ঢাকা ১০:৩০ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৩০ জানুয়ারী ২০২৫

ঘুরে ঘুরে মজা দেন ‘বুদ্বুদ মানব’

  • আপডেট সময় : ১২:২৪:০১ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৮ জুলাই ২০২১
  • ৪৮ বার পড়া হয়েছে

প্রত্যাশা ডেস্ক : সড়ক দিয়ে হেঁটে চলা একটি শিশুকে হঠাৎ ঘিরে ধরেছে উড়ে আসা বিশাল আকারের বাবল (বুদ্বুদ)। এটা দেখে শিশুটির তো পিলে চমকে যাওয়ার দশা! ঘিরে ধরা বাবল থেকে বের হতে তার কত রকমের চেষ্টা! এ রকম বাবল তৈরি করে পথচারীদের চমক দেওয়ার পাশাপাশি বিনোদন দিয়ে থাকেন কার্থ রেইস নামের এক মার্কিন যুবক। এ জন্য তিনি ‘বাবল ম্যান’ বা ‘বুদ্বুদ মানব’ নামে ব্যাপক পরিচিতি পেয়েছেন।
রেইসের কর্মকা-ও বেশ বৈচিত্র্যপূর্ণ। একসময় তিনি মার্কিন সেনাবাহিনীতে ছিলেন। পরে কারাবন্দী হয়েছিলেন সেতুতে আগুন ধরিয়ে দেওয়ার অভিযোগে। ২০১৮ সালে তাঁর জীবনে সবচেয়ে ভয়াবহ ঘটনা ঘটে। ওই বছর মোটরসাইকেল দুর্ঘটনার কারণে হাসপাতালে ভর্তি হতে হয় তাঁকে। সেই ঘটনার বর্ণনা দিয়ে রেইস বলেন, ‘আমার অনেকগুলো অস্ত্রোপচার করা হয়। এটা আমার পুনর্জন্মের মতো ঘটনা।’
দুর্ঘটনার ৮৮ দিন পর রেইস প্রথমবারের মতো হাঁটেন। তবে সেই সময় তাঁর পায়ের ভেতরে রড ঢোকানো ছিল। ওই দুর্ঘটনাই রেইসের জীবন বদলে দেয়। গত বছর যুক্তরাষ্ট্রে যখন ভয়াবহ করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ে, বিধিনিষেধের কারণে ক্যালিফোর্নিয়ার সান ফ্রান্সিসকো শহরের সড়কগুলো তখন ফাঁকা হয়ে যায়। এ সময় তিনি বাবল তৈরির শিল্পী হিসেবে নিজেকে মেলে ধরার সুযোগ পান।
কার্থ রেইস বলেন, এই বিচিত্র পেশায় আসার পেছনে তাঁর প্রেমিকা কেলি সুলিভ্যানের অবদান আছে। ইস্টার অনুষ্ঠানে কেলি তাঁকে বাবল তৈরির যন্ত্র উপহার দেন। সেই থেকেই পুরোদমে শুরু হয় তাঁর বাবল তৈরির কাজ। নানা আকৃতির বাবল তৈরিতে পারদর্শী তিনি। এ কাজে পুরো মনোনিবেশ করতে নিজের খাবার সরবরাহের পেশাকেও বিদায় জানিয়ে দেন রেইস।
বাবল তৈরি করে মানুষকে বিনোদন দিতে প্রতিদিন সকালে নিজের তিন চাকার সাইকেল নিয়ে বেরিয়ে পড়েন রেইস। পার্ক, সড়কসহ বিভিন্ন জনসমাগমের স্থানে ঘণ্টার পর ঘণ্টা বাবলের জাদু দেখান তিনি। এ কাজের জন্য খুশি হয়ে দর্শক বা পর্যটকেরা যা দেন, সেটাই তাঁর দৈনিক আয়। দিনে তিনি ১৫০ মার্কিন ডলারের বেশি আয় করেন এর মাধ্যমে। তবে আয় নয়, শোকে মুষড়ে পড়া মানুষকে কিছুটা আনন্দ দিতেই বেশি মজা পান বলে জানান রেইস।

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

ঘুরে ঘুরে মজা দেন ‘বুদ্বুদ মানব’

আপডেট সময় : ১২:২৪:০১ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৮ জুলাই ২০২১

প্রত্যাশা ডেস্ক : সড়ক দিয়ে হেঁটে চলা একটি শিশুকে হঠাৎ ঘিরে ধরেছে উড়ে আসা বিশাল আকারের বাবল (বুদ্বুদ)। এটা দেখে শিশুটির তো পিলে চমকে যাওয়ার দশা! ঘিরে ধরা বাবল থেকে বের হতে তার কত রকমের চেষ্টা! এ রকম বাবল তৈরি করে পথচারীদের চমক দেওয়ার পাশাপাশি বিনোদন দিয়ে থাকেন কার্থ রেইস নামের এক মার্কিন যুবক। এ জন্য তিনি ‘বাবল ম্যান’ বা ‘বুদ্বুদ মানব’ নামে ব্যাপক পরিচিতি পেয়েছেন।
রেইসের কর্মকা-ও বেশ বৈচিত্র্যপূর্ণ। একসময় তিনি মার্কিন সেনাবাহিনীতে ছিলেন। পরে কারাবন্দী হয়েছিলেন সেতুতে আগুন ধরিয়ে দেওয়ার অভিযোগে। ২০১৮ সালে তাঁর জীবনে সবচেয়ে ভয়াবহ ঘটনা ঘটে। ওই বছর মোটরসাইকেল দুর্ঘটনার কারণে হাসপাতালে ভর্তি হতে হয় তাঁকে। সেই ঘটনার বর্ণনা দিয়ে রেইস বলেন, ‘আমার অনেকগুলো অস্ত্রোপচার করা হয়। এটা আমার পুনর্জন্মের মতো ঘটনা।’
দুর্ঘটনার ৮৮ দিন পর রেইস প্রথমবারের মতো হাঁটেন। তবে সেই সময় তাঁর পায়ের ভেতরে রড ঢোকানো ছিল। ওই দুর্ঘটনাই রেইসের জীবন বদলে দেয়। গত বছর যুক্তরাষ্ট্রে যখন ভয়াবহ করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ে, বিধিনিষেধের কারণে ক্যালিফোর্নিয়ার সান ফ্রান্সিসকো শহরের সড়কগুলো তখন ফাঁকা হয়ে যায়। এ সময় তিনি বাবল তৈরির শিল্পী হিসেবে নিজেকে মেলে ধরার সুযোগ পান।
কার্থ রেইস বলেন, এই বিচিত্র পেশায় আসার পেছনে তাঁর প্রেমিকা কেলি সুলিভ্যানের অবদান আছে। ইস্টার অনুষ্ঠানে কেলি তাঁকে বাবল তৈরির যন্ত্র উপহার দেন। সেই থেকেই পুরোদমে শুরু হয় তাঁর বাবল তৈরির কাজ। নানা আকৃতির বাবল তৈরিতে পারদর্শী তিনি। এ কাজে পুরো মনোনিবেশ করতে নিজের খাবার সরবরাহের পেশাকেও বিদায় জানিয়ে দেন রেইস।
বাবল তৈরি করে মানুষকে বিনোদন দিতে প্রতিদিন সকালে নিজের তিন চাকার সাইকেল নিয়ে বেরিয়ে পড়েন রেইস। পার্ক, সড়কসহ বিভিন্ন জনসমাগমের স্থানে ঘণ্টার পর ঘণ্টা বাবলের জাদু দেখান তিনি। এ কাজের জন্য খুশি হয়ে দর্শক বা পর্যটকেরা যা দেন, সেটাই তাঁর দৈনিক আয়। দিনে তিনি ১৫০ মার্কিন ডলারের বেশি আয় করেন এর মাধ্যমে। তবে আয় নয়, শোকে মুষড়ে পড়া মানুষকে কিছুটা আনন্দ দিতেই বেশি মজা পান বলে জানান রেইস।