ঢাকা ০৪:৫০ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ৩১ জানুয়ারী ২০২৫

যুক্তরাজ্যে করোনাবিধি তুলে নেয়ার সিদ্ধান্তে সমালোচনা

  • আপডেট সময় : ০১:৪৬:১৬ অপরাহ্ন, বুধবার, ৭ জুলাই ২০২১
  • ৫৮ বার পড়া হয়েছে

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : আগামী ১৯ জুলাই থেকে যুক্তরাজ্যে করোনার সব বিধিনিষেধ উঠে যাবে বলে ঘোষণা করেছেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন। সোমবার সংবাদ সম্মেলনে ওই ঘোষণার পরে প্রধানমন্ত্রীর সিদ্ধান্ত নিয়ে যুক্তরাজ্য জুড়ে চলছে তুমুল সমালোচনা।
করোনার প্রথম ঢেউ সামলে ওঠার পরে জানুয়ারি নাগাদ অল্প অল্প করে স্বাভাবিক হচ্ছিল যুক্তরাজ্য। কিন্তু দ্বিতীয় ঢেউয়ের আঁচ পাওয়া মাত্র ফের লকডাউন শুরু হয়ে যায়। জুন মাসের মাঝামাঝি করোনা-বিধি থেকে মুক্তি মিলবে এমন ঘোষণা করেও ডেল্টা স্ট্রেনের দাপটে সেই সিদ্ধান্ত পিছিয়ে দিতে বাধ্য হয় ব্রিটিশ সরকার।
এদিকে জনজীবন স্বাভাবিক করার দাবিতে দেশটির নানা প্রান্তে লকডাউন-বিরোধী বিক্ষোভ শুরু হয়েছে। যদিও প্রশাসনের মতে, দ্রুতগতিতে টিকাকরণ শুরু হয়ে যাওয়ায় গত বছরের তুলনায় পরিস্থিতি এবার অন্য রকম। তাহলে কি সেই ভরসাতেই এমন ঘোষণা বরিসের?
বরিস জনসন বলেছেন, ‘টিকা দেয়ার ফলে হাসপাতালে ভর্তি এবং সঙ্কটজনক রোগীর সংখ্যা যে কমেছে সেই বিষয়ে সরকারের কাছে পর্যাপ্ত তথ্য রয়েছে। ১৯ জুলাইয়ের পর থেকে যুক্তরাজ্যে বাজার-দোকান, অফিস, বিনোদন কেন্দ্র, থিয়েটার সবকিছু খুলে যাবে। মাস্কও বাধ্যতামূলক নয়। কেউ চাইলে পরতেই পারেন। তবে মাস্ক পরা নিয়ে সরকারি নিষেধ থাকবে না।’
বরিস জনসনের এই সিদ্ধান্ত ‘বেপরোয়া’ বলে মনে করেছেন বিরোধী লেবার পার্টির নেতারা। বিশেষজ্ঞরা যদিও বারবার বলছেন, বিধিনিষেধ পুরোপুরি উঠে গেলে হুহু করে সংক্রমণ বাড়ার আশঙ্কা রয়েছে। এমনকি দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা ৫০ হাজার ছুঁতে পারে।

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

যুক্তরাজ্যে করোনাবিধি তুলে নেয়ার সিদ্ধান্তে সমালোচনা

আপডেট সময় : ০১:৪৬:১৬ অপরাহ্ন, বুধবার, ৭ জুলাই ২০২১

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : আগামী ১৯ জুলাই থেকে যুক্তরাজ্যে করোনার সব বিধিনিষেধ উঠে যাবে বলে ঘোষণা করেছেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন। সোমবার সংবাদ সম্মেলনে ওই ঘোষণার পরে প্রধানমন্ত্রীর সিদ্ধান্ত নিয়ে যুক্তরাজ্য জুড়ে চলছে তুমুল সমালোচনা।
করোনার প্রথম ঢেউ সামলে ওঠার পরে জানুয়ারি নাগাদ অল্প অল্প করে স্বাভাবিক হচ্ছিল যুক্তরাজ্য। কিন্তু দ্বিতীয় ঢেউয়ের আঁচ পাওয়া মাত্র ফের লকডাউন শুরু হয়ে যায়। জুন মাসের মাঝামাঝি করোনা-বিধি থেকে মুক্তি মিলবে এমন ঘোষণা করেও ডেল্টা স্ট্রেনের দাপটে সেই সিদ্ধান্ত পিছিয়ে দিতে বাধ্য হয় ব্রিটিশ সরকার।
এদিকে জনজীবন স্বাভাবিক করার দাবিতে দেশটির নানা প্রান্তে লকডাউন-বিরোধী বিক্ষোভ শুরু হয়েছে। যদিও প্রশাসনের মতে, দ্রুতগতিতে টিকাকরণ শুরু হয়ে যাওয়ায় গত বছরের তুলনায় পরিস্থিতি এবার অন্য রকম। তাহলে কি সেই ভরসাতেই এমন ঘোষণা বরিসের?
বরিস জনসন বলেছেন, ‘টিকা দেয়ার ফলে হাসপাতালে ভর্তি এবং সঙ্কটজনক রোগীর সংখ্যা যে কমেছে সেই বিষয়ে সরকারের কাছে পর্যাপ্ত তথ্য রয়েছে। ১৯ জুলাইয়ের পর থেকে যুক্তরাজ্যে বাজার-দোকান, অফিস, বিনোদন কেন্দ্র, থিয়েটার সবকিছু খুলে যাবে। মাস্কও বাধ্যতামূলক নয়। কেউ চাইলে পরতেই পারেন। তবে মাস্ক পরা নিয়ে সরকারি নিষেধ থাকবে না।’
বরিস জনসনের এই সিদ্ধান্ত ‘বেপরোয়া’ বলে মনে করেছেন বিরোধী লেবার পার্টির নেতারা। বিশেষজ্ঞরা যদিও বারবার বলছেন, বিধিনিষেধ পুরোপুরি উঠে গেলে হুহু করে সংক্রমণ বাড়ার আশঙ্কা রয়েছে। এমনকি দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা ৫০ হাজার ছুঁতে পারে।