ঢাকা ০২:০৯ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৪ ডিসেম্বর ২০২৫

ব্যাংকের টাকা লুটের দায় স্বীকার দুজনের, একজন রিমান্ডে

  • আপডেট সময় : ০২:১২:০৯ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৮ মার্চ ২০২৩
  • ১৫০ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক : রাজধানীর উত্তরায় ডাচ-বাংলা ব্যাংকের সোয়া ১১ কোটি টাকা লুটের ঘটনায় দায় স্বীকার করে জবানবন্দি দিয়েছেন আসামি হৃদয় ও মিলন। এ নিয়ে ৯ জন ঘটনায় জড়িত থাকার বিষয়টি স্বীকার করেছেন। অপরদিকে আসামি সোহেল রানা শিশিরের পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।
গতকাল শনিবার রিমান্ড চলাকালীন আসামি হৃদয় ও মিলনকে আদালতে হাজির করে পুলিশ। এ সময় তারা ছিনতাইয়ের দায় স্বীকার করে জবানবন্দি দিতে সম্মত হওয়ায় তা রেকর্ড করার আবেদন করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা। আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট সৈয়দ মোস্তফা রেজা নুর জবানবন্দি রেকর্ড করেন। এরপর তাদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। অপরদিকে আসামি সোহেল রানা শিশিরকে আদালতে হাজির করে মামলার সুষ্ঠু তদন্তের জন্য ১০ দিনের রিমান্ডে নিতে আবেদন করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা। শুনানি শেষে ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট সৈয়দ মোস্তফা রেজা নুর তার পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
এর আগে শুক্রবার (১৭ মার্চ) ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ শেখ সাদীর আদালতে আসামি ইমন ওরফে মিলন, সানোয়ার হোসেন ও বদরুল আলম দায় স্বীকার করে জবানবন্দি প্রদান করেন।
তার আগে বৃহস্পতিবার (১৬ মার্চ) ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট শহিদুল ইসলাম আসামি মিজানুর রহমান ও সোনা মিয়া এবং ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট নুরুল হুদা চৌধুরী আসামি আকাশ ও সাগর মাতুব্বরের জবানবন্দি রেকর্ড করেন। এরপর তাদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। গত ৯ মার্চ সকালে উত্তরা থেকে বেসরকারি ডাচ-বাংলা ব্যাংকের টাকা বহনকারী গাড়ি থেকে প্রায় সোয়া ১১ কোটি টাকা ছিনতাই হয়। দিনের আলোতে রাস্তা থেকে নজিরবিহীন। এ ঘটনায় তাৎক্ষণিকভাবে মাঠপর্যায়ে অভিযানে নামে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। মাত্র কয়েক ঘণ্টার ব্যবধানেই উত্তরা এলাকা থেকে ছিনতাই হওয়া ৪টি ট্রাংকের মধ্যে ৩টি উদ্ধারের কথা জানায় মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। এ ঘটনায় ওই দিন রাতেই মানিপ্ল্যান্ট লিংক প্রাইভেট লিমিটেডের পরিচালক আলমগীর হোসেন বাদী হয়ে ডিএমপির তুরাগ থানায় মামলাটি করেন। মামলায় অজ্ঞাত ১০-১২ জনকে আসামি করা হয়।

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : prottashasmf@yahoo.com
আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

সুদানে সন্ত্রাসী হামলায় ৬ বাংলাদেশি শান্তিরক্ষী নিহত

ব্যাংকের টাকা লুটের দায় স্বীকার দুজনের, একজন রিমান্ডে

আপডেট সময় : ০২:১২:০৯ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৮ মার্চ ২০২৩

নিজস্ব প্রতিবেদক : রাজধানীর উত্তরায় ডাচ-বাংলা ব্যাংকের সোয়া ১১ কোটি টাকা লুটের ঘটনায় দায় স্বীকার করে জবানবন্দি দিয়েছেন আসামি হৃদয় ও মিলন। এ নিয়ে ৯ জন ঘটনায় জড়িত থাকার বিষয়টি স্বীকার করেছেন। অপরদিকে আসামি সোহেল রানা শিশিরের পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।
গতকাল শনিবার রিমান্ড চলাকালীন আসামি হৃদয় ও মিলনকে আদালতে হাজির করে পুলিশ। এ সময় তারা ছিনতাইয়ের দায় স্বীকার করে জবানবন্দি দিতে সম্মত হওয়ায় তা রেকর্ড করার আবেদন করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা। আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট সৈয়দ মোস্তফা রেজা নুর জবানবন্দি রেকর্ড করেন। এরপর তাদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। অপরদিকে আসামি সোহেল রানা শিশিরকে আদালতে হাজির করে মামলার সুষ্ঠু তদন্তের জন্য ১০ দিনের রিমান্ডে নিতে আবেদন করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা। শুনানি শেষে ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট সৈয়দ মোস্তফা রেজা নুর তার পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
এর আগে শুক্রবার (১৭ মার্চ) ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ শেখ সাদীর আদালতে আসামি ইমন ওরফে মিলন, সানোয়ার হোসেন ও বদরুল আলম দায় স্বীকার করে জবানবন্দি প্রদান করেন।
তার আগে বৃহস্পতিবার (১৬ মার্চ) ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট শহিদুল ইসলাম আসামি মিজানুর রহমান ও সোনা মিয়া এবং ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট নুরুল হুদা চৌধুরী আসামি আকাশ ও সাগর মাতুব্বরের জবানবন্দি রেকর্ড করেন। এরপর তাদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। গত ৯ মার্চ সকালে উত্তরা থেকে বেসরকারি ডাচ-বাংলা ব্যাংকের টাকা বহনকারী গাড়ি থেকে প্রায় সোয়া ১১ কোটি টাকা ছিনতাই হয়। দিনের আলোতে রাস্তা থেকে নজিরবিহীন। এ ঘটনায় তাৎক্ষণিকভাবে মাঠপর্যায়ে অভিযানে নামে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। মাত্র কয়েক ঘণ্টার ব্যবধানেই উত্তরা এলাকা থেকে ছিনতাই হওয়া ৪টি ট্রাংকের মধ্যে ৩টি উদ্ধারের কথা জানায় মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। এ ঘটনায় ওই দিন রাতেই মানিপ্ল্যান্ট লিংক প্রাইভেট লিমিটেডের পরিচালক আলমগীর হোসেন বাদী হয়ে ডিএমপির তুরাগ থানায় মামলাটি করেন। মামলায় অজ্ঞাত ১০-১২ জনকে আসামি করা হয়।