ঢাকা ০৮:৪৫ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২২ জুলাই ২০২৫

‘আমি সারাটা জীবন মুক্তি চেয়েছি’

  • আপডেট সময় : ১২:১৩:৫৩ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৮ ডিসেম্বর ২০২২
  • ৮৩ বার পড়া হয়েছে

বিনোদন প্রতিবেদক : কণ্ঠ বা বাদক; যাই বলেন না কেন, পান্থ কানাই নিজের স্বতন্ত্র অবস্থান বজায় রেখে চলেছেন তিন দশকেরও বেশি সময় ধরে। যেমন মনভরে বাজিয়েছেন তেমনি গেয়েছেন গলা ছেড়ে। সম্প্রতি অভিনয় করেছেন সিনেমাতেও! এমনই এক বহুমাত্রিক শিল্পী আসছে একুশে বইমেলায় হাজির হচ্ছেন নিজের জীবনের গল্প নিয়ে। লিখেছেন ‘আমি মুক্তি চেয়েছিলাম’। বইটি প্রকাশ করবে কিংবদন্তি পাবলিকেশন। চারু পিন্টুর প্রচ্ছদ অলঙ্করণে চলছে বইটির প্রি-অর্ডার। বইটিকে ঘিরে এরমধ্যে সংগীতাঙ্গনে শুরু হয়েছে উচ্ছ্বাসের গল্প। বিশেষকরে প্রচ্ছদ প্রকাশের পর এটি সোশ্যাল হ্যান্ডেলে শেয়ার হচ্ছে দেদার। রেকর্ডিং আর স্টেজ ব্যস্ততার মাঝেও পান্থ কানাই তার ৫০ বছরের জীবনের গল্প লিখতে সময় নিয়েছেন মাত্র ছয় মাস। কিন্তু কেন হঠাৎ নিজের জীবনের গল্প লিখতে বসলেন সদা দুরন্ত গানপাগল কানাই? জবাবে বললেন, ‘হঠাৎ মনে হলো জীবনটাকে খানিক পেছন ফিরে দেখি। দেখতে গিয়ে মনে হলো, অনেক গল্প! যে গল্পগুলো অন্যদেরও জানা দরকার। তাই লিখে ফেললাম।’ বইটির নাম পান্থ রেখেছেন ‘আমি মুক্তি চেয়েছিলাম’। তবে কি তিনি এ জীবনটাকে জেল বলছেন? এখনও কি তবে পরাধীনতার শেকলে বন্দি তিনি। অথচ তার জীবনের দিকে তাকালে মনে হবে, তিনি বরাবরই স্বাধীনচেতা মুক্ত পাখির মতো। বইটির নামকরণ প্রসঙ্গে পান্থ বলেন, ‘আমার জন্ম মুক্তিযুদ্ধের সময়। মনে করি আমি নিজেও একজন যোদ্ধা। মুক্তিবাহিনীরা মুক্তি চেয়েছিল দেশের জন্য, আর আমিও সারাটা জীবন মুক্তি চেয়েছি নিজের জন্য। মুক্তি বলতে কারও হাত থেকে মুক্তি না। আমি আমার চিন্তার মুক্তি চেয়েছি। সারাজীবন মুক্তভাবে ভাবতে পছন্দ করেছি। যখনই কোনোকিছুতে মনে হয়েছে জড়িয়ে যাচ্ছি, তখনই সেখান থেকে বেরিয়ে এসেছি। সমগ্র জীবনে অনেক গান করেছি, অনেক ব্যান্ড করেছি কিন্তু একটা স্পেসিফিক জায়গায় নিজেকে আটকে ফেলিনি। জীবনে প্রায় সব ধরনের নেশাদ্রব্য গ্রহণ করেছি কিন্তু কখনও কোনো নেশাকে জীবনের সঙ্গী করে ফেলিনি। ইচ্ছে হয়েছে নিয়েছি, আসক্ত হওয়ার আগেই ছেড়েছি। জীবনে অনেক প্রেম করেছি কিন্তু নারী লিপ্সু ছিলাম না। প্রেমটাকে সবসময় সুন্দর অনুভূতি হিসেবে নিয়েছি। মূলত সেসব গল্পই কাগজে তুলে ধরার চেষ্টা করেছি এই বইতে।’এদিকে প্রকাশক অঞ্জন হাসান পবন বইটি প্রসঙ্গে বলেন, ‘‘মানুষের জীবন কখনও কখনও সিনেমার চাইতেও রোমাঞ্চকর হতে পারে। এমনই একজন মানুষ পান্থ কানাই, যার জীবনের গল্পের মোড়ে মোড়ে রোমাঞ্চে কেঁপে ওঠে শরীর। কত উত্থান-পতন, কত কত সংগ্রাম― কত বাধা পেরিয়ে একজন পান্থ কানাই হয়ে উঠা! সব কিছু শুনতেই কেমন সিনেমাটিক মনে হয়। ইচ্ছে হয়― ইশ; আমিও যদি এমন একজন পান্থ কানাই হতে পারতাম। কিন্তু নিজের এই ইচ্ছেটা পূরণ করার সাধ্য তো আমার নেই। আমার সাধ্য আছে তার অতি সুন্দর জীবনে ঘটে যাওয়া ঘটনাগুলো বইয়ের পাতায় অক্ষরে অক্ষরে সাজানোর। আমি আমার এই সাধ্যতার প্রয়োগ করেছি― একজন পান্থ কানাইয়ের আত্মজীবনী ‘আমি মুক্তি চেয়েছিলাম’ কালো অক্ষরে ছাপিয়ে পাঠকের কাছে পৌঁছে দিচ্ছি। অমূল্য এই বইটির দাম ধরেছি ৩০০ টাকা মাত্র।’

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

‘আমি সারাটা জীবন মুক্তি চেয়েছি’

আপডেট সময় : ১২:১৩:৫৩ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৮ ডিসেম্বর ২০২২

বিনোদন প্রতিবেদক : কণ্ঠ বা বাদক; যাই বলেন না কেন, পান্থ কানাই নিজের স্বতন্ত্র অবস্থান বজায় রেখে চলেছেন তিন দশকেরও বেশি সময় ধরে। যেমন মনভরে বাজিয়েছেন তেমনি গেয়েছেন গলা ছেড়ে। সম্প্রতি অভিনয় করেছেন সিনেমাতেও! এমনই এক বহুমাত্রিক শিল্পী আসছে একুশে বইমেলায় হাজির হচ্ছেন নিজের জীবনের গল্প নিয়ে। লিখেছেন ‘আমি মুক্তি চেয়েছিলাম’। বইটি প্রকাশ করবে কিংবদন্তি পাবলিকেশন। চারু পিন্টুর প্রচ্ছদ অলঙ্করণে চলছে বইটির প্রি-অর্ডার। বইটিকে ঘিরে এরমধ্যে সংগীতাঙ্গনে শুরু হয়েছে উচ্ছ্বাসের গল্প। বিশেষকরে প্রচ্ছদ প্রকাশের পর এটি সোশ্যাল হ্যান্ডেলে শেয়ার হচ্ছে দেদার। রেকর্ডিং আর স্টেজ ব্যস্ততার মাঝেও পান্থ কানাই তার ৫০ বছরের জীবনের গল্প লিখতে সময় নিয়েছেন মাত্র ছয় মাস। কিন্তু কেন হঠাৎ নিজের জীবনের গল্প লিখতে বসলেন সদা দুরন্ত গানপাগল কানাই? জবাবে বললেন, ‘হঠাৎ মনে হলো জীবনটাকে খানিক পেছন ফিরে দেখি। দেখতে গিয়ে মনে হলো, অনেক গল্প! যে গল্পগুলো অন্যদেরও জানা দরকার। তাই লিখে ফেললাম।’ বইটির নাম পান্থ রেখেছেন ‘আমি মুক্তি চেয়েছিলাম’। তবে কি তিনি এ জীবনটাকে জেল বলছেন? এখনও কি তবে পরাধীনতার শেকলে বন্দি তিনি। অথচ তার জীবনের দিকে তাকালে মনে হবে, তিনি বরাবরই স্বাধীনচেতা মুক্ত পাখির মতো। বইটির নামকরণ প্রসঙ্গে পান্থ বলেন, ‘আমার জন্ম মুক্তিযুদ্ধের সময়। মনে করি আমি নিজেও একজন যোদ্ধা। মুক্তিবাহিনীরা মুক্তি চেয়েছিল দেশের জন্য, আর আমিও সারাটা জীবন মুক্তি চেয়েছি নিজের জন্য। মুক্তি বলতে কারও হাত থেকে মুক্তি না। আমি আমার চিন্তার মুক্তি চেয়েছি। সারাজীবন মুক্তভাবে ভাবতে পছন্দ করেছি। যখনই কোনোকিছুতে মনে হয়েছে জড়িয়ে যাচ্ছি, তখনই সেখান থেকে বেরিয়ে এসেছি। সমগ্র জীবনে অনেক গান করেছি, অনেক ব্যান্ড করেছি কিন্তু একটা স্পেসিফিক জায়গায় নিজেকে আটকে ফেলিনি। জীবনে প্রায় সব ধরনের নেশাদ্রব্য গ্রহণ করেছি কিন্তু কখনও কোনো নেশাকে জীবনের সঙ্গী করে ফেলিনি। ইচ্ছে হয়েছে নিয়েছি, আসক্ত হওয়ার আগেই ছেড়েছি। জীবনে অনেক প্রেম করেছি কিন্তু নারী লিপ্সু ছিলাম না। প্রেমটাকে সবসময় সুন্দর অনুভূতি হিসেবে নিয়েছি। মূলত সেসব গল্পই কাগজে তুলে ধরার চেষ্টা করেছি এই বইতে।’এদিকে প্রকাশক অঞ্জন হাসান পবন বইটি প্রসঙ্গে বলেন, ‘‘মানুষের জীবন কখনও কখনও সিনেমার চাইতেও রোমাঞ্চকর হতে পারে। এমনই একজন মানুষ পান্থ কানাই, যার জীবনের গল্পের মোড়ে মোড়ে রোমাঞ্চে কেঁপে ওঠে শরীর। কত উত্থান-পতন, কত কত সংগ্রাম― কত বাধা পেরিয়ে একজন পান্থ কানাই হয়ে উঠা! সব কিছু শুনতেই কেমন সিনেমাটিক মনে হয়। ইচ্ছে হয়― ইশ; আমিও যদি এমন একজন পান্থ কানাই হতে পারতাম। কিন্তু নিজের এই ইচ্ছেটা পূরণ করার সাধ্য তো আমার নেই। আমার সাধ্য আছে তার অতি সুন্দর জীবনে ঘটে যাওয়া ঘটনাগুলো বইয়ের পাতায় অক্ষরে অক্ষরে সাজানোর। আমি আমার এই সাধ্যতার প্রয়োগ করেছি― একজন পান্থ কানাইয়ের আত্মজীবনী ‘আমি মুক্তি চেয়েছিলাম’ কালো অক্ষরে ছাপিয়ে পাঠকের কাছে পৌঁছে দিচ্ছি। অমূল্য এই বইটির দাম ধরেছি ৩০০ টাকা মাত্র।’