ঢাকা ০১:৫৬ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৪ মে ২০২৫

অতি ঝুঁকিপূর্ণ ৪২ সরকারি ভবন ভাঙতে তিন মাস সময়

  • আপডেট সময় : ০১:৪১:৩৬ অপরাহ্ন, রবিবার, ১২ মার্চ ২০২৩
  • ৫৮ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক : ঢাকা, নারায়ণগঞ্জ ও গাজীপুরে সরকারি ও স্বায়ত্বশায়িত প্রতিষ্ঠানের মালিকানাধীন ‘অতি ঝুঁকিপূর্ণ’ ৪২টি ভবন আগামী তিন মাসের মধ্যে ভেঙ্গে ফেলতে হবে।
আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে এসব ভবন খালি করতে হবে। ভবন মালিকদের নিজ উদ্যোগে ভবন ভাঙতে হবে। তা না হলে রাজউক এসব ভবন ভেঙে দিয়ে মালিকপক্ষের কাছ থেকে খরচ আদায় করবে। এছাড়া ঝুঁকিপূর্ণ ১৮৭টি ভবনকে মেরামত করে ব্যবহারের উপযোগী করে তোলার জন্য সেসব সরকারি ও স্বায়ত্বশাসিত প্রতিষ্ঠানকে চিঠি দেওয়া হবে। শনিবার রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে নগর উন্নয়ন কমিটির বৈঠকে এসব সিদ্ধান্ত হয়।
কমিটির আহ্বায়ক এবং গৃহায়ন ও গণপূর্ত সচিব কাজী ওয়াছি উদ্দিন গতকাল রোববার সংবাদমাধ্যমকে বলেন, “এসব ভবন ব্যবহারের অনুপযোগী হয়ে গেছে। এ কারণে আমরা বলেছি সাত দিনের মধ্যে ভবন থেকে সবকিছু সরিয়ে নেওয়ার জন্য। এরপর তিন মাসের মধ্যে এসব ভবন ভাঙতে হবে।”
অতি ঝুঁকিপূর্ণ সরকারি ভবনগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বেশি ৩০টি ভবন শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরের। এছাড়া বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের তিনটি, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের চারটি, মাদ্রাসা বোর্ডের একটি, প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের একটি, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের তিনটি ভবন রয়েছে অতি ঝুঁকিপূর্ণ ভবনের তালিকায়।
যে ১৮৭টি ভবনকে ‘রেট্রোফিটিং’ করতে হবে তারমধ্যে শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরের ১৫৪টি ভবন রয়েছে। এছাড়া ইনস্টিটিউট অব লেদার ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড টেকনোলজির তিনটি, স্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের চারটি, মাদ্রাসা বোর্ডের ছয়টি, প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের ১০টি, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ১০টি ভবন আছে।
সিদ্দিকবাজারে ক্যাফে কুইন ভবনে বিস্ফোরণে প্রাণহানি এবং সাম্প্রতিক দুর্ঘটনার পর ভবনের নিরাপত্তার বিষয়টি নতুন করে আলোচনায় এসেছে। নগর উন্নয়ন কমিটির বৈঠকেও সে বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা হয়। বেসরকারি ভবনের বিষয়ে কী সিদ্ধান্ত হয়েছে জানতে চাইলে কাজী ওয়াছি উদ্দিন বলেন, ঝুঁকিপূর্ণ বেসরকারি ভবনগুলোর বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে রাজউকের চেয়ারম্যানকে প্রধান করে একটি কমিটি করা হয়েছে।
“এসব ভবনের অ্যাসেসমেন্ট করে কমিটি একটি সিদ্ধান্ত নেবে। সিদ্ধান্তের পর তারা আমাদের সুপারিশ করবে। এসব সুপারিশ নগর উন্নয়ন কমিটির বৈঠকে উপস্থাপন করা হবে। সেখানে আলোচনা হবে কী প্রক্রিয়ায় এগুলো আইডেন্টফাই করা যায়।”
রাজউকের শীর্ষ কর্মকর্তারা ছাড়াও ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের সাবেক মহাপরিচালক আলী আহমদ, বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. মেহেদী আহমেদ আনসারী, গণপূর্তের প্রধান প্রকৌশলী শামিম আখতার, সিটি করপোরেশনের প্রতিনিধি, স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের প্রতিনিধি, স্থাপত্য অধিদপ্তরের প্রতিনিধিসহ বিভিন্ন সংস্থা ও পূর্ত মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন।

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

অতি ঝুঁকিপূর্ণ ৪২ সরকারি ভবন ভাঙতে তিন মাস সময়

আপডেট সময় : ০১:৪১:৩৬ অপরাহ্ন, রবিবার, ১২ মার্চ ২০২৩

নিজস্ব প্রতিবেদক : ঢাকা, নারায়ণগঞ্জ ও গাজীপুরে সরকারি ও স্বায়ত্বশায়িত প্রতিষ্ঠানের মালিকানাধীন ‘অতি ঝুঁকিপূর্ণ’ ৪২টি ভবন আগামী তিন মাসের মধ্যে ভেঙ্গে ফেলতে হবে।
আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে এসব ভবন খালি করতে হবে। ভবন মালিকদের নিজ উদ্যোগে ভবন ভাঙতে হবে। তা না হলে রাজউক এসব ভবন ভেঙে দিয়ে মালিকপক্ষের কাছ থেকে খরচ আদায় করবে। এছাড়া ঝুঁকিপূর্ণ ১৮৭টি ভবনকে মেরামত করে ব্যবহারের উপযোগী করে তোলার জন্য সেসব সরকারি ও স্বায়ত্বশাসিত প্রতিষ্ঠানকে চিঠি দেওয়া হবে। শনিবার রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে নগর উন্নয়ন কমিটির বৈঠকে এসব সিদ্ধান্ত হয়।
কমিটির আহ্বায়ক এবং গৃহায়ন ও গণপূর্ত সচিব কাজী ওয়াছি উদ্দিন গতকাল রোববার সংবাদমাধ্যমকে বলেন, “এসব ভবন ব্যবহারের অনুপযোগী হয়ে গেছে। এ কারণে আমরা বলেছি সাত দিনের মধ্যে ভবন থেকে সবকিছু সরিয়ে নেওয়ার জন্য। এরপর তিন মাসের মধ্যে এসব ভবন ভাঙতে হবে।”
অতি ঝুঁকিপূর্ণ সরকারি ভবনগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বেশি ৩০টি ভবন শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরের। এছাড়া বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের তিনটি, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের চারটি, মাদ্রাসা বোর্ডের একটি, প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের একটি, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের তিনটি ভবন রয়েছে অতি ঝুঁকিপূর্ণ ভবনের তালিকায়।
যে ১৮৭টি ভবনকে ‘রেট্রোফিটিং’ করতে হবে তারমধ্যে শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরের ১৫৪টি ভবন রয়েছে। এছাড়া ইনস্টিটিউট অব লেদার ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড টেকনোলজির তিনটি, স্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের চারটি, মাদ্রাসা বোর্ডের ছয়টি, প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের ১০টি, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ১০টি ভবন আছে।
সিদ্দিকবাজারে ক্যাফে কুইন ভবনে বিস্ফোরণে প্রাণহানি এবং সাম্প্রতিক দুর্ঘটনার পর ভবনের নিরাপত্তার বিষয়টি নতুন করে আলোচনায় এসেছে। নগর উন্নয়ন কমিটির বৈঠকেও সে বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা হয়। বেসরকারি ভবনের বিষয়ে কী সিদ্ধান্ত হয়েছে জানতে চাইলে কাজী ওয়াছি উদ্দিন বলেন, ঝুঁকিপূর্ণ বেসরকারি ভবনগুলোর বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে রাজউকের চেয়ারম্যানকে প্রধান করে একটি কমিটি করা হয়েছে।
“এসব ভবনের অ্যাসেসমেন্ট করে কমিটি একটি সিদ্ধান্ত নেবে। সিদ্ধান্তের পর তারা আমাদের সুপারিশ করবে। এসব সুপারিশ নগর উন্নয়ন কমিটির বৈঠকে উপস্থাপন করা হবে। সেখানে আলোচনা হবে কী প্রক্রিয়ায় এগুলো আইডেন্টফাই করা যায়।”
রাজউকের শীর্ষ কর্মকর্তারা ছাড়াও ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের সাবেক মহাপরিচালক আলী আহমদ, বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. মেহেদী আহমেদ আনসারী, গণপূর্তের প্রধান প্রকৌশলী শামিম আখতার, সিটি করপোরেশনের প্রতিনিধি, স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের প্রতিনিধি, স্থাপত্য অধিদপ্তরের প্রতিনিধিসহ বিভিন্ন সংস্থা ও পূর্ত মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন।