ঢাকা ০৫:০৬ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১০ অক্টোবর ২০২৫

বাস চালানোর আড়ালে ঢাকায় আইস আনতেন সেন্টমার্টিনের চালক

  • আপডেট সময় : ০১:৪৯:০৬ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৫ জানুয়ারী ২০২৩
  • ১৪৩ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক : সেন্টমার্টিন পরিবহনের বাসচালক মো. জাহাঙ্গীর আলম। বাস চালানোর আড়ালে জাহাঙ্গীর কক্সবাজার টেকনাফ হয়ে ঢাকায় নিয়ে আসেন আইস বা ক্রিস্টাল মেথসহ বিভিন্ন ধরনের মাদক। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে জাহাঙ্গীর ও তার সহকারী মো. মেহেদী হাসানকে গ্রেফতার করেছেন মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের ঢাকা গোয়েন্দা ইউনিট। এসময় তাদের কাছ থেকে এক কেজি সাতশ গ্রাম আইস উদ্ধার করা হয়।
গতকাল বুধবার দুপুরে গেন্ডারিয়া মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের দক্ষিণ কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান অধিদপ্তরের অতিরিক্ত পরিচালক আল আমিন। তিনি বলেন, মঙ্গলবার (২৪ জানুয়ারি) বিকেলে যাত্রাবাড়ীর উত্তর সায়েদাবাদ হাজী বোরহান উদ্দিন টাওয়ার এলাকায় অভিযান চালিয়ে জাহাঙ্গীর ও তার সহকারী মো. মেহেদী হাসানকে গ্রেফতার করা হয়। এসময় তাদের কাছ থেকে এক কেজি সাতশ গ্রাম ভয়ংকর মাদক আইস জব্দ করা হয়। টেকনাফ সিন্ডিকেটের মাধ্যমে আইস রাজধানীতে নিয়ে আসেন জাহাঙ্গীর। তিনি আইস পাচারকারীর মূলহোতাও। পাশাপাশি তিনি সেন্টমার্টিন পরিবহনের বাসচালকও। মূলত বাস চালানোর আড়ালে তিনি এসব মাদক কক্সবাজার টেকনাফ হয়ে ঢাকায় নিয়ে আসেন।
আল আমিন বলেন, জাহাঙ্গীর ২০১৫ সাল থেকে ইয়াবা ও ২০২০ সাল থেকে আইস পাচারের সঙ্গে জড়িত হন। আগে টেকনাফ সীমান্ত থেকে ইয়াবা ও আইস ঢাকায় পৌঁছে দেওয়ার কাজ করতেন। পরে নিজেই টেকনাফ থেকে ইয়াবা ও আইস ঢাকা এনে বিক্রির জন্য একটি সংঘবদ্ধ চক্র গড়ে তোলেন। ইয়াবা থেকে আইসের বাজার মূল্য বেশি হওয়ায় আইস পাচার ও বিক্রি জন্য আলাদা সিন্ডিকেট গড়ে তোলেন জাহাঙ্গীর। পরে তার সহযোগী গ্রেফতার মেহেদী হাসানের মাধ্যমে সরাসরি মাদক সেবনকারীদের কাছে পৌঁছে দিতেন। আগে জাহাঙ্গীর মাদক বিক্রির কাজে জড়িত থাকার অভিযোগে চারবার গ্রেফতার হয়েছিলেন। উদ্ধার করা আইসের বাজার মূল্য কেজি প্রতি ৫০ থেকে ৬০ লাখ টাকা পর্যন্ত। যার প্রতি গ্রাম পাঁচ থেকে ছয় হাজার টাকা।
এক প্রশ্নের জবাবে অতিরিক্ত পরিচালক বলেন, আইস মূলত উচ্চমূল্যের মাদক। এ কারণে অভিজাত এলাকার ক্রেতারাই এটি বেশি সেবন করে। আইস ঢাকার ভেতরেই বেশি ব্যবহার হয়। গ্রাম বা মফস্বলে এখনো এর বিস্তার ঘটেনি। তবে এ ধরনের মাদক যেন সারাদেশে মাদক কারবারিরা পাচার বা বিক্রি করতে না পারেন সেজন্য মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের গোয়েন্দা কার্যক্রম অব্যাহত আছে। গ্রেফতারদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের প্রক্রিয়াধীন বলে জানিয়েছেন তিনি।

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : prottashasmf@yahoo.com
আপলোডকারীর তথ্য

অনেক বছর পর সত্যিকারের গণতান্ত্রিক ভোট হবে: প্রধান উপদেষ্টা

বাস চালানোর আড়ালে ঢাকায় আইস আনতেন সেন্টমার্টিনের চালক

আপডেট সময় : ০১:৪৯:০৬ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৫ জানুয়ারী ২০২৩

নিজস্ব প্রতিবেদক : সেন্টমার্টিন পরিবহনের বাসচালক মো. জাহাঙ্গীর আলম। বাস চালানোর আড়ালে জাহাঙ্গীর কক্সবাজার টেকনাফ হয়ে ঢাকায় নিয়ে আসেন আইস বা ক্রিস্টাল মেথসহ বিভিন্ন ধরনের মাদক। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে জাহাঙ্গীর ও তার সহকারী মো. মেহেদী হাসানকে গ্রেফতার করেছেন মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের ঢাকা গোয়েন্দা ইউনিট। এসময় তাদের কাছ থেকে এক কেজি সাতশ গ্রাম আইস উদ্ধার করা হয়।
গতকাল বুধবার দুপুরে গেন্ডারিয়া মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের দক্ষিণ কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান অধিদপ্তরের অতিরিক্ত পরিচালক আল আমিন। তিনি বলেন, মঙ্গলবার (২৪ জানুয়ারি) বিকেলে যাত্রাবাড়ীর উত্তর সায়েদাবাদ হাজী বোরহান উদ্দিন টাওয়ার এলাকায় অভিযান চালিয়ে জাহাঙ্গীর ও তার সহকারী মো. মেহেদী হাসানকে গ্রেফতার করা হয়। এসময় তাদের কাছ থেকে এক কেজি সাতশ গ্রাম ভয়ংকর মাদক আইস জব্দ করা হয়। টেকনাফ সিন্ডিকেটের মাধ্যমে আইস রাজধানীতে নিয়ে আসেন জাহাঙ্গীর। তিনি আইস পাচারকারীর মূলহোতাও। পাশাপাশি তিনি সেন্টমার্টিন পরিবহনের বাসচালকও। মূলত বাস চালানোর আড়ালে তিনি এসব মাদক কক্সবাজার টেকনাফ হয়ে ঢাকায় নিয়ে আসেন।
আল আমিন বলেন, জাহাঙ্গীর ২০১৫ সাল থেকে ইয়াবা ও ২০২০ সাল থেকে আইস পাচারের সঙ্গে জড়িত হন। আগে টেকনাফ সীমান্ত থেকে ইয়াবা ও আইস ঢাকায় পৌঁছে দেওয়ার কাজ করতেন। পরে নিজেই টেকনাফ থেকে ইয়াবা ও আইস ঢাকা এনে বিক্রির জন্য একটি সংঘবদ্ধ চক্র গড়ে তোলেন। ইয়াবা থেকে আইসের বাজার মূল্য বেশি হওয়ায় আইস পাচার ও বিক্রি জন্য আলাদা সিন্ডিকেট গড়ে তোলেন জাহাঙ্গীর। পরে তার সহযোগী গ্রেফতার মেহেদী হাসানের মাধ্যমে সরাসরি মাদক সেবনকারীদের কাছে পৌঁছে দিতেন। আগে জাহাঙ্গীর মাদক বিক্রির কাজে জড়িত থাকার অভিযোগে চারবার গ্রেফতার হয়েছিলেন। উদ্ধার করা আইসের বাজার মূল্য কেজি প্রতি ৫০ থেকে ৬০ লাখ টাকা পর্যন্ত। যার প্রতি গ্রাম পাঁচ থেকে ছয় হাজার টাকা।
এক প্রশ্নের জবাবে অতিরিক্ত পরিচালক বলেন, আইস মূলত উচ্চমূল্যের মাদক। এ কারণে অভিজাত এলাকার ক্রেতারাই এটি বেশি সেবন করে। আইস ঢাকার ভেতরেই বেশি ব্যবহার হয়। গ্রাম বা মফস্বলে এখনো এর বিস্তার ঘটেনি। তবে এ ধরনের মাদক যেন সারাদেশে মাদক কারবারিরা পাচার বা বিক্রি করতে না পারেন সেজন্য মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের গোয়েন্দা কার্যক্রম অব্যাহত আছে। গ্রেফতারদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের প্রক্রিয়াধীন বলে জানিয়েছেন তিনি।