ঢাকা ০১:২১ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৪ মে ২০২৫

বিশ্ব রেকর্ডে নাম লেখালেন বাংলাদেশের বিড আর্টিস্ট আনিসা

  • আপডেট সময় : ০১:২৬:৫০ অপরাহ্ন, বুধবার, ২১ ডিসেম্বর ২০২২
  • ৮৬ বার পড়া হয়েছে

নারী ও শিশু ডেস্ক : আনিসা মুরশেদ। ২০ বছরের অভিজ্ঞতা সম্পন্ন একজন বাংলাদেশী পুঁতি শিল্পী (বিড আর্টিস্ট)। মাত্র ১০ বছর বয়সে তিনি একটি শখ হিসাবে পুঁতি শিল্পকে গ্রহণ করেন এবং দীর্ঘ অনুশীলনের মাধ্যমে নিজেই এ শিল্প আয়ত্ত করেআনিসা পুঁতি শিল্পে তার দক্ষতার পরিচয় দিতেই এ বছর ‘লংগেস্ট থ্রেড অব বিডস মেড বাই অ্যান ইন্ডিভিজুয়াল ইন ওয়ান আওয়ার’ শিরোনামে গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ড করেন। দিনটি ছিল তার জন্মদিন ১২ আগস্ট ২০২২। রেকর্ড এটেম্পট-এর প্রায় আড়াই আড়াই মাস পর ১ নভেম্বর ২০২২-এ আসে গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডস থেকে চূড়ান্ত ঘোষণা। বিশ্ব রেকর্ড অর্জন করতে বেশ ধৈর্য ও পরিশ্রমের পরিচয় দিতে হয়। কারণ এর জন্য রেকর্ডধারীকে পাড়ি দিতে হয় দীর্ঘ প্রস্তুতি এবং প্রমাণের অসংখ্য ধাপ। অনেক সময় বছরের পর বছর কেটে যায় এই সাধনায়। গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ড-এ একক খেতাব ধারী বর্তমানে তিনিই একমাত্র বাংলাদেশি নারী। মার্কেটিং ও কনটেন্ট বিশেষজ্ঞ আনিসা তার শখের পেশা হিসেবে ‘হেই অ্যানিসে’ প্রোজেক্ট শুরু করেছিলেন ২০২১ সালে। ভিডিওর মাধ্যমে সৃজনশীলভাবে তিনি তুলে ধরার চেষ্টা করেন অনন্য পুঁতি শিল্পকে। রেকর্ডটি ভাঙতে আনিসা এক ঘণ্টায় ৪২.৩ মিটার লম্বা পুঁতির মালা তৈরি করেছিলেন, তাতে ছিল মোট ১৬৭১টি পুঁতি। একই শিরোনামের পূর্ববর্তী রেকর্ডটি ছিল ৩২.৭ মিটার যা থেকে আনিসা প্রায় ১০ মিটার অতিক্রম করে নিজেকে ‘অফিশিয়ালি অ্যামেজিং’ বলে দাবি করতে সফল হয়েছেন।
উল্লেখ্য যে, আজ পর্যন্ত বাংলাদেশ থেকে গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডের একক খেতাব পেয়েছেন ১৫ জনেরও কম ব্যক্তি। নিজের অর্জনের ব্যাপারে আনিসা বলেন, ‘পুতি শিল্পের পেছনের সৃজনশীলতা, প্রচেষ্টা এবং সময়কে প্রায়ই উপেক্ষা করা হয়। কারণ এটি খুব জনপ্রিয় শিল্প নয়। বিশেষ করে বাংলাদেশে, যেখানে হস্তশিল্পের পণ্য যথাযথভাবে প্রশংসিত হয় না।’ তিনি আরও বলেন, ‘পুঁতির কাজ শুধু একটি কারুকাজ নয়; এটি একটি চর্চা যা সৃজনশীলতা, একাগ্রতা এবং ধৈর্য বিকাশে সহায়তা করে। আমার উদ্যোগের মাধ্যমে, আমি বাংলাদেশি কারিগরদের পুঁতি শিল্প গ্রহণ করতে, এটি থেকে উপার্জন করতে এবং সর্বোপরি স্থানীয় পুঁতি শিল্প উদ্যোগকে বিশ্বের কাছে তুলে ধরতে অনুপ্রাণিত করতে চাই।’

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

প্রধান উপদেষ্টা হতাশ-ক্ষুব্ধ, ‘পদত্যাগ’ নিয়ে আলোচনা

বিশ্ব রেকর্ডে নাম লেখালেন বাংলাদেশের বিড আর্টিস্ট আনিসা

আপডেট সময় : ০১:২৬:৫০ অপরাহ্ন, বুধবার, ২১ ডিসেম্বর ২০২২

নারী ও শিশু ডেস্ক : আনিসা মুরশেদ। ২০ বছরের অভিজ্ঞতা সম্পন্ন একজন বাংলাদেশী পুঁতি শিল্পী (বিড আর্টিস্ট)। মাত্র ১০ বছর বয়সে তিনি একটি শখ হিসাবে পুঁতি শিল্পকে গ্রহণ করেন এবং দীর্ঘ অনুশীলনের মাধ্যমে নিজেই এ শিল্প আয়ত্ত করেআনিসা পুঁতি শিল্পে তার দক্ষতার পরিচয় দিতেই এ বছর ‘লংগেস্ট থ্রেড অব বিডস মেড বাই অ্যান ইন্ডিভিজুয়াল ইন ওয়ান আওয়ার’ শিরোনামে গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ড করেন। দিনটি ছিল তার জন্মদিন ১২ আগস্ট ২০২২। রেকর্ড এটেম্পট-এর প্রায় আড়াই আড়াই মাস পর ১ নভেম্বর ২০২২-এ আসে গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডস থেকে চূড়ান্ত ঘোষণা। বিশ্ব রেকর্ড অর্জন করতে বেশ ধৈর্য ও পরিশ্রমের পরিচয় দিতে হয়। কারণ এর জন্য রেকর্ডধারীকে পাড়ি দিতে হয় দীর্ঘ প্রস্তুতি এবং প্রমাণের অসংখ্য ধাপ। অনেক সময় বছরের পর বছর কেটে যায় এই সাধনায়। গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ড-এ একক খেতাব ধারী বর্তমানে তিনিই একমাত্র বাংলাদেশি নারী। মার্কেটিং ও কনটেন্ট বিশেষজ্ঞ আনিসা তার শখের পেশা হিসেবে ‘হেই অ্যানিসে’ প্রোজেক্ট শুরু করেছিলেন ২০২১ সালে। ভিডিওর মাধ্যমে সৃজনশীলভাবে তিনি তুলে ধরার চেষ্টা করেন অনন্য পুঁতি শিল্পকে। রেকর্ডটি ভাঙতে আনিসা এক ঘণ্টায় ৪২.৩ মিটার লম্বা পুঁতির মালা তৈরি করেছিলেন, তাতে ছিল মোট ১৬৭১টি পুঁতি। একই শিরোনামের পূর্ববর্তী রেকর্ডটি ছিল ৩২.৭ মিটার যা থেকে আনিসা প্রায় ১০ মিটার অতিক্রম করে নিজেকে ‘অফিশিয়ালি অ্যামেজিং’ বলে দাবি করতে সফল হয়েছেন।
উল্লেখ্য যে, আজ পর্যন্ত বাংলাদেশ থেকে গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডের একক খেতাব পেয়েছেন ১৫ জনেরও কম ব্যক্তি। নিজের অর্জনের ব্যাপারে আনিসা বলেন, ‘পুতি শিল্পের পেছনের সৃজনশীলতা, প্রচেষ্টা এবং সময়কে প্রায়ই উপেক্ষা করা হয়। কারণ এটি খুব জনপ্রিয় শিল্প নয়। বিশেষ করে বাংলাদেশে, যেখানে হস্তশিল্পের পণ্য যথাযথভাবে প্রশংসিত হয় না।’ তিনি আরও বলেন, ‘পুঁতির কাজ শুধু একটি কারুকাজ নয়; এটি একটি চর্চা যা সৃজনশীলতা, একাগ্রতা এবং ধৈর্য বিকাশে সহায়তা করে। আমার উদ্যোগের মাধ্যমে, আমি বাংলাদেশি কারিগরদের পুঁতি শিল্প গ্রহণ করতে, এটি থেকে উপার্জন করতে এবং সর্বোপরি স্থানীয় পুঁতি শিল্প উদ্যোগকে বিশ্বের কাছে তুলে ধরতে অনুপ্রাণিত করতে চাই।’