ঢাকা ১১:৩৫ অপরাহ্ন, রবিবার, ২২ জুন ২০২৫

ইবিতে ছাত্রী নির্যাতনের ঘটনায় পাঁচ নেতাকর্মীকে ছাত্রলীগ থেকে বহিষ্কার, প্রাধ্যক্ষকে প্রত্যাহার

  • আপডেট সময় : ০২:৩৩:১৫ অপরাহ্ন, বুধবার, ১ মার্চ ২০২৩
  • ১১০ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক: ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের দেশরতœ শেখ হাসিনা হলে ছাত্রী নির্যাতনের ঘটনায় পাঁচ নেতাকর্মীকে সংগঠন থেকে বহিষ্কারের কথা জানিয়েছে ছাত্রলীগ।
গতকাল বুধবার বিকালে সংগঠনের সভাপতি সাদ্দাম হোসেন ও সাধারণ সম্পাদক শেখ ওয়ালী আসিফ ইনান স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বহিষ্কারের তথ্য জানানো হয়। বহিষ্কৃতরা হলেন- ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সহসভাপতি সানজিদা চৌধুরী অন্তরা, দেশরতœ শেখ হাসিনা হল শাখার সহসভাপতি তাবাসসুম ইসলাম, কর্মী মোয়াবিয়া জাহান, ইসরাত জাহান মিমি ও হালিমা খাতুন উর্মী। পরে ছাত্রলীগের সভাপতি সাদ্দাম হোসাইন বলেন, “বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন, মহামান্য হাই কোর্টের নির্দেশ এবং সার্বিক বিবেচনায় বিষয়টাকে ক্রিমিনাল অফেন্স হয়েছে বলে আমাদের কাছে তথ্য এসেছে। “যার পরিপ্রেক্ষিতে আমরা বাংলাদেশ ছাত্রলীগ এই পাঁচজনের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নিয়েছি। পাঁচজনকে ছাত্রলীগ থেকে বহিষ্কার করেছি।”
ছাত্রী নির্যাতনের ঘটনায় জমা দেওয়া দুটি তদন্ত প্রতিবেদনে অভিযোগের সত্যতা পাওয়ায় বুধবার হাই কোর্টে বিচারপতি জে বি এম হাসান ও বিচারপতি রাজিক-আল-জলিলের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ পাঁচ ছাত্রীকে সাময়িক বহিষ্কার, দায়িত্বহীনতার অভিযোগে হল প্রভোস্টকে অব্যহতি এবং দায়িত্বে অবহেলাকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়াসহ কয়েকটি নির্দেশ দিয়েছেন। তার কিছু পরেই ছাত্রলীগের পক্ষ থেকে পাঁচজনকে বহিষ্কারের বিবৃতি এলো। এর আগে মঙ্গলবার ওই পাঁচ শিক্ষার্থীকে তাদের হল থেকে স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করেছে কর্তৃপক্ষ।
দেশরতœ শেখ হাসিনা হলের অতিথি কক্ষে চার ঘণ্টা আটকে রেখে প্রথম বর্ষের এক ছাত্রীকে নির্যাতনের অভিযোগ ওঠে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সহসভাপতি সানজিদা চৌধুরী অন্তরা ও তার সহযোগীদের বিরুদ্ধে। গত ১২ ফেব্রুয়ারি রাত সাড়ে ১১টা থেকে প্রায় ৩টা পর্যন্ত ওই কক্ষে আটকে রেখে শারীরিক নির্যাতন করা হয় বলে ভুক্তভোগী ছাত্রী অভিযোগ করেন। অভিযোগে তিনি বলেন, র‌্যাগিংয়ের নামে ছাত্রলীগ নেত্রীরা তাকে ‘বিবস্ত্র করে ভিডিও ধারণ’ করেন। শারীরিক ও মানসিক নির্যাতনের পাশাপাশি ঘটনা কাউকে জানালে ‘জীবননাশের হুমকিও’ দেন তারা। রোববার রাতের ওই ঘটনার পর বিপর্যস্ত ওই ছাত্রী সকালে হল ছেড়ে বাসায় চলে যান। মঙ্গলবার তিনি প্রক্টর ও ছাত্র-উপদেষ্টা দপ্তর বরাবর লিখিত অভিযোগ করলে বিষয়টি জানাজানি হয়। এরপর ঘটনা তদন্তে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন এবং হল কর্তৃপক্ষ দুটি কমিটি গঠন করে। এর বাইরে হাই কোর্টের নির্দেশে একটি বিচার বিভাগীয় এবং ছাত্রলীগ ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় শাখা আরও দুটি কমিটি করে। নির্যাতিত ওই ছাত্রীকে ছাত্রলীগের তদন্ত কমিটির কাছে অভিযোগ দেওয়ার জন্য রোববার ডাকা হয়েছিল। কিন্তু নিরাপত্তার কারণে তিনি ক্যাম্পাসে যেতে পারেননি। পরে মোবাইল ফোনে তিনি তদন্ত কমিটিকে তার অভিযোগ জানান।
দেশরতœ শেখ হাসিনা হলের প্রাধ্যক্ষকে প্রত্যাহার: ছাত্রী নির্যাতনের ঘটনায় হাইকোর্টের নির্দেশনার পর কুষ্টিয়ার ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) দেশরতœ শেখ হাসিনা হলের প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. শামসুল আলমকে প্রত্যাহার করা হয়েছে। সাময়িকভাবে প্রাধ্যক্ষের দায়িত্ব পেয়েছেন হলটির জ্যেষ্ঠ আবাসিক শিক্ষক অধ্যাপক ড. আহসানুল হক।
গতকাল বুধবার বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মাহবুবুর রহমান এতথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, ‘আমরা হাইকোর্ট থেকে যে বার্তা পেয়েছি সে অনুসারে ওই হলের প্রাধ্যক্ষকে প্রত্যাহার করা হয়েছে। হলের জ্যেষ্ঠ আবাসিক শিক্ষককে সাময়িকভাবে হলের দায়িত্ব পালনের জন্য বলা হয়েছে।’ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম বর্ষের ছাত্রী ফুলপরী খাতুনের ওপর নির্যাতনের সত্যতা পেয়েছে তদন্ত কমিটি। এ ঘটনায় জড়িত ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি অন্তরাসহ পাঁচ ছাত্রীকে সাময়িক বহিষ্কারের নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। একই সঙ্গে ওই হলের প্রাধ্যক্ষ ড. শামসুল আলমকে অবিলম্বে প্রত্যাহার করতে বলা হয়েছে। পাশাপাশি তাদের ক্যাম্পাসের বাইরে রাখতে বলা হয়েছে। সেইসঙ্গে ইবির হলগুলোর সিসিটিভি মনিটরিং বাড়ানোর নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। এ সংক্রান্ত রিটের শুনানি নিয়ে বুধবার হাইকোর্টের বিচারপতি জেবিএম হাসান ও বিচারপতি রাজিক আল জলিলের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এ বিষয়ে আদেশ দেন। এদিকে অভিযুক্ত পাঁচ ছাত্রলীগ নেতাকর্মীকে সংগঠন থেকে বহিষ্কার করেছে ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সংসদ। বুধবার দুপুর আড়াইটায় ছাত্রলীগের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে সংগঠনটির সভাপতি সাদ্দাম হোসেন ও সম্পাদক শেখ ওয়ালী আসিফ ইনান সই করা এক বিজ্ঞপ্তিতে এতথ্য জানানো হয়।
গত ১২ ফেব্রুয়ারি ইবির দেশরতœ শেখ হাসিনা হলে রাত সাড়ে ১১টা থেকে রাত প্রায় ৩টা পর্যন্ত শারীরিক নির্যাতনের শিকার হন প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী ফুলপরী খাতুন। তিনি ফিন্যান্স অ্যান্ড ব্যাংকিং বিভাগের ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষের ছাত্রী। অভিযোগ ওঠে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি সানজিদা চৌধুরী অন্তরা ও তার সহযোগীদের বিরুদ্ধে। ভুক্তভোগীর অভিযোগ, তারা ওই শিক্ষার্থীকে মারধর করে তার বিবস্ত্র ভিডিও ধারণ করে রাখেন।

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

ইবিতে ছাত্রী নির্যাতনের ঘটনায় পাঁচ নেতাকর্মীকে ছাত্রলীগ থেকে বহিষ্কার, প্রাধ্যক্ষকে প্রত্যাহার

আপডেট সময় : ০২:৩৩:১৫ অপরাহ্ন, বুধবার, ১ মার্চ ২০২৩

নিজস্ব প্রতিবেদক: ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের দেশরতœ শেখ হাসিনা হলে ছাত্রী নির্যাতনের ঘটনায় পাঁচ নেতাকর্মীকে সংগঠন থেকে বহিষ্কারের কথা জানিয়েছে ছাত্রলীগ।
গতকাল বুধবার বিকালে সংগঠনের সভাপতি সাদ্দাম হোসেন ও সাধারণ সম্পাদক শেখ ওয়ালী আসিফ ইনান স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বহিষ্কারের তথ্য জানানো হয়। বহিষ্কৃতরা হলেন- ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সহসভাপতি সানজিদা চৌধুরী অন্তরা, দেশরতœ শেখ হাসিনা হল শাখার সহসভাপতি তাবাসসুম ইসলাম, কর্মী মোয়াবিয়া জাহান, ইসরাত জাহান মিমি ও হালিমা খাতুন উর্মী। পরে ছাত্রলীগের সভাপতি সাদ্দাম হোসাইন বলেন, “বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন, মহামান্য হাই কোর্টের নির্দেশ এবং সার্বিক বিবেচনায় বিষয়টাকে ক্রিমিনাল অফেন্স হয়েছে বলে আমাদের কাছে তথ্য এসেছে। “যার পরিপ্রেক্ষিতে আমরা বাংলাদেশ ছাত্রলীগ এই পাঁচজনের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নিয়েছি। পাঁচজনকে ছাত্রলীগ থেকে বহিষ্কার করেছি।”
ছাত্রী নির্যাতনের ঘটনায় জমা দেওয়া দুটি তদন্ত প্রতিবেদনে অভিযোগের সত্যতা পাওয়ায় বুধবার হাই কোর্টে বিচারপতি জে বি এম হাসান ও বিচারপতি রাজিক-আল-জলিলের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ পাঁচ ছাত্রীকে সাময়িক বহিষ্কার, দায়িত্বহীনতার অভিযোগে হল প্রভোস্টকে অব্যহতি এবং দায়িত্বে অবহেলাকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়াসহ কয়েকটি নির্দেশ দিয়েছেন। তার কিছু পরেই ছাত্রলীগের পক্ষ থেকে পাঁচজনকে বহিষ্কারের বিবৃতি এলো। এর আগে মঙ্গলবার ওই পাঁচ শিক্ষার্থীকে তাদের হল থেকে স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করেছে কর্তৃপক্ষ।
দেশরতœ শেখ হাসিনা হলের অতিথি কক্ষে চার ঘণ্টা আটকে রেখে প্রথম বর্ষের এক ছাত্রীকে নির্যাতনের অভিযোগ ওঠে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সহসভাপতি সানজিদা চৌধুরী অন্তরা ও তার সহযোগীদের বিরুদ্ধে। গত ১২ ফেব্রুয়ারি রাত সাড়ে ১১টা থেকে প্রায় ৩টা পর্যন্ত ওই কক্ষে আটকে রেখে শারীরিক নির্যাতন করা হয় বলে ভুক্তভোগী ছাত্রী অভিযোগ করেন। অভিযোগে তিনি বলেন, র‌্যাগিংয়ের নামে ছাত্রলীগ নেত্রীরা তাকে ‘বিবস্ত্র করে ভিডিও ধারণ’ করেন। শারীরিক ও মানসিক নির্যাতনের পাশাপাশি ঘটনা কাউকে জানালে ‘জীবননাশের হুমকিও’ দেন তারা। রোববার রাতের ওই ঘটনার পর বিপর্যস্ত ওই ছাত্রী সকালে হল ছেড়ে বাসায় চলে যান। মঙ্গলবার তিনি প্রক্টর ও ছাত্র-উপদেষ্টা দপ্তর বরাবর লিখিত অভিযোগ করলে বিষয়টি জানাজানি হয়। এরপর ঘটনা তদন্তে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন এবং হল কর্তৃপক্ষ দুটি কমিটি গঠন করে। এর বাইরে হাই কোর্টের নির্দেশে একটি বিচার বিভাগীয় এবং ছাত্রলীগ ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় শাখা আরও দুটি কমিটি করে। নির্যাতিত ওই ছাত্রীকে ছাত্রলীগের তদন্ত কমিটির কাছে অভিযোগ দেওয়ার জন্য রোববার ডাকা হয়েছিল। কিন্তু নিরাপত্তার কারণে তিনি ক্যাম্পাসে যেতে পারেননি। পরে মোবাইল ফোনে তিনি তদন্ত কমিটিকে তার অভিযোগ জানান।
দেশরতœ শেখ হাসিনা হলের প্রাধ্যক্ষকে প্রত্যাহার: ছাত্রী নির্যাতনের ঘটনায় হাইকোর্টের নির্দেশনার পর কুষ্টিয়ার ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) দেশরতœ শেখ হাসিনা হলের প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. শামসুল আলমকে প্রত্যাহার করা হয়েছে। সাময়িকভাবে প্রাধ্যক্ষের দায়িত্ব পেয়েছেন হলটির জ্যেষ্ঠ আবাসিক শিক্ষক অধ্যাপক ড. আহসানুল হক।
গতকাল বুধবার বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মাহবুবুর রহমান এতথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, ‘আমরা হাইকোর্ট থেকে যে বার্তা পেয়েছি সে অনুসারে ওই হলের প্রাধ্যক্ষকে প্রত্যাহার করা হয়েছে। হলের জ্যেষ্ঠ আবাসিক শিক্ষককে সাময়িকভাবে হলের দায়িত্ব পালনের জন্য বলা হয়েছে।’ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম বর্ষের ছাত্রী ফুলপরী খাতুনের ওপর নির্যাতনের সত্যতা পেয়েছে তদন্ত কমিটি। এ ঘটনায় জড়িত ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি অন্তরাসহ পাঁচ ছাত্রীকে সাময়িক বহিষ্কারের নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। একই সঙ্গে ওই হলের প্রাধ্যক্ষ ড. শামসুল আলমকে অবিলম্বে প্রত্যাহার করতে বলা হয়েছে। পাশাপাশি তাদের ক্যাম্পাসের বাইরে রাখতে বলা হয়েছে। সেইসঙ্গে ইবির হলগুলোর সিসিটিভি মনিটরিং বাড়ানোর নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। এ সংক্রান্ত রিটের শুনানি নিয়ে বুধবার হাইকোর্টের বিচারপতি জেবিএম হাসান ও বিচারপতি রাজিক আল জলিলের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এ বিষয়ে আদেশ দেন। এদিকে অভিযুক্ত পাঁচ ছাত্রলীগ নেতাকর্মীকে সংগঠন থেকে বহিষ্কার করেছে ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সংসদ। বুধবার দুপুর আড়াইটায় ছাত্রলীগের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে সংগঠনটির সভাপতি সাদ্দাম হোসেন ও সম্পাদক শেখ ওয়ালী আসিফ ইনান সই করা এক বিজ্ঞপ্তিতে এতথ্য জানানো হয়।
গত ১২ ফেব্রুয়ারি ইবির দেশরতœ শেখ হাসিনা হলে রাত সাড়ে ১১টা থেকে রাত প্রায় ৩টা পর্যন্ত শারীরিক নির্যাতনের শিকার হন প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী ফুলপরী খাতুন। তিনি ফিন্যান্স অ্যান্ড ব্যাংকিং বিভাগের ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষের ছাত্রী। অভিযোগ ওঠে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি সানজিদা চৌধুরী অন্তরা ও তার সহযোগীদের বিরুদ্ধে। ভুক্তভোগীর অভিযোগ, তারা ওই শিক্ষার্থীকে মারধর করে তার বিবস্ত্র ভিডিও ধারণ করে রাখেন।