ঢাকা ০৩:৪৪ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২০ জুলাই ২০২৫

১৩৬ কোটি টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনে এমজিএইচ গ্রুপের এমডির বিরুদ্ধে দুদকের মামলা

  • আপডেট সময় : ০১:১৪:৪৪ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৮ ডিসেম্বর ২০২২
  • ৭৯ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক ; ১৩৬ কোটি টাকা অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে এমজিএইচ গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা এবং বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান আহমেদ গোর্কির বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
গতকাল বুধবার দুদকের ঢাকা সমন্বিত জেলা কার্যালয়ে দুদক উপ-পরিচালক সৈয়দ নজরুল ইসলাম বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন। দুদক সচিব মো. মাহবুব হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। দুদক সচিব বলেন, আসামি আনিস আহমেদের বিরুদ্ধে শত শত কোটি টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনসহ মানিলন্ডারিং সংক্রান্ত অভিযোগটি প্রাথমিকভাবে প্রমাণিত হওয়ায় তার নামে অর্জিত স্থাবর-অস্থাবর সম্পদের হিসাব প্রদানের জন্য কমিশন আদেশ জারি করে। তার দাখিলকৃত সম্পদ বিবরণী পর্যালোচনায় দেখা যায়, তিনি ২০০৮-২০০৯ হতে ২০২১-২০২২ করবর্ষে আয়ের বিভিন্ন উৎসের মধ্যে ২০২০-২১ করবর্ষে ১৩৬ কোটি ২ লাখ ৭৭ হাজার ৪০০ টাকা আয়ের তথ্য প্রদান করেন। তিনি বলেন, আনিস আহমেদ একজন নিয়মিত আয়কর দাতা হলেও উল্লিখিত মোট আয়ের মধ্যে ২০২০-২০২১ করবর্ষের আয়কর নথিতে আয়কর অধ্যাদেশ ১৯৮৪ এর ১৯এএএএএ ধারায় ১৩৬ কোটি টাকা বিনিয়োগ হিসাবে প্রদর্শন করেছেন। কিন্তু আনিস আহমেদ বিনিয়োগ হিসাবে প্রদর্শিত সেই অর্থের সপক্ষে সন্তোষজনক কোনো রেকর্ডপত্র ও তথ্য-প্রমাণাদি উপস্থাপন করতে পারেননি। অনুসন্ধানকালে তার উল্লিখিত আয়ের উৎসের সপক্ষে সন্তোষজনক কোনো তথ্য-প্রমাণও পাওয়া যায়নি অর্থাৎ তিনি অসৎ উদ্দেশ্যে অসাধু উপায়ে অর্জিত শত কোটি টাকার অবৈধ সম্পদকে বৈধ করার অপচেষ্টা করেছেন মর্মে প্রতীয়মান হয়।
দুদক সূত্রে জানা যায়, আনিস আহমেদের বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশন আইন ২০০৪ এর ২৭(১) ধারায় এবং মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইন ২০১২ এর ৪(২) ও ৪(৩) ধারায় অভিযোগ আনা হয়েছে।
অনুসন্ধান কার্যক্রম চলাকালীন অসৎ উদ্দেশ্যে ব্যক্তিস্বার্থে আর্থিকভাবে লাভবান হওয়ায় আসামি দুদকের চলমান অনুসন্ধান কার্যক্রমের অভিযোগ হতে রক্ষা পাওয়ার জন্য বিনিয়োগ হিসাবে উক্ত অর্থ প্রদর্শন করেছেন। জানা গেছে, এমজিএইচ গ্রুপের সিইও আনিস আহমেদ ইস্টার্ন ব্যাংক লিমিটেডের একজন পরিচালক। জাহাজে পণ্য পরিবহন, খুচরা বিপণন, এয়ারলাইন্স রিজার্ভেশন, রিয়েল এস্টেট, পোশক, চা ও রাবার প্লান্টেশন, অটোমোবাইল, ব্যাংকসহ বিভিন্ন খাতে ছড়িয়ে আছে এমজিএইচ গ্রুপের ব্যবসা। এর আগে গত ২০২০ সালের ২০ ফেব্রুয়ারি আনিস আহমেদ গোর্কিকে ‘অবৈধভাবে কোটি কোটি টাকার সম্পদ অর্জন ও অর্থপাচারের’ অভিযোগে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডাকে দুদক। পরে ২৫ ফেব্রুয়ারি দুদকের কার্যালয়ে হাজির হয়ে ৪ ঘণ্টার জিজ্ঞাসাবাদের মুখোমুখি হতে হয় তাকে।

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

১৩৬ কোটি টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনে এমজিএইচ গ্রুপের এমডির বিরুদ্ধে দুদকের মামলা

আপডেট সময় : ০১:১৪:৪৪ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৮ ডিসেম্বর ২০২২

নিজস্ব প্রতিবেদক ; ১৩৬ কোটি টাকা অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে এমজিএইচ গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা এবং বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান আহমেদ গোর্কির বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
গতকাল বুধবার দুদকের ঢাকা সমন্বিত জেলা কার্যালয়ে দুদক উপ-পরিচালক সৈয়দ নজরুল ইসলাম বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন। দুদক সচিব মো. মাহবুব হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। দুদক সচিব বলেন, আসামি আনিস আহমেদের বিরুদ্ধে শত শত কোটি টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনসহ মানিলন্ডারিং সংক্রান্ত অভিযোগটি প্রাথমিকভাবে প্রমাণিত হওয়ায় তার নামে অর্জিত স্থাবর-অস্থাবর সম্পদের হিসাব প্রদানের জন্য কমিশন আদেশ জারি করে। তার দাখিলকৃত সম্পদ বিবরণী পর্যালোচনায় দেখা যায়, তিনি ২০০৮-২০০৯ হতে ২০২১-২০২২ করবর্ষে আয়ের বিভিন্ন উৎসের মধ্যে ২০২০-২১ করবর্ষে ১৩৬ কোটি ২ লাখ ৭৭ হাজার ৪০০ টাকা আয়ের তথ্য প্রদান করেন। তিনি বলেন, আনিস আহমেদ একজন নিয়মিত আয়কর দাতা হলেও উল্লিখিত মোট আয়ের মধ্যে ২০২০-২০২১ করবর্ষের আয়কর নথিতে আয়কর অধ্যাদেশ ১৯৮৪ এর ১৯এএএএএ ধারায় ১৩৬ কোটি টাকা বিনিয়োগ হিসাবে প্রদর্শন করেছেন। কিন্তু আনিস আহমেদ বিনিয়োগ হিসাবে প্রদর্শিত সেই অর্থের সপক্ষে সন্তোষজনক কোনো রেকর্ডপত্র ও তথ্য-প্রমাণাদি উপস্থাপন করতে পারেননি। অনুসন্ধানকালে তার উল্লিখিত আয়ের উৎসের সপক্ষে সন্তোষজনক কোনো তথ্য-প্রমাণও পাওয়া যায়নি অর্থাৎ তিনি অসৎ উদ্দেশ্যে অসাধু উপায়ে অর্জিত শত কোটি টাকার অবৈধ সম্পদকে বৈধ করার অপচেষ্টা করেছেন মর্মে প্রতীয়মান হয়।
দুদক সূত্রে জানা যায়, আনিস আহমেদের বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশন আইন ২০০৪ এর ২৭(১) ধারায় এবং মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইন ২০১২ এর ৪(২) ও ৪(৩) ধারায় অভিযোগ আনা হয়েছে।
অনুসন্ধান কার্যক্রম চলাকালীন অসৎ উদ্দেশ্যে ব্যক্তিস্বার্থে আর্থিকভাবে লাভবান হওয়ায় আসামি দুদকের চলমান অনুসন্ধান কার্যক্রমের অভিযোগ হতে রক্ষা পাওয়ার জন্য বিনিয়োগ হিসাবে উক্ত অর্থ প্রদর্শন করেছেন। জানা গেছে, এমজিএইচ গ্রুপের সিইও আনিস আহমেদ ইস্টার্ন ব্যাংক লিমিটেডের একজন পরিচালক। জাহাজে পণ্য পরিবহন, খুচরা বিপণন, এয়ারলাইন্স রিজার্ভেশন, রিয়েল এস্টেট, পোশক, চা ও রাবার প্লান্টেশন, অটোমোবাইল, ব্যাংকসহ বিভিন্ন খাতে ছড়িয়ে আছে এমজিএইচ গ্রুপের ব্যবসা। এর আগে গত ২০২০ সালের ২০ ফেব্রুয়ারি আনিস আহমেদ গোর্কিকে ‘অবৈধভাবে কোটি কোটি টাকার সম্পদ অর্জন ও অর্থপাচারের’ অভিযোগে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডাকে দুদক। পরে ২৫ ফেব্রুয়ারি দুদকের কার্যালয়ে হাজির হয়ে ৪ ঘণ্টার জিজ্ঞাসাবাদের মুখোমুখি হতে হয় তাকে।