ঢাকা ০৬:০২ অপরাহ্ন, রবিবার, ২০ জুলাই ২০২৫

মেট্রোরেল আইনে সর্বোচ্চ সাজা ১০ বছর জেল ও ১০ কোটি টাকা জরিমানা

  • আপডেট সময় : ১১:৩৪:৫৬ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৮ ডিসেম্বর ২০২২
  • ১০১ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক : রাজধানী ঢাকার গণপরিবহনে প্রথমবারের মতো যুক্ত হচ্ছে মেট্রোরেল। গতকাল বুধবার (২৮ ডিসেম্বর) প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা উত্তরা থেকে আগারগাঁও অংশের উদ্বোধন করেন। আজ বৃহস্পতিবার (২৯ ডিসেম্বর) থেকে যাত্রীরা চলাচল করতে পারবেন। সুষ্ঠুভাবে মেট্রোরেল পরিচালনার জন্য সরকার ‘মেট্রোরেল আইন-২০১৫’ অনুমোদন করে। এ আইনের সর্বোচ্চ সাজা হিসেবে ১০ বছর জেল ও ১০ কোটি টাকা জরিমানার বিধান রাখা হয়েছে। কোনো দুর্ঘটনা হলে ক্ষতিপূরণের বিধানও রাখা হয়েছে।
লাইসেন্স ছাড়া মেট্রোরেল নির্মাণ, উন্নয়ন বা পরিচালনা: আইনের ৩০ নম্বর ধারায় বলা আছে, কোনো ব্যক্তি লাইসেন্স ছাড়া মেট্রোরেল নির্মাণ, উন্নয়ন বা পরিচালনা বা মেট্রোরেল সেবা প্রদান করলে বা কোনো যন্ত্রপাতি স্থাপন বা প্রতিস্থাপন করলে অপরাধ হিসেবে বিবেচিত হবে। অপরাধ প্রমাণিত হলে অনধিক ১০ বছরের কারাদ- বা সর্বোচ্চ এক কোটি টাকা অর্থদ- বা উভয় দ-ে দ-নীয় হবেন।
অনুমোদন ছাড়া লাইসেন্স হস্তান্তর: ৩১. কোনো ব্যক্তি যদি সরকারের পূর্বানুমোদন ছাড়া লাইসেন্স হস্তান্তর করেন, এর জন্য তিনি অনধিক ১০ বছরের কারাদ- বা সর্বোচ্চ এক কোটি টাকা অর্থদ- বা উভয় দ-ে দ-নীয় হবেন।
প্রবেশাধিকারে বাধা প্রদান: ৩২. কোনো ব্যক্তি যদি মেট্রোরেল নির্মাণ, পরিচালনা ও রক্ষণাবেক্ষণের লাইসেন্সপ্রাপ্ত বা তার ক্ষমতাপ্রাপ্ত ব্যক্তি, প্রতিনিধি বা কর্মচারীকে মেট্রোরেল এলাকার পার্শ্ববর্তী ভূমি ও স্থাপনায় স্থাপনার যন্ত্রপাতি প্রবেশে বেআইনিভাবে বাধা দেয়য়, এজন্য তিনি অনধিক দুই বছরের কারাদ- বা অনধিক দুই লাখ টাকা জরিমানা বা উভয় দ-ে দ-নীয় হবেন।
মেট্রোরেল নির্মাণ, উন্নয়ন, পরিচালনা ও রক্ষণাবেক্ষণসহ অন্য কোনো কর্মকা- সম্পাদনে প্রতিবন্ধকতা: ৩৩. কোনো ব্যক্তি যদি আইনানুগ কারণ ছাড়া মেট্রোরেল নির্মাণ, উন্নয়ন, পরিচালনা ও রক্ষণাবেক্ষণসহ অন্য কোনো কর্মকা- সম্পাদনে ইচ্ছাকৃতভাবে বাধা প্রদান করেন বা প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করেন, তাহলে অনধিক এক বছরের কারাদ- বা অনধিক পাঁচ লাখ টাকা জরিমানা বা উভয় দ-ে দ-নীয় হবেন।
অননুমোদিতভাবে মেট্রোরেলের সংরক্ষিত স্থানে অনুপ্রবেশ: কোনো ব্যক্তি যদি অননুমোদিতভাবে মেট্রোরেলের সংরক্ষিত স্থানে অনুপ্রবেশ করেন বা ওই স্থানে প্রবেশের পর মেট্রোরেলের দায়িত্বপ্রাপ্ত ব্যক্তি বা তার অধীনস্থ ব্যক্তির অনুরোধের পরও সেখানে অবস্থান করেন, এর জন্য তিনি অনধিক এক বছরের কারাদ- বা অনধিক পাঁচ লাখ টাকা অর্থদ- বা উভয় দ-ে দ-নীয় হবেন।
মেট্রোরেল ও যাত্রীদের নিরাপত্তা বিঘিœত করা: ৩৫. কোনো ব্যক্তির দ্বারা যদি মেট্রোরেলের নিরাপত্তা বিঘিœত হয় বা বিঘিœত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে এমন কাজ করেন, এর জন্য তিনি অনধিক পাঁচ বছরের কারাদ- বা অনধিক ৫০ লাখ টাকা অর্থদ- বা উভয় দ-ে দ-নীয় হবেন।
অননুমোদিতভাবে মেট্রোরেলের টিকিট বা পাস বিক্রি বা জাল: ৩৬. কোনো ব্যক্তি যদি অননুমোদিতভাবে মেট্রোরেলের টিকিট বা পাস বিক্রি করেন, অথবা টিকিট বা পাস বিকৃত বা জাল করেন, তাহলে তিনি অনধিক ১০ বছরের কারাদ- বা সর্বোচ্চ এক কোটি টাকা অর্থদ- বা উভয় দ-ে দ-নীয় হবেন।
কর্মচারীদের হাতে মেট্রোরেল বা এর যন্ত্রপাতির অপব্যবহার: ৩৭. কোনো কর্মচারী যদি মেট্রোরেল ও এর যন্ত্রপাতি এমনভাবে ব্যবহার করেন যাতে কোনো যাত্রীর নিরাপত্তা বিঘিœত হয় বা হওয়ার আশঙ্কা থাকে এবং দায়িত্ব পালনকালে এমন কোনো কাজ করেন যার ক্ষমতা লাইসেন্সপ্রাপ্ত ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান তাকে দেননি, তাহলে তার এক বছরের কারাদ- বা অনধিক পাঁচ লাখ টাকা অর্থদ- বা উভয় দ- হবে।
পরিদর্শককে দায়িত্ব পালনে বাধা প্রদান বা মিথ্যা ও বিভ্রান্তিকর তথ্য প্রদান: ৩৮. কোনো ব্যক্তি যদি পরিদর্শককে, তার দায়িত্ব পালনে বাধা দেন বা প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করেন অথবা মিথ্যা বা বিভ্রান্তিকর তথ্য দেন, তাহলে অনধিক দুই বছরের কারাদ- বা অনধিক দশ লাখ টাকা অর্থদ- বা উভয় দ-ে দ-ণীয় হবেন।
বিমা না করা: ৩৯. কোনো লাইসেন্সধারী যদি মেট্রোরেল ও এর যাত্রীর এবং তৃতীয় পক্ষের বিমা না করেন তাহলে অনধিক ১০ বছরের কারাদ- বা অনধিক ১০ কোটি টাকা অর্থদ- বা উভয়বিধ দ-ে দ-নীয় হবেন।
টিকিট বা বৈধ পাস ছাড়া ভ্রমণ: ৪০. কোনো ব্যক্তি যদি টিকিট বা বৈধ পাস ছাড়া বা অনুমোদিত দূরত্বের বেশি মেট্রোরেলে ভ্রমণ করেন বা ভাড়া এড়ানের উদ্দেশ্যে অন্য কোনো কৌশল অবলম্বন করেন, তাহলে যাতায়াতের ভাড়ার ১০ গুণ পর্যন্ত জরিমানা বা অর্থ অনাদায়ে অনধিক ছয় মাস কারাদ-ে দ-নীয় হবেন।
কারিগরি মান অনুসরণ না করা: ৪১. কোনো লাইসেন্সধারী যদি কর্তৃপক্ষের অনুমোদন ছাড়া বা কর্তৃপক্ষ কর্তৃক জারিকৃত কারিগরি মান সম্পর্কে নির্দেশনা অনুসরণ ছাড়া মেট্রোরেল নির্মাণ রোলিং স্টক স্থাপন, পরিচালনা, রক্ষণাবেক্ষণ এবং নিরাপত্তা ব্যবস্থাপনা সম্পাদন করেন, তাহলে অনধিক পাঁচ বছরের কারাদ- বা অনধিক ৫০ লাখ টাকা বা উভয় দ- হবে।
লাইসেন্সধারীর অপরাধ: ৪২. কোনো লাইসেন্সধারীর মাধ্যমে এই আইনের অধীন কোনো অপরাধ সংঘটিত হলে এই অপরাধের সঙ্গে প্রত্যক্ষ সংশ্লিষ্টতা রয়েছে এমন প্রত্যেক কর্মকর্তা ও কর্মচারী ওই অপরাধ সংঘটন করেছেন বলে গণ্য হবে। এজন্য এই আইনের অন্যান্য বিধানাবলী সাপেক্ষে দ- হবে, যদি তিনি প্রমাণ করতে না পারেন যে ওই অপরাধ তার অজ্ঞাতসারে হয়েছে বা ওই অপরাধ রোধ করার জন্য তিনি যথাসাধ্য চেষ্টা করেছেন।
অপরাধ সংঘটনে সহায়তা, প্ররোচনা ও ষড়যন্ত্র: ৪৩. কোনো ব্যক্তি যদি এই আইনের অধীন কোনো অপরাধ সংঘটনে সহায়তা করেছেন বা অপরাধ সংঘটনে প্ররোচনা দেন বা যড়যন্ত্র করেন এবং ওই বড় প্ররোচনার ফলে সংশ্লিষ্ট অপরাধটি সংঘটিত হয়েছে বলে প্রমাণিত হলে সহায়তাকারী বা প্ররোচনাদানকারীর নির্ধারিত দ- হবে।
অপরাধ পুনঃসংঘটনের দ-: ৪৪. কোনো ব্যক্তি যদি এই আইনে উল্লেখিত কোনো অপরাধের জন্য দ-িত হয়ে দ- ভোগ করার পর আবার একই অপরাধ করেন, তাহলে তিনি ওই অপরাধের জন্য সর্বোচ্চ যে দ- রয়েছে তার দ্বিগুণ দ-ে দ-নীয় হবেন।
অপরাধ বিচারার্থ গ্রহণ: ৪৫. ফৌজদারি কার্যবিধিতে যা কিছুই থাকুক না কেন, কর্তৃপক্ষ বা কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে ক্ষমতাপ্রাপ্ত কোনো কর্মকর্তা বা পরিদর্শকের লিখিত প্রতিবেদন ছাড়া কোনো আদালত এই আইন বা বিধির অধীন কোনো মামলা বিচারের জন্য গ্রহণ করবেন না।
ফৌজদারি কার্যবিধির প্রয়োগ: ৪৬. এই আইনের বিধানাবলীর সঙ্গে অসঙ্গতিপূর্ণ না হওয়া সাপেক্ষে, এই আইন বা বিধির অধীন অপরাধের তদন্ত, বিচার ও অন্যান্য সংশ্লিষ্ট বিষয়ে ফৌজদারি কার্যবিধি প্রযোজ্য হবে।
মোবাইল কোর্টের এখতিয়ার: ৪৭. এ আইনের অন্যান্য ধারায় ভিন্নরূপ যা কিছুই থাকুক না কেন, এই আইনের ধারা ৩২, ৩৩, ৩৪, ৩৭, ৩৮ ও ৪০ এর অধীন অপরাধসমূহ মোবাইল কোর্ট আইন, ২০০৯ (২০০৯ সনের ৫৯ নম্বর আইন) এর তফসিলভুক্ত করে বিচার করা যাবে।
ক্ষমতা অর্পণ: ৪৮. সরকার, এই আইনের অধীন যে কোনো ক্ষমতা বা দায়িত্ব সুনির্দিষ্ট শর্তে, নিবাহী পরিচালক বা কর্তৃপক্ষের যে কোনো কর্মকর্তাকে অর্পন করতে পারবে।
ক্ষতিপূরণ: ২১. মেট্রোরেল দুর্ঘটনায় পতিত হওয়ার কারণে মেট্রোরেল ও যাত্রী ছাড়া অন্য কোনো ব্যক্তি বা স্থাপনা ও সম্পদের ক্ষতি হলে এবং সম্পদের মালিক কর্তৃক ক্ষতিপূরণের দাবি উত্থাপিত হলে, লাইসেন্সধারী ওই ব্যক্তির স্থাপনা বা সম্পদের জন্য মালিককে দাবি উত্থাপনের ১০ দিনের মধ্যে সংশ্লিষ্ট কোম্পানির কাছ থেকে ক্ষতিপূরণ আনার ব্যবস্থা করবেন।

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

মেট্রোরেল আইনে সর্বোচ্চ সাজা ১০ বছর জেল ও ১০ কোটি টাকা জরিমানা

আপডেট সময় : ১১:৩৪:৫৬ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৮ ডিসেম্বর ২০২২

নিজস্ব প্রতিবেদক : রাজধানী ঢাকার গণপরিবহনে প্রথমবারের মতো যুক্ত হচ্ছে মেট্রোরেল। গতকাল বুধবার (২৮ ডিসেম্বর) প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা উত্তরা থেকে আগারগাঁও অংশের উদ্বোধন করেন। আজ বৃহস্পতিবার (২৯ ডিসেম্বর) থেকে যাত্রীরা চলাচল করতে পারবেন। সুষ্ঠুভাবে মেট্রোরেল পরিচালনার জন্য সরকার ‘মেট্রোরেল আইন-২০১৫’ অনুমোদন করে। এ আইনের সর্বোচ্চ সাজা হিসেবে ১০ বছর জেল ও ১০ কোটি টাকা জরিমানার বিধান রাখা হয়েছে। কোনো দুর্ঘটনা হলে ক্ষতিপূরণের বিধানও রাখা হয়েছে।
লাইসেন্স ছাড়া মেট্রোরেল নির্মাণ, উন্নয়ন বা পরিচালনা: আইনের ৩০ নম্বর ধারায় বলা আছে, কোনো ব্যক্তি লাইসেন্স ছাড়া মেট্রোরেল নির্মাণ, উন্নয়ন বা পরিচালনা বা মেট্রোরেল সেবা প্রদান করলে বা কোনো যন্ত্রপাতি স্থাপন বা প্রতিস্থাপন করলে অপরাধ হিসেবে বিবেচিত হবে। অপরাধ প্রমাণিত হলে অনধিক ১০ বছরের কারাদ- বা সর্বোচ্চ এক কোটি টাকা অর্থদ- বা উভয় দ-ে দ-নীয় হবেন।
অনুমোদন ছাড়া লাইসেন্স হস্তান্তর: ৩১. কোনো ব্যক্তি যদি সরকারের পূর্বানুমোদন ছাড়া লাইসেন্স হস্তান্তর করেন, এর জন্য তিনি অনধিক ১০ বছরের কারাদ- বা সর্বোচ্চ এক কোটি টাকা অর্থদ- বা উভয় দ-ে দ-নীয় হবেন।
প্রবেশাধিকারে বাধা প্রদান: ৩২. কোনো ব্যক্তি যদি মেট্রোরেল নির্মাণ, পরিচালনা ও রক্ষণাবেক্ষণের লাইসেন্সপ্রাপ্ত বা তার ক্ষমতাপ্রাপ্ত ব্যক্তি, প্রতিনিধি বা কর্মচারীকে মেট্রোরেল এলাকার পার্শ্ববর্তী ভূমি ও স্থাপনায় স্থাপনার যন্ত্রপাতি প্রবেশে বেআইনিভাবে বাধা দেয়য়, এজন্য তিনি অনধিক দুই বছরের কারাদ- বা অনধিক দুই লাখ টাকা জরিমানা বা উভয় দ-ে দ-নীয় হবেন।
মেট্রোরেল নির্মাণ, উন্নয়ন, পরিচালনা ও রক্ষণাবেক্ষণসহ অন্য কোনো কর্মকা- সম্পাদনে প্রতিবন্ধকতা: ৩৩. কোনো ব্যক্তি যদি আইনানুগ কারণ ছাড়া মেট্রোরেল নির্মাণ, উন্নয়ন, পরিচালনা ও রক্ষণাবেক্ষণসহ অন্য কোনো কর্মকা- সম্পাদনে ইচ্ছাকৃতভাবে বাধা প্রদান করেন বা প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করেন, তাহলে অনধিক এক বছরের কারাদ- বা অনধিক পাঁচ লাখ টাকা জরিমানা বা উভয় দ-ে দ-নীয় হবেন।
অননুমোদিতভাবে মেট্রোরেলের সংরক্ষিত স্থানে অনুপ্রবেশ: কোনো ব্যক্তি যদি অননুমোদিতভাবে মেট্রোরেলের সংরক্ষিত স্থানে অনুপ্রবেশ করেন বা ওই স্থানে প্রবেশের পর মেট্রোরেলের দায়িত্বপ্রাপ্ত ব্যক্তি বা তার অধীনস্থ ব্যক্তির অনুরোধের পরও সেখানে অবস্থান করেন, এর জন্য তিনি অনধিক এক বছরের কারাদ- বা অনধিক পাঁচ লাখ টাকা অর্থদ- বা উভয় দ-ে দ-নীয় হবেন।
মেট্রোরেল ও যাত্রীদের নিরাপত্তা বিঘিœত করা: ৩৫. কোনো ব্যক্তির দ্বারা যদি মেট্রোরেলের নিরাপত্তা বিঘিœত হয় বা বিঘিœত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে এমন কাজ করেন, এর জন্য তিনি অনধিক পাঁচ বছরের কারাদ- বা অনধিক ৫০ লাখ টাকা অর্থদ- বা উভয় দ-ে দ-নীয় হবেন।
অননুমোদিতভাবে মেট্রোরেলের টিকিট বা পাস বিক্রি বা জাল: ৩৬. কোনো ব্যক্তি যদি অননুমোদিতভাবে মেট্রোরেলের টিকিট বা পাস বিক্রি করেন, অথবা টিকিট বা পাস বিকৃত বা জাল করেন, তাহলে তিনি অনধিক ১০ বছরের কারাদ- বা সর্বোচ্চ এক কোটি টাকা অর্থদ- বা উভয় দ-ে দ-নীয় হবেন।
কর্মচারীদের হাতে মেট্রোরেল বা এর যন্ত্রপাতির অপব্যবহার: ৩৭. কোনো কর্মচারী যদি মেট্রোরেল ও এর যন্ত্রপাতি এমনভাবে ব্যবহার করেন যাতে কোনো যাত্রীর নিরাপত্তা বিঘিœত হয় বা হওয়ার আশঙ্কা থাকে এবং দায়িত্ব পালনকালে এমন কোনো কাজ করেন যার ক্ষমতা লাইসেন্সপ্রাপ্ত ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান তাকে দেননি, তাহলে তার এক বছরের কারাদ- বা অনধিক পাঁচ লাখ টাকা অর্থদ- বা উভয় দ- হবে।
পরিদর্শককে দায়িত্ব পালনে বাধা প্রদান বা মিথ্যা ও বিভ্রান্তিকর তথ্য প্রদান: ৩৮. কোনো ব্যক্তি যদি পরিদর্শককে, তার দায়িত্ব পালনে বাধা দেন বা প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করেন অথবা মিথ্যা বা বিভ্রান্তিকর তথ্য দেন, তাহলে অনধিক দুই বছরের কারাদ- বা অনধিক দশ লাখ টাকা অর্থদ- বা উভয় দ-ে দ-ণীয় হবেন।
বিমা না করা: ৩৯. কোনো লাইসেন্সধারী যদি মেট্রোরেল ও এর যাত্রীর এবং তৃতীয় পক্ষের বিমা না করেন তাহলে অনধিক ১০ বছরের কারাদ- বা অনধিক ১০ কোটি টাকা অর্থদ- বা উভয়বিধ দ-ে দ-নীয় হবেন।
টিকিট বা বৈধ পাস ছাড়া ভ্রমণ: ৪০. কোনো ব্যক্তি যদি টিকিট বা বৈধ পাস ছাড়া বা অনুমোদিত দূরত্বের বেশি মেট্রোরেলে ভ্রমণ করেন বা ভাড়া এড়ানের উদ্দেশ্যে অন্য কোনো কৌশল অবলম্বন করেন, তাহলে যাতায়াতের ভাড়ার ১০ গুণ পর্যন্ত জরিমানা বা অর্থ অনাদায়ে অনধিক ছয় মাস কারাদ-ে দ-নীয় হবেন।
কারিগরি মান অনুসরণ না করা: ৪১. কোনো লাইসেন্সধারী যদি কর্তৃপক্ষের অনুমোদন ছাড়া বা কর্তৃপক্ষ কর্তৃক জারিকৃত কারিগরি মান সম্পর্কে নির্দেশনা অনুসরণ ছাড়া মেট্রোরেল নির্মাণ রোলিং স্টক স্থাপন, পরিচালনা, রক্ষণাবেক্ষণ এবং নিরাপত্তা ব্যবস্থাপনা সম্পাদন করেন, তাহলে অনধিক পাঁচ বছরের কারাদ- বা অনধিক ৫০ লাখ টাকা বা উভয় দ- হবে।
লাইসেন্সধারীর অপরাধ: ৪২. কোনো লাইসেন্সধারীর মাধ্যমে এই আইনের অধীন কোনো অপরাধ সংঘটিত হলে এই অপরাধের সঙ্গে প্রত্যক্ষ সংশ্লিষ্টতা রয়েছে এমন প্রত্যেক কর্মকর্তা ও কর্মচারী ওই অপরাধ সংঘটন করেছেন বলে গণ্য হবে। এজন্য এই আইনের অন্যান্য বিধানাবলী সাপেক্ষে দ- হবে, যদি তিনি প্রমাণ করতে না পারেন যে ওই অপরাধ তার অজ্ঞাতসারে হয়েছে বা ওই অপরাধ রোধ করার জন্য তিনি যথাসাধ্য চেষ্টা করেছেন।
অপরাধ সংঘটনে সহায়তা, প্ররোচনা ও ষড়যন্ত্র: ৪৩. কোনো ব্যক্তি যদি এই আইনের অধীন কোনো অপরাধ সংঘটনে সহায়তা করেছেন বা অপরাধ সংঘটনে প্ররোচনা দেন বা যড়যন্ত্র করেন এবং ওই বড় প্ররোচনার ফলে সংশ্লিষ্ট অপরাধটি সংঘটিত হয়েছে বলে প্রমাণিত হলে সহায়তাকারী বা প্ররোচনাদানকারীর নির্ধারিত দ- হবে।
অপরাধ পুনঃসংঘটনের দ-: ৪৪. কোনো ব্যক্তি যদি এই আইনে উল্লেখিত কোনো অপরাধের জন্য দ-িত হয়ে দ- ভোগ করার পর আবার একই অপরাধ করেন, তাহলে তিনি ওই অপরাধের জন্য সর্বোচ্চ যে দ- রয়েছে তার দ্বিগুণ দ-ে দ-নীয় হবেন।
অপরাধ বিচারার্থ গ্রহণ: ৪৫. ফৌজদারি কার্যবিধিতে যা কিছুই থাকুক না কেন, কর্তৃপক্ষ বা কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে ক্ষমতাপ্রাপ্ত কোনো কর্মকর্তা বা পরিদর্শকের লিখিত প্রতিবেদন ছাড়া কোনো আদালত এই আইন বা বিধির অধীন কোনো মামলা বিচারের জন্য গ্রহণ করবেন না।
ফৌজদারি কার্যবিধির প্রয়োগ: ৪৬. এই আইনের বিধানাবলীর সঙ্গে অসঙ্গতিপূর্ণ না হওয়া সাপেক্ষে, এই আইন বা বিধির অধীন অপরাধের তদন্ত, বিচার ও অন্যান্য সংশ্লিষ্ট বিষয়ে ফৌজদারি কার্যবিধি প্রযোজ্য হবে।
মোবাইল কোর্টের এখতিয়ার: ৪৭. এ আইনের অন্যান্য ধারায় ভিন্নরূপ যা কিছুই থাকুক না কেন, এই আইনের ধারা ৩২, ৩৩, ৩৪, ৩৭, ৩৮ ও ৪০ এর অধীন অপরাধসমূহ মোবাইল কোর্ট আইন, ২০০৯ (২০০৯ সনের ৫৯ নম্বর আইন) এর তফসিলভুক্ত করে বিচার করা যাবে।
ক্ষমতা অর্পণ: ৪৮. সরকার, এই আইনের অধীন যে কোনো ক্ষমতা বা দায়িত্ব সুনির্দিষ্ট শর্তে, নিবাহী পরিচালক বা কর্তৃপক্ষের যে কোনো কর্মকর্তাকে অর্পন করতে পারবে।
ক্ষতিপূরণ: ২১. মেট্রোরেল দুর্ঘটনায় পতিত হওয়ার কারণে মেট্রোরেল ও যাত্রী ছাড়া অন্য কোনো ব্যক্তি বা স্থাপনা ও সম্পদের ক্ষতি হলে এবং সম্পদের মালিক কর্তৃক ক্ষতিপূরণের দাবি উত্থাপিত হলে, লাইসেন্সধারী ওই ব্যক্তির স্থাপনা বা সম্পদের জন্য মালিককে দাবি উত্থাপনের ১০ দিনের মধ্যে সংশ্লিষ্ট কোম্পানির কাছ থেকে ক্ষতিপূরণ আনার ব্যবস্থা করবেন।