ঢাকা ০৮:০৬ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৩ ডিসেম্বর ২০২৫

হোমল্যান্ড ইন্সুরেন্সের ১০৪ কোটি লোপাটের তদন্ত চেয়ে রিট

  • আপডেট সময় : ০১:৫৮:১৫ অপরাহ্ন, রবিবার, ৫ মার্চ ২০২৩
  • ১১৬ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক: হোমল্যান্ড লাইফ ইন্সুরেন্সের গ্রাহকদের ১০৪ কোটি টাকা লোপাটের ঘটনায় তদন্ত ও প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশনা চেয়ে হাইকোর্টে রিট দায়ের করা হয়েছে।
গতকাল রোববার প্রতিষ্ঠানটির ১৪ গ্রাহকের পক্ষে হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় এ রিটটি দায়ের করেন রহিমা আক্তার। রিটকারীদের আইনজীবী অ্যাডভোকেট দিদারুল আলম দিদার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। রিটে অর্থ সচিব, ইন্সুরেন্স ডেভেলপমেন্ট অ্যান্ড রেগুলিটরি অথোরিটির চেয়ারম্যান, দুর্নীতি দমন কমিশনের চেয়ারম্যান, হোমল্যান্ড ইন্সুরেন্সের চেয়ারম্যান ও ভাইস চেয়ারম্যানসহ প্রতিষ্ঠানটির ১৪ পরিচালককে বিবাদী করা হয়েছে। গত ২৭ ফেব্রুয়ারি একটি জাতীয় দৈনিকে ‘পরিচালকদের প্রতারণার খপ্পরে হোমল্যান্ড লাইফ’ শিরোনামে একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। এছাড়াও প্রতিষ্ঠানটির অর্থ আত্মসাৎ নিয়ে বিভিন্ন পত্রিকায় প্রতিবেদন প্রকাশ হয়। এসব প্রতিবেদন যুক্ত করে হাইকোর্টে রিট দায়ের করা হয়। রিটে ১০৪ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগের তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশনা চাওয়া হয়েছে। একই সঙ্গে এ বিষয়ে রুল জারি আর্জি জানানো হয়েছে। পাশাপাশি গ্রাহকদের পাওনা টাকা ফেরতে দিতে ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশনা চাওয়া হয়েছে। পত্রিকার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সিলেটের লন্ডন প্রবাসী পরিচালকদের একটি গ্রুপের প্রতারণার খপ্পরে হোম ল্যান্ড লাইফ ইন্সুরেন্স। গুরুত্বপূর্ণ বিভিন্ন সিদ্ধান্ত নিতে সিলেটেই করা হতো পরিচালনা পরিষদের বৈঠক। এই গ্রুপটি কোম্পানির তহবিল থেকে জালিয়াতির মাধ্যমে ১০৪ কোটি টাকা আত্মসাৎ করে বলে প্রমাণ পাওয়া গেছে। অনুসন্ধানে এমন চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে এসেছে। বোর্ড সভার কার্যবিবরণী জালিয়াতি, জমি কেনায় ভুয়া নথি তৈরি, কমিশন ও অন্যান্য খাতে খরচের ভুয়া ভাউচার তৈরি করে এসব টাকা আত্মসাৎ করা হয়। নথিপত্রে দেখা গেছে- এই প্রতিষ্ঠানের নামে অস্তিত্ববিহীন জমি কেনা হয়েছে। আবার সেই জমিতে মাটি ভরাট ও কাঁটাতারের বেড়া দেওয়ার নামে আরও অর্থ লোপাট করা হয়েছে।

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : prottashasmf@yahoo.com
আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

ফ্যাসিস্ট সন্ত্রাসীদের দমনে শুরু হচ্ছে ‘অপারেশন ডেভিল হান্ট’ ফেইজ-২

হোমল্যান্ড ইন্সুরেন্সের ১০৪ কোটি লোপাটের তদন্ত চেয়ে রিট

আপডেট সময় : ০১:৫৮:১৫ অপরাহ্ন, রবিবার, ৫ মার্চ ২০২৩

নিজস্ব প্রতিবেদক: হোমল্যান্ড লাইফ ইন্সুরেন্সের গ্রাহকদের ১০৪ কোটি টাকা লোপাটের ঘটনায় তদন্ত ও প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশনা চেয়ে হাইকোর্টে রিট দায়ের করা হয়েছে।
গতকাল রোববার প্রতিষ্ঠানটির ১৪ গ্রাহকের পক্ষে হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় এ রিটটি দায়ের করেন রহিমা আক্তার। রিটকারীদের আইনজীবী অ্যাডভোকেট দিদারুল আলম দিদার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। রিটে অর্থ সচিব, ইন্সুরেন্স ডেভেলপমেন্ট অ্যান্ড রেগুলিটরি অথোরিটির চেয়ারম্যান, দুর্নীতি দমন কমিশনের চেয়ারম্যান, হোমল্যান্ড ইন্সুরেন্সের চেয়ারম্যান ও ভাইস চেয়ারম্যানসহ প্রতিষ্ঠানটির ১৪ পরিচালককে বিবাদী করা হয়েছে। গত ২৭ ফেব্রুয়ারি একটি জাতীয় দৈনিকে ‘পরিচালকদের প্রতারণার খপ্পরে হোমল্যান্ড লাইফ’ শিরোনামে একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। এছাড়াও প্রতিষ্ঠানটির অর্থ আত্মসাৎ নিয়ে বিভিন্ন পত্রিকায় প্রতিবেদন প্রকাশ হয়। এসব প্রতিবেদন যুক্ত করে হাইকোর্টে রিট দায়ের করা হয়। রিটে ১০৪ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগের তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশনা চাওয়া হয়েছে। একই সঙ্গে এ বিষয়ে রুল জারি আর্জি জানানো হয়েছে। পাশাপাশি গ্রাহকদের পাওনা টাকা ফেরতে দিতে ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশনা চাওয়া হয়েছে। পত্রিকার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সিলেটের লন্ডন প্রবাসী পরিচালকদের একটি গ্রুপের প্রতারণার খপ্পরে হোম ল্যান্ড লাইফ ইন্সুরেন্স। গুরুত্বপূর্ণ বিভিন্ন সিদ্ধান্ত নিতে সিলেটেই করা হতো পরিচালনা পরিষদের বৈঠক। এই গ্রুপটি কোম্পানির তহবিল থেকে জালিয়াতির মাধ্যমে ১০৪ কোটি টাকা আত্মসাৎ করে বলে প্রমাণ পাওয়া গেছে। অনুসন্ধানে এমন চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে এসেছে। বোর্ড সভার কার্যবিবরণী জালিয়াতি, জমি কেনায় ভুয়া নথি তৈরি, কমিশন ও অন্যান্য খাতে খরচের ভুয়া ভাউচার তৈরি করে এসব টাকা আত্মসাৎ করা হয়। নথিপত্রে দেখা গেছে- এই প্রতিষ্ঠানের নামে অস্তিত্ববিহীন জমি কেনা হয়েছে। আবার সেই জমিতে মাটি ভরাট ও কাঁটাতারের বেড়া দেওয়ার নামে আরও অর্থ লোপাট করা হয়েছে।