ঢাকা ১২:১৩ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২১ মে ২০২৫

গেইল-পোলার্ডদের হারিয়ে সিরিজ দক্ষিণ আফ্রিকার

  • আপডেট সময় : ১০:১২:২৩ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ৪ জুলাই ২০২১
  • ৭৮ বার পড়া হয়েছে

ক্রীড়া ডেস্ক : চার ম্যাচ শেষে সিরিজে সমতা, শেষ ম্যাচ তাই কার্যত ফাইনাল। আর ফাইনাল কিংবা আবশ্য জয়ের ম্যাচ মানেই তো দক্ষিণ আফ্রিকার ভেঙে পড়ার ইতিহাস! তবে এবার ‘চোক’ করল না তারা। ব্যাটে-বলে পরিপাটি পারফরম্যান্সে বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন ওয়েস্ট ইন্ডিজকে হারিয়ে জিতে নিল সিরিজ। শেষ টি-টোয়েন্টিতে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে দক্ষিণ আফ্রিকার জয় ২৫ রানে। পাঁচ ম্যাচের সিরিজ প্রোটিয়ারা জিতে নিল ৩-২ ব্যবধানে। গ্রেনাডায় শনিবার এইডেন মারক্রাম ও কুইন্টন ডি ককের দারুণ দুটি ইনিংসে দক্ষিণ আফ্রিকা ২০ ওভারে তোলে ১৬৮ রান। এভিন লুইসের ঝড়ো ফিফটিতে শুরুর পরও ক্যারিবিয়ানদের পথচলা থেমে যায় ১৪৩ রানে। এই জয়ে পাঁচ সিরিজ পর টি-টোয়েন্টি সিরিজ জয়ের স্বাদ পেল দক্ষিণ আফ্রিকা। মার্ক বাউচারের কোচিংয়ে প্রথম টি-টোয়েন্টি সিরিজ জয় এটি, নতুন অধিনায়ক টেম্বা বাভুমার শুরুটাও হলো জয়ে। বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন ওয়েস্ট ইন্ডিজ হারল সবশেষ ১০ সিরিজের সাতটিই। উইকেট এ দিন ছিল আগের চার ম্যাচের মতোই। শুরুতে ব্যাটিংয়ের জন্য ভালো, সময়ের সঙ্গে ক্রমশ খানিকটা মন্থর। টস জিতে ব্যাটিংয়ে নামা দক্ষিণ আফ্রিকার ইনিংস জুড়ে ছিলেন কেবল ডি কক ও মারক্রামই। ম্যাচের শুরুটা তাদের ছিল অবশ্য হোঁচট খেয়ে। কম্বিনেশন বদলে ওপেনিংয়ে নামা অধিনায়ক বাভুমা প্রথম ওভারেই ফিডেল এডওয়ার্ডসের বলে ধরা পড়েন স্লিপে।
দ্বিতীয় উইকেটে ডি কক ও মারক্রামের লম্বা জুটি। দুজনের সৌজন্যে ১৪ ওভার পর্যন্ত আর উইকেট হারায়নি দল। দুর্দান্ত ফর্মে থাকা ডি কক করেন টানা তৃতীয় ফিফটি। দ্বিতীয় উইকেটে ৮২ বলে ১২৮ রানের জুটি ভাঙে ১৫তম ওভারে। ডি কক আউট হন ৪২ বলে ৬০ রান করে। মারক্রাম নবম টি-টোয়েন্টিতে চতুর্থ ফিফটির দেখা পান ৩৪ বলে। তার ইনিংস থামে ৪ ছক্কায় ক্যারিয়ার সেরা ৪৮ বলে ৭০ রান করে। শেষ দিকে ডেভিড মিলার, ভিয়ান মুল্ডাররা প্রত্যাশিত ঝড় তুলতে পারেননি। শেষ ৫ ওভারে কেবল আসে ৩২ রান। ওয়েস্ট ইন্ডিজের রান তাড়া শুরু হয় লুইসের ব্যাটে প্রথম ওভারে ছক্কা, দ্বিতীয় ওভারে দুই বাউন্ডারিতে। তবে আরেক ওপেনার লেন্ডল সিমন্স বিদায় নেন ৩ রানেই। সেই ধাক্কা অবশ্য বুঝতেই দেননি লুইস। দারুণ ব্যাটিংয়ে রান বাড়াতে থাকেন তিনি। দ্বিতীয় উইকেটে ৪৫ রানের জুটি গড়ে ওঠে, তাতে ক্রিস গেইল হয়ে থাকেন দর্শক। লুইস ফিফটিতে পৌঁছে যান ৩০ বলে। তাবরাইজ শামসির ফ্লাইটে বিভ্রান্ত গেইল আউট হন ৯ বলে ১১ রান করে। ফিফটি পেরিয়েই লুইস আউট হয়ে যান ছক্কা মারার চেষ্টায় (৩২ বলে ৫২)। এরপর ক্যারিবিয়ানদের বিস্ফোরক মিডল অর্ডারকে নিষ্ক্রিয় রাখেন প্রোটিয়া বোলাররা। দুই দফায় ক্যাচ দিয়ে শামসির হাতে বেঁচে গিয়ে হেটমায়ার বিদায় নেন ৩১ বলে ৩৩ করে। ভিয়ান মুল্ডার পরপর দুই বলে ফেরান কাইরন পোলার্ড ও আন্দ্রে রাসেলকে।
শেষ দিকে দুই ছক্কায় ম্যাচ জমিয়ে তোলার ইঙ্গিত দিয়েছিলেন নিকোলাস পুরান। কিন্তু টানা দুই বলে পুরান ও ডোয়াইন ব্রাভোকে বিদায় করে দেন কাগিসো রাবাদা। শামসি বরাবরের মতোই কিপটে বোলিংয়ে ৪ ওভারে রান দেন মাত্র ১১। দক্ষিণ আফ্রিকা শেষ পর্যন্ত জিতে যায় সহজেই। ৭০ রানের ইনিংসটির জন্য ম্যাচের সেরা মারক্রাম। ওভারপ্রতি মাত্র ৪ করে রান দিয়ে সিরিজে ৭ উইকেট নিয়ে ম্যান অব দা সিরিজ শামসি। টেস্ট সিরিজে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে হোয়াইটওয়াশ করার পর টি-টোয়েন্টি সিরিজও জয়, প্রোটিয়া ক্রিকেটে মাঠের ভেতরে-বাইরে নানা অস্থিরতার সময়ে কিছুটা স্বস্তি এনে দিল এই সফর।

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

গেইল-পোলার্ডদের হারিয়ে সিরিজ দক্ষিণ আফ্রিকার

আপডেট সময় : ১০:১২:২৩ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ৪ জুলাই ২০২১

ক্রীড়া ডেস্ক : চার ম্যাচ শেষে সিরিজে সমতা, শেষ ম্যাচ তাই কার্যত ফাইনাল। আর ফাইনাল কিংবা আবশ্য জয়ের ম্যাচ মানেই তো দক্ষিণ আফ্রিকার ভেঙে পড়ার ইতিহাস! তবে এবার ‘চোক’ করল না তারা। ব্যাটে-বলে পরিপাটি পারফরম্যান্সে বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন ওয়েস্ট ইন্ডিজকে হারিয়ে জিতে নিল সিরিজ। শেষ টি-টোয়েন্টিতে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে দক্ষিণ আফ্রিকার জয় ২৫ রানে। পাঁচ ম্যাচের সিরিজ প্রোটিয়ারা জিতে নিল ৩-২ ব্যবধানে। গ্রেনাডায় শনিবার এইডেন মারক্রাম ও কুইন্টন ডি ককের দারুণ দুটি ইনিংসে দক্ষিণ আফ্রিকা ২০ ওভারে তোলে ১৬৮ রান। এভিন লুইসের ঝড়ো ফিফটিতে শুরুর পরও ক্যারিবিয়ানদের পথচলা থেমে যায় ১৪৩ রানে। এই জয়ে পাঁচ সিরিজ পর টি-টোয়েন্টি সিরিজ জয়ের স্বাদ পেল দক্ষিণ আফ্রিকা। মার্ক বাউচারের কোচিংয়ে প্রথম টি-টোয়েন্টি সিরিজ জয় এটি, নতুন অধিনায়ক টেম্বা বাভুমার শুরুটাও হলো জয়ে। বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন ওয়েস্ট ইন্ডিজ হারল সবশেষ ১০ সিরিজের সাতটিই। উইকেট এ দিন ছিল আগের চার ম্যাচের মতোই। শুরুতে ব্যাটিংয়ের জন্য ভালো, সময়ের সঙ্গে ক্রমশ খানিকটা মন্থর। টস জিতে ব্যাটিংয়ে নামা দক্ষিণ আফ্রিকার ইনিংস জুড়ে ছিলেন কেবল ডি কক ও মারক্রামই। ম্যাচের শুরুটা তাদের ছিল অবশ্য হোঁচট খেয়ে। কম্বিনেশন বদলে ওপেনিংয়ে নামা অধিনায়ক বাভুমা প্রথম ওভারেই ফিডেল এডওয়ার্ডসের বলে ধরা পড়েন স্লিপে।
দ্বিতীয় উইকেটে ডি কক ও মারক্রামের লম্বা জুটি। দুজনের সৌজন্যে ১৪ ওভার পর্যন্ত আর উইকেট হারায়নি দল। দুর্দান্ত ফর্মে থাকা ডি কক করেন টানা তৃতীয় ফিফটি। দ্বিতীয় উইকেটে ৮২ বলে ১২৮ রানের জুটি ভাঙে ১৫তম ওভারে। ডি কক আউট হন ৪২ বলে ৬০ রান করে। মারক্রাম নবম টি-টোয়েন্টিতে চতুর্থ ফিফটির দেখা পান ৩৪ বলে। তার ইনিংস থামে ৪ ছক্কায় ক্যারিয়ার সেরা ৪৮ বলে ৭০ রান করে। শেষ দিকে ডেভিড মিলার, ভিয়ান মুল্ডাররা প্রত্যাশিত ঝড় তুলতে পারেননি। শেষ ৫ ওভারে কেবল আসে ৩২ রান। ওয়েস্ট ইন্ডিজের রান তাড়া শুরু হয় লুইসের ব্যাটে প্রথম ওভারে ছক্কা, দ্বিতীয় ওভারে দুই বাউন্ডারিতে। তবে আরেক ওপেনার লেন্ডল সিমন্স বিদায় নেন ৩ রানেই। সেই ধাক্কা অবশ্য বুঝতেই দেননি লুইস। দারুণ ব্যাটিংয়ে রান বাড়াতে থাকেন তিনি। দ্বিতীয় উইকেটে ৪৫ রানের জুটি গড়ে ওঠে, তাতে ক্রিস গেইল হয়ে থাকেন দর্শক। লুইস ফিফটিতে পৌঁছে যান ৩০ বলে। তাবরাইজ শামসির ফ্লাইটে বিভ্রান্ত গেইল আউট হন ৯ বলে ১১ রান করে। ফিফটি পেরিয়েই লুইস আউট হয়ে যান ছক্কা মারার চেষ্টায় (৩২ বলে ৫২)। এরপর ক্যারিবিয়ানদের বিস্ফোরক মিডল অর্ডারকে নিষ্ক্রিয় রাখেন প্রোটিয়া বোলাররা। দুই দফায় ক্যাচ দিয়ে শামসির হাতে বেঁচে গিয়ে হেটমায়ার বিদায় নেন ৩১ বলে ৩৩ করে। ভিয়ান মুল্ডার পরপর দুই বলে ফেরান কাইরন পোলার্ড ও আন্দ্রে রাসেলকে।
শেষ দিকে দুই ছক্কায় ম্যাচ জমিয়ে তোলার ইঙ্গিত দিয়েছিলেন নিকোলাস পুরান। কিন্তু টানা দুই বলে পুরান ও ডোয়াইন ব্রাভোকে বিদায় করে দেন কাগিসো রাবাদা। শামসি বরাবরের মতোই কিপটে বোলিংয়ে ৪ ওভারে রান দেন মাত্র ১১। দক্ষিণ আফ্রিকা শেষ পর্যন্ত জিতে যায় সহজেই। ৭০ রানের ইনিংসটির জন্য ম্যাচের সেরা মারক্রাম। ওভারপ্রতি মাত্র ৪ করে রান দিয়ে সিরিজে ৭ উইকেট নিয়ে ম্যান অব দা সিরিজ শামসি। টেস্ট সিরিজে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে হোয়াইটওয়াশ করার পর টি-টোয়েন্টি সিরিজও জয়, প্রোটিয়া ক্রিকেটে মাঠের ভেতরে-বাইরে নানা অস্থিরতার সময়ে কিছুটা স্বস্তি এনে দিল এই সফর।