নিজস্ব প্রতিবেদক : আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবেই সরকার গঠনের ৫০ দিনের মাথায় বিডিআর বিদ্রোহ ঘটানো হয়েছিল মনে করেন দলটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল আলম হানিফ। গতকাল শনিবার তার নেতৃত্বে ঢাকার বনানীতে সামরিক কবরস্থানে এই বিদ্রোহে নিহত সেনা কর্মকর্তাদের প্রতি শ্রদ্ধা জানান আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা। শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে ২০০৯ সালের ২৫ ফেব্রুয়ারি বিএনপি নেত্রী খালেদা জিয়ার ভূমিকা নিয়ে কথা বলেন হানিফ। তিনি বলেন, “খালেদা জিয়া সচরাচর সকালে ঘুম থেকে ওঠেন না। কিন্তু সেদিন সকালে ঘুম থেকে উঠে গাড়িতে করে দুদিনের জন্য কোথায় যেন চলে যান। লন্ডন থেকে তারেক রহমান তাকে একাধিকবার ফোন দিয়েছেন, কথা বলেছেন।
“আওয়ামী লীগ সরকারের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করতেই এই হত্যাকা- হয়েছে। তা না হলে নতুন সরকার গঠনের মাত্র ৫০ দিনের মাথায় এ ধরনের ঘটনা ৃ সরকারকে উৎখাত বা আঘাত করার লক্ষ্যে ঘটনা ঘটানো হয়েছে।”
সীমান্ত রক্ষা বাহিনীর সদরদপ্তর ঢাকার পিলখানায় ২০০৯ সালের ২৫ ফেব্রুয়ারির সকালে বিদ্রোহের সূচনা হয়েছিল। দেশের গ-ি পেরিয়ে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে আলোড়ন তোলা ওই ঘটনায় প্রাণ হারান ৫৭ সেনা কর্মকর্তাসহ ৭৪ জন। এই ঘটনায় দুটি ফৌজদারি মামলা হয়। এর একটি ছিল হত্যা মামলা, অন্যটি বিস্ফোরক আইনের মামলা। খুনের মামলায় ৮৫০ জনের বিচার শেষ হয় ২০১৩ সালের ৫ নভেম্বর। এতে ১৫২ জনের ফাঁসি, ১৬০ জনের যাবজ্জীবন ও ২৫৬ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদ- দেওয়া হয়। খালাস পান ২৭৮ জন। ২০১৭ সালের ২৭ নভেম্বর সেই মামলার ডেথ রেফারেন্স ও আপিলের রায়ও হয়ে যায় হাই কোর্টে। সেই রায় এই বছরের মধ্যেই কার্যকর করা সম্ভব বলে জানান হানিফ। তিনি বলেন, “পিলখানায় বিডিআর বিদ্রোহে সেনা কর্মকর্তা হত্যাকা-ের মামলার চূড়ান্ত রায় কার্যকরের অপেক্ষায় রয়েছে। এই বছরের মধ্যেই এই চূড়ান্ত রায় কার্যকর করতে পারব, এটা আমাদের প্রত্যাশা।” এদিকে বিদ্রোহের বার্ষিকীতে শনিবার বনানী সেনা কবরস্থানে নিহতদের স্মৃতিস্তম্ভে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরও শ্রদ্ধা নিবেদন করেছেন। হানিফের বক্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় তিনি সাংবাদিকদের বলেন, “এটা সম্পূর্ণ দায়িত্বহীন একটা কমেন্ট। উনাদের সমস্যাটা হচ্ছে, উনারা মূল সমস্যায় না গিয়ে সব সময় অন্য দিকে যেতে চান। কারণ এই ঘটনাগুলো তারা সেভাবে সমাধান করতে পারেননি।”
বিডিআর বিদ্রোহের উদ্দেশ্য ছিল সরকার উৎখাত: হানিফ
ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ