ঢাকা ০৩:০৬ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৪ মে ২০২৫

মানুষের দেহের আকার বদলে দিচ্ছে জলবায়ু পরিবর্তন

  • আপডেট সময় : ০২:১২:৫০ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৯ জুলাই ২০২১
  • ৮৫ বার পড়া হয়েছে

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : বিগত দশ লাখ বছরে মানুষের দেহের গড় আকার উল্লখযোগ্যভাবে ওঠানামা করেছে। আর এর সঙ্গে সংযোগ রয়েছে জলবায়ু পরিবর্তনের। বৃহস্পতিবার (৮ জুলাই) প্রকাশিত এক গবেষণায় এই তথ্য জানানো হয়েছে। যুক্তরাজ্যের কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয় এবং জার্মানির টুইবেনজেন বিশ্ববিদ্যালয়ের একদল গবেষক এই তথ্য সামনে এনেছেন।
গবেষকেরা জানিয়েছেন, আধুনিক মানুষ বা হোমো সেপিয়েন্স-এর উদ্ভব হয়েছে যে ফ্যামিলি থেকে সেই হোমো জেনাস ফ্যামিলির তিনশ’রও বেশি ফসিলের মস্তিষ্ক ও শরীরের আকারের মাপ সংগ্রহ করেছিলেন তারা। এসব তথ্যের সঙ্গে গত দশ লাখ বছরের পৃথিবীর আঞ্চলিক জলবায়ু পুনর্র্নিমাণ করা হয়েছে। এর মাধ্যমে ওই ফসিলগুলো জীবিত অবস্থায় কোন জলবায়ুতে বসবাস করেছেন তা খতিয়ে দেখেছেন গবেষকেরা।
গবেষকেরা দেখেছেন, জলবায়ু-বিশেষ করে তাপমাত্রা-গত দশ লাখ বছরে মানুষের দেহের আকার বদলে বড় ভূমিকা রেখেছে। শীত ও কঠিন জলবায়ুর সঙ্গে সম্পর্ক রয়েছে অপেক্ষাকৃত বড় শরীরের। আর অপেক্ষাকৃত উষ্ণ আবহাওয়ায় থাকা মানুষের আকার ছোট ছিলো।
কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের ইভোলিউশনারি ইকোলোজির অধ্যাপক আন্দ্রে মনিকা বলেন, ‘এই সম্পর্ক বহু প্রাণীর ক্ষেত্রেই পাওয়া গেছে-এমনকি সমসাময়িক মানুষের মধ্যেও, কিন্তু এখন আমরা জানতে পারছি যে, গত দশ লাখ বছরে মানুষের শরীরের আকার পরিবর্তনে এটাই অন্যতম চালিকা শক্তি।’
এই গবেষণাটি প্রকাশ হয়েছে ন্যাচার কমিউনিকেশনস জার্নালে।

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

প্রধান উপদেষ্টা হতাশ-ক্ষুব্ধ, ‘পদত্যাগ’ নিয়ে আলোচনা

মানুষের দেহের আকার বদলে দিচ্ছে জলবায়ু পরিবর্তন

আপডেট সময় : ০২:১২:৫০ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৯ জুলাই ২০২১

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : বিগত দশ লাখ বছরে মানুষের দেহের গড় আকার উল্লখযোগ্যভাবে ওঠানামা করেছে। আর এর সঙ্গে সংযোগ রয়েছে জলবায়ু পরিবর্তনের। বৃহস্পতিবার (৮ জুলাই) প্রকাশিত এক গবেষণায় এই তথ্য জানানো হয়েছে। যুক্তরাজ্যের কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয় এবং জার্মানির টুইবেনজেন বিশ্ববিদ্যালয়ের একদল গবেষক এই তথ্য সামনে এনেছেন।
গবেষকেরা জানিয়েছেন, আধুনিক মানুষ বা হোমো সেপিয়েন্স-এর উদ্ভব হয়েছে যে ফ্যামিলি থেকে সেই হোমো জেনাস ফ্যামিলির তিনশ’রও বেশি ফসিলের মস্তিষ্ক ও শরীরের আকারের মাপ সংগ্রহ করেছিলেন তারা। এসব তথ্যের সঙ্গে গত দশ লাখ বছরের পৃথিবীর আঞ্চলিক জলবায়ু পুনর্র্নিমাণ করা হয়েছে। এর মাধ্যমে ওই ফসিলগুলো জীবিত অবস্থায় কোন জলবায়ুতে বসবাস করেছেন তা খতিয়ে দেখেছেন গবেষকেরা।
গবেষকেরা দেখেছেন, জলবায়ু-বিশেষ করে তাপমাত্রা-গত দশ লাখ বছরে মানুষের দেহের আকার বদলে বড় ভূমিকা রেখেছে। শীত ও কঠিন জলবায়ুর সঙ্গে সম্পর্ক রয়েছে অপেক্ষাকৃত বড় শরীরের। আর অপেক্ষাকৃত উষ্ণ আবহাওয়ায় থাকা মানুষের আকার ছোট ছিলো।
কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের ইভোলিউশনারি ইকোলোজির অধ্যাপক আন্দ্রে মনিকা বলেন, ‘এই সম্পর্ক বহু প্রাণীর ক্ষেত্রেই পাওয়া গেছে-এমনকি সমসাময়িক মানুষের মধ্যেও, কিন্তু এখন আমরা জানতে পারছি যে, গত দশ লাখ বছরে মানুষের শরীরের আকার পরিবর্তনে এটাই অন্যতম চালিকা শক্তি।’
এই গবেষণাটি প্রকাশ হয়েছে ন্যাচার কমিউনিকেশনস জার্নালে।