ঢাকা ০৮:২৯ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৭ জুন ২০২৫

আগামী নির্বাচনে খালেদা জিয়া অংশ নিতে পারবেন না: আইনমন্ত্রী

  • আপডেট সময় : ১২:২৯:৪০ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৯ ফেব্রুয়ারী ২০২৩
  • ৭৫ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক : আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপি চেয়াপারসন খালেদা জিয়া অংশ নিতে পারবেন না। তবে তিনি (খালেদা জিয়া) রাজনীতি করবেন কি না, সেটি তার ব্যক্তিগত বিষয়। সেখানে (রাজনৈতিক প্রক্রিয়ায়) সরকার কোনো হস্তক্ষেপ করবে না। এসময় তিনি বলেন, দুই বছরের দ-প্রাপ্ত যে কোনো ব্যক্তি নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে পারবেন না, সেটা সংবিধানে বলা আছে। এটা নতুন করে বলতে হবে না।
গতকাল রোববার বিচার প্রশাসন ও প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটে (জেঠি) নতুন নিয়োগপ্রাপ্ত সহকারী জজদের জন্য আয়োজিত ওরিয়েন্টেশন কোর্স-এর উদ্বোধন শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন এ কথা।
অনুষ্ঠানে বিচার প্রশাসন প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক বিচারপতি নাজমুন আরা সুলতানার সভাপতিত্বে আরও বক্তব্য রাখেন আইন ও বিচার বিভাগের সচিব মো. গোলাম সারওয়ার, ইনস্টিটিউটের পরিচালক (প্রশিক্ষণ) শেখ আশফাকুর রহমান। আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেন, অসুস্থতার গ্রাউন্ডে দুটো শর্তে তাকে (খালেদা জিয়া) মুক্ত করা হয়েছে। তিনি রাজনীতি করতে পারবেন না বা রাজনীতি করা বন্ধ থাকবে, এ রকম শর্ত তার (খালেদা জিয়ার মুক্তি চেয়ে করা আবেদন) মধ্যে ছিল না। কারণ বাকস্বাধীনতা, শেখ হাসিনার সরকার মনে করে যে, কারও এই স্বাধীনতার ওপর হস্তক্ষেপ করাটা ঠিক নয়। রাজনীতিতে খালেদা জিয়ার ফিরে আসার সুযোগ আছে কি না সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে আইনমন্ত্রী বলেন, এটা একটা ডেড ইস্যু। এ বিষয়ে কথা বলার কোনো প্রয়োজন নেই। তবু পরিষ্কার করে দিতে চাই, যে চিঠিটা লেখা হয়েছিল (খালেদা জিয়ার মুক্তির বিষয় তার পরিবারের পক্ষ থেকে) সেখানে যা বলা হয়েছে, সেটা হচ্ছে তার শারীরিক অবস্থা এমন ছিল যে তার সুচিকিৎসা না হলে জীবন বিপন্ন হতে পারে। এখন বলেন, যিনি অসুস্থ তিনি কি রাজনীতিতে অংশ নিতে পারেন? যিনি অসুস্থ তিনি রাজনীতি করতে পারবেন না, আমার মনে হয় এটাই হচ্ছে বেস্ট জাজমেন্ট। তিনি আরও বলেন, আমি পরিষ্কারভাবে বলতে চাই, তিনি (খালেদা জিয়া) একজন স্বাধীন মানুষ। তিনি কী করবেন তা আমার বলে দেওয়ার প্রয়োজন পড়ে না। কিন্তু তাকে তখন ফৌজদারি কার্যবিধির ৪০১ ধারায় প্রধানমন্ত্রীর মহানুভবতার কারণে তাকে তখন মুক্তি দেওয়া হয়েছিল। তখন তাকে অসুস্থ হিসেবে মুক্তি দেওয়া হয়েছিল। সেখানে আমরা কখনো লিখে রাখিনি যে তিনি রাজনীতি করতে পারবেন না। নির্বাচনে অংশ নেওয়ার বিষয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, খালেদা জিয়া নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন কি না, সে বিষয়ের জন্য সংবিধানের ৬৬ অনুচ্ছেদে যেতে হবে। এই অনুচ্ছেদে বলা আছে, নৈতিক স্খলনজনিত কারণে যদি দুই বছর বা তার ঊর্ধ্বে কারও সাজা হয় তাহলে তিনি এমপি (সংসদ সদস্য) নির্বাচন করতে পারবেন না। তবে খালেদা জিয়া নির্বাচনী প্রক্রিয়ায় অংশ নিতে পারবেন কি না এমন প্রশ্নের জবাবে আইনমন্ত্রী বলেন, আমি পরিষ্কারভাবে বলেছি, যে অসুস্থতার গ্রাউন্ডে দুটো শর্তে তাকে (খালেদা জিয়া) মুক্ত করা হয়েছে। তিনি রাজনীতি করতে পারবেন না বা রাজনীতি করা বন্ধ রাখতে হবে, এ রকম শর্ত সেটার (খালেদা জিয়ার মুক্তি চেয়ে করা আবেদন) মধ্যে ছিল না।

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

আগামী নির্বাচনে খালেদা জিয়া অংশ নিতে পারবেন না: আইনমন্ত্রী

আপডেট সময় : ১২:২৯:৪০ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৯ ফেব্রুয়ারী ২০২৩

নিজস্ব প্রতিবেদক : আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপি চেয়াপারসন খালেদা জিয়া অংশ নিতে পারবেন না। তবে তিনি (খালেদা জিয়া) রাজনীতি করবেন কি না, সেটি তার ব্যক্তিগত বিষয়। সেখানে (রাজনৈতিক প্রক্রিয়ায়) সরকার কোনো হস্তক্ষেপ করবে না। এসময় তিনি বলেন, দুই বছরের দ-প্রাপ্ত যে কোনো ব্যক্তি নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে পারবেন না, সেটা সংবিধানে বলা আছে। এটা নতুন করে বলতে হবে না।
গতকাল রোববার বিচার প্রশাসন ও প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটে (জেঠি) নতুন নিয়োগপ্রাপ্ত সহকারী জজদের জন্য আয়োজিত ওরিয়েন্টেশন কোর্স-এর উদ্বোধন শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন এ কথা।
অনুষ্ঠানে বিচার প্রশাসন প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক বিচারপতি নাজমুন আরা সুলতানার সভাপতিত্বে আরও বক্তব্য রাখেন আইন ও বিচার বিভাগের সচিব মো. গোলাম সারওয়ার, ইনস্টিটিউটের পরিচালক (প্রশিক্ষণ) শেখ আশফাকুর রহমান। আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেন, অসুস্থতার গ্রাউন্ডে দুটো শর্তে তাকে (খালেদা জিয়া) মুক্ত করা হয়েছে। তিনি রাজনীতি করতে পারবেন না বা রাজনীতি করা বন্ধ থাকবে, এ রকম শর্ত তার (খালেদা জিয়ার মুক্তি চেয়ে করা আবেদন) মধ্যে ছিল না। কারণ বাকস্বাধীনতা, শেখ হাসিনার সরকার মনে করে যে, কারও এই স্বাধীনতার ওপর হস্তক্ষেপ করাটা ঠিক নয়। রাজনীতিতে খালেদা জিয়ার ফিরে আসার সুযোগ আছে কি না সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে আইনমন্ত্রী বলেন, এটা একটা ডেড ইস্যু। এ বিষয়ে কথা বলার কোনো প্রয়োজন নেই। তবু পরিষ্কার করে দিতে চাই, যে চিঠিটা লেখা হয়েছিল (খালেদা জিয়ার মুক্তির বিষয় তার পরিবারের পক্ষ থেকে) সেখানে যা বলা হয়েছে, সেটা হচ্ছে তার শারীরিক অবস্থা এমন ছিল যে তার সুচিকিৎসা না হলে জীবন বিপন্ন হতে পারে। এখন বলেন, যিনি অসুস্থ তিনি কি রাজনীতিতে অংশ নিতে পারেন? যিনি অসুস্থ তিনি রাজনীতি করতে পারবেন না, আমার মনে হয় এটাই হচ্ছে বেস্ট জাজমেন্ট। তিনি আরও বলেন, আমি পরিষ্কারভাবে বলতে চাই, তিনি (খালেদা জিয়া) একজন স্বাধীন মানুষ। তিনি কী করবেন তা আমার বলে দেওয়ার প্রয়োজন পড়ে না। কিন্তু তাকে তখন ফৌজদারি কার্যবিধির ৪০১ ধারায় প্রধানমন্ত্রীর মহানুভবতার কারণে তাকে তখন মুক্তি দেওয়া হয়েছিল। তখন তাকে অসুস্থ হিসেবে মুক্তি দেওয়া হয়েছিল। সেখানে আমরা কখনো লিখে রাখিনি যে তিনি রাজনীতি করতে পারবেন না। নির্বাচনে অংশ নেওয়ার বিষয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, খালেদা জিয়া নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন কি না, সে বিষয়ের জন্য সংবিধানের ৬৬ অনুচ্ছেদে যেতে হবে। এই অনুচ্ছেদে বলা আছে, নৈতিক স্খলনজনিত কারণে যদি দুই বছর বা তার ঊর্ধ্বে কারও সাজা হয় তাহলে তিনি এমপি (সংসদ সদস্য) নির্বাচন করতে পারবেন না। তবে খালেদা জিয়া নির্বাচনী প্রক্রিয়ায় অংশ নিতে পারবেন কি না এমন প্রশ্নের জবাবে আইনমন্ত্রী বলেন, আমি পরিষ্কারভাবে বলেছি, যে অসুস্থতার গ্রাউন্ডে দুটো শর্তে তাকে (খালেদা জিয়া) মুক্ত করা হয়েছে। তিনি রাজনীতি করতে পারবেন না বা রাজনীতি করা বন্ধ রাখতে হবে, এ রকম শর্ত সেটার (খালেদা জিয়ার মুক্তি চেয়ে করা আবেদন) মধ্যে ছিল না।