ঢাকা ১২:১২ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৫ মে ২০২৫

একুশ আমার অহংকার

  • আপডেট সময় : ১০:১৬:১৪ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২২ ফেব্রুয়ারী ২০২৩
  • ৮৮ বার পড়া হয়েছে

ফারজানা মীম : ফেব্রুয়ারি মাস আসলে মনে অন্যরকম অনুভূতির সৃষ্টি হয়। প্রকৃতি নিজেই বলে দেয় ফেব্রুয়ারি এসে গেছে। গাছে গাছে শিমুল, পলাশ মনে করিয়ে দেয় ভাষা আন্দোলনের কথা। ফেব্রুয়ারি আসলে মনে হয় বসন্ত এসে গেছে। এমনই এক বসন্তে ভাষার জন্য প্রাণ দিয়েছেন আমাদের ভাষা শহীদেরা।
সালাম, বরকত, রফিক, জব্বারসহ অনেকের রক্তে রঞ্জিত হয়েছিল ঢাকার রাজপথ। এই ফেব্রুয়ারি বাঙালির এক অহংকারের ইতিহাস তৈরি করেছে। প্রমাণ হয়েছে বাঙালি জাতি মাথা নত করতে জানে না, সংগ্রাম করে নিজের অধিকার আদায় করে নেয়। যখন ভাষা শহীদেরা মাতৃভাষার অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য প্রাণ দিয়েছিলেন তখন কে জানত তাদের দ্বারাই সমগ্র বিশ্ব চিনবে বাংলাদেশকে! তাদের ত্যাগের কথা স্মরণ করেই বিশ্বজুড়ে আজ নিজ নিজ মাতৃভাষাকে শ্রদ্ধা জানাতে পালিত হয় আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস। একুশে ফেব্রুয়ারি পেয়েছে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষার দিবসের স্বীকৃতি। কিন্তু এ দিনটি আমাদের জন্য বেদনার, দিনটি আমাদের জন্য শহীদ দিবসও। আমরা হারিয়েছি ভাষা সংগ্রামীদের। ৭৬টি বসন্ত পার হয়ে গেলেও বাঙালি জাতি শ্রদ্ধা ভরে স্মরণ করে ভাষা শহীদদের। আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো একুশে ফেব্রুয়ারি, আমি কি ভুলিতে পারি? না আমরা কেউই ভুলিতে পারি না, ভুলি না। একুশে ফেব্রুয়ারির প্রথম প্রহরে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে জাতির পক্ষে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী। এরপরই শহীদ মিনারে মানুষের ঢল নামে। ধর্ম, বর্ণ, দল, মত নির্বিশেষে সকলেই ফুল হতে ভাষা শহীদদের খালি পায়ে শ্রদ্ধা জানান। সব শ্রোত এসে মিশে যায় শহীদ মিনারে। প্রতিবেদকের বয়স: ১৫। জেলা: ঢাকা। সৌজন্যে: বিডিনিউজ টুয়েন্টিফোর ডটকমের শিশু সাংবাদিকতা বিভাগ ‘হ্যালো’।

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

একুশ আমার অহংকার

আপডেট সময় : ১০:১৬:১৪ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২২ ফেব্রুয়ারী ২০২৩

ফারজানা মীম : ফেব্রুয়ারি মাস আসলে মনে অন্যরকম অনুভূতির সৃষ্টি হয়। প্রকৃতি নিজেই বলে দেয় ফেব্রুয়ারি এসে গেছে। গাছে গাছে শিমুল, পলাশ মনে করিয়ে দেয় ভাষা আন্দোলনের কথা। ফেব্রুয়ারি আসলে মনে হয় বসন্ত এসে গেছে। এমনই এক বসন্তে ভাষার জন্য প্রাণ দিয়েছেন আমাদের ভাষা শহীদেরা।
সালাম, বরকত, রফিক, জব্বারসহ অনেকের রক্তে রঞ্জিত হয়েছিল ঢাকার রাজপথ। এই ফেব্রুয়ারি বাঙালির এক অহংকারের ইতিহাস তৈরি করেছে। প্রমাণ হয়েছে বাঙালি জাতি মাথা নত করতে জানে না, সংগ্রাম করে নিজের অধিকার আদায় করে নেয়। যখন ভাষা শহীদেরা মাতৃভাষার অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য প্রাণ দিয়েছিলেন তখন কে জানত তাদের দ্বারাই সমগ্র বিশ্ব চিনবে বাংলাদেশকে! তাদের ত্যাগের কথা স্মরণ করেই বিশ্বজুড়ে আজ নিজ নিজ মাতৃভাষাকে শ্রদ্ধা জানাতে পালিত হয় আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস। একুশে ফেব্রুয়ারি পেয়েছে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষার দিবসের স্বীকৃতি। কিন্তু এ দিনটি আমাদের জন্য বেদনার, দিনটি আমাদের জন্য শহীদ দিবসও। আমরা হারিয়েছি ভাষা সংগ্রামীদের। ৭৬টি বসন্ত পার হয়ে গেলেও বাঙালি জাতি শ্রদ্ধা ভরে স্মরণ করে ভাষা শহীদদের। আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো একুশে ফেব্রুয়ারি, আমি কি ভুলিতে পারি? না আমরা কেউই ভুলিতে পারি না, ভুলি না। একুশে ফেব্রুয়ারির প্রথম প্রহরে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে জাতির পক্ষে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী। এরপরই শহীদ মিনারে মানুষের ঢল নামে। ধর্ম, বর্ণ, দল, মত নির্বিশেষে সকলেই ফুল হতে ভাষা শহীদদের খালি পায়ে শ্রদ্ধা জানান। সব শ্রোত এসে মিশে যায় শহীদ মিনারে। প্রতিবেদকের বয়স: ১৫। জেলা: ঢাকা। সৌজন্যে: বিডিনিউজ টুয়েন্টিফোর ডটকমের শিশু সাংবাদিকতা বিভাগ ‘হ্যালো’।