ঢাকা ০৮:৪০ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৮ মে ২০২৫

চট্টগ্রাম কাস্টমে নিয়োগ পরীক্ষায় জালিয়াতি, গ্রেপ্তার ২৩

  • আপডেট সময় : ০১:১৬:৩৬ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৮ ডিসেম্বর ২০২২
  • ৯৭ বার পড়া হয়েছে

চট্টগ্রাম প্রতিনিধি : চট্টগ্রাম কাস্টম হাউসে সিপাহি পদে লিখিত পরীক্ষার জালিয়াতির অভিযোগে ২৩ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তাঁরা জানিয়েছেন, ১০ থেকে ৮০ হাজার টাকার বিনিময়ে ভিন্নজনকে দিয়ে কৌশলে তাঁরা লিখিত পরীক্ষায় জালিয়াতি করিয়েছিলেন।
গত মঙ্গলবার ১৮ জন ও গতকাল বুধবার সকালে ৫ জনকে পাহাড়তলী থানার পুলিশ গ্রেপ্তার দেখায়। এর আগে তাঁদের আটক করে পুলিশের কাছে হস্তান্তর করে কাস্টমস কর্তৃপক্ষ। পাহাড়তলী থানার পরিদর্শক (তদন্ত) রোজিনা খাতুন আজ বুধবার দুপুরে প্রথম আলোকে বলেন, ২৩ জনের নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাতপরিচয় আরও ২৩ জনকে আসামি করে মামলা করেছে কাস্টমস কর্তৃপক্ষ। গ্রেপ্তার ২৩ জনকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। দীর্ঘদিন পর পরীক্ষা হওয়ায় চাকরিপ্রার্থীদের আবেদনের ছবির সঙ্গে বর্তমান চেহারার অনেক পরিবর্তন এসেছে। ফলে এ সুযোগ কাজে লাগিয়ে একটি চক্র মূল প্রার্থীর বদলে অন্যজনকে দিয়ে লিখিত পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করিয়েছে।
কাস্টম হাউস সূত্রে জানা গেছে, ৯৮ জন সিপাহি পদে ৩ হাজার ৩৪৪ জন প্রার্থী অংশ নিয়েছিলেন। তাঁদের মধ্যে উত্তীর্ণ ৩৫০ জন প্রার্থী গত সোম, মঙ্গল ও আজ বুধবার মৌখিক পরীক্ষায় অংশ নেন। লিখিত পরীক্ষায় জালিয়াতির বিষয়টি মৌখিক পরীক্ষার সময় ধরা পড়ায় ২৩ জনকে আটক করা হয়েছে বলে জানান নিয়োগ পরীক্ষায় সঙ্গে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা।
কাস্টমস কর্মকর্তারা বলছেন, মূলত ২০১৪ ও ২০১৭ সালে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হলেও নানা আইনি জটিলতায় পরীক্ষা সম্পন্ন করা যাচ্ছিল না। দীর্ঘদিন পর পরীক্ষা হওয়ায় চাকরিপ্রার্থীদের আবেদনের ছবির সঙ্গে বর্তমান চেহারার অনেক পরিবর্তন এসেছে। ফলে এ সুযোগ কাজে লাগিয়ে একটি চক্র মূল প্রার্থীর বদলে অন্যজনকে দিয়ে লিখিত পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করিয়েছে। মৌখিক পরীক্ষা দিতে আসা পরীক্ষার্থীদের হাতের লেখার সঙ্গে লিখিত পরীক্ষার লেখার মিল না পাওয়ায় তাঁদের আটক করা হয়েছে। মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, প্রাথমিকভাবে ১৮ জন প্রার্থীর মৌখিক পরীক্ষা নেওয়ার সময় তাঁদের হাতের লেখায় গরমিল পরিলক্ষিত হয়। একই সঙ্গে লিখিত পরীক্ষায় খাতায় যেসব প্রশ্নের উত্তর লেখা, সেই প্রশ্নগুলো মৌখিক পরীক্ষায় জানতে চাইলে জবাব দিতে পারেননি। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তাঁরা জানিয়েছেন, ১০ হাজার থেকে ৮০ হাজার টাকার বিনিময়ে কৌশলে অন্যদের লিখিত পরীক্ষায় বসিয়েছেন। চট্টগ্রাম কাস্টম হাউসের যুগ্ম কমিশনার তারেক হাসান সাংবাদিকদের বলেন, লিখিত পরীক্ষার জালিয়াতির বিষয়টি ধরা পড়ায় নিয়োগ কমিটি জড়িত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে থানায় মামলা করেছে।

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

চট্টগ্রাম কাস্টমে নিয়োগ পরীক্ষায় জালিয়াতি, গ্রেপ্তার ২৩

আপডেট সময় : ০১:১৬:৩৬ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৮ ডিসেম্বর ২০২২

চট্টগ্রাম প্রতিনিধি : চট্টগ্রাম কাস্টম হাউসে সিপাহি পদে লিখিত পরীক্ষার জালিয়াতির অভিযোগে ২৩ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তাঁরা জানিয়েছেন, ১০ থেকে ৮০ হাজার টাকার বিনিময়ে ভিন্নজনকে দিয়ে কৌশলে তাঁরা লিখিত পরীক্ষায় জালিয়াতি করিয়েছিলেন।
গত মঙ্গলবার ১৮ জন ও গতকাল বুধবার সকালে ৫ জনকে পাহাড়তলী থানার পুলিশ গ্রেপ্তার দেখায়। এর আগে তাঁদের আটক করে পুলিশের কাছে হস্তান্তর করে কাস্টমস কর্তৃপক্ষ। পাহাড়তলী থানার পরিদর্শক (তদন্ত) রোজিনা খাতুন আজ বুধবার দুপুরে প্রথম আলোকে বলেন, ২৩ জনের নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাতপরিচয় আরও ২৩ জনকে আসামি করে মামলা করেছে কাস্টমস কর্তৃপক্ষ। গ্রেপ্তার ২৩ জনকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। দীর্ঘদিন পর পরীক্ষা হওয়ায় চাকরিপ্রার্থীদের আবেদনের ছবির সঙ্গে বর্তমান চেহারার অনেক পরিবর্তন এসেছে। ফলে এ সুযোগ কাজে লাগিয়ে একটি চক্র মূল প্রার্থীর বদলে অন্যজনকে দিয়ে লিখিত পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করিয়েছে।
কাস্টম হাউস সূত্রে জানা গেছে, ৯৮ জন সিপাহি পদে ৩ হাজার ৩৪৪ জন প্রার্থী অংশ নিয়েছিলেন। তাঁদের মধ্যে উত্তীর্ণ ৩৫০ জন প্রার্থী গত সোম, মঙ্গল ও আজ বুধবার মৌখিক পরীক্ষায় অংশ নেন। লিখিত পরীক্ষায় জালিয়াতির বিষয়টি মৌখিক পরীক্ষার সময় ধরা পড়ায় ২৩ জনকে আটক করা হয়েছে বলে জানান নিয়োগ পরীক্ষায় সঙ্গে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা।
কাস্টমস কর্মকর্তারা বলছেন, মূলত ২০১৪ ও ২০১৭ সালে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হলেও নানা আইনি জটিলতায় পরীক্ষা সম্পন্ন করা যাচ্ছিল না। দীর্ঘদিন পর পরীক্ষা হওয়ায় চাকরিপ্রার্থীদের আবেদনের ছবির সঙ্গে বর্তমান চেহারার অনেক পরিবর্তন এসেছে। ফলে এ সুযোগ কাজে লাগিয়ে একটি চক্র মূল প্রার্থীর বদলে অন্যজনকে দিয়ে লিখিত পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করিয়েছে। মৌখিক পরীক্ষা দিতে আসা পরীক্ষার্থীদের হাতের লেখার সঙ্গে লিখিত পরীক্ষার লেখার মিল না পাওয়ায় তাঁদের আটক করা হয়েছে। মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, প্রাথমিকভাবে ১৮ জন প্রার্থীর মৌখিক পরীক্ষা নেওয়ার সময় তাঁদের হাতের লেখায় গরমিল পরিলক্ষিত হয়। একই সঙ্গে লিখিত পরীক্ষায় খাতায় যেসব প্রশ্নের উত্তর লেখা, সেই প্রশ্নগুলো মৌখিক পরীক্ষায় জানতে চাইলে জবাব দিতে পারেননি। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তাঁরা জানিয়েছেন, ১০ হাজার থেকে ৮০ হাজার টাকার বিনিময়ে কৌশলে অন্যদের লিখিত পরীক্ষায় বসিয়েছেন। চট্টগ্রাম কাস্টম হাউসের যুগ্ম কমিশনার তারেক হাসান সাংবাদিকদের বলেন, লিখিত পরীক্ষার জালিয়াতির বিষয়টি ধরা পড়ায় নিয়োগ কমিটি জড়িত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে থানায় মামলা করেছে।