ঢাকা ০১:১৯ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৪ মে ২০২৫

পথের ধুলায় মলিন জীবন

  • আপডেট সময় : ১১:১৬:৫৭ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ৪ জানুয়ারী ২০২৩
  • ১০৪ বার পড়া হয়েছে

গার্গী তনুশ্রী পাল : পথ চলতে চলতে আমি অনেক মাকেই দেখেছি যারা মানসিক ভারসাম্যহীন।পথেই তাদের বসবাস। শিশু সন্তানদের নিয়ে যারা মানবেতর জীবন যাপন করছেন। রাজধানীর অভিজাত এলাকা বনানীর ফুটপাতে এমনই এক মা ও তার চা সন্তানের সঙ্গে দেখা হয় আমার। যখন আমি তাদের পাশে দাঁড়ালাম তখন তারা ভাঙা প্লাষ্টিকের পাত্রে রাখা ময়লা, বাসি, পচা কিছু খাবার কাড়াকাড়ি করে খাচ্ছিল। খাবার দেখিয়ে এই মায়ের আট-দশ বছর বয়সী বড় ছেলেটি বলল, “বালা খাওন।” দুম করে আমার চিন্তায় ছেদ পড়ল। কোন খাবারকে ভালো বলছে এই শিশু?
নিজের কিংবা সন্তানের কারো নাম-ধাম কিছুই বলতে পারেন না এই মা কথা বলার সময় শুধুই বললে, তার বাড়ি অনেক দূর, গৌড়িতলা। কথা বলার সময় কখনো ওড়না দিয়ে মুখ ঢাকেন, কখনো বা বহুদিন ব্রাশ না করা হলুদ হয়ে যাওয়া দাঁত বের করে হাসেন। দেখে মনে হলো চার শিশু সন্তান ও এই মা শারিরীক ও মানসিকভাবে অসুস্থ।সারা শরীর নোংরা হয়ে আছে সবার। কারো হয়তো গোসল করা হয় না অনেক দিন।পথের ধুলাবালিতে মলিন আর অস্বাস্থ্যকর জীবন যাপন। বড় ছেলেটি নিজের নাম বলল, “আবুইল্যা।” নাম হয়তো আবুল।মানুষের অবজ্ঞা করে ডাকা আবুইল্যা নামটিকেই সে নিজের বলে ভাবছে। পথের পাশে পরে থাকা আশ্রয়হীন ও অনাহারী এই মা ও শিশুদের পুনর্বাসন কি হবে? তারা কি পাবে সুন্দর ভাবে বাঁচার অধিকার? যুদ্ধ, রাজনীতি, দুর্নীতি ভেঙে কবে বিশ্ববাসী এক হবে প্রতিটি শিশুর, জন্য কবে পাব আমরা শিশুবান্ধব পৃথিবী? প্রতিবেদকের বয়স: ১৩। জেলা: ঢাকা।
সৌজন্যে: বিডিনিউজের শিশু সাংবাদিকতা বিভাগ ‘হ্যালো’।

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

প্রধান উপদেষ্টা হতাশ-ক্ষুব্ধ, ‘পদত্যাগ’ নিয়ে আলোচনা

পথের ধুলায় মলিন জীবন

আপডেট সময় : ১১:১৬:৫৭ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ৪ জানুয়ারী ২০২৩

গার্গী তনুশ্রী পাল : পথ চলতে চলতে আমি অনেক মাকেই দেখেছি যারা মানসিক ভারসাম্যহীন।পথেই তাদের বসবাস। শিশু সন্তানদের নিয়ে যারা মানবেতর জীবন যাপন করছেন। রাজধানীর অভিজাত এলাকা বনানীর ফুটপাতে এমনই এক মা ও তার চা সন্তানের সঙ্গে দেখা হয় আমার। যখন আমি তাদের পাশে দাঁড়ালাম তখন তারা ভাঙা প্লাষ্টিকের পাত্রে রাখা ময়লা, বাসি, পচা কিছু খাবার কাড়াকাড়ি করে খাচ্ছিল। খাবার দেখিয়ে এই মায়ের আট-দশ বছর বয়সী বড় ছেলেটি বলল, “বালা খাওন।” দুম করে আমার চিন্তায় ছেদ পড়ল। কোন খাবারকে ভালো বলছে এই শিশু?
নিজের কিংবা সন্তানের কারো নাম-ধাম কিছুই বলতে পারেন না এই মা কথা বলার সময় শুধুই বললে, তার বাড়ি অনেক দূর, গৌড়িতলা। কথা বলার সময় কখনো ওড়না দিয়ে মুখ ঢাকেন, কখনো বা বহুদিন ব্রাশ না করা হলুদ হয়ে যাওয়া দাঁত বের করে হাসেন। দেখে মনে হলো চার শিশু সন্তান ও এই মা শারিরীক ও মানসিকভাবে অসুস্থ।সারা শরীর নোংরা হয়ে আছে সবার। কারো হয়তো গোসল করা হয় না অনেক দিন।পথের ধুলাবালিতে মলিন আর অস্বাস্থ্যকর জীবন যাপন। বড় ছেলেটি নিজের নাম বলল, “আবুইল্যা।” নাম হয়তো আবুল।মানুষের অবজ্ঞা করে ডাকা আবুইল্যা নামটিকেই সে নিজের বলে ভাবছে। পথের পাশে পরে থাকা আশ্রয়হীন ও অনাহারী এই মা ও শিশুদের পুনর্বাসন কি হবে? তারা কি পাবে সুন্দর ভাবে বাঁচার অধিকার? যুদ্ধ, রাজনীতি, দুর্নীতি ভেঙে কবে বিশ্ববাসী এক হবে প্রতিটি শিশুর, জন্য কবে পাব আমরা শিশুবান্ধব পৃথিবী? প্রতিবেদকের বয়স: ১৩। জেলা: ঢাকা।
সৌজন্যে: বিডিনিউজের শিশু সাংবাদিকতা বিভাগ ‘হ্যালো’।