ঢাকা ১০:০৪ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ০৬ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

সমৃদ্ধ ইউরেনিয়াম উৎপাদনে ইরান, হতাশ যুক্তরাষ্ট্র-ইউরোপ

  • আপডেট সময় : ০১:৫৭:২৬ অপরাহ্ন, বুধবার, ৭ জুলাই ২০২১
  • ৫৭ বার পড়া হয়েছে

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : ইরান সমৃদ্ধ ইউরেনিয়াম ধাতু উৎপাদনের প্রক্রিয়া শুরু করেছে বলে জানিয়েছে জাতিসংঘের আণবিক সংস্থা।
গত মঙ্গলবার আন্তর্জাতিক পরমাণু শক্তি সংস্থা (আইএইএ) এক বিবৃতিতে বিষয়টি প্রকাশ করে বলে বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে।
সমৃদ্ধ ইউরেনিয়াম ধাতু উৎপাদনের এই পদক্ষেপ ইরানের পরমাণু অস্ত্রধর রাষ্ট্র হয়ে ওঠার ক্ষেত্রে সহায়ক হতে পারে।
২০১৫ সালে স্বাক্ষরিত ইরান পরমাণু চুক্তিতে থাকা ইউরোপের প্রভাবশালী তিনটি দেশ যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স ও জার্মানি তেহরানের এমন পদক্ষেপে হতাশা ব্যক্ত করেছে।
এই পদক্ষেপ ২০১৫ সালের চুক্তি পুনর্বাস্তবায়ন নিয়ে আলোচনাকে ঝুঁকির মুখে ফেলল বলেও মন্তব্য করেছে তারা।
যুক্তরাষ্ট্রও ইরানের পদক্ষেপের সমালোচনা করেছে। তেহরানের সমৃদ্ধ ইউরেনিয়াম ধাতু উৎপাদনকে ‘পেছন দিকে যাওয়ার দুর্ভাগ্যজনক পদক্ষেপ’ হিসেবে বর্ণনা করেছে তারা। সাবেক প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্পের আমলে ইরান পরমাণু চুক্তি থেকে বেরিয়ে যাওয়ার পর চুক্তিটি পুনরুজ্জীবিত করার চেষ্টায় সম্প্রতি তেহরানের সঙ্গে পরোক্ষ আলোচনা শুরু করছে জো বাইডেনের যুক্তরাষ্ট্র।
ইরান বলছে, তারা একটি গবেষণা চুল্লির জ্বালানির জন্য সমৃদ্ধ ইউরেনিয়াম ধাতু উৎপাদন করছে। অন্যদিকে যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপের তিনটি দেশের কর্মকর্তারা বলছেন, তেহরানের এই পদক্ষেপ যুক্তরাষ্ট্র ও ইরানকে ২০১৫ সালের চুক্তিতে ফেরাতে দুই দেশের মধ্যকার পরোক্ষ আলোচনাকে বানচাল করে দিতে পারে।
ছয় বিশ্বশক্তির সঙ্গে ইরানের ওই চুক্তিতে তেহরানের পারমাণবিক কর্মসূচিতে লাগাম টানার বিনিময়ে তাদের ওপর আরোপ করা অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছিল।
ট্রাম্প চুক্তি থেকে বেরিয়ে যাওয়ার পর ইরানও চুক্তিতে থাকা অনেক বাধ্যবাধকতা থেকে নিজেদের সরিয়ে নেওয়া শুরু করে।
তেহরান চলতি বছর অল্প পরিমাণ ইউরেনিয়াম ধাতু উৎপাদন করেছে, তবে তার মাত্রা পরমাণু বোমা বানানোর মতো উন্নত নয়।
ইরানের এই স্বল্প মাত্রার ইউরেনিয়াম ধাতু উৎপাদনও ২০১৫ সালের চুক্তির লংঘন। পারমাণবিক বোমার কেন্দ্রীয় অংশ বানাতে সমৃদ্ধ ইউরেনিয়াম ধাতু ব্যবহার যায়, যে কারণে ছয় বছর আগের চুক্তিতে এর উৎপাদন সংক্রান্ত সব কাজে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছিল।
আইএইএ তাদের বিবৃতিতে জানায়, ইরান জ্বালানি উৎপাদনের কাজে এসফাহানের ফুয়েল ফ্যাব্রিকেশন প্ল্যান্টে সমৃদ্ধ ইউরেনিয়াম ধাতু উৎপাদনের কাজ শুরু করতে যাচ্ছে বলে জানিয়েছে।
দেশটি যে এর মধ্যেই সমৃদ্ধ ইউরেনিয়াম ধাতু উৎপাদন প্রক্রিয়া শুরুর পদক্ষেপ নিয়ে নিয়েছে, এক গোপন প্রতিবেদনে তা নিশ্চিত করেছে আইএইএ। প্রতিবেদনটি দেখার কথা জানিয়েছে রয়টার্স।
তেহরানের এই পদক্ষেপকে ইরান পরমাণু চুক্তি নামে পরিচিত জয়েন্ট কম্প্রিহেনসিভ প্ল্যান অব অ্যাকশনের (জেসিপিওএ) লংঘন অভিহিত করে এমন সিদ্ধান্তে ‘গভীর উদ্বেগের’ কথা জানিয়েছে যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স ও জার্মানি।

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

সমৃদ্ধ ইউরেনিয়াম উৎপাদনে ইরান, হতাশ যুক্তরাষ্ট্র-ইউরোপ

আপডেট সময় : ০১:৫৭:২৬ অপরাহ্ন, বুধবার, ৭ জুলাই ২০২১

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : ইরান সমৃদ্ধ ইউরেনিয়াম ধাতু উৎপাদনের প্রক্রিয়া শুরু করেছে বলে জানিয়েছে জাতিসংঘের আণবিক সংস্থা।
গত মঙ্গলবার আন্তর্জাতিক পরমাণু শক্তি সংস্থা (আইএইএ) এক বিবৃতিতে বিষয়টি প্রকাশ করে বলে বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে।
সমৃদ্ধ ইউরেনিয়াম ধাতু উৎপাদনের এই পদক্ষেপ ইরানের পরমাণু অস্ত্রধর রাষ্ট্র হয়ে ওঠার ক্ষেত্রে সহায়ক হতে পারে।
২০১৫ সালে স্বাক্ষরিত ইরান পরমাণু চুক্তিতে থাকা ইউরোপের প্রভাবশালী তিনটি দেশ যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স ও জার্মানি তেহরানের এমন পদক্ষেপে হতাশা ব্যক্ত করেছে।
এই পদক্ষেপ ২০১৫ সালের চুক্তি পুনর্বাস্তবায়ন নিয়ে আলোচনাকে ঝুঁকির মুখে ফেলল বলেও মন্তব্য করেছে তারা।
যুক্তরাষ্ট্রও ইরানের পদক্ষেপের সমালোচনা করেছে। তেহরানের সমৃদ্ধ ইউরেনিয়াম ধাতু উৎপাদনকে ‘পেছন দিকে যাওয়ার দুর্ভাগ্যজনক পদক্ষেপ’ হিসেবে বর্ণনা করেছে তারা। সাবেক প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্পের আমলে ইরান পরমাণু চুক্তি থেকে বেরিয়ে যাওয়ার পর চুক্তিটি পুনরুজ্জীবিত করার চেষ্টায় সম্প্রতি তেহরানের সঙ্গে পরোক্ষ আলোচনা শুরু করছে জো বাইডেনের যুক্তরাষ্ট্র।
ইরান বলছে, তারা একটি গবেষণা চুল্লির জ্বালানির জন্য সমৃদ্ধ ইউরেনিয়াম ধাতু উৎপাদন করছে। অন্যদিকে যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপের তিনটি দেশের কর্মকর্তারা বলছেন, তেহরানের এই পদক্ষেপ যুক্তরাষ্ট্র ও ইরানকে ২০১৫ সালের চুক্তিতে ফেরাতে দুই দেশের মধ্যকার পরোক্ষ আলোচনাকে বানচাল করে দিতে পারে।
ছয় বিশ্বশক্তির সঙ্গে ইরানের ওই চুক্তিতে তেহরানের পারমাণবিক কর্মসূচিতে লাগাম টানার বিনিময়ে তাদের ওপর আরোপ করা অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছিল।
ট্রাম্প চুক্তি থেকে বেরিয়ে যাওয়ার পর ইরানও চুক্তিতে থাকা অনেক বাধ্যবাধকতা থেকে নিজেদের সরিয়ে নেওয়া শুরু করে।
তেহরান চলতি বছর অল্প পরিমাণ ইউরেনিয়াম ধাতু উৎপাদন করেছে, তবে তার মাত্রা পরমাণু বোমা বানানোর মতো উন্নত নয়।
ইরানের এই স্বল্প মাত্রার ইউরেনিয়াম ধাতু উৎপাদনও ২০১৫ সালের চুক্তির লংঘন। পারমাণবিক বোমার কেন্দ্রীয় অংশ বানাতে সমৃদ্ধ ইউরেনিয়াম ধাতু ব্যবহার যায়, যে কারণে ছয় বছর আগের চুক্তিতে এর উৎপাদন সংক্রান্ত সব কাজে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছিল।
আইএইএ তাদের বিবৃতিতে জানায়, ইরান জ্বালানি উৎপাদনের কাজে এসফাহানের ফুয়েল ফ্যাব্রিকেশন প্ল্যান্টে সমৃদ্ধ ইউরেনিয়াম ধাতু উৎপাদনের কাজ শুরু করতে যাচ্ছে বলে জানিয়েছে।
দেশটি যে এর মধ্যেই সমৃদ্ধ ইউরেনিয়াম ধাতু উৎপাদন প্রক্রিয়া শুরুর পদক্ষেপ নিয়ে নিয়েছে, এক গোপন প্রতিবেদনে তা নিশ্চিত করেছে আইএইএ। প্রতিবেদনটি দেখার কথা জানিয়েছে রয়টার্স।
তেহরানের এই পদক্ষেপকে ইরান পরমাণু চুক্তি নামে পরিচিত জয়েন্ট কম্প্রিহেনসিভ প্ল্যান অব অ্যাকশনের (জেসিপিওএ) লংঘন অভিহিত করে এমন সিদ্ধান্তে ‘গভীর উদ্বেগের’ কথা জানিয়েছে যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স ও জার্মানি।