ঢাকা ০১:৩৫ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ০৫ অগাস্ট ২০২৫

তেলের দাম কমার সম্ভাবনা নেই

  • আপডেট সময় : ০১:০১:১৬ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৭ ডিসেম্বর ২০২২
  • ৯১ বার পড়া হয়েছে

অর্থনৈতিক প্রতিবেদক : আন্তর্জাতিক বাজারে তেলের দাম কমলেও দেশের বাজারে আপাতত কমার কোনও সম্ভাবনা নেই। কারণ হিসেবে বিপিসি বলছে, সব মিলিয়ে এখনও তাদের লোকসান ৪৩ কোটি টাকার মতো। যদিও ডিজেল ছাড়া অন্য সব জ্বালানি তেল বিক্রি করে লাভ করছে বিপিসি। বিপিসি জানায়, চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি থেকে নভেম্বর পর্যন্ত তাদের গড়ে লোকসান হয়েছে ২৩৩ কোটি টাকা। এরমধ্যে ডিজেল ছাড়া অন্য তেলে লাভ হওয়ায় এখন তাদের মোট লোকসান এসে দাঁড়িয়েছে ৪৩ কোটিতে। প্রসঙ্গত, সম্প্রতি সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগ (সিপিডি) জানিয়েছে, জ্বালানি তেল বিক্রি করে বিপিসি লাভ করছে। বিশেষ করে প্রতি লিটার ডিজেল বিক্রিতে বিপিসির লাভ হচ্ছে ২৯ টাকা বলে সিপিডি দাবি করে। মঙ্গলবার (২৭ ডিসেম্বর) এক সংবাদ সম্মেলনে আন্তর্জাতিক বাজারে তেলের দাম কমছে, দেশের বাজারে তেলের দাম কমবে কিনা- এমন প্রশ্ন করলে বিপিসির চেয়ারম্যান ডিজেল বিক্রির এই লোকসানের কথা জানান। বিপিসি চেয়ারম্যান বলেন, পরিশোধিত জ্বালানি তেলের দাম ব্যারেলপ্রতি আন্তর্জাতিক বাজারে ১০৩ ডলার থাকলে আমরা ব্রেক ইভেনে থাকি। কিন্তু এর বেশি হলেই আমাদের লোকসান হয়। গত নভেম্বর মাসে গড়ে ব্যারেলপ্রতি পরিশোধিত ডিজেলের দাম ১০৫ ডলার ছিল উল্লেখ করে বলেন, এখনও আমাদের প্রতি লিটার ডিজেল বিক্রিতে ২ থেকে ৩ টাকা লোকসান হচ্ছে। গত ৫ আগস্ট দিবাগত রাতে সব ধরনের জ্বালানি তেলের দাম বাড়ানো হয়। সেই সময়ে ভোক্তা পর্যায়ে লিটারপ্রতি ডিজেল ১১৪ টাকা, কেরোসিন ১১৪ টাকা, অকটেন ১৩৫ টাকা এবং পেট্রোলের দাম ১৩০ টাকা নির্ধারণ করে জ্বালানি ও খনিজসম্পদ বিভাগ।
এর আগে ২০২১ সালের ৪ নভেম্বর ডিজেল ও কেরোসিনের দাম বাড়ানো হয়। সেই সময় এই দুই জ্বালানির দাম লিটারপ্রতি ৬৫ টাকা থেকে বাড়িয়ে ৮০ টাকা করা হয়। ৮ মাসের ব্যবধানে আবার বাড়ানো হয় তেলের দাম। প্রসঙ্গত, ২০১৬ সালের ২৪ এপ্রিল জ্বালানি তেলের দাম কমানো হয়েছিল। সেই সময় ডিজেলের দাম ৬৫ টাকা, কেরোসিনের দাম ৬৫ টাকা, অকটেনের দাম ৮৯ টাকা ও পেট্রোলের দাম ৮৬ টাকা নির্ধারণ করা হয়। ইউক্রেন যুদ্ধ শুরুর পর অপরিশোধিত জ্বালানি তেলের দাম ব্যারেলপ্রতি ১৩৯ ডলারে উঠেছিল। গত সপ্তাহে আন্তর্জাতিক বাজারে অপরিশোধিত তেলের দাম ছিল ব্যারেলপ্রতি ৭৮-৮০ ডলারের মধ্যে। দেশে জ্বালানি তেলের দাম বাড়ানোর সময় বারবার বলা হয়, আন্তর্জাতিক বাজারে দাম কমলে দেশের বাজারেও কমানো হবে। কিন্তু আজ বিপিসি যে হিসাব দিলো তাতে দাম না কমানোর ইঙ্গিতই মিললো।

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

তেলের দাম কমার সম্ভাবনা নেই

আপডেট সময় : ০১:০১:১৬ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৭ ডিসেম্বর ২০২২

অর্থনৈতিক প্রতিবেদক : আন্তর্জাতিক বাজারে তেলের দাম কমলেও দেশের বাজারে আপাতত কমার কোনও সম্ভাবনা নেই। কারণ হিসেবে বিপিসি বলছে, সব মিলিয়ে এখনও তাদের লোকসান ৪৩ কোটি টাকার মতো। যদিও ডিজেল ছাড়া অন্য সব জ্বালানি তেল বিক্রি করে লাভ করছে বিপিসি। বিপিসি জানায়, চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি থেকে নভেম্বর পর্যন্ত তাদের গড়ে লোকসান হয়েছে ২৩৩ কোটি টাকা। এরমধ্যে ডিজেল ছাড়া অন্য তেলে লাভ হওয়ায় এখন তাদের মোট লোকসান এসে দাঁড়িয়েছে ৪৩ কোটিতে। প্রসঙ্গত, সম্প্রতি সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগ (সিপিডি) জানিয়েছে, জ্বালানি তেল বিক্রি করে বিপিসি লাভ করছে। বিশেষ করে প্রতি লিটার ডিজেল বিক্রিতে বিপিসির লাভ হচ্ছে ২৯ টাকা বলে সিপিডি দাবি করে। মঙ্গলবার (২৭ ডিসেম্বর) এক সংবাদ সম্মেলনে আন্তর্জাতিক বাজারে তেলের দাম কমছে, দেশের বাজারে তেলের দাম কমবে কিনা- এমন প্রশ্ন করলে বিপিসির চেয়ারম্যান ডিজেল বিক্রির এই লোকসানের কথা জানান। বিপিসি চেয়ারম্যান বলেন, পরিশোধিত জ্বালানি তেলের দাম ব্যারেলপ্রতি আন্তর্জাতিক বাজারে ১০৩ ডলার থাকলে আমরা ব্রেক ইভেনে থাকি। কিন্তু এর বেশি হলেই আমাদের লোকসান হয়। গত নভেম্বর মাসে গড়ে ব্যারেলপ্রতি পরিশোধিত ডিজেলের দাম ১০৫ ডলার ছিল উল্লেখ করে বলেন, এখনও আমাদের প্রতি লিটার ডিজেল বিক্রিতে ২ থেকে ৩ টাকা লোকসান হচ্ছে। গত ৫ আগস্ট দিবাগত রাতে সব ধরনের জ্বালানি তেলের দাম বাড়ানো হয়। সেই সময়ে ভোক্তা পর্যায়ে লিটারপ্রতি ডিজেল ১১৪ টাকা, কেরোসিন ১১৪ টাকা, অকটেন ১৩৫ টাকা এবং পেট্রোলের দাম ১৩০ টাকা নির্ধারণ করে জ্বালানি ও খনিজসম্পদ বিভাগ।
এর আগে ২০২১ সালের ৪ নভেম্বর ডিজেল ও কেরোসিনের দাম বাড়ানো হয়। সেই সময় এই দুই জ্বালানির দাম লিটারপ্রতি ৬৫ টাকা থেকে বাড়িয়ে ৮০ টাকা করা হয়। ৮ মাসের ব্যবধানে আবার বাড়ানো হয় তেলের দাম। প্রসঙ্গত, ২০১৬ সালের ২৪ এপ্রিল জ্বালানি তেলের দাম কমানো হয়েছিল। সেই সময় ডিজেলের দাম ৬৫ টাকা, কেরোসিনের দাম ৬৫ টাকা, অকটেনের দাম ৮৯ টাকা ও পেট্রোলের দাম ৮৬ টাকা নির্ধারণ করা হয়। ইউক্রেন যুদ্ধ শুরুর পর অপরিশোধিত জ্বালানি তেলের দাম ব্যারেলপ্রতি ১৩৯ ডলারে উঠেছিল। গত সপ্তাহে আন্তর্জাতিক বাজারে অপরিশোধিত তেলের দাম ছিল ব্যারেলপ্রতি ৭৮-৮০ ডলারের মধ্যে। দেশে জ্বালানি তেলের দাম বাড়ানোর সময় বারবার বলা হয়, আন্তর্জাতিক বাজারে দাম কমলে দেশের বাজারেও কমানো হবে। কিন্তু আজ বিপিসি যে হিসাব দিলো তাতে দাম না কমানোর ইঙ্গিতই মিললো।