ক্রীড়া ডেস্ক : মধ্যপ্রাচ্েয তথা আরব বিশ্বে প্রথম বিশ্বকাপ। আয়োজক দেশ কাতার। ৩২ দলের এই আসর কাতার কতটা সুন্দরভাবে আয়োজন করতে পারে তা নিয়ে ছিল অনেক জল্পনা কল্পনা, ধোঁয়াশা। বল মাঠে না গড়ানোর আগ পর্যন্ত আলোচনা থামছিলই না। নিজেদের রীতি, সংস্কৃতি ধরে রেখে বৈশ্বিক আসর আয়োজন করা চাট্টেখানি কথা ছিল না। কাতার সেই চ্যালেঞ্জ নিয়েছিল এবং সফলভাবে বিশ্বকাপ আয়োজন করে চোখ ধাঁধিয়ে দিয়েছে। ফিফার সভাপতি জিয়ান্নি ইনফান্তিনো ঘোষণা দিয়েছেন, কাতার বিশ্বকাপই তার দেখা সেরা বিশ্বকাপ। শুধু মাঠের ফুটবলই নয়, আয়োজক হিসেবে কাতার পেয়েছে লেটার মার্কস। বিশ্বকাপ ফুটবল সফলভাবে আয়োজন শেষে কাতারের পরবর্তী লক্ষ্য অলিম্পিক আয়োজন। এজন্য ২০৩৬ অলিম্পিককে টার্গেট করছে তারা। ২০২৪ সালে অলিম্পিক হবে প্যারিসে। ২০২৮ সালে লস অ্যাঞ্জেলেসে। ২০৩২ সালে ব্রিসবেনে। ঠিক পরের অলিম্পিকই আয়োজন করার ইচ্ছা কাতারের। এরই মধ্েয অলিম্পিক কমিটির কাছে নিজেদের আগ্রহের কথা মৌখিকভাবে জানিয়েছে কাতার। এ খবর নিশ্চিত করেছে অলিম্পিক কমিটি। এটা মূলত মৌখিক আলোচনা। বিডিং নয়। বিডিংয়ে অংশ নেওয়ার আগে অলিম্পিক কমিটিকে নিজেদের পরিকল্পনা প্রস্তুত করে জানাতে হবে কাতারকে। টুইট বার্তায় অলিম্পিক কমিটি জানিয়েছে, কাতার অলিম্পিক কমিটি আনুষ্ঠানিকভাবে ২০৩৬ অলিম্পিক ও প্যারা অলিম্পিক আয়োজনে ইচ্ছুক।’ শুধু কাতার নয়, অলিম্পিক আয়োজনে আগ্রহ আছে ইন্দোনেশিয়া ও ভারতেরও। কোষাগারে বিলিয়ন বিলিয়ন ডলার। তাই ফুটবল বিশ্বকাপের মহাযজ্ঞ আয়োজনে ভয় পায়নি কাতার। ২০১০ সালে ফিফার থেকে আয়োজক স্বত্ত্ব পাওয়ার পরই কাতার ঘোষণা দেয়, বিশ্বকে তাক লাগিয়ে দেবেন তারা। কথা মতো কাজ তাদের। মধ্যপ্রাচ্েযর দেশটি এযাবৎকালের সবচেয়ে ব্যয়বহুল ও সফল টুর্নামেন্ট আয়োজন করেছে। গণমাধ্যমে এসেছে, কাতার বিশ্বকাপ আয়োজনের জন্য ২২০ বিলিয়ন ডলার খরচ করেছে। ভাবা যায়, অলিম্পিক আয়োজনে তারা কি করবে?