ঢাকা ০৬:০৮ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৫ অগাস্ট ২০২৫

ফসলি জমি জোরপূর্বক দখলের অভিযোগ

  • আপডেট সময় : ০১:০৭:০২ অপরাহ্ন, সোমবার, ২০ ফেব্রুয়ারী ২০২৩
  • ১১৩ বার পড়া হয়েছে

গোপালগঞ্জ সংবাদদাতা : গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় তিন ফসলি জমি জোরপূর্বক দখলের অভিযোগ উঠেছে ঝালকাঠির নলছিটি উপজেলার মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসের একাডেমিক সুপারভাইজার বদরুল আমিন দাঁড়িয়ার বিরুদ্ধে। গতকাল সোমবার টুঙ্গিপাড়া উপজেলা প্রেসক্লাব কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন করে এমন অভিযোগ করেন টুঙ্গিপাড়া উপজেলার বাঁশবাড়িয়া গ্রামের নুরুল ইসলাম তালুকদার। সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, টুঙ্গিপাড়া উপজেলার ঝনঝনিয়া মৌজার বিআরএস ২১৭৯/২ খতিয়ানের ২১৬ দাগের ৩২.৫০ শতাংশ ও ২১৭ দাগের ১.২৫ একর জমি আমার পৈত্রিক ও ক্রয়কৃত সম্পত্তি। যা আমরা বিগত ৪০ বছর ধরে ভোগদখল করছি। গত শুক্রবার (১০ ফেব্রুয়ারি) রাতে পিরোজপুর জেলার নাজিরপুর উপজেলার মালিখালী ইউনিয়নের প্যানাখালী গ্রামের বাসিন্দা ও ঝালকাঠির নলছিটি উপজেলার মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসের একাডেমিক সুপারভাইজার বদরুল আমিন দাঁড়িয়া লেবুতলা গ্রামের ঐ ৩২.৫০ শতাংশ জমি বিক্রি করতে বলেন। কিন্তু, আমি জমি বিক্রি করতে না চাইলে শনিবার (১১ ফেব্রুয়ারি) রাতে ৩০ জন লোক নিয়ে আমার তিন ফসলি জমিতে ভেকু দিয়ে মাটি খনন করেন বদরুল ও তার দুই শ্যালক। পরে এলাকাবাসীর মাধ্যমে খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে এসে ৯৯৯-এ ফোন করি। তখন বদরুল ও তার লোকজন পালিয়ে যায়। অভিযোগের বিষয়ে জানতে বদরুল আলম দাঁড়িয়ার মুঠোফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করলেও তাকে পাওয়া যায়নি। তার শ্যালক রাজু তালুকদার বলেন, ‘ওই জায়গা আমাদের, তাই ভেকু দিয়ে মাটি খনন করেছি।’ টুঙ্গিপাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. আল মামুন বলেন, ‘বিষয়টি তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

ফসলি জমি জোরপূর্বক দখলের অভিযোগ

আপডেট সময় : ০১:০৭:০২ অপরাহ্ন, সোমবার, ২০ ফেব্রুয়ারী ২০২৩

গোপালগঞ্জ সংবাদদাতা : গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় তিন ফসলি জমি জোরপূর্বক দখলের অভিযোগ উঠেছে ঝালকাঠির নলছিটি উপজেলার মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসের একাডেমিক সুপারভাইজার বদরুল আমিন দাঁড়িয়ার বিরুদ্ধে। গতকাল সোমবার টুঙ্গিপাড়া উপজেলা প্রেসক্লাব কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন করে এমন অভিযোগ করেন টুঙ্গিপাড়া উপজেলার বাঁশবাড়িয়া গ্রামের নুরুল ইসলাম তালুকদার। সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, টুঙ্গিপাড়া উপজেলার ঝনঝনিয়া মৌজার বিআরএস ২১৭৯/২ খতিয়ানের ২১৬ দাগের ৩২.৫০ শতাংশ ও ২১৭ দাগের ১.২৫ একর জমি আমার পৈত্রিক ও ক্রয়কৃত সম্পত্তি। যা আমরা বিগত ৪০ বছর ধরে ভোগদখল করছি। গত শুক্রবার (১০ ফেব্রুয়ারি) রাতে পিরোজপুর জেলার নাজিরপুর উপজেলার মালিখালী ইউনিয়নের প্যানাখালী গ্রামের বাসিন্দা ও ঝালকাঠির নলছিটি উপজেলার মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসের একাডেমিক সুপারভাইজার বদরুল আমিন দাঁড়িয়া লেবুতলা গ্রামের ঐ ৩২.৫০ শতাংশ জমি বিক্রি করতে বলেন। কিন্তু, আমি জমি বিক্রি করতে না চাইলে শনিবার (১১ ফেব্রুয়ারি) রাতে ৩০ জন লোক নিয়ে আমার তিন ফসলি জমিতে ভেকু দিয়ে মাটি খনন করেন বদরুল ও তার দুই শ্যালক। পরে এলাকাবাসীর মাধ্যমে খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে এসে ৯৯৯-এ ফোন করি। তখন বদরুল ও তার লোকজন পালিয়ে যায়। অভিযোগের বিষয়ে জানতে বদরুল আলম দাঁড়িয়ার মুঠোফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করলেও তাকে পাওয়া যায়নি। তার শ্যালক রাজু তালুকদার বলেন, ‘ওই জায়গা আমাদের, তাই ভেকু দিয়ে মাটি খনন করেছি।’ টুঙ্গিপাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. আল মামুন বলেন, ‘বিষয়টি তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’