ঢাকা ১২:২৭ অপরাহ্ন, সোমবার, ২১ জুলাই ২০২৫

ইভ্যালিকে দেওয়া টাকা ফেরত পেলেন ১৪ গ্রাহক

  • আপডেট সময় : ০২:৫১:৪৬ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৩
  • ৮৫ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক : আলোচিত ই-কমার্স সাইট ইভ্যালির গ্রাহকদের যে টাকা পেমেন্ট গেটওয়েতে আটকে ছিল, তা ফেরত দেওয়া শুরু হয়েছে দেড় বছর পর। বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের ই-কমার্স সেলের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সাঈদ আলী গতকাল সোমবার জানান, গত ১২ ফেব্রুয়ারি থেকে টাকা দেওয়া শুরু করার পর এ পর্যন্ত ১৪ জন গ্রাহকের এক লাখ ৪৫ হাজার ৬৬৭ টাকা ফেরত দেওয়া হয়েছে। ইভ্যালির গ্রাহকদের মোট ২৫ কোটি টাকা আটকা আছে পেমেন্ট গেটওয়েতে। এর মধ্যে ১৭ কোটি ৬৯ লাখ টাকা এমএফএস নগদে, ৪ কোটি ৯১ লাখ টাকা বিকাশে এবং ৩ কোটি ৪০ লাখ টাকা এসএসএলে আটকা আছে। সাঈদ আলী বলেন, “ইভ্যালির বর্তমান পরিচালনা পর্ষদের অনাপত্তির ভিত্তিতে এই টাকা পরিশোধ করা হয়েছে। আগামী কয়েক দিনের মধ্যে গেটওয়ের পুরো টাকাই পরিশোধ করা হবে।”
নতুন নীতিমালা অনুযায়ী ২০২১ সালের ১ জুলাই থেকে এসক্রো পদ্ধতি কার্যকর হওয়ার পর ইভ্যালির মত ই কমার্স সাইটের গ্রাহকদের কাছ থেকে আগাম টাকা নেওয়ার সুযোগ বন্ধ হয়। তবে এর আগেই গ্রাহক, মার্চেন্ট ও সরবরাহকারীদের হাজার কোটি টাকা চলে যায় ইভ্যালির অ্যাকাউন্টে। দেউলিয়া হওয়ার পথে থাকা ইভ্যালি গ্রাহকের কোনো টাকাই এতদিন ফেরত দিতে পারেনি। টাকা বকেয়া থাকার কারণে অ্যামাজনে থাকা ইভ্যালির সার্ভারটিও বন্ধ রাখা হয়েছে।
নতুন সার্ভার খুলে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়, ই-ক্যাব ও ইভ্যালির চেয়ারম্যান শামীমা নাসরিনের পরিবারের সদস্যদের পরিচালনায় এখন চলছে ইভ্যালি। ফলে প্রতিষ্ঠানটির অ্যাকাউন্টে চলে যাওয়া গ্রাহকের টাকার হিসাব চাপা পড়ে আছে। গাড়ি, মোটরসাইকেল, গৃহস্থালির আসবাবপত্র, স্মার্ট টিভি, ফ্রিজ, এসি, ওয়াশিং মেশিনসহ বিভিন্ন বিলাসী পণ্য অর্ধেক দামে বিক্রির প্রলোভন দেখিয়ে গ্রাহকদের নজরে এসেছিল ইভ্যালি।

তাদের চমকদার ‘অফারের’ প্রলোভনে অনেকেই বিপুল অংকের টাকা অগ্রিম দিয়ে পণ্যের অর্ডার করেছিলেন পরে বেশি দামে বিক্রি করে ভালো লাভ করার আশায়। কিন্তু তাদের অনেকে মাসের পর মাস অপেক্ষা করেও পণ্য বুঝে পাননি, ইভ্যালি অগ্রিম হিসেবে নেওয়া তাদের টাকাও ফেরত দেয়নি। এভাবে প্রলোভনে পড়ে ব্যাংক ঋণ, ধার-দেনা করে, জমি বা গয়না বেচে সেই টাকা ইভ্যালিতে লগ্নি করে এখন মহাবিপদে আছেন বহু গ্রাহক। গ্রাহকের করা প্রতারণার মামলায় ইভ্যালির ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ রাসেল এবং তার স্ত্রী কোম্পানির চেয়ারম্যান শামীমা নাসরিনকে গ্রেপ্তার করেছিল পুলিশ। শামীমা জামিনে মুক্তি পেলেও রাসেল এখনও কারাগারে আছেন। ২০২২ সালের গত ১৫ জুলাই পর্যন্ত প্রতিষ্ঠানটির মোট চলতি দায় ছিল ৫৪৩ কোটি টাকা, যার মধ্যে মার্চেন্ট বা পণ্য সরবরাহকারীরা পাবেন ২০৫ কোটি ৮৬ লাখ টাকা। আর গ্রাহকদের পাওনা ৩১১ কোটি টাকা।

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

এক নারীকে দুই ভাই বিয়ে করে বললেন- আমরা গর্বিত

ইভ্যালিকে দেওয়া টাকা ফেরত পেলেন ১৪ গ্রাহক

আপডেট সময় : ০২:৫১:৪৬ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৩

নিজস্ব প্রতিবেদক : আলোচিত ই-কমার্স সাইট ইভ্যালির গ্রাহকদের যে টাকা পেমেন্ট গেটওয়েতে আটকে ছিল, তা ফেরত দেওয়া শুরু হয়েছে দেড় বছর পর। বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের ই-কমার্স সেলের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সাঈদ আলী গতকাল সোমবার জানান, গত ১২ ফেব্রুয়ারি থেকে টাকা দেওয়া শুরু করার পর এ পর্যন্ত ১৪ জন গ্রাহকের এক লাখ ৪৫ হাজার ৬৬৭ টাকা ফেরত দেওয়া হয়েছে। ইভ্যালির গ্রাহকদের মোট ২৫ কোটি টাকা আটকা আছে পেমেন্ট গেটওয়েতে। এর মধ্যে ১৭ কোটি ৬৯ লাখ টাকা এমএফএস নগদে, ৪ কোটি ৯১ লাখ টাকা বিকাশে এবং ৩ কোটি ৪০ লাখ টাকা এসএসএলে আটকা আছে। সাঈদ আলী বলেন, “ইভ্যালির বর্তমান পরিচালনা পর্ষদের অনাপত্তির ভিত্তিতে এই টাকা পরিশোধ করা হয়েছে। আগামী কয়েক দিনের মধ্যে গেটওয়ের পুরো টাকাই পরিশোধ করা হবে।”
নতুন নীতিমালা অনুযায়ী ২০২১ সালের ১ জুলাই থেকে এসক্রো পদ্ধতি কার্যকর হওয়ার পর ইভ্যালির মত ই কমার্স সাইটের গ্রাহকদের কাছ থেকে আগাম টাকা নেওয়ার সুযোগ বন্ধ হয়। তবে এর আগেই গ্রাহক, মার্চেন্ট ও সরবরাহকারীদের হাজার কোটি টাকা চলে যায় ইভ্যালির অ্যাকাউন্টে। দেউলিয়া হওয়ার পথে থাকা ইভ্যালি গ্রাহকের কোনো টাকাই এতদিন ফেরত দিতে পারেনি। টাকা বকেয়া থাকার কারণে অ্যামাজনে থাকা ইভ্যালির সার্ভারটিও বন্ধ রাখা হয়েছে।
নতুন সার্ভার খুলে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়, ই-ক্যাব ও ইভ্যালির চেয়ারম্যান শামীমা নাসরিনের পরিবারের সদস্যদের পরিচালনায় এখন চলছে ইভ্যালি। ফলে প্রতিষ্ঠানটির অ্যাকাউন্টে চলে যাওয়া গ্রাহকের টাকার হিসাব চাপা পড়ে আছে। গাড়ি, মোটরসাইকেল, গৃহস্থালির আসবাবপত্র, স্মার্ট টিভি, ফ্রিজ, এসি, ওয়াশিং মেশিনসহ বিভিন্ন বিলাসী পণ্য অর্ধেক দামে বিক্রির প্রলোভন দেখিয়ে গ্রাহকদের নজরে এসেছিল ইভ্যালি।

তাদের চমকদার ‘অফারের’ প্রলোভনে অনেকেই বিপুল অংকের টাকা অগ্রিম দিয়ে পণ্যের অর্ডার করেছিলেন পরে বেশি দামে বিক্রি করে ভালো লাভ করার আশায়। কিন্তু তাদের অনেকে মাসের পর মাস অপেক্ষা করেও পণ্য বুঝে পাননি, ইভ্যালি অগ্রিম হিসেবে নেওয়া তাদের টাকাও ফেরত দেয়নি। এভাবে প্রলোভনে পড়ে ব্যাংক ঋণ, ধার-দেনা করে, জমি বা গয়না বেচে সেই টাকা ইভ্যালিতে লগ্নি করে এখন মহাবিপদে আছেন বহু গ্রাহক। গ্রাহকের করা প্রতারণার মামলায় ইভ্যালির ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ রাসেল এবং তার স্ত্রী কোম্পানির চেয়ারম্যান শামীমা নাসরিনকে গ্রেপ্তার করেছিল পুলিশ। শামীমা জামিনে মুক্তি পেলেও রাসেল এখনও কারাগারে আছেন। ২০২২ সালের গত ১৫ জুলাই পর্যন্ত প্রতিষ্ঠানটির মোট চলতি দায় ছিল ৫৪৩ কোটি টাকা, যার মধ্যে মার্চেন্ট বা পণ্য সরবরাহকারীরা পাবেন ২০৫ কোটি ৮৬ লাখ টাকা। আর গ্রাহকদের পাওনা ৩১১ কোটি টাকা।