ঢাকা ১০:২৮ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১০ জুন ২০২৫

ধূমপানে আইফোনের ওয়ারেন্টি বাতিল হতে পারে কেন

  • আপডেট সময় : ১১:১৭:৫০ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১১ জুলাই ২০২১
  • ৮৯ বার পড়া হয়েছে

প্রযুক্তি ডেস্ক : ধূমপান স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর। সে কথা মানবস্বাস্থ্যের বেলায় তো বটেই, যন্ত্রের ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য। অন্তত অ্যাপল সে বার্তাই দিয়েছে। তা-ও সেই স্টিভ জবসের আমলে।
২০০৯ সালের দিকে বেশ কিছু সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদনে বলা হয়, ধূমপানের জন্য অ্যাপলের ডিভাইসগুলোর ওয়ারেন্টি বাতিল হতে পারে। বিশেষ করে সিগারেটের ধোঁয়ার সংস্পর্শে আসায় মেয়াদ থাকা সত্ত্বেও বেশ কয়েকবার ডিভাইসের ওয়ারেন্টি বাতিল করে দেয় অ্যাপল, মেরামত করতে অস্বীকৃতি জানায়।
বিষয়টি গুরুত্ব পায়, যখন ডেরেক ও রুথ নামের দুজন ব্যক্তির কথা প্রকাশ করে দ্য কনজিউমারিস্ট। তাঁরা দাবি করেন, পরোক্ষ ধূমপানের কারণে তাঁদের অ্যাপল পণ্যের ওয়ারেন্টি বাতিল হয়। দুজনই অ্যাপলের তৎকালীন প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা স্টিভ জবসের দপ্তরে সরাসরি এ বিষয়ে অভিযোগ জানান। তাঁদের কারও অভিযোগই শেষ পর্যন্ত হালে পানি পায়নি।
স্টিভ জবসের দপ্তরে পাঠানো ই-মেইলে ডেরেক লেখেন, আজ, ২০০৮ সালের ২৮ এপ্রিল, অ্যাপল স্টোর থেকে কল করে জানায়, ‘কম্পিউটারটি এমন ঘরে ব্যবহার করা হয়েছে, যেখানে ধূমপান করা হতো।’ সে কারণে ওয়ারেন্টি বাতিল হয়ে যাওয়ায় তাঁরা মেরামত করতে অস্বীকৃতি জানায়। কারণ হিসেবে ‘পরোক্ষ ধূমপানের স্বাস্থ্যঝুঁকি’র কথা বলা হয়েছে।
অর্থাৎ যিনি অ্যাপলের পণ্য মেরামত করবেন, তাঁর স্বাস্থ্যঝুঁকির কথা উল্লেখ করা হয়েছে। তবে অ্যাপলকেয়ার ওয়ারেন্টির চুক্তিপত্রের কোথাও তেমন উল্লেখ পাওয়া যায় না।
অ্যাপলকেয়ার ওয়ারেন্টির একটি ধারায় বলা হয়েছে, ‘দুর্ঘটনা, অপব্যবহার, আগুন বা তরলের সংস্পর্শ, ভূমিকম্প বা অন্যান্য বাহ্যিক কারণে ক্ষতি হলে’ তা ওয়ারেন্টির আওতায় পড়বে না। গ্রাহকদের ধারণা, ‘অন্যান্য বাহ্যিক কারণে’ হয়তো অ্যাপল এমনটা করেছে। গ্রাহকদের বেশির ভাগের অভিযোগ অ্যাপলের কম্পিউটারের ক্ষেত্রে হলেও, সেটা আইফোনসহ সব পণ্যের বেলায় প্রযোজ্য।
অ্যাপলের তথ্য অনুযায়ী, অকুপেশনাল সেফটি অ্যান্ড হেলথ হ্যাজার্ডের বিপজ্জনক উপাদানের তালিকায় নিকোটিনকে বিষাক্ত উপাদান হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে। আর অ্যাপল চায় না, তাদের কর্মীরা ক্ষতিকর উপাদানের সংস্পর্শে আসুক।

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

ধূমপানে আইফোনের ওয়ারেন্টি বাতিল হতে পারে কেন

আপডেট সময় : ১১:১৭:৫০ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১১ জুলাই ২০২১

প্রযুক্তি ডেস্ক : ধূমপান স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর। সে কথা মানবস্বাস্থ্যের বেলায় তো বটেই, যন্ত্রের ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য। অন্তত অ্যাপল সে বার্তাই দিয়েছে। তা-ও সেই স্টিভ জবসের আমলে।
২০০৯ সালের দিকে বেশ কিছু সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদনে বলা হয়, ধূমপানের জন্য অ্যাপলের ডিভাইসগুলোর ওয়ারেন্টি বাতিল হতে পারে। বিশেষ করে সিগারেটের ধোঁয়ার সংস্পর্শে আসায় মেয়াদ থাকা সত্ত্বেও বেশ কয়েকবার ডিভাইসের ওয়ারেন্টি বাতিল করে দেয় অ্যাপল, মেরামত করতে অস্বীকৃতি জানায়।
বিষয়টি গুরুত্ব পায়, যখন ডেরেক ও রুথ নামের দুজন ব্যক্তির কথা প্রকাশ করে দ্য কনজিউমারিস্ট। তাঁরা দাবি করেন, পরোক্ষ ধূমপানের কারণে তাঁদের অ্যাপল পণ্যের ওয়ারেন্টি বাতিল হয়। দুজনই অ্যাপলের তৎকালীন প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা স্টিভ জবসের দপ্তরে সরাসরি এ বিষয়ে অভিযোগ জানান। তাঁদের কারও অভিযোগই শেষ পর্যন্ত হালে পানি পায়নি।
স্টিভ জবসের দপ্তরে পাঠানো ই-মেইলে ডেরেক লেখেন, আজ, ২০০৮ সালের ২৮ এপ্রিল, অ্যাপল স্টোর থেকে কল করে জানায়, ‘কম্পিউটারটি এমন ঘরে ব্যবহার করা হয়েছে, যেখানে ধূমপান করা হতো।’ সে কারণে ওয়ারেন্টি বাতিল হয়ে যাওয়ায় তাঁরা মেরামত করতে অস্বীকৃতি জানায়। কারণ হিসেবে ‘পরোক্ষ ধূমপানের স্বাস্থ্যঝুঁকি’র কথা বলা হয়েছে।
অর্থাৎ যিনি অ্যাপলের পণ্য মেরামত করবেন, তাঁর স্বাস্থ্যঝুঁকির কথা উল্লেখ করা হয়েছে। তবে অ্যাপলকেয়ার ওয়ারেন্টির চুক্তিপত্রের কোথাও তেমন উল্লেখ পাওয়া যায় না।
অ্যাপলকেয়ার ওয়ারেন্টির একটি ধারায় বলা হয়েছে, ‘দুর্ঘটনা, অপব্যবহার, আগুন বা তরলের সংস্পর্শ, ভূমিকম্প বা অন্যান্য বাহ্যিক কারণে ক্ষতি হলে’ তা ওয়ারেন্টির আওতায় পড়বে না। গ্রাহকদের ধারণা, ‘অন্যান্য বাহ্যিক কারণে’ হয়তো অ্যাপল এমনটা করেছে। গ্রাহকদের বেশির ভাগের অভিযোগ অ্যাপলের কম্পিউটারের ক্ষেত্রে হলেও, সেটা আইফোনসহ সব পণ্যের বেলায় প্রযোজ্য।
অ্যাপলের তথ্য অনুযায়ী, অকুপেশনাল সেফটি অ্যান্ড হেলথ হ্যাজার্ডের বিপজ্জনক উপাদানের তালিকায় নিকোটিনকে বিষাক্ত উপাদান হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে। আর অ্যাপল চায় না, তাদের কর্মীরা ক্ষতিকর উপাদানের সংস্পর্শে আসুক।