ঢাকা ০৯:৩৫ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৩ জুলাই ২০২৫

বাবুল আক্তারের বাবা ও ভাইয়ের জামিন

  • আপডেট সময় : ০১:৫৯:২৬ অপরাহ্ন, সোমবার, ২ জানুয়ারী ২০২৩
  • ৯৫ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক : পিবিআই প্রধান বনজ কুমার মজুমদারের করা ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলায় জামিন পেয়েছেন পুলিশের সাবেক এসপি বাবুল আক্তারের বাবা মো. আব্দুল ওয়াদুদ মিয়া ও ভাই মো. হাবিবুর রহমান লাবু।
গতকাল সোমবার ঢাকার সাইবার ট্রাইব্যুনালে আত্মসমর্পণ করে তারা জামিনের আবেদন করলে বিচারক জুলফিকার হায়াত পুলিশ প্রতিবেদন দাখিল পর্যন্ত তাদের জামিন মঞ্জুর করেন। এ মামলায় উচ্চ আদালত থেকে আগেই জামিন পেয়েছিলেন বাবুল আক্তারের বাবা ও ভাই। সেই জামিনের মেয়াদ শেষ হওয়ায় তারা আত্মসমর্পণ করে নতুন করে জামিনের আবেদন করেন। বাবুল আক্তার এ মামলায় গ্রেপ্তার রয়েছেন। অপর আসামি প্রবাসী ইউটিউবার ইলিয়াস হোসাইনকে পলাতক দেখানো হয়েছে। আগামী ১২ জানুয়ারি এ মামলায় তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের দিন ধার্য রয়েছে বলে ট্রাইবুনালের পেশকার শামীম আল মামুন সাংবাদিকদের জানিয়েছেন।
পিবিআই প্রধান বনজ কুমার মজুমদারের পক্ষে গত ২৭ সেপ্টেম্বর ঢাকার ধানম-ি থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে ওই মামলা করেন পিবিআই ঢাকা মেট্রো উত্তরের পুলিশ সুপার জাহাঙ্গীর আলম। চট্টগ্রামের মাহমুদা আক্তার মিতু হত্যাকা-ের আসামি, তার স্বামী সাবেক পুলিশ সুপার বাবুল আক্তারসহ চারজনকে সেখানে আসামি করা হয়। মিতু হত্যা মামলায় ‘স্বীকারোক্তি আদায়ে’হেফাজতে নির্যাতনের অভিযোগ তুলে এর আগে পিবিআই প্রধান বনজ কুমারসহ ছয় পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে আদালতে মামলার আবেদন করেছিলেন বাবুল আক্তার। সেই আবেদন আদালত খারিজ করে দেওয়ার দুই দিনের মাথায় বাবুলের বিরুদ্ধে মামলা করেন অতিরিক্ত আইজিপি বনজ কুমার। ছয় বছর আগে মিতু হত্যার ঘটনায় তার স্বামী বাবুল আক্তার যে মামলা করেছিলেন, সেই মামলায় তার বিরুদ্ধেই অভিযোগপত্র দিয়েছে পিবিআই। ২০২১ সালের মে মাসে গ্রেপ্তার হওয়ার পর থেকে তিনি কারাগারে আছেন। পিবিআই প্রধানের করা মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, কারাগারে আটক থাকা সাবেক এই পুলিশ কর্মকর্তা মিতু হত্যা মামলার তদন্ত ‘ভিন্নখাতে প্রবাহিত করাসহ’ বাংলাদেশ পুলিশ ও পিবিআইয়ের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করার জন্য দেশে ও বিদেশে অবস্থানরত আসামিদের নিয়ে ‘অপরাধমূলক বিভিন্ন অপকৌশল এবং ষড়যন্ত্রের’ আশ্রয় গ্রহণ করছেন।

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

বাবুল আক্তারের বাবা ও ভাইয়ের জামিন

আপডেট সময় : ০১:৫৯:২৬ অপরাহ্ন, সোমবার, ২ জানুয়ারী ২০২৩

নিজস্ব প্রতিবেদক : পিবিআই প্রধান বনজ কুমার মজুমদারের করা ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলায় জামিন পেয়েছেন পুলিশের সাবেক এসপি বাবুল আক্তারের বাবা মো. আব্দুল ওয়াদুদ মিয়া ও ভাই মো. হাবিবুর রহমান লাবু।
গতকাল সোমবার ঢাকার সাইবার ট্রাইব্যুনালে আত্মসমর্পণ করে তারা জামিনের আবেদন করলে বিচারক জুলফিকার হায়াত পুলিশ প্রতিবেদন দাখিল পর্যন্ত তাদের জামিন মঞ্জুর করেন। এ মামলায় উচ্চ আদালত থেকে আগেই জামিন পেয়েছিলেন বাবুল আক্তারের বাবা ও ভাই। সেই জামিনের মেয়াদ শেষ হওয়ায় তারা আত্মসমর্পণ করে নতুন করে জামিনের আবেদন করেন। বাবুল আক্তার এ মামলায় গ্রেপ্তার রয়েছেন। অপর আসামি প্রবাসী ইউটিউবার ইলিয়াস হোসাইনকে পলাতক দেখানো হয়েছে। আগামী ১২ জানুয়ারি এ মামলায় তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের দিন ধার্য রয়েছে বলে ট্রাইবুনালের পেশকার শামীম আল মামুন সাংবাদিকদের জানিয়েছেন।
পিবিআই প্রধান বনজ কুমার মজুমদারের পক্ষে গত ২৭ সেপ্টেম্বর ঢাকার ধানম-ি থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে ওই মামলা করেন পিবিআই ঢাকা মেট্রো উত্তরের পুলিশ সুপার জাহাঙ্গীর আলম। চট্টগ্রামের মাহমুদা আক্তার মিতু হত্যাকা-ের আসামি, তার স্বামী সাবেক পুলিশ সুপার বাবুল আক্তারসহ চারজনকে সেখানে আসামি করা হয়। মিতু হত্যা মামলায় ‘স্বীকারোক্তি আদায়ে’হেফাজতে নির্যাতনের অভিযোগ তুলে এর আগে পিবিআই প্রধান বনজ কুমারসহ ছয় পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে আদালতে মামলার আবেদন করেছিলেন বাবুল আক্তার। সেই আবেদন আদালত খারিজ করে দেওয়ার দুই দিনের মাথায় বাবুলের বিরুদ্ধে মামলা করেন অতিরিক্ত আইজিপি বনজ কুমার। ছয় বছর আগে মিতু হত্যার ঘটনায় তার স্বামী বাবুল আক্তার যে মামলা করেছিলেন, সেই মামলায় তার বিরুদ্ধেই অভিযোগপত্র দিয়েছে পিবিআই। ২০২১ সালের মে মাসে গ্রেপ্তার হওয়ার পর থেকে তিনি কারাগারে আছেন। পিবিআই প্রধানের করা মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, কারাগারে আটক থাকা সাবেক এই পুলিশ কর্মকর্তা মিতু হত্যা মামলার তদন্ত ‘ভিন্নখাতে প্রবাহিত করাসহ’ বাংলাদেশ পুলিশ ও পিবিআইয়ের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করার জন্য দেশে ও বিদেশে অবস্থানরত আসামিদের নিয়ে ‘অপরাধমূলক বিভিন্ন অপকৌশল এবং ষড়যন্ত্রের’ আশ্রয় গ্রহণ করছেন।