ঢাকা ১২:০২ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৩ মে ২০২৫

ঋতু পরিবর্তনজনিত ঠান্ডা ও কাশি থেকে বাঁচার উপায়

  • আপডেট সময় : ১২:২৩:৪৪ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২ মার্চ ২০২৩
  • ৮৮ বার পড়া হয়েছে

স্বাস্থ্য ও পরিচর্যা ডেস্ক : ঋতু পরিবর্তনের কারণে খুশখুশে কাশির সমস্যায় ভুগছেন ছোট-বড় অনেকে। শীত শেষ হলেও ঘরের বাইরে অতিরিক্ত ধুলোবালি আর বায়ু দূষণের ফলে পাল্লা দিয়ে বেড়েছে ঠা-া ও কাশির মাত্রা। এমনিতে বছরের এই সময় জ্বর, সর্দি, কাশির সমস্যা বাড়ে। বিশেষ করে যাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কম, সেসব মানুষ এসব উপসর্গে বেশি ভোগেন। একবার শুরু হলে খুশখুশে এই কাশির সমস্যা সহজে ওষুধ খেয়েও সারে না। সে কারণে ওষুধের পাশাপাশি কিছু খাবারসহ আরও কিছু নিয়ম মেনে চলার উপর গুরুত্ব দিয়েছেন স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা। তারা বলছেন, এতে অস্বস্তিকর এই কাশি থেকে মুক্তি পাওয়া সহজ হবে। এ ব্যাপারে পুষ্টি বিশেষজ্ঞ সুমাইয়া রহমান বলেন, সকাল ও রাতে ঘি, শুকনো আদার গুঁড়া, সামান্য হলুদ ও পরিমান মতো গুড় একসঙ্গে মিশিয়ে ছোট্ট ছোট্ট বলের মতো তৈরি করে নিন। ঘুম থেকে উঠে একবার এবং রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগে একবার খান। এভাবে প্রতিদিন খেলে খুশখুশে কাশি থেকে মুক্তি পাওয়া সহজ হবে।
সকালের নাস্তা ও দুপুরের খাবারের মাঝামাঝি সময়টাতে কয়েকটি কাজু বাদামের সঙ্গে অল্প গুড় মিশিয়ে খেয়ে নেবার পরামর্শও দিয়েছেন এই পুষ্টিবিদ। এতে ক্ষুধা দূর হবার পাশাপাশি কাশির সমস্যাও অনেকটা কমে আসবে। তবে গুড় যেন খাঁটি হয় সেদিকে খেয়াল রাখারও পরামর্শ দিয়েছেন তিনি। সুমাইয়া রহমান আরো বলেন, দুপুরের খাবারের সময় ভাত, ডাল, সবজি, মাছ কিংবা মাংসের সাথে মুগ ডাল ও ঘি খেলে উপকার পাওয়া যাবে। আর রাতের খাবারের ব্যাপারে তার পরামর্শ হচ্ছে, ভাত কিংবা খিচুড়ি। সঙ্গে মাংস বা মাছ। তবে খুব বেশি খাবেন না, পরিমিত খাবেন। স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ডা. ফরহাদ মনজুর বলেন, যেহেতু গরম পড়তে শুরু করেছে। তাই এসময় বেশি করে পানি ও পানীয় পান করবেন। বাড়িতে বানানো এসব পানীয় আপনাকে আরাম দেবে। এ সময় আদা, লেবু, লেমন গ্রাস এবং মধু মিশিয়ে চা কিংবা পানীয় তৈরি করে পান করতে পারেন। বাজার থেকে কিনে জুস না খাওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন এই স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ। ডা. ফরহাদ আরও বলেন, এসব খাবারের পাশাপাশি বাড়ি থেকে বের হলে অবশ্যই মাস্ক ব্যবহার করবেন। রোদ থেকে বাঁচতে ছাতা ব্যবহার করবেন। বাইরে থেকে ঘরে ফিরে কোনো ঠান্ডা বা ফ্রিজের পানি বা জুস খাওয়া যাবে না। এ ছাড়াও বাইরের কোনো ভাজা পোড়া খাবার এবং রাস্তার পাশের খোলা দোকানের কোনো খাবার না খাওয়ারও পরামর্শ দিয়েছেন তিনি।

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

ঋতু পরিবর্তনজনিত ঠান্ডা ও কাশি থেকে বাঁচার উপায়

আপডেট সময় : ১২:২৩:৪৪ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২ মার্চ ২০২৩

স্বাস্থ্য ও পরিচর্যা ডেস্ক : ঋতু পরিবর্তনের কারণে খুশখুশে কাশির সমস্যায় ভুগছেন ছোট-বড় অনেকে। শীত শেষ হলেও ঘরের বাইরে অতিরিক্ত ধুলোবালি আর বায়ু দূষণের ফলে পাল্লা দিয়ে বেড়েছে ঠা-া ও কাশির মাত্রা। এমনিতে বছরের এই সময় জ্বর, সর্দি, কাশির সমস্যা বাড়ে। বিশেষ করে যাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কম, সেসব মানুষ এসব উপসর্গে বেশি ভোগেন। একবার শুরু হলে খুশখুশে এই কাশির সমস্যা সহজে ওষুধ খেয়েও সারে না। সে কারণে ওষুধের পাশাপাশি কিছু খাবারসহ আরও কিছু নিয়ম মেনে চলার উপর গুরুত্ব দিয়েছেন স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা। তারা বলছেন, এতে অস্বস্তিকর এই কাশি থেকে মুক্তি পাওয়া সহজ হবে। এ ব্যাপারে পুষ্টি বিশেষজ্ঞ সুমাইয়া রহমান বলেন, সকাল ও রাতে ঘি, শুকনো আদার গুঁড়া, সামান্য হলুদ ও পরিমান মতো গুড় একসঙ্গে মিশিয়ে ছোট্ট ছোট্ট বলের মতো তৈরি করে নিন। ঘুম থেকে উঠে একবার এবং রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগে একবার খান। এভাবে প্রতিদিন খেলে খুশখুশে কাশি থেকে মুক্তি পাওয়া সহজ হবে।
সকালের নাস্তা ও দুপুরের খাবারের মাঝামাঝি সময়টাতে কয়েকটি কাজু বাদামের সঙ্গে অল্প গুড় মিশিয়ে খেয়ে নেবার পরামর্শও দিয়েছেন এই পুষ্টিবিদ। এতে ক্ষুধা দূর হবার পাশাপাশি কাশির সমস্যাও অনেকটা কমে আসবে। তবে গুড় যেন খাঁটি হয় সেদিকে খেয়াল রাখারও পরামর্শ দিয়েছেন তিনি। সুমাইয়া রহমান আরো বলেন, দুপুরের খাবারের সময় ভাত, ডাল, সবজি, মাছ কিংবা মাংসের সাথে মুগ ডাল ও ঘি খেলে উপকার পাওয়া যাবে। আর রাতের খাবারের ব্যাপারে তার পরামর্শ হচ্ছে, ভাত কিংবা খিচুড়ি। সঙ্গে মাংস বা মাছ। তবে খুব বেশি খাবেন না, পরিমিত খাবেন। স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ডা. ফরহাদ মনজুর বলেন, যেহেতু গরম পড়তে শুরু করেছে। তাই এসময় বেশি করে পানি ও পানীয় পান করবেন। বাড়িতে বানানো এসব পানীয় আপনাকে আরাম দেবে। এ সময় আদা, লেবু, লেমন গ্রাস এবং মধু মিশিয়ে চা কিংবা পানীয় তৈরি করে পান করতে পারেন। বাজার থেকে কিনে জুস না খাওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন এই স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ। ডা. ফরহাদ আরও বলেন, এসব খাবারের পাশাপাশি বাড়ি থেকে বের হলে অবশ্যই মাস্ক ব্যবহার করবেন। রোদ থেকে বাঁচতে ছাতা ব্যবহার করবেন। বাইরে থেকে ঘরে ফিরে কোনো ঠান্ডা বা ফ্রিজের পানি বা জুস খাওয়া যাবে না। এ ছাড়াও বাইরের কোনো ভাজা পোড়া খাবার এবং রাস্তার পাশের খোলা দোকানের কোনো খাবার না খাওয়ারও পরামর্শ দিয়েছেন তিনি।