ঢাকা ০৫:২০ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৩ মে ২০২৫

ডেনমার্ক দলকে দেশে বীরোচিত অভ্যর্থনা

  • আপডেট সময় : ১২:৩২:৩০ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৯ জুলাই ২০২১
  • ১০৫ বার পড়া হয়েছে

ক্রীড়া ডেস্ক : রূপকথাময় পথচলা শেষ হয়েছে হৃদয়ভাঙা হারে। অতিরিক্ত সময়ের বিতর্কিত পেনাল্টি গোলে ভেঙে গেছে ফাইনালের স্বপ্ন। তবে ডেনমার্কের অর্জন, তাদের অসাধারণ পারফরম্যান্সের রেশ তো শেষ হয়ে যায়নি। লন্ডন থেকে দেশে ফেরা দলকে বরণ করে নেওয়া হয়েছে বীরের মর্যাদায়। এবার ইউরোপিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপে নিজেদের প্রথম ম্যাচেই খবরের শিরোণাম হয় ডেনমার্ক। ম্যাচ চলার সময় হঠাৎ অসুস্থ হয়ে মাঠ ছাড়েন দলের বড় ভরসা ক্রিস্তিয়ান এরিকসেন। শঙ্কা কাটিয়ে হাসপাতালে শেষ পর্যন্ত সুস্থ হয়ে ওঠেন এরিকসেন। কিন্তু ধাক্কা সামলে উঠতে উঠতেই প্রথম দুই ম্যাচে হেরে যায় ডেনমার্ক। গ্রুপ পর্বের শেষ ম্যাচ থেকেই তাদের ঘুরে দাঁড়ানোর শুরুর। একের পর এক দুর্দান্ত পারফরম্যান্সে তারা জায়গা করে নেয় সেমি-ফাইনালে। ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ওয়েম্বলির সেই লড়াইয়েও দুর্দান্ত এক গোলে এগিয়ে যায় ড্যানিশরা। পরে আত্মঘাতী গোলে ঘুচে যায় সেই ব্যবধান। অতিরিক্ত সময়ে পেনাল্টিতে শেষ পর্যন্ত জিতে যায় ইংলিশরা।
কোপেনহেগেন বিমানবন্দরে উপস্থিত ছিলেন একঝাঁক সংবাদকর্মী। তাদের মুখোমুখি হয়ে আবেগ পেয়ে বসে কোচ কাসপের হিউমান্দকে। কান্না দমক সামলানোর চেষ্টা করে তিনি জানান, এখানেই থেমে থাকবে না দল। “আপনাদের দেখে ভালো লাগছে। ভালো লাগছে যে অনলাইনে কথা বলতে হচ্ছে না। এটাই আমাদের ধন্যবাদ জানানোর ভাষা। আমরা শক্ত থেকেছি ও দৃঢ় পায়ে এগিয়ে গেছি। কিন্তু এখন আমি আবার ভেঙে পড়ছিৃ।” “দুটি ভাবনা নিয়ে আমরা এগিয়ে যাব। প্রথমত, আমরা জিততে চাই। খুব কাছাকাছি ছিলাম আমরা, অবশ্যই আমরা হতাশ ও কষ্ট পাচ্ছি। দ্বিতীয়ত, আমরা ডেনমার্ককে একতাবদ্ধ ও অনুপ্রাণিত করতে চাই। সেটা আমরা করে যাব।” কোচের কথা শেষে গোটা দল, ফুটবলার থেকে শুরু করে কোচিং স্টাফের সবাই করতালি দিয়ে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন দেশের মানুষ ও সবার প্রতি, যারা দলের পাশে থেকেছে সবসময়। বিমানবন্দর থেকে নিজ নিজ গন্তব্যে যাওয়ার সময় ফুটবলারদের অনেকের চোখে দেখা যায় পানি। পরস্পরকে জড়িয়ে আবেগের ঢেউয়ে বিদায় নেন তারা।
বিমানবন্দরের বাইরে দলকে স্বাগত জানাতে তাদের পরিবার, বন্ধু, পরিজনদের সঙ্গে ছিলেন ভক্ত-সমর্থকরাও। তুমুল উল্লাসে দলের প্রতি ভালোবাসার প্রকাশ জানান তারা। অধিনায়ক সিমোন কেয়া বললেন, ম্যাচের পর এরিকসেনের সঙ্গে তার কথা হয়েছে। “গৌরব মিশে আছে এতে, কারণ অসাধারণ এক ভ্রমণ ছিল এটি। খুব আবেগময় পথচলা ছিল আমাদের, এমন কিছুর অভিজ্ঞতা আমার আগে কখনোই হয়নি।” “ ম্যাচ হারায় সে (এরিকসেন) হতাশ। তবে পরিবারের সঙ্গে সময় উপভোগ করছে।” মিডফিল্ডার টমাস ডিলেনির মতে, এই দলের বন্ধন ও এই পারফরম্যান্সের ছাপ রয়ে যাবে দীর্ঘদিন। “২০, ৩০, ৪০ বছর পরও এই অনুভূতি আমাদের মনে রয়ে যাবে। অবিশ্বাস্য একটি দল এটিৃ আগেও আমরা এটি বলেছি, গত কয়েক সপ্তাহে তা প্রমাণ করেছি। যা কিছুর ভেতর দিয়ে আমরা গিয়েছি, সবকিছুই হৃদয়ে চিরস্থায়ী ছাপ রেখে যাবে।”

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

ডেনমার্ক দলকে দেশে বীরোচিত অভ্যর্থনা

আপডেট সময় : ১২:৩২:৩০ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৯ জুলাই ২০২১

ক্রীড়া ডেস্ক : রূপকথাময় পথচলা শেষ হয়েছে হৃদয়ভাঙা হারে। অতিরিক্ত সময়ের বিতর্কিত পেনাল্টি গোলে ভেঙে গেছে ফাইনালের স্বপ্ন। তবে ডেনমার্কের অর্জন, তাদের অসাধারণ পারফরম্যান্সের রেশ তো শেষ হয়ে যায়নি। লন্ডন থেকে দেশে ফেরা দলকে বরণ করে নেওয়া হয়েছে বীরের মর্যাদায়। এবার ইউরোপিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপে নিজেদের প্রথম ম্যাচেই খবরের শিরোণাম হয় ডেনমার্ক। ম্যাচ চলার সময় হঠাৎ অসুস্থ হয়ে মাঠ ছাড়েন দলের বড় ভরসা ক্রিস্তিয়ান এরিকসেন। শঙ্কা কাটিয়ে হাসপাতালে শেষ পর্যন্ত সুস্থ হয়ে ওঠেন এরিকসেন। কিন্তু ধাক্কা সামলে উঠতে উঠতেই প্রথম দুই ম্যাচে হেরে যায় ডেনমার্ক। গ্রুপ পর্বের শেষ ম্যাচ থেকেই তাদের ঘুরে দাঁড়ানোর শুরুর। একের পর এক দুর্দান্ত পারফরম্যান্সে তারা জায়গা করে নেয় সেমি-ফাইনালে। ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ওয়েম্বলির সেই লড়াইয়েও দুর্দান্ত এক গোলে এগিয়ে যায় ড্যানিশরা। পরে আত্মঘাতী গোলে ঘুচে যায় সেই ব্যবধান। অতিরিক্ত সময়ে পেনাল্টিতে শেষ পর্যন্ত জিতে যায় ইংলিশরা।
কোপেনহেগেন বিমানবন্দরে উপস্থিত ছিলেন একঝাঁক সংবাদকর্মী। তাদের মুখোমুখি হয়ে আবেগ পেয়ে বসে কোচ কাসপের হিউমান্দকে। কান্না দমক সামলানোর চেষ্টা করে তিনি জানান, এখানেই থেমে থাকবে না দল। “আপনাদের দেখে ভালো লাগছে। ভালো লাগছে যে অনলাইনে কথা বলতে হচ্ছে না। এটাই আমাদের ধন্যবাদ জানানোর ভাষা। আমরা শক্ত থেকেছি ও দৃঢ় পায়ে এগিয়ে গেছি। কিন্তু এখন আমি আবার ভেঙে পড়ছিৃ।” “দুটি ভাবনা নিয়ে আমরা এগিয়ে যাব। প্রথমত, আমরা জিততে চাই। খুব কাছাকাছি ছিলাম আমরা, অবশ্যই আমরা হতাশ ও কষ্ট পাচ্ছি। দ্বিতীয়ত, আমরা ডেনমার্ককে একতাবদ্ধ ও অনুপ্রাণিত করতে চাই। সেটা আমরা করে যাব।” কোচের কথা শেষে গোটা দল, ফুটবলার থেকে শুরু করে কোচিং স্টাফের সবাই করতালি দিয়ে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন দেশের মানুষ ও সবার প্রতি, যারা দলের পাশে থেকেছে সবসময়। বিমানবন্দর থেকে নিজ নিজ গন্তব্যে যাওয়ার সময় ফুটবলারদের অনেকের চোখে দেখা যায় পানি। পরস্পরকে জড়িয়ে আবেগের ঢেউয়ে বিদায় নেন তারা।
বিমানবন্দরের বাইরে দলকে স্বাগত জানাতে তাদের পরিবার, বন্ধু, পরিজনদের সঙ্গে ছিলেন ভক্ত-সমর্থকরাও। তুমুল উল্লাসে দলের প্রতি ভালোবাসার প্রকাশ জানান তারা। অধিনায়ক সিমোন কেয়া বললেন, ম্যাচের পর এরিকসেনের সঙ্গে তার কথা হয়েছে। “গৌরব মিশে আছে এতে, কারণ অসাধারণ এক ভ্রমণ ছিল এটি। খুব আবেগময় পথচলা ছিল আমাদের, এমন কিছুর অভিজ্ঞতা আমার আগে কখনোই হয়নি।” “ ম্যাচ হারায় সে (এরিকসেন) হতাশ। তবে পরিবারের সঙ্গে সময় উপভোগ করছে।” মিডফিল্ডার টমাস ডিলেনির মতে, এই দলের বন্ধন ও এই পারফরম্যান্সের ছাপ রয়ে যাবে দীর্ঘদিন। “২০, ৩০, ৪০ বছর পরও এই অনুভূতি আমাদের মনে রয়ে যাবে। অবিশ্বাস্য একটি দল এটিৃ আগেও আমরা এটি বলেছি, গত কয়েক সপ্তাহে তা প্রমাণ করেছি। যা কিছুর ভেতর দিয়ে আমরা গিয়েছি, সবকিছুই হৃদয়ে চিরস্থায়ী ছাপ রেখে যাবে।”