয়। এর ১০ দিন পর ১৮ মার্চ প্রথম মৃত্যুর খবর আসে। কয়েক মাস সংক্রমণ ও মৃত্যুর হার ঊর্ধ্বগতিতে থাকার পর অনেকটা নিয়ন্ত্রণে চলে আসে। চলতি বছরের শুরুতে করোনাভাইরাসের প্রকোপ অনেকটা নিয়ন্ত্রণে ছিল। তখন শনাক্তের হারও ৫ শতাংশের নিচে নেমেছিল। তবে গত মার্চ মাস থেকে মৃত্যু ও শনাক্ত আবার বাড়তে থাকে। জুলাই মাসে দৈনিক শনাক্তের হার ৩০ শতাংশের উপরে আছে। মোট গড় হার ১৪ শতাংশের উপরে।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মানদ- অনুযায়ী, কোনো দেশে টানা দুই সপ্তাহের বেশি সময় পরীক্ষার বিপরীতে রোগী শনাক্তের হার ৫ শতাংশের নিচে থাকলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আছে বলে ধরা যায়। সে হিসেবে বাংলাদেশে করোনা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নেই বলা যায়।
বিশেষজ্ঞরা এটাকে বাংলাদেশে করোনার ‘দ্বিতীয় ঢেউ’ বলছেন। করোনা সংক্রমণ মারাত্মক আকার ধারণ করায় প্রথমে ২১ এপ্রিল ও পরে তা বাড়িয়ে ২৮ এপ্রিল পর্যন্ত বিধিনিষেধ জারি করেছিল সরকার। এরপর সেটি ধাপে ধাপে বাড়িয়ে ১৬ জুলাই পর্যন্ত করা হয়েছে। এর মধ্যেই আবার ১ জুলাই থেকে এক সপ্তাহের জন্য কঠোর লকডাউনের জারি করেছে সরকার, যা আরও এক সপ্তাহ বাড়ানো হয়েছে।

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

মহান বিজয়ের মাস শুরু

করোনা পরিস্থিতি ভয়াবহ

আপডেট সময় : ০১:৫৬:৫৩ অপরাহ্ন, রবিবার, ১১ জুলাই ২০২১

নিজস্ব প্রতিবেদক : দেশে গত এক দিনে করোনাভাইরাসে মৃত্যুর নতুন রেকর্ড হয়েছে। উল্লেখিত সময়ে মারা গেছেন ২৩০ জন, যা এক দিনে সর্বোচ্চ মৃত্যু। এ নিয়ে দেশে মৃত্যু ১৬ হাজার ৪১৯ জনের।
এদিকে সর্বোচ্চ মৃত্যুর দিনে করোনা শনাক্তেও রেকর্ড হয়েছে। গত এক দিনে শনাক্ত হয়েছেন ১১ হাজার ৮৭৪ জন।
গতকাল রোববার বিকালে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তি থেকে এসব তথ্য জানা যায়। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় ৪০ হাজার ১৫টি নমুনা পরীক্ষায় ১১ হাজার ৮৭৪ জন শনাক্ত হন, যাতে শনাক্তের হার ২৯.৬৭ শতাংশ। এ নিয়ে মোট শনাক্ত ১০ লাখ ২১ হাজার ১৮৯ জন। মোট পরীক্ষার তুলনায় শনাক্তের হার ১৪ দশমিক ৬৫ শতাংশ।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর আরও জানায়, গত এক দিনে যারা মারা গেছেন তাদের মধ্যে ১৩৩ জন পুরুষ এবং ৯৭ জন নারী। নতুন মৃতদের মধ্যে খুলনার ৬৬, ঢাকার ৫৬ জন, চট্টগ্রামে ৩৯, রাজশাহীতে ২৬, বরিশালে ৮, সিলেটে ৮, রংপুরে ২২ এবং ময়মনসিংহে ৫ জন মারা গেছেন।
বয়সভিত্তিক বিশ্লেষণে দেখা গেছে, গত ২৪ ঘণ্টায় মারা যাওয়াদের মধ্যে ১১১ জনের বয়স ৬০ বছরের বেশি। এছাড়া ৫১ থেকে ৬০ বছরের ৫১ জন, ৪১ থেকে ৫০ বছরের ৪২ জন, ৩১ থেকে ৪০ বছরের ১৯ জন এবং ২১ থেকে ৩০ বছরের ৭ জন রয়েছেন। এ নিয়ে দেশে করোনার মৃত্যুর মোট সংখ্যা দাঁড়ালো ১৬ হাজার ৪১৯ জনে। ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছেন ৬ হাজার ৩৬২ জন এবং এখন পর্যন্ত সুস্থ হয়েছেন ৮ লাখ ৭৪ হাজার ৫০১ জন। দেশে গত বছরের ৮ মার্চ প্রথম করোনা রোগী শনাক্ত হয়। এর ১০ দিন পর ১৮ মার্চ প্রথম মৃত্যুর খবর আসে। কয়েক মাস সংক্রমণ ও মৃত্যুর হার ঊর্ধ্বগতিতে থাকার পর অনেকটা নিয়ন্ত্রণে চলে আসে। চলতি বছরের শুরুতে করোনাভাইরাসের প্রকোপ অনেকটা নিয়ন্ত্রণে ছিল। তখন শনাক্তের হারও ৫ শতাংশের নিচে নেমেছিল। তবে গত মার্চ মাস থেকে মৃত্যু ও শনাক্ত আবার বাড়তে থাকে। জুলাই মাসে দৈনিক শনাক্তের হার ৩০ শতাংশের উপরে আছে। মোট গড় হার ১৪ শতাংশের উপরে।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মানদ- অনুযায়ী, কোনো দেশে টানা দুই সপ্তাহের বেশি সময় পরীক্ষার বিপরীতে রোগী শনাক্তের হার ৫ শতাংশের নিচে থাকলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আছে বলে ধরা যায়। সে হিসেবে বাংলাদেশে করোনা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নেই বলা যায়।
বিশেষজ্ঞরা এটাকে বাংলাদেশে করোনার ‘দ্বিতীয় ঢেউ’ বলছেন। করোনা সংক্রমণ মারাত্মক আকার ধারণ করায় প্রথমে ২১ এপ্রিল ও পরে তা বাড়িয়ে ২৮ এপ্রিল পর্যন্ত বিধিনিষেধ জারি করেছিল সরকার। এরপর সেটি ধাপে ধাপে বাড়িয়ে ১৬ জুলাই পর্যন্ত করা হয়েছে। এর মধ্যেই আবার ১ জুলাই থেকে এক সপ্তাহের জন্য কঠোর লকডাউনের জারি করেছে সরকার, যা আরও এক সপ্তাহ বাড়ানো হয়েছে।