ঢাকা ০৩:০৪ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১০ জুন ২০২৫

গৃহকর্মীকে নির্যাতনের ছবি ফেসবুকে, দেড় ঘণ্টার মধ্যে দম্পতি আটক

  • আপডেট সময় : ১২:৩৮:০১ অপরাহ্ন, রবিবার, ৪ জুলাই ২০২১
  • ৯৭ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক : নয় মাস ধরে রাজধানীর তোপখানা রোডের একটি বাসায় গৃহকর্মীর কাজ করছিল ১২ বছর বয়সী শিশু সুইটি। বাড়িটিতে কাজ শুরুর পর থেকেই নানা অজুহাতে গৃহকর্তা ও গৃহকর্ত্রী শিশুটিকে মারধর করতেন। নির্যাতনের এমন কিছু ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পোস্ট করেন ওই দম্পতির এক প্রতিবেশী। বিষয়টি নজরে আসার পরই নির্যাতনকারী দম্পতিকে গ্রেপ্তারে তৎপর হয়ে ওঠে পুলিশ। ফেসবুকে গৃহকর্মীকে নির্যাতনের ছবি পোস্ট করার মাত্র দেড় ঘণ্টার মধ্যেই নির্যাতনকারী দম্পতিকে আটক করে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীটি।
গতকাল রোববার সকালে বাংলাদেশ পুলিশ সদর দপ্তরের মিডিয়া এন্ড পাবলিক রিলেশন্স বিভাগের এআইজি মো. সোহেল রানা এ তথ্য জানান।
সোহেল রানা জানান, নির্যাতনের শিকার সুইটির বাড়ি কিশোরগঞ্জ জেলার মিঠামইন থানার নবাবপুর গ্রামে। অভাবের তাড়নায় দরিদ্র বাবা-মা মেয়েটিকে রাজধানীর তোপখানা রোডে একটি বাসায় গৃহকর্মীর কাজ করতে দেন। বাসাটিতে নয় মাস ধরে কাজ করছে শিশুটি। প্রতিদিনই নানা অজুহাতে গৃহকর্তা ও গৃহকত্রী দুজনেই সুইটিকে মারধর করে। শরীরে বিভিন্ন জায়গায় আঘাতের দগদগে চিহ্ন আছে। বাদ যায়নি শিশুটির চোখও। মেয়েটির এমনই কিছু ছবি ফেসবুকে পোস্ট করেন এক প্রতিবেশী।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পোস্ট করা ছবিগুলোতে দেখা যায়, মেয়েটির চোখের নিচে আঘাতের চিহ্ন। হাতে গুরুতর জখম এবং অপর একটি ছবিতে মেয়েটির পশ্চাৎদেশে উভয়পাশে আগুনে পোড়া ঘা চোখে পড়ে। পোস্টটি এক সংবাদকর্মীর চোখে পড়লে তিনি বিষয়টি বাংলাদেশ পুলিশের মিডিয়া এন্ড পাবলিক রিলেশন্স উইংকে পাঠান। ঘটনাস্থল কোন থানার অধীনে তা তাৎক্ষণিকভাবে নিশ্চিত না হওয়ায় মিডিয়া এন্ড পাবলিক রিলেশন্স উইং বিষয়টি জানার সঙ্গে সঙ্গে রমনা থানার ওসি মো. মনিরুল ইসলাম ও শাহবাগ থানার ওসি মওদুত হাওলাদারের সঙ্গে যোগাযোগ করে এ বিষয়ে দ্রুত ব্যবস্থা নেয়ার নির্দেশনা দেয়।
ঘটনাস্থল শাহবাগ থানার অধীনে জানতে পারায় শাহবাগ থানার ওসি মওদুত হাওলাদারের তাৎক্ষণিক তৎপরতায় থানার ইন্সপেক্টর অপারেশন্স মো. কামরুজ্জামানের নেতৃত্বে উপপরিদর্শক (এসআই) মো. জাহাঙ্গীর আলমসহ পুলিশের একটি টিম মেয়েটিকে উদ্ধার করে এবং নির্যাতনের অভিযোগে তানভির আহসান এবং তার স্ত্রী নাহিদকে গ্রেপ্তার করে।
ফেসবুকে দেয়া পোস্টের মাত্র দেড় ঘণ্টার মধ্যে এবং বিষয়টি নজরে আসার এক ঘণ্টার মধ্যে ভিকটিমকে উদ্ধার ও অভিযুক্তদের গ্রেপ্তার করে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীটি। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

গৃহকর্মীকে নির্যাতনের ছবি ফেসবুকে, দেড় ঘণ্টার মধ্যে দম্পতি আটক

আপডেট সময় : ১২:৩৮:০১ অপরাহ্ন, রবিবার, ৪ জুলাই ২০২১

নিজস্ব প্রতিবেদক : নয় মাস ধরে রাজধানীর তোপখানা রোডের একটি বাসায় গৃহকর্মীর কাজ করছিল ১২ বছর বয়সী শিশু সুইটি। বাড়িটিতে কাজ শুরুর পর থেকেই নানা অজুহাতে গৃহকর্তা ও গৃহকর্ত্রী শিশুটিকে মারধর করতেন। নির্যাতনের এমন কিছু ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পোস্ট করেন ওই দম্পতির এক প্রতিবেশী। বিষয়টি নজরে আসার পরই নির্যাতনকারী দম্পতিকে গ্রেপ্তারে তৎপর হয়ে ওঠে পুলিশ। ফেসবুকে গৃহকর্মীকে নির্যাতনের ছবি পোস্ট করার মাত্র দেড় ঘণ্টার মধ্যেই নির্যাতনকারী দম্পতিকে আটক করে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীটি।
গতকাল রোববার সকালে বাংলাদেশ পুলিশ সদর দপ্তরের মিডিয়া এন্ড পাবলিক রিলেশন্স বিভাগের এআইজি মো. সোহেল রানা এ তথ্য জানান।
সোহেল রানা জানান, নির্যাতনের শিকার সুইটির বাড়ি কিশোরগঞ্জ জেলার মিঠামইন থানার নবাবপুর গ্রামে। অভাবের তাড়নায় দরিদ্র বাবা-মা মেয়েটিকে রাজধানীর তোপখানা রোডে একটি বাসায় গৃহকর্মীর কাজ করতে দেন। বাসাটিতে নয় মাস ধরে কাজ করছে শিশুটি। প্রতিদিনই নানা অজুহাতে গৃহকর্তা ও গৃহকত্রী দুজনেই সুইটিকে মারধর করে। শরীরে বিভিন্ন জায়গায় আঘাতের দগদগে চিহ্ন আছে। বাদ যায়নি শিশুটির চোখও। মেয়েটির এমনই কিছু ছবি ফেসবুকে পোস্ট করেন এক প্রতিবেশী।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পোস্ট করা ছবিগুলোতে দেখা যায়, মেয়েটির চোখের নিচে আঘাতের চিহ্ন। হাতে গুরুতর জখম এবং অপর একটি ছবিতে মেয়েটির পশ্চাৎদেশে উভয়পাশে আগুনে পোড়া ঘা চোখে পড়ে। পোস্টটি এক সংবাদকর্মীর চোখে পড়লে তিনি বিষয়টি বাংলাদেশ পুলিশের মিডিয়া এন্ড পাবলিক রিলেশন্স উইংকে পাঠান। ঘটনাস্থল কোন থানার অধীনে তা তাৎক্ষণিকভাবে নিশ্চিত না হওয়ায় মিডিয়া এন্ড পাবলিক রিলেশন্স উইং বিষয়টি জানার সঙ্গে সঙ্গে রমনা থানার ওসি মো. মনিরুল ইসলাম ও শাহবাগ থানার ওসি মওদুত হাওলাদারের সঙ্গে যোগাযোগ করে এ বিষয়ে দ্রুত ব্যবস্থা নেয়ার নির্দেশনা দেয়।
ঘটনাস্থল শাহবাগ থানার অধীনে জানতে পারায় শাহবাগ থানার ওসি মওদুত হাওলাদারের তাৎক্ষণিক তৎপরতায় থানার ইন্সপেক্টর অপারেশন্স মো. কামরুজ্জামানের নেতৃত্বে উপপরিদর্শক (এসআই) মো. জাহাঙ্গীর আলমসহ পুলিশের একটি টিম মেয়েটিকে উদ্ধার করে এবং নির্যাতনের অভিযোগে তানভির আহসান এবং তার স্ত্রী নাহিদকে গ্রেপ্তার করে।
ফেসবুকে দেয়া পোস্টের মাত্র দেড় ঘণ্টার মধ্যে এবং বিষয়টি নজরে আসার এক ঘণ্টার মধ্যে ভিকটিমকে উদ্ধার ও অভিযুক্তদের গ্রেপ্তার করে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীটি। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।