ঢাকা ০৮:১৪ অপরাহ্ন, সোমবার, ১২ মে ২০২৫

১১ ফেব্রুয়ারি পদযাত্রার কর্মসূচি গণতন্ত্র মঞ্চের

  • আপডেট সময় : ০১:৩৩:১৭ অপরাহ্ন, শনিবার, ৪ ফেব্রুয়ারী ২০২৩
  • ৬৩ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক : সরকারের পতন ঘটিয়ে নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবি আদায়ে নতুন কর্মসূচি ঘোষণা করেছে গণতন্ত্র মঞ্চ। বিএনপির সঙ্গে যুগপৎ আন্দোলনের অংশ হিসেবে আগামী ১১ ফেব্রুয়ারি ঢাকাসহ সারাদেশে পদযাত্রা ও গণসংযোগ করবে এই জোট।
গতকাল শনিবার সকালে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে সমাবেশে বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক নতুন কর্মসূচি ঘোষণা করেন। তিনি বলেন, “গণতন্ত্র মঞ্চ, বিএনপিসহ সকল বিরোধী দল আশা করি, স্ব স্ব জায়গা থেকে একই কর্মসূচি ঘোষণা করবেন। “ঢাকাতে আগামী ১১ ফেব্রুয়ারি সকাল ১০টায় মিরপুর ১২ নম্বরে আমাদের পদযাত্রা শুরু হবে। সেখান থেকে আমরা ফার্মগেইট, শাহবাগ, পল্টন হয়ে মতিঝিলে গিয়ে শেষ করব। একই সঙ্গে গণতন্ত্র মঞ্চ জেলা ও বিভাগীয় পর্যায়েও এই কর্মসূচি করবে।” আওয়ামী লীগকে ক্ষমতা থেকে হটাতে বিএনপির সঙ্গে যুগপৎ আন্দোলনে থাকা গণতন্ত্র মঞ্চে রয়েছে বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টি, নাগরিক ঐক্য, গণসংহতি আন্দোলন, জেএসডি, গণঅধিকার পরিষদ, বাংলাদেশ ভাসানী অনুসারী পরিষদ ও রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলন। প্রেস ক্লাবের সামনে সমাবেশের পর গণতন্ত্র মঞ্চের নেতা-কর্মীরা মিছিল নিয়ে পল্টনে মোড় হয়ে কাকরাইল পর্যন্ত যান। শনিবার বিএনপিও সমাবেশ করছে, ঢাকায় তাদের সমাবেশ হচ্ছে নয়া পল্টনে।
গণতন্ত্র মঞ্চের সমাবেশে সাইফুল হক বলেন, “গণজাগরণ শুরু হয়েছে, এই গণজাগরণ দেশব্যাপী ছড়িয়ে পড়ছে। গণজাগরণ আরও জোরদার হবে এবং গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে এই সরকারকে গলায় গামছা লাগিয়ে পদত্যাগে বাধ্য করব।”
গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি সরকারের সমালোচনা করে বলেন, “আপনাদের (সরকার) স্মার্টনেস মানে চাতুরি করা, আ্পনাদের স্মার্টনেস মানে মানুষের চোথে ধুলো দেয়া, আপনাদের স্মার্টনেস মানে ভোট চুরি করে ‘ইহাই গণতন্ত্র’ এটা মানুষকে বলা। সর্বশেষ উপ-নির্বাচনই তার প্রমাণ। কাজে উন্নয়ন ও স্মার্ট বাংলাদেশের স্লোগানে জনগণ আর বিভ্রান্ত হবে না।”
গণঅধিকার পরিষদের সদস্য সচিব নুরুল হক নুর বলেন, “এই সরকার বাংলাদেশকে তাদের পেয়ারা পাকিস্তানের সমপর্যায়ে নিয়ে গেছে। পাকিস্তান আইএমএফের থেকে ঋণ নিয়েছে। বাংলাদেশেও আইএমএফ থেকে ঋণ নিয়েছে।
“আইএমএফের পরামর্শে এদেশের কৃষক শ্রমিক খেটে খাওয়া মানুষকে মরার জন্য তারা আজকে বার বার বিদ্যুতের দাম বাড়াচ্ছে, গ্যাসের দাম বাড়াচ্ছে এবং চালাকি করে বলছে যে, দাম বাড়ানো হচ্ছে না, দাম সমন্বয় করা হচ্ছে। এই ভাঁওতাবাজি, এই ভ-দের প্রতারণা আমাদের ধরতে হবে।” শেখ হাসিনার অধীনে কোনো নির্বাচন চান না- এই প্রতিশ্রুতি বিরোধী সব রাজনৈতিক দলের কাছে প্রত্যাশা করেন ডাকসুর সাবেক ভিপি নুর। তিনি বলেন, “যারা শেখ হাসিনার অধীনে নির্বাচনে যাবে, ভাসানীর মতো বলতে চাই তারা গু খাবে, তারা জাতীয় বেঈমান হবে, তারা জাতীয় কুলঙ্গার হবে।”
বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হকের সভাপতিত্বে এবং কেন্দ্রীয় নেতা আকবর খানের সঞ্চালনায় সমাবেশে নাগরিক ঐক্যের এস এম আকরাম, ভাসানী অনুসারী পরিষদের শেখ রফিকুল ইসলাম বাবলু, জেএসডির শহিদ উদ্দিন মাহমুদ স্বপন, রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের হাসনাত কাইয়ুম বক্তব্য রাখেন। নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না উপস্থিত থাকলেও অসুস্থতার কারণে বক্তব্য দেননি। তবে তিনি মিছিলে অংশ নেন।
এদিকে সকালে জাতীয় প্রেস ক্লাবের পশ্চিম পাশে গণতান্ত্রিক বাম ঐক্যও সমাবেশ করে সাম্যবাদী দলের (মার্কসবাদী-লেলিনবাদী) সাধারণ সম্পাদক হারুন চৌধুরীর নেতৃত্বে। ফকিরেরপুল পানির ট্যাংকের কাছে ১২ দলীয় জোটের সমাবেশ হয় জাতীয় পার্টির (কাজী জাফর) চেয়ারম্যান মোস্তফা জামাল হায়দারে নেতৃত্বে। পুরানা পল্টনে প্রীতম ভবনের উল্টো দিকের সড়কে জাতীয়তাবাদী সমমনা দলের সমাবেশে হয় ন্যাশনাল পিপলস পার্টির চেয়ারম্যান ফরিদুজ্জামান ফরহাদের নেতৃত্বে। এসব সমাবেশ থেকে বিএনপির সঙ্গে যুগপৎ আন্দোলনের অভিন্ন কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়।

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

১১ ফেব্রুয়ারি পদযাত্রার কর্মসূচি গণতন্ত্র মঞ্চের

আপডেট সময় : ০১:৩৩:১৭ অপরাহ্ন, শনিবার, ৪ ফেব্রুয়ারী ২০২৩

নিজস্ব প্রতিবেদক : সরকারের পতন ঘটিয়ে নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবি আদায়ে নতুন কর্মসূচি ঘোষণা করেছে গণতন্ত্র মঞ্চ। বিএনপির সঙ্গে যুগপৎ আন্দোলনের অংশ হিসেবে আগামী ১১ ফেব্রুয়ারি ঢাকাসহ সারাদেশে পদযাত্রা ও গণসংযোগ করবে এই জোট।
গতকাল শনিবার সকালে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে সমাবেশে বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক নতুন কর্মসূচি ঘোষণা করেন। তিনি বলেন, “গণতন্ত্র মঞ্চ, বিএনপিসহ সকল বিরোধী দল আশা করি, স্ব স্ব জায়গা থেকে একই কর্মসূচি ঘোষণা করবেন। “ঢাকাতে আগামী ১১ ফেব্রুয়ারি সকাল ১০টায় মিরপুর ১২ নম্বরে আমাদের পদযাত্রা শুরু হবে। সেখান থেকে আমরা ফার্মগেইট, শাহবাগ, পল্টন হয়ে মতিঝিলে গিয়ে শেষ করব। একই সঙ্গে গণতন্ত্র মঞ্চ জেলা ও বিভাগীয় পর্যায়েও এই কর্মসূচি করবে।” আওয়ামী লীগকে ক্ষমতা থেকে হটাতে বিএনপির সঙ্গে যুগপৎ আন্দোলনে থাকা গণতন্ত্র মঞ্চে রয়েছে বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টি, নাগরিক ঐক্য, গণসংহতি আন্দোলন, জেএসডি, গণঅধিকার পরিষদ, বাংলাদেশ ভাসানী অনুসারী পরিষদ ও রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলন। প্রেস ক্লাবের সামনে সমাবেশের পর গণতন্ত্র মঞ্চের নেতা-কর্মীরা মিছিল নিয়ে পল্টনে মোড় হয়ে কাকরাইল পর্যন্ত যান। শনিবার বিএনপিও সমাবেশ করছে, ঢাকায় তাদের সমাবেশ হচ্ছে নয়া পল্টনে।
গণতন্ত্র মঞ্চের সমাবেশে সাইফুল হক বলেন, “গণজাগরণ শুরু হয়েছে, এই গণজাগরণ দেশব্যাপী ছড়িয়ে পড়ছে। গণজাগরণ আরও জোরদার হবে এবং গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে এই সরকারকে গলায় গামছা লাগিয়ে পদত্যাগে বাধ্য করব।”
গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি সরকারের সমালোচনা করে বলেন, “আপনাদের (সরকার) স্মার্টনেস মানে চাতুরি করা, আ্পনাদের স্মার্টনেস মানে মানুষের চোথে ধুলো দেয়া, আপনাদের স্মার্টনেস মানে ভোট চুরি করে ‘ইহাই গণতন্ত্র’ এটা মানুষকে বলা। সর্বশেষ উপ-নির্বাচনই তার প্রমাণ। কাজে উন্নয়ন ও স্মার্ট বাংলাদেশের স্লোগানে জনগণ আর বিভ্রান্ত হবে না।”
গণঅধিকার পরিষদের সদস্য সচিব নুরুল হক নুর বলেন, “এই সরকার বাংলাদেশকে তাদের পেয়ারা পাকিস্তানের সমপর্যায়ে নিয়ে গেছে। পাকিস্তান আইএমএফের থেকে ঋণ নিয়েছে। বাংলাদেশেও আইএমএফ থেকে ঋণ নিয়েছে।
“আইএমএফের পরামর্শে এদেশের কৃষক শ্রমিক খেটে খাওয়া মানুষকে মরার জন্য তারা আজকে বার বার বিদ্যুতের দাম বাড়াচ্ছে, গ্যাসের দাম বাড়াচ্ছে এবং চালাকি করে বলছে যে, দাম বাড়ানো হচ্ছে না, দাম সমন্বয় করা হচ্ছে। এই ভাঁওতাবাজি, এই ভ-দের প্রতারণা আমাদের ধরতে হবে।” শেখ হাসিনার অধীনে কোনো নির্বাচন চান না- এই প্রতিশ্রুতি বিরোধী সব রাজনৈতিক দলের কাছে প্রত্যাশা করেন ডাকসুর সাবেক ভিপি নুর। তিনি বলেন, “যারা শেখ হাসিনার অধীনে নির্বাচনে যাবে, ভাসানীর মতো বলতে চাই তারা গু খাবে, তারা জাতীয় বেঈমান হবে, তারা জাতীয় কুলঙ্গার হবে।”
বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হকের সভাপতিত্বে এবং কেন্দ্রীয় নেতা আকবর খানের সঞ্চালনায় সমাবেশে নাগরিক ঐক্যের এস এম আকরাম, ভাসানী অনুসারী পরিষদের শেখ রফিকুল ইসলাম বাবলু, জেএসডির শহিদ উদ্দিন মাহমুদ স্বপন, রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের হাসনাত কাইয়ুম বক্তব্য রাখেন। নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না উপস্থিত থাকলেও অসুস্থতার কারণে বক্তব্য দেননি। তবে তিনি মিছিলে অংশ নেন।
এদিকে সকালে জাতীয় প্রেস ক্লাবের পশ্চিম পাশে গণতান্ত্রিক বাম ঐক্যও সমাবেশ করে সাম্যবাদী দলের (মার্কসবাদী-লেলিনবাদী) সাধারণ সম্পাদক হারুন চৌধুরীর নেতৃত্বে। ফকিরেরপুল পানির ট্যাংকের কাছে ১২ দলীয় জোটের সমাবেশ হয় জাতীয় পার্টির (কাজী জাফর) চেয়ারম্যান মোস্তফা জামাল হায়দারে নেতৃত্বে। পুরানা পল্টনে প্রীতম ভবনের উল্টো দিকের সড়কে জাতীয়তাবাদী সমমনা দলের সমাবেশে হয় ন্যাশনাল পিপলস পার্টির চেয়ারম্যান ফরিদুজ্জামান ফরহাদের নেতৃত্বে। এসব সমাবেশ থেকে বিএনপির সঙ্গে যুগপৎ আন্দোলনের অভিন্ন কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়।