ঢাকা ০৭:৪৩ অপরাহ্ন, শনিবার, ২১ জুন ২০২৫

রাবিতে ‘শীত আগমনী উৎসব’

  • আপডেট সময় : ১০:০৪:৪২ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৩ ডিসেম্বর ২০২২
  • ৮৪ বার পড়া হয়েছে

ক্যাম্পাস ও ক্যারিয়ার ডেস্ক : ষড় ঋতুর দেশ বাংলাদেশ। প্রতিটি ঋতুতে আছে ভিন্ন ভিন্ন আমেজ। ঋতুর সংখ্যাগত পরিক্রমায় শীতের স্থান পঞ্চমে। শীতকালের সঙ্গে উৎসবের একটা গভীর সম্পর্ক রয়েছে। শীত আসলে দেশের প্রতিটি প্রান্তে শুরু হয় উৎসব। এই উৎসব একেবারেই লৌকিক ও প্রাকৃতিক বৈশিষ্ট্যসম্পন্ন। শীতকে বরণ করতে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) প্রথম বারের মতো অনুষ্ঠিত হয়েছে ‘শীত আগমনী উৎসব -১৪২৯’।
সোমবার (১২ ডিসেম্বর) দুপুরে চারুকলা প্রাঙ্গণে কাঁথা সেলাইয়ের মাধ্যমে এ উৎসবের উদ্বোধন করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. এম হুমায়ুন কবির। এ সময় চারুকলা অনুষদের নবীন শিক্ষার্থীদের (২০২১-২২ সেশন) ফুলের ঢালা ও চিঠি দিয়ে বরণ করে নেওয়া হয়। বিকেলে উৎসব প্রাঙ্গণ ঘুরে দেখা যায়, কাগজ কেটে কারুকার্যের মাধ্যমে নির্মিত সূর্যমুখী ফুলের বাগান। চারুকলা অনুষদ মাঠের মাঠের মাঝে পুকুর খনন করে সেখানে কৃত্রিম পদ্ম পুকুর তৈরী করেছেন শিক্ষার্থীরা। সেখানে বিভিন্ন কৃত্তিম ফুল রাখা হয়েছে। এ উৎসবের মাধ্যমে শীতকালীন আবহটিকে উপস্থাপন করছেন শিক্ষার্থীরা। এছাড়াও শীতের বাহারি রকমের পিঠার স্টলও দেখা যায়। ‘আরন্দিা’ নামে একটি স্টল দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের গ্রাফিক ডিজাই, কারুশিল্প ও শিল্পকলার ইতিহাস শিক্ষার্থী আরুবা। তিনি বলেন, আমাদের মূল উদ্দেশ্য হচ্ছে দেশীয় শিল্পকে সর্বস্তরের মানুষের কাছে পৌঁছে দেওয়া। বাঙালি সংস্কৃতি ধীরে ধীরে হারিয়ে যাচ্ছে। সেটা যেন হারিয়ে না যায় সেজন্য আমাদের নিজস্ব কাজে ও সাজসজ্জায় তা ফুটিয়ে তোলার চেষ্টা করছি। সিল্ক বাংলাদেশে ঐতিহ্যবাহী পণ্য। সিল্ক ও মসলিনের তৈরি বিভিন্ন শাড়ি, স্কার্ফ মাফলার দিয়ে আমরা স্টল সাজিয়েছি।
শীত আগমনী উৎসবে ঘুরতে আসা শিক্ষার্থী রুবাইদ রনি বলেন, এই আয়োজন দেখে খুব ভালো লাগছে। বাংলার সংস্কৃতিকে কৃত্রিমভাবে তুলে ধরা হয়েছে। গাছে গাছে অতিথি পাখির মেলা, পদ্ম পুকুর ও সূর্যমুখী চত্বর সবগুলোতেই বাঙালির সংস্কৃতি ধারা। খুবই ভালো লাগছে এ উৎসবে আসতে পেরে। উৎসবের উদ্বোধক ও অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি উপ-উপাচার্য অধ্যাপক হুমায়ুন কবীর বলেন, শীত হচ্ছে উপভোগের বিষয়। আমরা বছরের অধিকাংশ সময় গরমে কাটাই, বাকি তিন মাস আমরা শীত উপভোগ করি। এখন শীতের সেই আমেজ ধীরে ধীরে কমে যাচ্ছে। আজ চারুকলা অনুষদের শিক্ষার্থীদের আয়োজনে শীতকে কেন্দ্র করে যে উৎসব চলছে, আমরা সেটা উপভোগ করবো। উৎসবকে ঘিরে বিভিন্ন আয়োজন রয়েছে। এছাড়া শীতের বাহারি রকমের পিঠার স্বাদ নেবো আমরা। শীত এলেই চারুকলার এসব উৎসবের দিকে তাকিয়ে আমরা।

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

ইরান-ইসরায়েল সংঘাত নিয়ে জাতিসংঘ মহাসচিবের হুঁশিয়ারি

রাবিতে ‘শীত আগমনী উৎসব’

আপডেট সময় : ১০:০৪:৪২ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৩ ডিসেম্বর ২০২২

ক্যাম্পাস ও ক্যারিয়ার ডেস্ক : ষড় ঋতুর দেশ বাংলাদেশ। প্রতিটি ঋতুতে আছে ভিন্ন ভিন্ন আমেজ। ঋতুর সংখ্যাগত পরিক্রমায় শীতের স্থান পঞ্চমে। শীতকালের সঙ্গে উৎসবের একটা গভীর সম্পর্ক রয়েছে। শীত আসলে দেশের প্রতিটি প্রান্তে শুরু হয় উৎসব। এই উৎসব একেবারেই লৌকিক ও প্রাকৃতিক বৈশিষ্ট্যসম্পন্ন। শীতকে বরণ করতে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) প্রথম বারের মতো অনুষ্ঠিত হয়েছে ‘শীত আগমনী উৎসব -১৪২৯’।
সোমবার (১২ ডিসেম্বর) দুপুরে চারুকলা প্রাঙ্গণে কাঁথা সেলাইয়ের মাধ্যমে এ উৎসবের উদ্বোধন করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. এম হুমায়ুন কবির। এ সময় চারুকলা অনুষদের নবীন শিক্ষার্থীদের (২০২১-২২ সেশন) ফুলের ঢালা ও চিঠি দিয়ে বরণ করে নেওয়া হয়। বিকেলে উৎসব প্রাঙ্গণ ঘুরে দেখা যায়, কাগজ কেটে কারুকার্যের মাধ্যমে নির্মিত সূর্যমুখী ফুলের বাগান। চারুকলা অনুষদ মাঠের মাঠের মাঝে পুকুর খনন করে সেখানে কৃত্রিম পদ্ম পুকুর তৈরী করেছেন শিক্ষার্থীরা। সেখানে বিভিন্ন কৃত্তিম ফুল রাখা হয়েছে। এ উৎসবের মাধ্যমে শীতকালীন আবহটিকে উপস্থাপন করছেন শিক্ষার্থীরা। এছাড়াও শীতের বাহারি রকমের পিঠার স্টলও দেখা যায়। ‘আরন্দিা’ নামে একটি স্টল দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের গ্রাফিক ডিজাই, কারুশিল্প ও শিল্পকলার ইতিহাস শিক্ষার্থী আরুবা। তিনি বলেন, আমাদের মূল উদ্দেশ্য হচ্ছে দেশীয় শিল্পকে সর্বস্তরের মানুষের কাছে পৌঁছে দেওয়া। বাঙালি সংস্কৃতি ধীরে ধীরে হারিয়ে যাচ্ছে। সেটা যেন হারিয়ে না যায় সেজন্য আমাদের নিজস্ব কাজে ও সাজসজ্জায় তা ফুটিয়ে তোলার চেষ্টা করছি। সিল্ক বাংলাদেশে ঐতিহ্যবাহী পণ্য। সিল্ক ও মসলিনের তৈরি বিভিন্ন শাড়ি, স্কার্ফ মাফলার দিয়ে আমরা স্টল সাজিয়েছি।
শীত আগমনী উৎসবে ঘুরতে আসা শিক্ষার্থী রুবাইদ রনি বলেন, এই আয়োজন দেখে খুব ভালো লাগছে। বাংলার সংস্কৃতিকে কৃত্রিমভাবে তুলে ধরা হয়েছে। গাছে গাছে অতিথি পাখির মেলা, পদ্ম পুকুর ও সূর্যমুখী চত্বর সবগুলোতেই বাঙালির সংস্কৃতি ধারা। খুবই ভালো লাগছে এ উৎসবে আসতে পেরে। উৎসবের উদ্বোধক ও অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি উপ-উপাচার্য অধ্যাপক হুমায়ুন কবীর বলেন, শীত হচ্ছে উপভোগের বিষয়। আমরা বছরের অধিকাংশ সময় গরমে কাটাই, বাকি তিন মাস আমরা শীত উপভোগ করি। এখন শীতের সেই আমেজ ধীরে ধীরে কমে যাচ্ছে। আজ চারুকলা অনুষদের শিক্ষার্থীদের আয়োজনে শীতকে কেন্দ্র করে যে উৎসব চলছে, আমরা সেটা উপভোগ করবো। উৎসবকে ঘিরে বিভিন্ন আয়োজন রয়েছে। এছাড়া শীতের বাহারি রকমের পিঠার স্বাদ নেবো আমরা। শীত এলেই চারুকলার এসব উৎসবের দিকে তাকিয়ে আমরা।