ঢাকা ১০:৪১ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ০৫ অগাস্ট ২০২৫

মার্সিডিজ চালিয়ে ক্রিমিয়া সেতু পরিদর্শনে পুতিন

  • আপডেট সময় : ০১:৪৫:৩৯ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৬ ডিসেম্বর ২০২২
  • ৮৯ বার পড়া হয়েছে

প্রত্যাশা ডেস্ক : মার্সিডিজ চালিয়ে গত সোমবার ক্রিমিয়া সেতু ঘুরে গেছেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। এই সেতুটি রাশিয়ার দক্ষিণাঞ্চলের সঙ্গে ক্রিমিয়া উপদ্বীপের সংযোগ স্থাপন করেছে। দুই মাসেরও কম সময় আগে বিস্ফোরণে সেতুটির একটি অংশ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল। খবর রয়টার্সের।
সাগরের ওপর ১৯ কিলোমিটারের সড়ক ও রেল সেতুটিকে রাশিয়ার অবকাঠামো শক্তিমত্তার প্রদর্শনী হিসেবে দেখা হয়। ২০১৮ সালে পুতিন নিজে সেতুটির উদ্বোধন করেছিলেন। গত ৮ অক্টোবর ক্রিমিয়া সেতুর ওপর বোমা হামলার ঘটনা ঘটে। ইউক্রেন ওই হামলা চালিয়েছিল বলে অভিযোগ করে আসছে রাশিয়া। রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনের ফুটেজে দেখা যায়, পুতিন গাড়ির চালকের আসনে বসে সঙ্গে থাকা উপপ্রধানমন্ত্রী মারাত খুসনুল্লিনের কাছে জানতে চাইছেন, কোথায় হামলাটি চালানো হয়েছিল। সেতু অতিক্রম করার সময় পুতিন বলেন, ‘আমরা সেতুর ডান পাশের অংশে গাড়ি চালাচ্ছি। যেমনটা আমি বুঝেছি, সেতুর বাঁ পাশ চলাচল করার মতো অবস্থায় আছে। কিন্তু তবুও কাজটি পুরোপুরি শেষ হওয়া দরকার। এই পাশে এখনো সামান্য সমস্যা আছে, আমাদের সেটাকে উপযুক্ত অবস্থায় নিয়ে আসা প্রয়োজন।’
ক্রিমিয়া সেতু ইউরোপের সবচেয়ে দীর্ঘ সেতু। পুতিনকে সেতুর কিছু অংশে হাঁটতেও দেখা যায়। বিস্ফোরণে সেতুর পুড়ে যাওয়া অংশটি ভালো করে দেখতে গাড়ি থেকে নামেন তিনি। পুতিনের ৭০তম জন্মদিনের পরদিন ৮ অক্টোবর সকালে ক্রিমিয়া সেতুতে বোমা হামলা চালানো হয়। ইউক্রেন কখনো এই হামলার দায় স্বীকার করেনি। রাশিয়ার কেন্দ্রীয় নিরাপত্তা সংস্থা বলেছে, ইউক্রেনের সামরিক গোয়েন্দা সংস্থার নির্দেশনা অনুযায়ী এই হামলা চালানো হয়। বিস্ফোরণে সড়ক সেতুর একটি অংশ ধসে যায়। এতে কার্চ প্রণালির ওপর এই সেতু দিয়ে যান চলাচল সাময়িক ব্যাহত হয়। বিস্ফোরণে একটি ট্রেনে থাকা কয়েকটি জ্বালানি ট্যাংকারেও আগুন ধরে যায়। ট্রেনটি পার্শ্ববর্তী দক্ষিণ রাশিয়া থেকে ক্রিমিয়া যাচ্ছিল। রাশিয়া ২০১৪ সালে ইউক্রেনের কাছ থেকে ক্রিমিয়া দখল করে মূল ভূখ-ের সঙ্গে যুক্ত করে নেয়। ইউক্রেন উপদ্বীপটি ফিরিয়ে নেওয়ার অঙ্গীকার ব্যক্ত করেছে। সম্প্রতি পুতিনের নিরাপত্তা দলের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট টেলিগ্রাম চ্যানেলের বরাত দিয়ে নিউইয়র্ক পোস্টের খবরে বলা হয় পুতিন মস্কোতে তাঁর সরকারি বাসভবনে সিঁড়ি থেকে পড়ে গিয়ে আঘাত পেয়েছেন। এরপর আঘাতজনিত কারণে সেখানে তিনি মলত্যাগ করেন। এমন খবর প্রকাশের পর গত সোমবার রাশিয়ার রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনের ফুটেজে দেখা যায়, পুতিন মার্সিডিজ চালিয়ে ক্রিমিয়া সেতু ঘুরছেন। যুক্তরাজ্যভিত্তিক সংবাদমাধ্যম এক্সপ্রেসের খবর বলছে, গত মাসে কিউবার প্রেসিডেন্ট মিগুয়েল দিয়াজ-ক্যানেলের সঙ্গে বৈঠক চলাকালে পুতিনের হাত কাঁপছিল ও ফ্যাকাশে দেখাচ্ছিল। মার্কিন গণমাধ্যমগুলো প্রায়ই পুতিন ক্যানসারে আক্রান্ত বলে খবর প্রকাশ করে। ২০১৪ সালে পুতিনের মুখপাত্র যুক্তরাষ্ট্রের গণমাধ্যমে প্রকাশিত এসব খবরের উপহাস করেন। তিনি বলেন, ‘সংবাদকর্মীদের এই ফাঁদ থেকে বেরিয়ে আসা উচিত।’

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

মার্সিডিজ চালিয়ে ক্রিমিয়া সেতু পরিদর্শনে পুতিন

আপডেট সময় : ০১:৪৫:৩৯ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৬ ডিসেম্বর ২০২২

প্রত্যাশা ডেস্ক : মার্সিডিজ চালিয়ে গত সোমবার ক্রিমিয়া সেতু ঘুরে গেছেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। এই সেতুটি রাশিয়ার দক্ষিণাঞ্চলের সঙ্গে ক্রিমিয়া উপদ্বীপের সংযোগ স্থাপন করেছে। দুই মাসেরও কম সময় আগে বিস্ফোরণে সেতুটির একটি অংশ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল। খবর রয়টার্সের।
সাগরের ওপর ১৯ কিলোমিটারের সড়ক ও রেল সেতুটিকে রাশিয়ার অবকাঠামো শক্তিমত্তার প্রদর্শনী হিসেবে দেখা হয়। ২০১৮ সালে পুতিন নিজে সেতুটির উদ্বোধন করেছিলেন। গত ৮ অক্টোবর ক্রিমিয়া সেতুর ওপর বোমা হামলার ঘটনা ঘটে। ইউক্রেন ওই হামলা চালিয়েছিল বলে অভিযোগ করে আসছে রাশিয়া। রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনের ফুটেজে দেখা যায়, পুতিন গাড়ির চালকের আসনে বসে সঙ্গে থাকা উপপ্রধানমন্ত্রী মারাত খুসনুল্লিনের কাছে জানতে চাইছেন, কোথায় হামলাটি চালানো হয়েছিল। সেতু অতিক্রম করার সময় পুতিন বলেন, ‘আমরা সেতুর ডান পাশের অংশে গাড়ি চালাচ্ছি। যেমনটা আমি বুঝেছি, সেতুর বাঁ পাশ চলাচল করার মতো অবস্থায় আছে। কিন্তু তবুও কাজটি পুরোপুরি শেষ হওয়া দরকার। এই পাশে এখনো সামান্য সমস্যা আছে, আমাদের সেটাকে উপযুক্ত অবস্থায় নিয়ে আসা প্রয়োজন।’
ক্রিমিয়া সেতু ইউরোপের সবচেয়ে দীর্ঘ সেতু। পুতিনকে সেতুর কিছু অংশে হাঁটতেও দেখা যায়। বিস্ফোরণে সেতুর পুড়ে যাওয়া অংশটি ভালো করে দেখতে গাড়ি থেকে নামেন তিনি। পুতিনের ৭০তম জন্মদিনের পরদিন ৮ অক্টোবর সকালে ক্রিমিয়া সেতুতে বোমা হামলা চালানো হয়। ইউক্রেন কখনো এই হামলার দায় স্বীকার করেনি। রাশিয়ার কেন্দ্রীয় নিরাপত্তা সংস্থা বলেছে, ইউক্রেনের সামরিক গোয়েন্দা সংস্থার নির্দেশনা অনুযায়ী এই হামলা চালানো হয়। বিস্ফোরণে সড়ক সেতুর একটি অংশ ধসে যায়। এতে কার্চ প্রণালির ওপর এই সেতু দিয়ে যান চলাচল সাময়িক ব্যাহত হয়। বিস্ফোরণে একটি ট্রেনে থাকা কয়েকটি জ্বালানি ট্যাংকারেও আগুন ধরে যায়। ট্রেনটি পার্শ্ববর্তী দক্ষিণ রাশিয়া থেকে ক্রিমিয়া যাচ্ছিল। রাশিয়া ২০১৪ সালে ইউক্রেনের কাছ থেকে ক্রিমিয়া দখল করে মূল ভূখ-ের সঙ্গে যুক্ত করে নেয়। ইউক্রেন উপদ্বীপটি ফিরিয়ে নেওয়ার অঙ্গীকার ব্যক্ত করেছে। সম্প্রতি পুতিনের নিরাপত্তা দলের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট টেলিগ্রাম চ্যানেলের বরাত দিয়ে নিউইয়র্ক পোস্টের খবরে বলা হয় পুতিন মস্কোতে তাঁর সরকারি বাসভবনে সিঁড়ি থেকে পড়ে গিয়ে আঘাত পেয়েছেন। এরপর আঘাতজনিত কারণে সেখানে তিনি মলত্যাগ করেন। এমন খবর প্রকাশের পর গত সোমবার রাশিয়ার রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনের ফুটেজে দেখা যায়, পুতিন মার্সিডিজ চালিয়ে ক্রিমিয়া সেতু ঘুরছেন। যুক্তরাজ্যভিত্তিক সংবাদমাধ্যম এক্সপ্রেসের খবর বলছে, গত মাসে কিউবার প্রেসিডেন্ট মিগুয়েল দিয়াজ-ক্যানেলের সঙ্গে বৈঠক চলাকালে পুতিনের হাত কাঁপছিল ও ফ্যাকাশে দেখাচ্ছিল। মার্কিন গণমাধ্যমগুলো প্রায়ই পুতিন ক্যানসারে আক্রান্ত বলে খবর প্রকাশ করে। ২০১৪ সালে পুতিনের মুখপাত্র যুক্তরাষ্ট্রের গণমাধ্যমে প্রকাশিত এসব খবরের উপহাস করেন। তিনি বলেন, ‘সংবাদকর্মীদের এই ফাঁদ থেকে বেরিয়ে আসা উচিত।’