ঢাকা ০২:১৫ অপরাহ্ন, রবিবার, ২২ জুন ২০২৫

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে কমছে বিদেশি শিক্ষার্থী

  • আপডেট সময় : ১০:১৮:৫৫ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৩
  • ৮২ বার পড়া হয়েছে

ক্যাম্পাস ও ক্যারিয়ার ডেস্ক : কুষ্টিয়ার ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে (ইবি) কমছে বিদেশি শিক্ষার্থীর সংখ্যা। আগে প্রতি শিক্ষাবর্ষে গড়ে ১৪ জন করে শিক্ষার্থী ভর্তি হলেও সম্প্রতি কমেছে। গতবছর (২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষে) মাত্র একজন এবং চলতি ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষে এখন পর্যন্ত তিনজন ভর্তি হয়েছেন। টিউশন ফি বৃদ্ধি, সেশনজট, ভর্তি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশে বিলম্বসহ নানা অব্যবস্থাপনা এর কারণ হিসেবে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা। বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা যায়, গত পাঁচ বছরে বিশ্ববিদ্যালয়ের স্নাতক , স্নাতকোত্তর, এমফিল ও পিএইচডিতে মোট ৬০ জন বিদেশি শিক্ষার্থী ভর্তি হন। বর্তমানে অধ্যয়নরত ২০ জন। করোনাকালে ক্যাম্পাস বন্ধ থাকায় কিছু শিক্ষার্থী অন্য বিশ্ববিদ্যালয়ে চলে গেছেন।
তথ্যমতে, ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষে স্নাতকে ৯, স্নাতকোত্তরে তিন ও পিএইচডিতে চারজনসহ মোট ১৬ বিদেশি শিক্ষার্থী ভর্তি হন। ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষে একজন এবং চলতি বছরে তিনজন ভর্তি হয়েছেন। শিক্ষার্থী কমার পেছনে ফরেন সেলের নির্দিষ্ট অফিস না থাকা এবং লোকবল সংকটকে দায়ী করেছেন ওই অফিসের কর্তব্যরতরা। তারা বলছেন, নির্দিষ্ট অফিস না থাকায় শিক্ষার্থীরা যোগাযোগ করতে পারছেন না। ফলে দিনদিন কমছে শিক্ষার্থীর সংখ্যা। নেপাল থেকে আসা এক শিক্ষার্থী জাগো নিউজকে বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আমাদের পর্যাপ্ত সুযোগ-সুবিধা দেওয়া হয় না। স্কলারশিপ নিয়ে ভর্তি হলেও সব ফি গুনতে হয়। আগে হল ফি ছিল ৫০ ডলার, বর্তমানে ২০০ ডলার করে নেওয়া হচ্ছে। সবমিলিয়ে খরচ অনেক বেশি পড়ে যাচ্ছে।’ ফরেন সেলের কর্মকর্তা সাহদৎ হোসেন বলেন, নির্দিষ্ট লোকবল না থাকায় শিক্ষার্থীরা যোগাযোগ করতে পারছেন না। ব্যক্তিগত উদ্যোগে তিনজনকে ভর্তি করা হয়েছে। আমরা দায়িত্বের অতিরিক্ত হিসেবে এখানে কাজ করছি। এজন্য ভাতা দেওয়ার কথা থাকলেও সেটা দিচ্ছে না। এ বিষয়ে ফরেন সেলের সদ্য সাবেক পরিচালক ও বর্তমান প্রক্টর অধ্যাপক ড. শাহাদৎ হোসেন আজাদ বলেন, বিদেশি শিক্ষার্থীদের খরচের বিষয়ে কোনো নীতিমালা ছিল না। একজন শিক্ষার্থীর চার বছরে কত খরচ হবে সেটি নতুন করে করা হয়েছে। আশা করি আগামীতে ভালো সংখ্যক শিক্ষার্থী পাবো।

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

অন্তর্বর্তী সরকার ভালো কাজ করছে, আমাদের পথ দেখাচ্ছে: ফখরুল

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে কমছে বিদেশি শিক্ষার্থী

আপডেট সময় : ১০:১৮:৫৫ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৩

ক্যাম্পাস ও ক্যারিয়ার ডেস্ক : কুষ্টিয়ার ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে (ইবি) কমছে বিদেশি শিক্ষার্থীর সংখ্যা। আগে প্রতি শিক্ষাবর্ষে গড়ে ১৪ জন করে শিক্ষার্থী ভর্তি হলেও সম্প্রতি কমেছে। গতবছর (২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষে) মাত্র একজন এবং চলতি ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষে এখন পর্যন্ত তিনজন ভর্তি হয়েছেন। টিউশন ফি বৃদ্ধি, সেশনজট, ভর্তি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশে বিলম্বসহ নানা অব্যবস্থাপনা এর কারণ হিসেবে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা। বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা যায়, গত পাঁচ বছরে বিশ্ববিদ্যালয়ের স্নাতক , স্নাতকোত্তর, এমফিল ও পিএইচডিতে মোট ৬০ জন বিদেশি শিক্ষার্থী ভর্তি হন। বর্তমানে অধ্যয়নরত ২০ জন। করোনাকালে ক্যাম্পাস বন্ধ থাকায় কিছু শিক্ষার্থী অন্য বিশ্ববিদ্যালয়ে চলে গেছেন।
তথ্যমতে, ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষে স্নাতকে ৯, স্নাতকোত্তরে তিন ও পিএইচডিতে চারজনসহ মোট ১৬ বিদেশি শিক্ষার্থী ভর্তি হন। ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষে একজন এবং চলতি বছরে তিনজন ভর্তি হয়েছেন। শিক্ষার্থী কমার পেছনে ফরেন সেলের নির্দিষ্ট অফিস না থাকা এবং লোকবল সংকটকে দায়ী করেছেন ওই অফিসের কর্তব্যরতরা। তারা বলছেন, নির্দিষ্ট অফিস না থাকায় শিক্ষার্থীরা যোগাযোগ করতে পারছেন না। ফলে দিনদিন কমছে শিক্ষার্থীর সংখ্যা। নেপাল থেকে আসা এক শিক্ষার্থী জাগো নিউজকে বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আমাদের পর্যাপ্ত সুযোগ-সুবিধা দেওয়া হয় না। স্কলারশিপ নিয়ে ভর্তি হলেও সব ফি গুনতে হয়। আগে হল ফি ছিল ৫০ ডলার, বর্তমানে ২০০ ডলার করে নেওয়া হচ্ছে। সবমিলিয়ে খরচ অনেক বেশি পড়ে যাচ্ছে।’ ফরেন সেলের কর্মকর্তা সাহদৎ হোসেন বলেন, নির্দিষ্ট লোকবল না থাকায় শিক্ষার্থীরা যোগাযোগ করতে পারছেন না। ব্যক্তিগত উদ্যোগে তিনজনকে ভর্তি করা হয়েছে। আমরা দায়িত্বের অতিরিক্ত হিসেবে এখানে কাজ করছি। এজন্য ভাতা দেওয়ার কথা থাকলেও সেটা দিচ্ছে না। এ বিষয়ে ফরেন সেলের সদ্য সাবেক পরিচালক ও বর্তমান প্রক্টর অধ্যাপক ড. শাহাদৎ হোসেন আজাদ বলেন, বিদেশি শিক্ষার্থীদের খরচের বিষয়ে কোনো নীতিমালা ছিল না। একজন শিক্ষার্থীর চার বছরে কত খরচ হবে সেটি নতুন করে করা হয়েছে। আশা করি আগামীতে ভালো সংখ্যক শিক্ষার্থী পাবো।