ঢাকা ০৫:০৫ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ৩০ জুলাই ২০২৫

প্রথম থ্রিডি প্রিন্টেড রকেট, কক্ষপথে পৌঁছাবে ৮ মিনিটে

  • আপডেট সময় : ০৮:৪৮:৪০ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৩ মার্চ ২০২৩
  • ৮৬ বার পড়া হয়েছে

প্রত্যাশা ডেস্ক : ত্রিমাত্রিক মুদ্রণ (থ্রি–ডি প্রিন্টিং) পদ্ধতিতে বিশ্বের অনেক জটিল কাঠামো তৈরি করার পথ বের করেছেন গবেষকেরা। এই পদ্ধতিতে তৈরি করা হয়েছে একটি রকেট। যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডার কেপ কার্নিভ্যাল রকেট উৎক্ষেপণ কেন্দ্র থেকে শনিবার রকেটটি উৎক্ষেপণ করা হয়। যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়াভিত্তিক মহাকাশ প্রযুক্তি উদ্ভাবনী প্রতিষ্ঠান রিলেটিভিটি স্পেস এই রকেট তৈরি করেছে। এর নাম টেরান ১।
গত বুধবার টেরান ১ রকেটটি উৎক্ষেপণ করার কথা ছিল। কিন্তু শেষ মুহূর্তের তাপমাত্রার সমস্যার কারণে রকেট উৎক্ষেপণ বন্ধ রাখা হয়। শনিবার আবার সেটি উৎক্ষেপণ করার উদ্যোগ নেওয়া হয়। টেরান ১ নামের রকেটটির পৃথিবীর কক্ষপথে পৌঁছাতে আট মিনিট লাগবে। এ যাত্রাপথে নানা তথ্য সংগ্রহ করা হবে এবং এ ধরনের রকেট উৎক্ষেপণ প্রক্রিয়ার ধাক্কা সামলাতে পারে কি না, তা দেখা হবে। পরীক্ষা সফল হলে কম খরচে রকেট উৎক্ষেপণ করা যাবে বলে মনে করছেন বিজ্ঞানীরা। এ ছাড়া এটি হবে প্রথম বেসরকারি অর্থায়নে তৈরি যান, যাতে জ্বালানি হিসেবে মিথেন ব্যবহার করা হচ্ছে। প্রথমবারের পরীক্ষায় টেরান ১ রকেট কোনো কার্গো বা অন্য ভারী বস্তু বহন করছে না। তবে এটি ১ হাজার ২০০ কেজি ওজনের বস্তু বহন করতে সক্ষম। রকেটটি ১১০ ফুট লম্বা ও সাড়ে ৭ ফুট ব্যাসের। ধাতব মিশ্রণ ব্যবহারে থ্রি–ডি মুদ্রণ পদ্ধতিতে এটি তৈরি করা হয়েছে। রকেট নির্মাতা প্রতিষ্ঠানটির দাবি, বিশ্বে ত্রিমাত্রিক মুদ্রণ পদ্ধতিতে তৈরি করা বৃহত্তম বস্তু এটি। তাদের লক্ষ্য ছিল রকেটটির ৯৫ শতাংশই থ্রি–ডি প্রিন্টারে তৈরি করা। এ রকেটে ব্যবহার করা হচ্ছে এওন ইঞ্জিন, যা তরল অক্সিজেন ও প্রাকৃতিক গ্যাসে চলে। এ ধরনের পদ্ধতিতে ভবিষ্যতে মঙ্গল মিশনে যাওয়া সম্ভব হবে।

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

গভীর সংস্কার না করলে স্বৈরাচার ফিরে আসবে

প্রথম থ্রিডি প্রিন্টেড রকেট, কক্ষপথে পৌঁছাবে ৮ মিনিটে

আপডেট সময় : ০৮:৪৮:৪০ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৩ মার্চ ২০২৩

প্রত্যাশা ডেস্ক : ত্রিমাত্রিক মুদ্রণ (থ্রি–ডি প্রিন্টিং) পদ্ধতিতে বিশ্বের অনেক জটিল কাঠামো তৈরি করার পথ বের করেছেন গবেষকেরা। এই পদ্ধতিতে তৈরি করা হয়েছে একটি রকেট। যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডার কেপ কার্নিভ্যাল রকেট উৎক্ষেপণ কেন্দ্র থেকে শনিবার রকেটটি উৎক্ষেপণ করা হয়। যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়াভিত্তিক মহাকাশ প্রযুক্তি উদ্ভাবনী প্রতিষ্ঠান রিলেটিভিটি স্পেস এই রকেট তৈরি করেছে। এর নাম টেরান ১।
গত বুধবার টেরান ১ রকেটটি উৎক্ষেপণ করার কথা ছিল। কিন্তু শেষ মুহূর্তের তাপমাত্রার সমস্যার কারণে রকেট উৎক্ষেপণ বন্ধ রাখা হয়। শনিবার আবার সেটি উৎক্ষেপণ করার উদ্যোগ নেওয়া হয়। টেরান ১ নামের রকেটটির পৃথিবীর কক্ষপথে পৌঁছাতে আট মিনিট লাগবে। এ যাত্রাপথে নানা তথ্য সংগ্রহ করা হবে এবং এ ধরনের রকেট উৎক্ষেপণ প্রক্রিয়ার ধাক্কা সামলাতে পারে কি না, তা দেখা হবে। পরীক্ষা সফল হলে কম খরচে রকেট উৎক্ষেপণ করা যাবে বলে মনে করছেন বিজ্ঞানীরা। এ ছাড়া এটি হবে প্রথম বেসরকারি অর্থায়নে তৈরি যান, যাতে জ্বালানি হিসেবে মিথেন ব্যবহার করা হচ্ছে। প্রথমবারের পরীক্ষায় টেরান ১ রকেট কোনো কার্গো বা অন্য ভারী বস্তু বহন করছে না। তবে এটি ১ হাজার ২০০ কেজি ওজনের বস্তু বহন করতে সক্ষম। রকেটটি ১১০ ফুট লম্বা ও সাড়ে ৭ ফুট ব্যাসের। ধাতব মিশ্রণ ব্যবহারে থ্রি–ডি মুদ্রণ পদ্ধতিতে এটি তৈরি করা হয়েছে। রকেট নির্মাতা প্রতিষ্ঠানটির দাবি, বিশ্বে ত্রিমাত্রিক মুদ্রণ পদ্ধতিতে তৈরি করা বৃহত্তম বস্তু এটি। তাদের লক্ষ্য ছিল রকেটটির ৯৫ শতাংশই থ্রি–ডি প্রিন্টারে তৈরি করা। এ রকেটে ব্যবহার করা হচ্ছে এওন ইঞ্জিন, যা তরল অক্সিজেন ও প্রাকৃতিক গ্যাসে চলে। এ ধরনের পদ্ধতিতে ভবিষ্যতে মঙ্গল মিশনে যাওয়া সম্ভব হবে।