নিজস্ব প্রতিবেদক : বাংলাদেশে এখনো করোনাভাইরাসের নতুন উপধরনের (বিএফ.৭) উপস্থিতি পাওয়া যায়নি বলে জানিয়েছে সরকারের রোগতত্ত্ব, রোগনিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠান (আইইডিসিআর)।
গতকাল মঙ্গলবার সকালে আইইডিসিআরের পরিচালক অধ্যাপক ড. তাহমিনা শিরিন সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান। তাহমিনা শিরিন বলেন, আমরা এখনো করোনার নতুন উপধরন বিএফ.৭ এর উপস্থিতি পাইনি। চীন থেকে আসা কোভিড পজিটিভ চারজনের জিনোম সিকোয়েন্সের ফল চলতি সপ্তাহ কিংবা আগামী সপ্তাহের শুরুর দিন মিলতে পারে। সারাদেশ থেকে যারাই কোভিড পজিটিভ হোক, তাদের নমুনা জিনোম সিকোয়েন্স করার জন্য আইইডিসিআরে পাঠাতে বলা হয়েছে।
এদিকে, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আহমেদুল কবীর জানিয়েছেন, ওমিক্রনের নতুন উপধরন ঠেকাতে বেশি আক্রান্ত দেশ থেকে আসা ব্যক্তিদের নিজস্ব অর্থে কোয়ারেন্টাইনে রাখা যায় কি না, সে বিষয়ে মন্ত্রণালয়ে প্রস্তাব পাঠিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। এ বিষয়ে পররাষ্ট্র, প্রবাসী কল্যাণ ও স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় যে সিদ্ধান্ত দেবে, সেটি বাস্তবায়ন করবে অধিদপ্তর।
দেশে শনাক্ত ১৫ রোগী, মৃত্যু নেই: দেশে গত এক দিনে আরও ১৫ জন কোভিড রোগী শনাক্ত হয়েছে; এই সময়ে মৃত্যু হয়নি কারও। স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানিয়েছে, গতকাল মঙ্গলবার সকাল পর্যন্ত আগের ২৪ ঘণ্টায় ৩ হাজার ৭৭টি নমুনা পরীক্ষা করে নতুন ১৫ জন রোগী শনাক্ত হয়। তাতে দিনে শনাক্তের হার ০ দশমিক ৪৯ শতাংশ। আগেরদিন এই হার ছিল ০ দশমিক ৪৭ শতাংশ। নতুন রোগীদের নিয়ে দেশে মোট শনাক্ত কোভিড রোগীর সংখ্যা বেড়ে ২০ লাখ ৩৭ হাজার ৪৬ জন হয়েছে। মৃতের মোট সংখ্যা আগের মতই ২৯ হাজার ৪৩৯ জনে রয়েছে।
গত ২৪ ঘণ্টায় ৯৬ জন কোভিড রোগীর সেরে ওঠার তথ্য দিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। তাদের নিয়ে এ পর্যন্ত সুস্থ হলেন ১৯ লাখ ৮৭ হাজার ৪৪৭ জন। গত একদিনে শনাক্ত রোগীদের মধ্যে ১১ জন ঢাকার বাসিন্দা। এছাড়া সিলেটে তিনজন এবং সিরাজগঞ্জে একজন নতুন রোগী শনাক্ত হয়েছে। দেশের বাকি ৬১ জেলায় নতুন করে কারও কোভিড শনাক্ত হয়নি।
বাংলাদেশে করোনাভাইরাসের প্রথম সংক্রমণ ধরা পড়েছিল ২০২০ সালের ৮ মার্চ। ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টের ব্যাপক বিস্তারের মধ্যে গত বছরের ২৮ জুলাই দেশে রেকর্ড ১৬ হাজার ২৩০ জন নতুন রোগী শনাক্ত হয়। প্রথম রোগী শনাক্তের ১০ দিন পর ২০২০ সালের ১৮ মার্চ দেশে প্রথম মৃত্যুর তথ্য নিশ্চিত করে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। ২০২১ সালের ৫ ও ১০ আগস্ট ২৬৪ জন করে মৃত্যুর খবর আসে, যা মহামারীর মধ্যে এক দিনের সর্বোচ্চ সংখ্যা। বিশ্বে করোনাভাইরাস আক্রান্ত হয়ে এ পর্যন্ত মারা গেছে ৬৬ লাখ ৮০ হাজারের বেশি মানুষ। বিশ্বজুড়ে আক্রান্ত ছাড়িয়েছে ৬৫ কোটি ৭৯ লাখ।
দেশে এখনো করোনার নতুন উপধরন মেলেনি: আইইডিসিআর
ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ