নিজস্ব প্রতিবেদক : বর্তমান সরকারের পদত্যাগ, সংসদ বিলুপ্ত করা ও নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচনসহ ১০ দফা দাবির পাশাপাশি গ্রাহক পর্যায়ে বিদ্যুতের দাম কমানোর দাবিতে আগামী ২৫ জানুয়ারি সারাদেশে সমাবেশ করবে বিএনপি।
গতকাল সোমবার রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির বিক্ষোভ সমাবেশে এ কর্মসূচি ঘোষণা দেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন। সমাবেশের পর ১০ দফা দাবি আদায় ও বিদ্যুতের মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল করেন দলের নেতাকর্মীরা। বিকাল সোয়া ৪টার দিকে এ মিছিল শুরু হয়। মিছিলটি নাইটিঙ্গেল মোড় থেকে ফকিরাপুল পর্যন্ত সংক্ষিপ্ত হয় বলে দলের নেতারা জানিয়েছেন। সরকারবিরোধী যুগপৎ আন্দোলনের অংশ হিসেবে বিএনপি সোমবার এই মিছিল-সমাবেশ করে। নির্দলীয়–নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থাসহ পূর্বঘোষিত ১০ দফা দাবির সঙ্গে বিদ্যুতের মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদে এই কর্মসূচি পালন করছে দলটি। সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, এই সরকার মেগা প্রজেক্ট করে মেগা দুর্নীতি করার সুযোগ করে দিয়েছে। আপনারা দেখেছেন বাংলাদেশ ব্যাংক প্রকাশ করতে বাধ্য হয়েছে গত ১০ বছরে প্রায় দশ লাখ কোটি টাকার বেশি বিদেশে পাচার হয়েছে। আমরা মনে করি আন্ডার ইনভয়েস-ওভার ইনভয়েস করে এই টাকা আওয়ামী লীগ সিন্ডিকেটের ব্যবসায়ীরা বিদেশে পাচার করেছে। তিনি বলেন, আজকে ব্যাংকে ভোক্তা পর্যায়ে সুদের হার বৃদ্ধি করে তারা (সরকার) আইএমএফকে খুশি করতে চায়। কিন্তু আইএমএফ বলেছে তারা খুশি নয়। তারা আরও সংস্কার দেখতে চায়। তার অর্থ হচ্ছে আজকে আইএমএফ-ও বুঝতে পেরেছে যে এই বাংলাদেশের টাকা বিদেশে চলে গেছে। যার জন্য আজকে ডলারের সংকট, ব্যাংকগুলোতে তারল্যের সংকট। সরকার কোনো রকমে আর ধামাচাপা দিতে পারছে না।
উচ্চ ট্যাক্স, উচ্চ বিলের মাধ্যমে টাকা লুট করা হচ্ছে: বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, দেশের মানুষের ক্রয় ক্ষমতা সর্বনিম্মে নেমে এসেছে। আজকে সাধারণ মানুষের কাছ থেকে উচ্চ ট্যাক্স, উচ্চ বিলের মাধ্যমে টাকা লুট করা হচ্ছে। আর এ টাকা ভোট চোরদের কাছে যাচ্ছে। তারা ১০ হাজার কোটি টাকার কাজ ৩০ হাজার কোটি টাকা করে লুট করে নিয়ে যাচ্ছে। আমীর খসরু বলেন, বিদেশ গমন, বিভিন্ন প্রকল্পের নামে জনগণের টাকা চুরি হচ্ছে। লাখ লাখ কোটি টাকা বিদেশে পাচার হচ্ছে। এই লুটপাট আগামীতে আর করতে দেয়া হবে না। এখন দুবাই, কানাডা, লন্ডনে তাদের সম্পত্তি প্রকাশ পাচ্ছে। সব কিছুর বিচার হবে। তিনি বলেন, নেতাদের গ্রেপ্তার করে, অত্যাচার করে আন্দোলন দমানোর সুযেগ নেই। আজকে আন্দোলন বাংলাদেশের জনগণের হাতে চলে গেছে। আগামী যে আন্দোলনের কর্মসূচি আসবে তাতে এ সরকার বিদায় নিতে বাধ্য হবে।
মহানগর উত্তর বিএনপির আহ্বায়ক আমান উল্লাহ আমানের সভাপতিত্বে ও সদস্য সচিব আমিনুল হক ও রফিকুল আলম মজনুর পরিচালনায় সমাবেশে আরও বক্তব্য দেন বিএনপির কয়েকজন কেন্দ্রীয় নেতা।
বিদ্যুতের দাম কমানোর দাবিতে সারাদেশে বিএনপির সমাবেশ ২৫ জানুয়ারি
ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ