ঢাকা ১১:২৩ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৩ জুলাই ২০২৫

এবার কানাডায় সরকারি ডিভাইসে টিকটক নিষিদ্ধ

  • আপডেট সময় : ১০:০৫:৫৪ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৮ ফেব্রুয়ারী ২০২৩
  • ৯৮ বার পড়া হয়েছে

প্রযুক্তি ডেস্ক : কানাডায় সব ধরনের সরকারি ডিভাইসে ভিডিও শেয়ারিং অ্যাপ ‘টিকটক’ নিষিদ্ধ করেছে দেশটির সরকার, যা কার্যকর হচ্ছে মঙ্গলবার থেকেই।
বিবিসি জানিয়েছে, ওই অ্যাপ গোপনীয়তা ও তথ্যের সুরক্ষার ক্ষেত্রে ‘অগ্রহণযোগ্য মাত্রায় ঝুঁকি তৈরি করছে’ বলে কানাডার প্রধান তথ্য কর্মকর্তা পর্যবেক্ষণ দেওয়ার পর এ সিদ্ধান্ত নেওয়ার কথা জানিয়েছে দেশটির কর্তৃপক্ষ। টিকটকের একজন মুখপাত্র বলেছেন, কানাডা সরকারের এমন সিদ্ধান্তে তাদের কোম্পানি ‘হতাশ’। ইউরোপীয় কমিশন টিকটকের ক্ষেত্রে একই ধরনের নিষেধাজ্ঞা দেওয়ার কয়েক দিনের মধ্যে এ সিদ্ধান্ত নিল কানাডা।
দেশটির প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো বলেছেন, ওই অ্যাপের কারণে নিরাপত্তা নিয়ে ‘যথেষ্ট উদ্বেগ’ তৈরি হয়েছিল বলেই এরকম সিদ্ধান্ত নিতে হয়েছে।
গত সোমবার এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, “হতে পারে এটাই আমাদের প্রথম পদক্ষেপ। আবার এমনও হতে পারে, এরপর আর কোনো পদক্ষেপ আমাদের নিতে হবে না।”
ব্যবহারকারীদের ব্যক্তিগত তথ্য সংগ্রহ এবং চীন সরকারের সঙ্গে টিকটকের যোগাযোগের বিষয়টিই এ অ্যাপ নিয়ে সমালোচনা ও উদ্বেগের মূল কারণ। এই শর্ট-ফর্ম ভিডিও অ্যাপটির মালিক চীনা কোম্পানি বাইটড্যান্স লিমিটেড। যুক্তরাষ্ট্রে গত বছরের শেষ দিকে সরকারি কর্মীদের জন্য টিকটক ব্যবহার নিষিদ্ধ করা হয়। আর গত সোমবার হোয়াইট হাউস যুক্তরাষ্ট্রের সব সরকারি সংস্থার সিস্টেম থেকে অ্যাপটি মুছে ফেলার জন্য ৩০ দিন সময় দেয়। যুক্তরাষ্ট্রের বেশ কিছু বিশ্ববিদ্যালয় তাদের নেটওয়ার্কে টিকটক ব্যবহার নিষিদ্ধ করেছে। ভারতসহ এশিয়ার কয়েকটি দেশে সাধারণ নাগরিকদের ক্ষেত্রেও টিকটক ব্যবহারে নিষেধাজ্ঞা রয়েছে।
টিকটক কর্তৃপক্ষ বলে আসছে, তাদের ব্যবহারকারীদের তথ্য দেখার কোনো সুযোগ চীনা সরকারি কর্মকর্তাদের নেই। আর এই অ্যাপের যে চীনা সংস্করণটি রয়েছে, সেটা পুরো বিশ্ব থেকে আলাদা। তবে গতবছর এ কোম্পানি স্বীকার করেছিল যে চীনে তাদের কিছু কর্মী ইউরোপের ব্যবহারকারীদের তথ্যও দেখতে পারে। ইউরোপীয় কমিশনের কর্মীদের ডিভাইসে টিকটক ব্যবহারের ওপর যে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে, তা কার্যকর হবে ১৫ মার্চ। টিকটক কীভাবে ব্যবহারকারীদের কতটা তথ্য নিচ্ছে, সে বিষয়টি কানাডা কর্তৃপক্ষও খতিয়ে দেখছে। বিশেষ করে ব্যক্তিগত তথ্য সংগ্রহের সময় অ্যাপটি ব্যবহারকারীর কাছ থেকে ‘বৈধ ও যথাযথ’ সম্মতিপত্র নেয় কি না, সেটা দেখা হচ্ছে। টরন্টো মেট্রোপলিটান ইউনিভার্সিটির সোশাল মিডিয়া ল্যাবের সাম্প্রতিক এক গবেষণায় দেখা গেছে, কানাডায় প্রাপ্তবয়স্কদের এক চতুর্থাংশই টিকটক ব্যবহার করেন। বিবিসি জানিয়েছে, কানাডায় সরকারি কর্মীদের দেওয়া সব ডিভাইস থেকে এ সপ্তাহেই টিকটক মুছে ফেলা হবে। পরে ওই অ্যাপ ডাউনলোড করার সুযোগও বন্ধ করে দেওয়া হবে।

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

জনবহুল এলাকায় যুদ্ধবিমানের প্রশিক্ষণ নিয়ে প্রশ্ন

এবার কানাডায় সরকারি ডিভাইসে টিকটক নিষিদ্ধ

আপডেট সময় : ১০:০৫:৫৪ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৮ ফেব্রুয়ারী ২০২৩

প্রযুক্তি ডেস্ক : কানাডায় সব ধরনের সরকারি ডিভাইসে ভিডিও শেয়ারিং অ্যাপ ‘টিকটক’ নিষিদ্ধ করেছে দেশটির সরকার, যা কার্যকর হচ্ছে মঙ্গলবার থেকেই।
বিবিসি জানিয়েছে, ওই অ্যাপ গোপনীয়তা ও তথ্যের সুরক্ষার ক্ষেত্রে ‘অগ্রহণযোগ্য মাত্রায় ঝুঁকি তৈরি করছে’ বলে কানাডার প্রধান তথ্য কর্মকর্তা পর্যবেক্ষণ দেওয়ার পর এ সিদ্ধান্ত নেওয়ার কথা জানিয়েছে দেশটির কর্তৃপক্ষ। টিকটকের একজন মুখপাত্র বলেছেন, কানাডা সরকারের এমন সিদ্ধান্তে তাদের কোম্পানি ‘হতাশ’। ইউরোপীয় কমিশন টিকটকের ক্ষেত্রে একই ধরনের নিষেধাজ্ঞা দেওয়ার কয়েক দিনের মধ্যে এ সিদ্ধান্ত নিল কানাডা।
দেশটির প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো বলেছেন, ওই অ্যাপের কারণে নিরাপত্তা নিয়ে ‘যথেষ্ট উদ্বেগ’ তৈরি হয়েছিল বলেই এরকম সিদ্ধান্ত নিতে হয়েছে।
গত সোমবার এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, “হতে পারে এটাই আমাদের প্রথম পদক্ষেপ। আবার এমনও হতে পারে, এরপর আর কোনো পদক্ষেপ আমাদের নিতে হবে না।”
ব্যবহারকারীদের ব্যক্তিগত তথ্য সংগ্রহ এবং চীন সরকারের সঙ্গে টিকটকের যোগাযোগের বিষয়টিই এ অ্যাপ নিয়ে সমালোচনা ও উদ্বেগের মূল কারণ। এই শর্ট-ফর্ম ভিডিও অ্যাপটির মালিক চীনা কোম্পানি বাইটড্যান্স লিমিটেড। যুক্তরাষ্ট্রে গত বছরের শেষ দিকে সরকারি কর্মীদের জন্য টিকটক ব্যবহার নিষিদ্ধ করা হয়। আর গত সোমবার হোয়াইট হাউস যুক্তরাষ্ট্রের সব সরকারি সংস্থার সিস্টেম থেকে অ্যাপটি মুছে ফেলার জন্য ৩০ দিন সময় দেয়। যুক্তরাষ্ট্রের বেশ কিছু বিশ্ববিদ্যালয় তাদের নেটওয়ার্কে টিকটক ব্যবহার নিষিদ্ধ করেছে। ভারতসহ এশিয়ার কয়েকটি দেশে সাধারণ নাগরিকদের ক্ষেত্রেও টিকটক ব্যবহারে নিষেধাজ্ঞা রয়েছে।
টিকটক কর্তৃপক্ষ বলে আসছে, তাদের ব্যবহারকারীদের তথ্য দেখার কোনো সুযোগ চীনা সরকারি কর্মকর্তাদের নেই। আর এই অ্যাপের যে চীনা সংস্করণটি রয়েছে, সেটা পুরো বিশ্ব থেকে আলাদা। তবে গতবছর এ কোম্পানি স্বীকার করেছিল যে চীনে তাদের কিছু কর্মী ইউরোপের ব্যবহারকারীদের তথ্যও দেখতে পারে। ইউরোপীয় কমিশনের কর্মীদের ডিভাইসে টিকটক ব্যবহারের ওপর যে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে, তা কার্যকর হবে ১৫ মার্চ। টিকটক কীভাবে ব্যবহারকারীদের কতটা তথ্য নিচ্ছে, সে বিষয়টি কানাডা কর্তৃপক্ষও খতিয়ে দেখছে। বিশেষ করে ব্যক্তিগত তথ্য সংগ্রহের সময় অ্যাপটি ব্যবহারকারীর কাছ থেকে ‘বৈধ ও যথাযথ’ সম্মতিপত্র নেয় কি না, সেটা দেখা হচ্ছে। টরন্টো মেট্রোপলিটান ইউনিভার্সিটির সোশাল মিডিয়া ল্যাবের সাম্প্রতিক এক গবেষণায় দেখা গেছে, কানাডায় প্রাপ্তবয়স্কদের এক চতুর্থাংশই টিকটক ব্যবহার করেন। বিবিসি জানিয়েছে, কানাডায় সরকারি কর্মীদের দেওয়া সব ডিভাইস থেকে এ সপ্তাহেই টিকটক মুছে ফেলা হবে। পরে ওই অ্যাপ ডাউনলোড করার সুযোগও বন্ধ করে দেওয়া হবে।