ঢাকা ০৯:২৮ অপরাহ্ন, শনিবার, ২১ জুন ২০২৫

মানুষ গড়ার শিক্ষাকেন্দ্র

  • আপডেট সময় : ১০:১৭:২১ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৩ ডিসেম্বর ২০২২
  • ১১৭ বার পড়া হয়েছে

ক্যাম্পাস ও ক্যারিয়ার ডেস্ক : ছোট ক্যাম্পাস। গায়ে গায়ে লাগানো ভবন। এখনো চলছে ঢেলে সাজানোর নির্মাণযজ্ঞ। একটু একটু করে বাড়ছে ক্যাম্পাসের পরিধি। বাড়ছে সম্ভাবনা। বড় বড় স্বপ্ন জাগাতে শুরু করেছেন সাভারের গণ বিশ্ববিদ্যালয়ের (গবি) শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা। বিদ্যাপীঠটি ১৯৯৮ সালে অস্থায়ী ক্যাম্পাসে যাত্রা শুরু করে। পরে সাভারের নলাম এলাকায় বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য অধিগ্রহণ করা হয় ৩২ একর জমি। স্থায়ী ঠিকানা পায় গবি। সেই থেকে একটু একটু এগিয়ে চলেছে শিক্ষা, গবেষণা, খেলাধুলা, সাংস্কৃতিক চর্চাসহ নানান কার্যক্রম। এখন চারটি অনুষদে পড়ানো হচ্ছে ১৬টি বিষয়। ফটক থেকে শুরু করে ক্যাম্পাসের শেষ প্রান্তে প্রশাসনিক কিংবা একাডেমিক ভবন সবখানেই চলছে নির্মাণযজ্ঞ। এর মধ্যেই নানা রঙের ফল ও ফুলের গাছ রোপণ করা হয়েছে। দিনে দিনে বড় হচ্ছে সেই চারাগাছগুলো। একটু আগালে আড্ডার প্রাণকেন্দ্র বাদাম তলা। ডান দিকে তাকালে সবুজ ছাউনির ক্যান্টিন, ঝালমুড়ি-ফুসকা ও পিঠাপুলির দোকান। কথা হয় এক শিক্ষার্থীর সঙ্গে। তার শখ বই পড়া। প্রিয় লেখক হুমায়ুন আহমেদ। মোজাহিদুল ইসলাম নিরব পড়াশোনা করছেন আইন বিষয়ে। তার আরেকটি শখ ফটোগ্রাফি। তিনি বলেন, ‘বিভিন্ন লেখকের বই পড়া, আমার শখ। পছন্দের ছবি সংগ্রহ করে আমার রুমের দেয়ালে টানিয়ে রাখি। ভবিষ্যতে আইনজীবী হতে চাই। যা মানুষের উপকার বয়ে আনবে।’ গবি শিক্ষার্থীদের সুপরিচিত ফেসবুক গ্রুপ ‘গবিয়ান’ এর সঙ্গেও কাজ করছেন নিরব।
বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিধি ছোট হলেও ছাত্র সংগঠনের তৎপরতা ইতিমধ্যেই চোখে পড়ার মতো অবস্থায় পৌঁছেছে। সাংবাদিক সমিতি, ফটোগ্রাফি সোসাইটি, অগ্নিসেতু, ডিবেটিং সোসাইটি, স্বেচ্ছায় রক্তদাতা সংগঠন সহ বেশ কিছু সংগঠন নানা কর্মকা-ের মাধ্যমে ইতিমধ্যেই তাদের অবস্থান জানান দিয়েছে। এ ছাড়া ছাপা বই ও ই-বুক সমৃদ্ধ দুইটি আধুনিক লাইব্রেরিও আছে। নব্বই দশকের এই শিক্ষালয়ে চালু হয়েছে ইন্ট্রিগেশন এডুকেশন ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম। যার আওতায় ডিজিটাল ও অনলাইনে সেবা নিতে পারবেন সকলে। ইতিমধ্যে কয়েকটি বিভাগে মাল্টিমিডিয়া ক্লাসরুমে পাঠদানও চলছে। শিক্ষার্থীদের উন্নত ভৌত অবকাঠামো সুবিধা নিশ্চিতে আবাসিক হল, মুক্তমঞ্চ, সুইমিংপুল ও হাইটেক ক্যান্টিন নির্মাণের পরিকল্পনা রয়েছে। অচিরেই বাস সেবা পাবে শিক্ষার্থীরা। এ ছাড়া এগ্রিকালচার, ফিসারিজ ও এলএলএম প্রোগ্রাম চালু হচ্ছে, যা বেসরকারি শিক্ষাঙ্গনে অনন্য।
উপাচার্যের দায়িত্বে রয়েছেন অধ্যাপক ড. মো. আবুল হোসেন। তিনি বলেন, শিক্ষার্থীদের কর্মজীবনে দক্ষ হিসেবে গড়ে তোলাই আমাদের অন্যতম উদ্দেশ্য। গুণগত শিক্ষা নিশ্চিতে আউটকাম বেইজড এডুকেশন (ওবিই) কারিকুলামের সঙ্গে সমন্বয় রেখে চলছে পাঠ্যক্রম। তারুণ্যের স্বপ্ন পূরণের শিক্ষাকেন্দ্র এটি। শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন ক্ষেত্রে ভালো করছেন। আমাদের আরও ভালো করার সুযোগ রয়েছে।

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

অন্তর্বর্তী সরকার ভালো কাজ করছে, আমাদের পথ দেখাচ্ছে: ফখরুল

মানুষ গড়ার শিক্ষাকেন্দ্র

আপডেট সময় : ১০:১৭:২১ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৩ ডিসেম্বর ২০২২

ক্যাম্পাস ও ক্যারিয়ার ডেস্ক : ছোট ক্যাম্পাস। গায়ে গায়ে লাগানো ভবন। এখনো চলছে ঢেলে সাজানোর নির্মাণযজ্ঞ। একটু একটু করে বাড়ছে ক্যাম্পাসের পরিধি। বাড়ছে সম্ভাবনা। বড় বড় স্বপ্ন জাগাতে শুরু করেছেন সাভারের গণ বিশ্ববিদ্যালয়ের (গবি) শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা। বিদ্যাপীঠটি ১৯৯৮ সালে অস্থায়ী ক্যাম্পাসে যাত্রা শুরু করে। পরে সাভারের নলাম এলাকায় বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য অধিগ্রহণ করা হয় ৩২ একর জমি। স্থায়ী ঠিকানা পায় গবি। সেই থেকে একটু একটু এগিয়ে চলেছে শিক্ষা, গবেষণা, খেলাধুলা, সাংস্কৃতিক চর্চাসহ নানান কার্যক্রম। এখন চারটি অনুষদে পড়ানো হচ্ছে ১৬টি বিষয়। ফটক থেকে শুরু করে ক্যাম্পাসের শেষ প্রান্তে প্রশাসনিক কিংবা একাডেমিক ভবন সবখানেই চলছে নির্মাণযজ্ঞ। এর মধ্যেই নানা রঙের ফল ও ফুলের গাছ রোপণ করা হয়েছে। দিনে দিনে বড় হচ্ছে সেই চারাগাছগুলো। একটু আগালে আড্ডার প্রাণকেন্দ্র বাদাম তলা। ডান দিকে তাকালে সবুজ ছাউনির ক্যান্টিন, ঝালমুড়ি-ফুসকা ও পিঠাপুলির দোকান। কথা হয় এক শিক্ষার্থীর সঙ্গে। তার শখ বই পড়া। প্রিয় লেখক হুমায়ুন আহমেদ। মোজাহিদুল ইসলাম নিরব পড়াশোনা করছেন আইন বিষয়ে। তার আরেকটি শখ ফটোগ্রাফি। তিনি বলেন, ‘বিভিন্ন লেখকের বই পড়া, আমার শখ। পছন্দের ছবি সংগ্রহ করে আমার রুমের দেয়ালে টানিয়ে রাখি। ভবিষ্যতে আইনজীবী হতে চাই। যা মানুষের উপকার বয়ে আনবে।’ গবি শিক্ষার্থীদের সুপরিচিত ফেসবুক গ্রুপ ‘গবিয়ান’ এর সঙ্গেও কাজ করছেন নিরব।
বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিধি ছোট হলেও ছাত্র সংগঠনের তৎপরতা ইতিমধ্যেই চোখে পড়ার মতো অবস্থায় পৌঁছেছে। সাংবাদিক সমিতি, ফটোগ্রাফি সোসাইটি, অগ্নিসেতু, ডিবেটিং সোসাইটি, স্বেচ্ছায় রক্তদাতা সংগঠন সহ বেশ কিছু সংগঠন নানা কর্মকা-ের মাধ্যমে ইতিমধ্যেই তাদের অবস্থান জানান দিয়েছে। এ ছাড়া ছাপা বই ও ই-বুক সমৃদ্ধ দুইটি আধুনিক লাইব্রেরিও আছে। নব্বই দশকের এই শিক্ষালয়ে চালু হয়েছে ইন্ট্রিগেশন এডুকেশন ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম। যার আওতায় ডিজিটাল ও অনলাইনে সেবা নিতে পারবেন সকলে। ইতিমধ্যে কয়েকটি বিভাগে মাল্টিমিডিয়া ক্লাসরুমে পাঠদানও চলছে। শিক্ষার্থীদের উন্নত ভৌত অবকাঠামো সুবিধা নিশ্চিতে আবাসিক হল, মুক্তমঞ্চ, সুইমিংপুল ও হাইটেক ক্যান্টিন নির্মাণের পরিকল্পনা রয়েছে। অচিরেই বাস সেবা পাবে শিক্ষার্থীরা। এ ছাড়া এগ্রিকালচার, ফিসারিজ ও এলএলএম প্রোগ্রাম চালু হচ্ছে, যা বেসরকারি শিক্ষাঙ্গনে অনন্য।
উপাচার্যের দায়িত্বে রয়েছেন অধ্যাপক ড. মো. আবুল হোসেন। তিনি বলেন, শিক্ষার্থীদের কর্মজীবনে দক্ষ হিসেবে গড়ে তোলাই আমাদের অন্যতম উদ্দেশ্য। গুণগত শিক্ষা নিশ্চিতে আউটকাম বেইজড এডুকেশন (ওবিই) কারিকুলামের সঙ্গে সমন্বয় রেখে চলছে পাঠ্যক্রম। তারুণ্যের স্বপ্ন পূরণের শিক্ষাকেন্দ্র এটি। শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন ক্ষেত্রে ভালো করছেন। আমাদের আরও ভালো করার সুযোগ রয়েছে।