ঢাকা ১০:০৭ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৭ নভেম্বর ২০২৫

সংকটেও রপ্তানি আয় বাড়লো ৫.৮৯ শতাংশ

  • আপডেট সময় : ১১:৫২:০৭ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২ ফেব্রুয়ারী ২০২৩
  • ১৩৫ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক : মহামারি ও রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের ফলে অর্থনৈতিক সংকটে রয়েছে বিশ্ব। ২০২২ সালটা কেটেছে এই সংকটেই। বাংলাদেশও এর বাইরে নয়। এরমধ্যে নতুন বছরের শুরুতেই দেশে গ্যাস-বিদ্যুতের দাম বৃদ্ধি ব্যবসায়ীদের আরও বিপাকে ফেলেছে। এর মাঝে কিছুটা সুখবর মিলেছে। চলতি বছরের জানুয়ারিতে রপ্তানি আয়ে প্রবৃদ্ধি হয়েছে। প্রবৃদ্ধি হলেও লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করা সম্ভব হয়নি। দেখা গেছে, জানুয়ারিতে রপ্তানিকারকরা আয় করেছেন ৫১৩ কোটি ৬২ লাখ ডলার (৫ দশমিক ১৩ বিলিয়ন ডলার)। যা গত বছরের একই সময়ের তুলনায় ৫ দশমিক ৮৯ শতাংশ বেশি। যদিও এই আয় লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ২ দশমিক ২০ শতাংশ কম। ডিসেম্বরে রপ্তানি আয়ের লক্ষ্যমাত্রা ছিল পাঁচ হাজার ২৪৬ কোটি টাকা। বৃহস্পতিবার (২ ফেব্রুয়ারি) রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবির) হালনাগাদ প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে। সংস্থাটির তথ্য বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, (জুলাই-জানুয়ারি) এই সাত মাসে তৈরি পোশাক ছাড়া অন্য পণ্যে প্রবৃদ্ধি হয়নি। এই সাত মাসে মোট দুই হাজার ৭৪১ কোটি ডলারের তৈরি পোশাক রপ্তানি হয়েছে। যা মোট রপ্তানি আয়ের ৮৪ দশমিক ৫০ শতাংশ। গত অর্থবছরের তুলনায় এ খাতে প্রবৃদ্ধি হয়েছে ১৪ দশমিক ৩১ শতাংশ। একইভাবে চামড়াজাত পণ্যে ৭ দশমিক ৩৭ শতাংশ ও প্লাস্টিক পণ্যে ৪০ দশমিক ১০ শতাংশ প্রবৃদ্ধি হয়েছে। আর গত বছরের একই সময়ের তুলনায় এবার কৃষিপণ্য ২৫ দশমিক ৮৬ শতাংশ, হিমায়িত মাছে ২২ দশমিক ৩৯ শতাংশ, হস্তশিল্পে ৩৪ দশমিক ১০ শতাংশ, পাটজাত পণ্য ২১ দশমিক ২২ শতাংশ এবং কাঁচ পণ্যের রপ্তানি ৪৭ দশমিক ৮৮ শতাংশ কমেছে। ২০২২-২৩ অর্থবছরে রপ্তানি আয়ের লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে ৫৮ বিলিয়ন ডলার।

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : prottashasmf@yahoo.com
আপলোডকারীর তথ্য

সংকটেও রপ্তানি আয় বাড়লো ৫.৮৯ শতাংশ

আপডেট সময় : ১১:৫২:০৭ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২ ফেব্রুয়ারী ২০২৩

নিজস্ব প্রতিবেদক : মহামারি ও রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের ফলে অর্থনৈতিক সংকটে রয়েছে বিশ্ব। ২০২২ সালটা কেটেছে এই সংকটেই। বাংলাদেশও এর বাইরে নয়। এরমধ্যে নতুন বছরের শুরুতেই দেশে গ্যাস-বিদ্যুতের দাম বৃদ্ধি ব্যবসায়ীদের আরও বিপাকে ফেলেছে। এর মাঝে কিছুটা সুখবর মিলেছে। চলতি বছরের জানুয়ারিতে রপ্তানি আয়ে প্রবৃদ্ধি হয়েছে। প্রবৃদ্ধি হলেও লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করা সম্ভব হয়নি। দেখা গেছে, জানুয়ারিতে রপ্তানিকারকরা আয় করেছেন ৫১৩ কোটি ৬২ লাখ ডলার (৫ দশমিক ১৩ বিলিয়ন ডলার)। যা গত বছরের একই সময়ের তুলনায় ৫ দশমিক ৮৯ শতাংশ বেশি। যদিও এই আয় লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ২ দশমিক ২০ শতাংশ কম। ডিসেম্বরে রপ্তানি আয়ের লক্ষ্যমাত্রা ছিল পাঁচ হাজার ২৪৬ কোটি টাকা। বৃহস্পতিবার (২ ফেব্রুয়ারি) রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবির) হালনাগাদ প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে। সংস্থাটির তথ্য বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, (জুলাই-জানুয়ারি) এই সাত মাসে তৈরি পোশাক ছাড়া অন্য পণ্যে প্রবৃদ্ধি হয়নি। এই সাত মাসে মোট দুই হাজার ৭৪১ কোটি ডলারের তৈরি পোশাক রপ্তানি হয়েছে। যা মোট রপ্তানি আয়ের ৮৪ দশমিক ৫০ শতাংশ। গত অর্থবছরের তুলনায় এ খাতে প্রবৃদ্ধি হয়েছে ১৪ দশমিক ৩১ শতাংশ। একইভাবে চামড়াজাত পণ্যে ৭ দশমিক ৩৭ শতাংশ ও প্লাস্টিক পণ্যে ৪০ দশমিক ১০ শতাংশ প্রবৃদ্ধি হয়েছে। আর গত বছরের একই সময়ের তুলনায় এবার কৃষিপণ্য ২৫ দশমিক ৮৬ শতাংশ, হিমায়িত মাছে ২২ দশমিক ৩৯ শতাংশ, হস্তশিল্পে ৩৪ দশমিক ১০ শতাংশ, পাটজাত পণ্য ২১ দশমিক ২২ শতাংশ এবং কাঁচ পণ্যের রপ্তানি ৪৭ দশমিক ৮৮ শতাংশ কমেছে। ২০২২-২৩ অর্থবছরে রপ্তানি আয়ের লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে ৫৮ বিলিয়ন ডলার।