ঢাকা ০৯:০৪ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ০২ অক্টোবর ২০২৫

পাওনা টাকা চাইতে গিয়ে ধর্ষণের শিকার

  • আপডেট সময় : ১২:৫১:৪০ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২ ফেব্রুয়ারী ২০২৩
  • ১১৭ বার পড়া হয়েছে

নোয়াখালী প্রতিনিধি : নোয়াখালী সদরে পাওনা টাকা চাইতে গিয়ে ধর্ষণের শিকার হয়েছেন বলে অভিযোগ তুলেছেন এক নারী (৪২)। অভিযুক্ত তারই সাবেক স্বামী মোজাম্মেল হোসেন মিলন (৫০)। গতকাল বুধবার বিকেল ৪টার দিকে উপজেলার দাদপুর ইউনিয়নের খলিফার হাট সংলগ্ন একটি গ্যারেজে এ ঘটনা ঘটে। অভিযুক্ত মোজাম্মেল হোসেন মিলন উপজেলার দাদপুর ইউনিয়নের বারাহীপুর দিঘী সংলগ্ন এলাকার বাসিন্দা। পুলিশ ও অভিযোগ সূত্র জানায়, কয়েক বছর আগে ভিকটিম সৌদি আরব থাকাকালীন মোজাম্মেল হোসেন মিলনকে বিয়ে করেন। এ সময় তিনি স্বামী মিলনের কাছে কয়েক ধাপে ১০ লাখ টাকা জমা রাখেন। একপর্যায়ে দাম্পত্য কলহের জেরে তাদের বিবাহ বিচ্ছেদ হয় এবং দেশে ফিরে আসেন দুজনেই। বুধবার (১ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে ভিকটিম পাওনা টাকা আদায়ের জন্য ঢাকা থেকে উপজেলার দাদপুর ইউনিয়নের খলিফার হাট এলাকায় আসেন। সেখানে সাবেক স্বামী মিলন তাকে একটি গ্যারেজে নিয়ে ধর্ষণ করেন। পরে ভিকটিমকে ঘটনাস্থল থেকে স্থানীয় লোকজন গাড়িতে তুলে দেন। গাড়িতে ওঠার পর ভিকটিম অসুস্থ হয়ে পড়লে তিনি চিকিৎসার জন্য জেলার সোনাইমুড়ী উপজেলার বজরা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে যান। একপর্যায়ে কর্তব্যরত চিকিৎসক বিষয়টি সোনাইমুডী থানা পুলিশকে অবহিত করেন। সোনাইমুড়ী থানা পুলিশ হাসপাতালে গিয়ে বিস্তারিত জেনে ঘটনাস্থল সুধারাম থানা এলাকায় হওয়ায় ভিকটিমকে নোয়াখালী সদর হাসপাতালে রেফার করেন। দাদপুর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান শিপন জানান, মিলনের সঙ্গে এক নারীর ঝগড়া হয়েছে বলে শুনেছি। তবে ধর্ষণের কোনো ঘটনা ঘটেছে কি-না, এ বিষয়ে আমি নিশ্চিত নই। সুধারাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আনোয়ারুল ইসলাম জানান, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। ভুক্তভোগী নারী মৌখিকভাবে পুলিশকে জানিয়েছে যে, তার সাবেক স্বামী মোজাম্মেল হোসেন মিলনের কাছে পাওনা টাকা চাইতে গেলে তিনি তাকে ধর্ষণ করেন। ভিকটিম ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। এ ঘটনায় মামলা দায়েরের বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন।

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : prottashasmf@yahoo.com
আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

পাওনা টাকা চাইতে গিয়ে ধর্ষণের শিকার

আপডেট সময় : ১২:৫১:৪০ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২ ফেব্রুয়ারী ২০২৩

নোয়াখালী প্রতিনিধি : নোয়াখালী সদরে পাওনা টাকা চাইতে গিয়ে ধর্ষণের শিকার হয়েছেন বলে অভিযোগ তুলেছেন এক নারী (৪২)। অভিযুক্ত তারই সাবেক স্বামী মোজাম্মেল হোসেন মিলন (৫০)। গতকাল বুধবার বিকেল ৪টার দিকে উপজেলার দাদপুর ইউনিয়নের খলিফার হাট সংলগ্ন একটি গ্যারেজে এ ঘটনা ঘটে। অভিযুক্ত মোজাম্মেল হোসেন মিলন উপজেলার দাদপুর ইউনিয়নের বারাহীপুর দিঘী সংলগ্ন এলাকার বাসিন্দা। পুলিশ ও অভিযোগ সূত্র জানায়, কয়েক বছর আগে ভিকটিম সৌদি আরব থাকাকালীন মোজাম্মেল হোসেন মিলনকে বিয়ে করেন। এ সময় তিনি স্বামী মিলনের কাছে কয়েক ধাপে ১০ লাখ টাকা জমা রাখেন। একপর্যায়ে দাম্পত্য কলহের জেরে তাদের বিবাহ বিচ্ছেদ হয় এবং দেশে ফিরে আসেন দুজনেই। বুধবার (১ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে ভিকটিম পাওনা টাকা আদায়ের জন্য ঢাকা থেকে উপজেলার দাদপুর ইউনিয়নের খলিফার হাট এলাকায় আসেন। সেখানে সাবেক স্বামী মিলন তাকে একটি গ্যারেজে নিয়ে ধর্ষণ করেন। পরে ভিকটিমকে ঘটনাস্থল থেকে স্থানীয় লোকজন গাড়িতে তুলে দেন। গাড়িতে ওঠার পর ভিকটিম অসুস্থ হয়ে পড়লে তিনি চিকিৎসার জন্য জেলার সোনাইমুড়ী উপজেলার বজরা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে যান। একপর্যায়ে কর্তব্যরত চিকিৎসক বিষয়টি সোনাইমুডী থানা পুলিশকে অবহিত করেন। সোনাইমুড়ী থানা পুলিশ হাসপাতালে গিয়ে বিস্তারিত জেনে ঘটনাস্থল সুধারাম থানা এলাকায় হওয়ায় ভিকটিমকে নোয়াখালী সদর হাসপাতালে রেফার করেন। দাদপুর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান শিপন জানান, মিলনের সঙ্গে এক নারীর ঝগড়া হয়েছে বলে শুনেছি। তবে ধর্ষণের কোনো ঘটনা ঘটেছে কি-না, এ বিষয়ে আমি নিশ্চিত নই। সুধারাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আনোয়ারুল ইসলাম জানান, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। ভুক্তভোগী নারী মৌখিকভাবে পুলিশকে জানিয়েছে যে, তার সাবেক স্বামী মোজাম্মেল হোসেন মিলনের কাছে পাওনা টাকা চাইতে গেলে তিনি তাকে ধর্ষণ করেন। ভিকটিম ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। এ ঘটনায় মামলা দায়েরের বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন।