ঢাকা ০৪:২০ অপরাহ্ন, রবিবার, ০৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫

ইতিহাসের জঘন্যতম হত্যাযজ্ঞ চালায় পাক হানাদার বাহিনী

  • আপডেট সময় : ০২:৩৪:৪৩ অপরাহ্ন, শনিবার, ১০ ডিসেম্বর ২০২২
  • ১০৯ বার পড়া হয়েছে

প্রত্যাশা ডেস্ক : আজ ১১ ডিসেম্বর। ১৯৭১ সালের এইদিনে দেশের বিভিন্ন জেলা হানাদার মুক্ত হয়। ১৯৭১ সালের এই দিনে ইতিহাসের জঘন্যতম হত্যাযজ্ঞ চালায় পাক হানাদার বাহিনী। জেলা প্রশাসন, মুক্তিযোদ্ধা সংসদ ও মুক্তিযোদ্ধা ইউনিট কমান্ড বিভিন্ন কর্মসূচির মাধ্যমে পালন করেছে দিনটি।
১১ ডিসেম্বর। মুন্সীগঞ্জ হানাদারমুক্ত দিবস আজ। ১৯৭১ সালের এইদিনে জেলাটি হানাদার মুক্ত হয়। ১৯৭১ সালের ৯ মে পাকবাহিনী ইতিহাসের জঘন্যতম হত্যাযজ্ঞ চালায় এ জেলার গজারিয়া উপজেলায়। সেদিন হানাদার বাহিনী ১০টি গ্রামে ৩৬০ জন নিরীহ গ্রামবাসীকে নির্মমভাবে হত্যা করে। শুধু তাই নয়, জেলার বিভিন্ন স্থানে মুক্তিবাহিনীর সাথে পাক সেনাদের হয় তুমুল লড়াই। পরাজিত হয় পাকসেনারা।
দিনাজপুরের হাকিমপুর উপজেলার সীমান্তবর্তী এলাকা হিলি মুক্ত দিবসও আজ। পাকবাহিনীর নির্মম নির্যাতন, হত্যাযজ্ঞ আর সম্ভ্রমহানির ঘটনা, স্মরণ করিয়ে দেয় সেই ১৯৭১‘ সালের ১১ ডিসেম্বরের ভয়াল দিনের কথা। হানাদার বাহিনীর সঙ্গে যুদ্ধে এখানে শহীদ হয়েছিলেন ক্যাপ্টেন আনোয়ারসহ মিত্রবাহিনীর সদস্য ৩৫৭ জন। আহত হয়েছিলেন আরো প্রায় ১৪শ’ মুক্তি সেনা। শহীদদের প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধা নিবেদনসহ নানা আয়োজন পালিত হয়েছে কুষ্টিয়া মক্ত দিবস। সকালে কুষ্টিয়া কালেক্ট্ররেট চত্ত্বরে কেন্দ্রীয় স্মৃতিস্তম্ভে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ সাইদুল ইসলাম ও পুলিশ সুপার মোঃ খাইরুল আলম। পরে মুক্তিযোদ্ধা সংসদ, সদর উপজেলাসহ বিভিন্ন সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠন শ্রদ্ধা জানায়।
১৯৭১ সালের ৯ ডিসেম্বর থেকে মুক্তিবাহিনীর শক্ত প্রতিরোধের মুখে ঐ দিন বিকেল থেকেই পালিয়ে যেতে শুরু করে পাকবাহিনী। তারা ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জ থেকে পালিয়ে ভৈরব যাওয়ার সময় মেঘনা নদীর উপর নির্মিত রেল সেতুর একাংশ ডিনামাইট দিয়ে উড়িয়ে দেয়। এতে সেতুর ২টি স্প্যান ভেঙ্গে নদীতে পড়ে। ১১ ডিসেম্বর বিকেলে সম্পূর্ণ শত্রু মুক্ত হয় আশুগঞ্জ উপজেলা। ১১ ডিসেম্বর হানাদার মুক্ত হয় টাঙ্গাইল। ১৯৭১ সালের এই দিনে বাংলার সূর্য সন্তানরা পাকিস্থানী হানাদার বাহিনীর কবল থেকে টাঙ্গাইলকে মুক্ত করে। নানা কর্মসূচির মধ্যে দিয়ে দিনটি পালন করেছে আওয়ামী লীগসহ বিভিন্ন সংগঠন।

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

টাঙ্গাইলে পাল্টাপাল্টি সমাবেশ ঘিরে চলছে ১৪৪ ধারা, থমথমে অবস্থা

ইতিহাসের জঘন্যতম হত্যাযজ্ঞ চালায় পাক হানাদার বাহিনী

আপডেট সময় : ০২:৩৪:৪৩ অপরাহ্ন, শনিবার, ১০ ডিসেম্বর ২০২২

প্রত্যাশা ডেস্ক : আজ ১১ ডিসেম্বর। ১৯৭১ সালের এইদিনে দেশের বিভিন্ন জেলা হানাদার মুক্ত হয়। ১৯৭১ সালের এই দিনে ইতিহাসের জঘন্যতম হত্যাযজ্ঞ চালায় পাক হানাদার বাহিনী। জেলা প্রশাসন, মুক্তিযোদ্ধা সংসদ ও মুক্তিযোদ্ধা ইউনিট কমান্ড বিভিন্ন কর্মসূচির মাধ্যমে পালন করেছে দিনটি।
১১ ডিসেম্বর। মুন্সীগঞ্জ হানাদারমুক্ত দিবস আজ। ১৯৭১ সালের এইদিনে জেলাটি হানাদার মুক্ত হয়। ১৯৭১ সালের ৯ মে পাকবাহিনী ইতিহাসের জঘন্যতম হত্যাযজ্ঞ চালায় এ জেলার গজারিয়া উপজেলায়। সেদিন হানাদার বাহিনী ১০টি গ্রামে ৩৬০ জন নিরীহ গ্রামবাসীকে নির্মমভাবে হত্যা করে। শুধু তাই নয়, জেলার বিভিন্ন স্থানে মুক্তিবাহিনীর সাথে পাক সেনাদের হয় তুমুল লড়াই। পরাজিত হয় পাকসেনারা।
দিনাজপুরের হাকিমপুর উপজেলার সীমান্তবর্তী এলাকা হিলি মুক্ত দিবসও আজ। পাকবাহিনীর নির্মম নির্যাতন, হত্যাযজ্ঞ আর সম্ভ্রমহানির ঘটনা, স্মরণ করিয়ে দেয় সেই ১৯৭১‘ সালের ১১ ডিসেম্বরের ভয়াল দিনের কথা। হানাদার বাহিনীর সঙ্গে যুদ্ধে এখানে শহীদ হয়েছিলেন ক্যাপ্টেন আনোয়ারসহ মিত্রবাহিনীর সদস্য ৩৫৭ জন। আহত হয়েছিলেন আরো প্রায় ১৪শ’ মুক্তি সেনা। শহীদদের প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধা নিবেদনসহ নানা আয়োজন পালিত হয়েছে কুষ্টিয়া মক্ত দিবস। সকালে কুষ্টিয়া কালেক্ট্ররেট চত্ত্বরে কেন্দ্রীয় স্মৃতিস্তম্ভে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ সাইদুল ইসলাম ও পুলিশ সুপার মোঃ খাইরুল আলম। পরে মুক্তিযোদ্ধা সংসদ, সদর উপজেলাসহ বিভিন্ন সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠন শ্রদ্ধা জানায়।
১৯৭১ সালের ৯ ডিসেম্বর থেকে মুক্তিবাহিনীর শক্ত প্রতিরোধের মুখে ঐ দিন বিকেল থেকেই পালিয়ে যেতে শুরু করে পাকবাহিনী। তারা ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জ থেকে পালিয়ে ভৈরব যাওয়ার সময় মেঘনা নদীর উপর নির্মিত রেল সেতুর একাংশ ডিনামাইট দিয়ে উড়িয়ে দেয়। এতে সেতুর ২টি স্প্যান ভেঙ্গে নদীতে পড়ে। ১১ ডিসেম্বর বিকেলে সম্পূর্ণ শত্রু মুক্ত হয় আশুগঞ্জ উপজেলা। ১১ ডিসেম্বর হানাদার মুক্ত হয় টাঙ্গাইল। ১৯৭১ সালের এই দিনে বাংলার সূর্য সন্তানরা পাকিস্থানী হানাদার বাহিনীর কবল থেকে টাঙ্গাইলকে মুক্ত করে। নানা কর্মসূচির মধ্যে দিয়ে দিনটি পালন করেছে আওয়ামী লীগসহ বিভিন্ন সংগঠন।