বিনোদন ডেস্ক : ভারতের প্রখ্যাত অভিনেতা ও কিংবদন্তি পরিচালক গুরু দত্তের বোন বিশিষ্ট চিত্রশিল্পী ললিতা লাজমি আর নেই। গত সোমবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন ললিতা লাজমি। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৯০ বছর। জানা গেছে, বার্ধক্যজনিত কারণে তিনি মারা গেছেন। জাহাঙ্গীর নিকোলসন আর্ট ফাউন্ডেশনের পক্ষ থেকে তার মৃত্যুর খবরটি নিশ্চিত করা হয়েছে। ২০০৭ সালে বলিউড অভিনেতা আমির খানের ‘তারে জমিন পে’ সুপার হিট সিনেমায় অভিনয় করেছিলেন তিনি। যেখানে তাকে আর্ট টিচার হিসেবে দেখা গিয়েছিল। ললিতা লাজমি একজন শিক্ষিত শিল্পী ছিলেন যার শাস্ত্রীয় নৃত্যের প্রতি গভীর আগ্রহ ছিল। সাধারণ বাঙালি পরিবারে সন্তান হওয়ার কারণে শাস্ত্রীয় নৃত্যের তালিম নেওয়ার সৌভাগ্য হয়নি তার। পরবর্তী সময় তিনি হাতে তুলে নিয়েছিলেন রঙতুলি। রঙতুলির টানে ক্যানভাসে তুলে ধরতেন তার শিল্পকলার নিদর্শন। ললিতা লাজমি ‘তুলি’র টানে আঁকা ‘ডান্স অফ লাইফ অ্যান্ড ডেথ’, যা শিল্প বিশেষজ্ঞদের কাছে এক অমর সৃষ্টি হয়ে থাকবে। উল্লেখ্য, ললিতা বিয়ে করেছিলেন ক্যাপ্টেন গোপি লাজমিকে। তাদের এক কন্যাসন্তান যার নাম কল্পনা লাজমি। ২০১৮ সালে মারা যান কল্পনা লাজমি। যিনি নিজেও একজন পরিচালক ও প্রযোজক ছিলেন। পরপর হারিয়েছিলেন তার ভাই গুরু দত্ত, ভাইয়ের স্ত্রী গীতা দত্ত ও তাদের দুই সন্তান অরুণ আর তরুণ দত্তকে। ললিতার ব্যক্তিগত জীবনের এই সজন হারানোর শোকের ছাপ ফেলেছিল তার কাজেও। ললিতা তার ভাই গুরু দত্ত, সত্যজিৎ রায় এবং রাজ কাপুর মাধ্যমে তিনি প্রভাবিত হয়েছিলেন। তার মৃত্যুতে ভারতের শিল্পী সমাজে শোকের ছায় নেমে এসেছে।