ঢাকা ১২:১৮ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১১ মে ২০২৫

মহামারিতে অনলাইন ক্লাস করেছে মাত্র ১৩% প্রাথমিকের শিক্ষার্থী

  • আপডেট সময় : ১০:১৮:০৫ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৮ মার্চ ২০২৩
  • ৬৪ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক : করোনাভাইরাস মহামারিকালে দীর্ঘ সময় স্কুল বন্ধ থাকায় বাংলাদেশে প্রান্তিক পর্যায়ের শিশু ও বয়সে ছোট শিশুদের পড়াশোনা সব থেকে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে এক জরিপে ওঠে এসেছে। গত বৃহস্পতিবার ‘ন্যাশনাল সার্ভে অন চিলড্রেন’স এডুকেশন ইন বাংলাদেশ ২০২১’ শীর্ষক ওই জরিপ প্রকাশ করা হয়।
বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস) ও ইউনিসেফ পরিচালিত এ জরিপে দেখা যায়, প্রান্তিক পর্যায়ের শিশু যাদের ইন্টারনেট ও টেলিভিশন ব্যবহারের সুযোগ সীমিত এবং যাদের বাড়িতে কম্পিউটার বা স্মার্টফোনের মত ডিভাইসের অভাব রয়েছে তারা সবচেয়ে বেশি ক্ষতির সম্মুখীন হয়। জরিপটির তথ্য বলছে, স্কুল বন্ধ থাকার সময়ে প্রতি পাঁচজন শিশুর মধ্যে একজনেরও কম (১৮ দশমিক ৭ শতাংশ) দূরশিক্ষণ কার্যক্রমে অংশগ্রহণ করে। শহর এলাকায় যে হার ২৮ দশমিক ৭ শতাংশ এবং গ্রামীণ এলাকায় ১৫ দশমিক ৯ শতাংশ।
কম বয়সী শিশুদের পড়শোনাও এই সময়ে ক্ষতির শিকার হয়েছে। দূরশিক্ষণ ক্লাসে অংশগ্রহণের হার মাধ্যমিক পর্যায়ের শিক্ষার্থীদের মধ্যে নি¤œ মাধ্যমিকে ২০ দশমিক ৩ শতাংশ ও উচ্চ মাধ্যমিকে ২৩ দশমিক ৭ শতাংশ হলেও প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিশুদের ক্ষেত্রে ছিল ১৩ দশমিক ১ শতাংশ। এদিকে দূরশিক্ষণে সবচেয়ে বেশি অংশ নেয় খুলনা ও ঢাকায় যথাক্রমে ২৩ দশমিক ৪ শতাংশ ও ২৩ দশমিক ১ শতাংশ এবং সবচেয়ে কম ময়মনসিংহে ৫ দশমিক ৭ শতাংশ। এ বিষয়ে বাংলাদেশে ইউনিসেফের প্রতিনিধি শেলডন ইয়েট বলেন, “শিশুদের ওপর মহামারীর প্রভাব দেশজুড়ে এখনও একই রকম। শিক্ষাব্যবস্থাকে আরও বেশি মাত্রায় অভিঘাত সহনশীল করতে ডিজিটাল-বৈষম্যের অবসান ঘটাতে হবে।” পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান বলেন, জরিপটি কোভিড-১৯ মহামারি চলাকালীন দীর্ঘস্থায়ী স্কুল বন্ধের কারণে শিশুদের স্কুলে উপস্থিতি, স্কুলের বাইরে থাকা, ঝরে পড়া ও শেখার ক্ষতিসহ শিক্ষার অন্যান্য ফলাফলের ওপর প্রভাব বুঝতে সাহায্য করবে। এটি শিক্ষার মান উন্নয়নের জন্য সরকারকে পদক্ষেপ নিতেও সহায়তা করবে বলে মনে করেন তিনি।

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

মহামারিতে অনলাইন ক্লাস করেছে মাত্র ১৩% প্রাথমিকের শিক্ষার্থী

আপডেট সময় : ১০:১৮:০৫ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৮ মার্চ ২০২৩

নিজস্ব প্রতিবেদক : করোনাভাইরাস মহামারিকালে দীর্ঘ সময় স্কুল বন্ধ থাকায় বাংলাদেশে প্রান্তিক পর্যায়ের শিশু ও বয়সে ছোট শিশুদের পড়াশোনা সব থেকে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে এক জরিপে ওঠে এসেছে। গত বৃহস্পতিবার ‘ন্যাশনাল সার্ভে অন চিলড্রেন’স এডুকেশন ইন বাংলাদেশ ২০২১’ শীর্ষক ওই জরিপ প্রকাশ করা হয়।
বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস) ও ইউনিসেফ পরিচালিত এ জরিপে দেখা যায়, প্রান্তিক পর্যায়ের শিশু যাদের ইন্টারনেট ও টেলিভিশন ব্যবহারের সুযোগ সীমিত এবং যাদের বাড়িতে কম্পিউটার বা স্মার্টফোনের মত ডিভাইসের অভাব রয়েছে তারা সবচেয়ে বেশি ক্ষতির সম্মুখীন হয়। জরিপটির তথ্য বলছে, স্কুল বন্ধ থাকার সময়ে প্রতি পাঁচজন শিশুর মধ্যে একজনেরও কম (১৮ দশমিক ৭ শতাংশ) দূরশিক্ষণ কার্যক্রমে অংশগ্রহণ করে। শহর এলাকায় যে হার ২৮ দশমিক ৭ শতাংশ এবং গ্রামীণ এলাকায় ১৫ দশমিক ৯ শতাংশ।
কম বয়সী শিশুদের পড়শোনাও এই সময়ে ক্ষতির শিকার হয়েছে। দূরশিক্ষণ ক্লাসে অংশগ্রহণের হার মাধ্যমিক পর্যায়ের শিক্ষার্থীদের মধ্যে নি¤œ মাধ্যমিকে ২০ দশমিক ৩ শতাংশ ও উচ্চ মাধ্যমিকে ২৩ দশমিক ৭ শতাংশ হলেও প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিশুদের ক্ষেত্রে ছিল ১৩ দশমিক ১ শতাংশ। এদিকে দূরশিক্ষণে সবচেয়ে বেশি অংশ নেয় খুলনা ও ঢাকায় যথাক্রমে ২৩ দশমিক ৪ শতাংশ ও ২৩ দশমিক ১ শতাংশ এবং সবচেয়ে কম ময়মনসিংহে ৫ দশমিক ৭ শতাংশ। এ বিষয়ে বাংলাদেশে ইউনিসেফের প্রতিনিধি শেলডন ইয়েট বলেন, “শিশুদের ওপর মহামারীর প্রভাব দেশজুড়ে এখনও একই রকম। শিক্ষাব্যবস্থাকে আরও বেশি মাত্রায় অভিঘাত সহনশীল করতে ডিজিটাল-বৈষম্যের অবসান ঘটাতে হবে।” পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান বলেন, জরিপটি কোভিড-১৯ মহামারি চলাকালীন দীর্ঘস্থায়ী স্কুল বন্ধের কারণে শিশুদের স্কুলে উপস্থিতি, স্কুলের বাইরে থাকা, ঝরে পড়া ও শেখার ক্ষতিসহ শিক্ষার অন্যান্য ফলাফলের ওপর প্রভাব বুঝতে সাহায্য করবে। এটি শিক্ষার মান উন্নয়নের জন্য সরকারকে পদক্ষেপ নিতেও সহায়তা করবে বলে মনে করেন তিনি।