নিজস্ব প্রতিবেদক : আবারও দাম বেড়ে জেট ফুয়েলের দাম হয়েছে লিটার প্রতি ১১৮ টাকা। বর্ধিত এ বাজারমূল্যে চ্যালেঞ্জের মুখে পড়বে বেসরকারি এয়ারলাইন্সগুলো।
গতকাল বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম কর্পোরেশনের (বিপিসি) মহাব্যবস্থাপকের (হিসাব) পক্ষে উপ-মহাব্যবস্থাপক শাহরিয়ার মো. রাশেদ স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তি থেকে এ তথ্য পাওয়া গেছে। বিজ্ঞপ্তি অনুসারে, বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগের প্রজ্ঞাপনে ২২ ডিসেম্বর ২০০৬ সালের অনুচ্ছেদ ৪(খ) এ প্রদত্ত ক্ষমতাবলে দেশের বিভিন্ন বিমান বন্দরে ভারী ফ্লাইটে বাংলাদেশি ক্রেতাদের জন্য শুল্কসহ জেট এ-১ এর খুচরা বিক্রয়মূল্য পুনর্র্নিধারণ করা হয়। বর্ধিত মূল্য দেশের সবগুলো বিমানবন্দরে আজ শুক্রবার (১০ ফেব্রুয়ারি) থেকে কার্যকর হবে। তেলের মূল্য বৃদ্ধি বেসরকারি এয়ারলাইনসগুলোর উপর কেমন প্রভাব ফেলবে জানতে চাইলে নভো এয়ারের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও এভিয়েশন অপারেটর্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের সাধারণ সম্পাদক মফিজুর রহমান বাংলানিউজকে বলেন, জেট ফুয়েলের দাম বাড়ায় অবশ্যই ব্যবসায় এর একটা বড় প্রভাব পড়বে। বিদেশি এয়ারলাইন্সের বাজার হয়ে যাবে। দেশি এয়ারলাইনসগুলো টিকতে পারবে না। তিনি বলেন, যেখানে আন্তর্জাতিক বাজারে তেলের দাম কমেছে, সেখানে দেশিয় বাজারে কেন তেলের দাম বাড়লো সেটি বোধগম্য নয়। বর্তমানে আমরা বিশ্ববাজার থেকে প্রায় ৬৩ শতাংশ বেশি মূল্যে জ্বালানি ক্রয় করছি। এবং আমাদের মোট ব্যয়ের ৪৫ ভাগের মতো যায় জ্বালানি খরচে। কাজেই আমরা একটা বড় ধরণের অর্থনৈতিক ক্ষতির সম্মুখীন হব। এ বিষয়ে জানতে চাইলে ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্সের জনসংযোগ শাখার মহাব্যবস্থাপক কামরুল ইসলাম বলেন, আগের যে মূল্য ছিল ১১২টাকা, সেটিই দেশের এয়ারলাইনসগুলোর জন্য বেশি ছিল। বিপিসি যে সিদ্ধান্ত নেয়, সেটা বাস্তবায়নের জন্য মূলত আমরা সময় পাই না। আগামীকাল থেকেই যদি নতুন মূল্য কার্যকর হয়, সেটা সমন্বয় করার একমাত্র উপায় হচ্ছে বিভিন্ন রুটের ভাড়ার সঙ্গে সমন্বয় করা। কিন্তু, আমরা চাইলে এক রাতের মধ্যে এটা সমন্বয় করতে পারব না। এয়ারলাইন্সের যেহেতু প্রায় অর্ধেকই জ্বালানি খরচ, সেক্ষেত্রে এই মূল্যবৃদ্ধি অবশ্যই আমাদের ফ্লাইট পরিচালনা ব্যয় বাড়াবে, যা সুখকর কিছু নয়।