ক্রীড়া ডেস্ক : ফুটবল কিংবদন্তি পেলেকে হাসপাতালের প্যালিয়েটিভ কেয়ার ইউনিটে নেওয়ার খবর নাড়িয়ে দিয়েছে ক্রীড়া বিশ্বকে। তার সুস্থতা কামনায় প্রার্থনা করছেন সবাই। একমাত্র ফুটবলার হিসেবে তিনটি বিশ্বকাপ জেতা পেলেকে নিয়মিত চিকিৎসার অংশ হিসেবে গত বুধবার সাও পাওলোর আলবার্ট আইনস্টাইন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তবে শনিবার ব্রাজিলের সংবাদমাধ্যমে খবর আসে, অন্ত্রের ক্যান্সারের চিকিৎসায় কেমোথেরাপিতে ৮২ বছর বয়সী পেলের শরীর এখন আর সাড়া দিচ্ছে না। কাতার বিশ্বকাপের ডামাডোলের মধ্যে সারা বিশ্ব তাই পেলেকে নিয়ে উদ্বিগ্ন। বয়স ২৪ বছর পূরণের আগে বিশ্বকাপে পেলের সবচেয়ে বেশি ৭ গোলের রেকর্ড কিছুদিন আগে স্পর্শ করা ফরাসি তারকা কিলিয়ান এমবাপে টুইট করে সুস্থতা কামনা করেন ব্রাজিলিয়ান কিংবদন্তির, “রাজার জন্য প্রার্থনা।” পেলের অসুস্থতার খবর ছুঁয়ে গেছে ইংল্যান্ড অধিনায়ক হ্যারি কেইনকে। “তিনি অসুস্থ, খবরটা শুনে খুব খারাপ লাগছে। আমরা তার সুস্থতা কামনা করছি, শুধু আমি নই, পুরো ইংল্যান্ড দলই তাই করছি। তিনি অনুপ্রেরণা, অসাধারণ ব্যক্তি।” জার্মানির বিশ্বকাপ জয়ী সাবেক ফরোয়ার্ড ইয়ুর্গেন ক্লিন্সমান বিবিসি ওয়ানের সঙ্গে আলাপচারিতায় বলেন, “পেলে একজন অসাধারণ ব্যক্তি। বিশ্ব ফুটবলের অসামান্য ব্যক্তিত্ব। আমরা কেবল প্রার্থনা করতে পারি এবং তার সেরে ওঠার আশা করতে পারি।” ক্লাব ক্যারিয়ারে ব্রাজিলে শুধু সান্তোসের হয়েই খেলেছেন পেলে। ক্লাবটি টুইট করেছে, “কিং পেলে, গোটা বিশ্ব আপনার মঙ্গল কামনা করছে।”
মেডিকেল রিপোর্ট অনুযায়ী, পরীক্ষা-নিরীক্ষায় পেলের শ্বাসযন্ত্রের সংক্রমণ ধরা পড়েছে। এতে স্বাভাবিকভাবে তার শ্বাস নিতে সমস্যা হচ্ছিল। ইএসপিএন ব্রাজিল বুধবার পেলেকে হাসপাতালে নেওয়ার খবর প্রকাশ করার পর তার মেয়ে কেলি নাসিমেন্তো ইনস্টাগ্রামে জানান, হঠাৎ সিদ্ধান্তে বা গুরুতর কোনো কারণে তার বাবাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়নি। এটা নিয়মিত চিকিৎসার অংশ। দুই দিন পর শুক্রবার পেলে নিজেই ইন্সটাগ্রামে পোস্ট দিয়ে জানান, তিনি ভালো আছেন। হাসপাতালে তার নিয়মিত চিকিৎসা চলছে। পেলের বর্তমান অবস্থা জানতে তার ম্যানেজার ও সাও পাওলোর আলবার্ট আইনস্টাইন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে রয়টার্স যোগাযোগ করলেও, তাৎক্ষণিকভাবে কেউ কিছু জানায়নি। শারীরিক কিছু সমস্যা দেখা দেওয়ায় গত বছরের সেপ্টেম্বরের শুরুতে নিয়মিত পরীক্ষার অংশ হিসেবে হাসপাতালে নেওয়া হয়েছিল পেলেকে। সেখানেই তার বৃহদান্ত্রে টিউমার ধরা পড়ে এবং অস্ত্রোপচার করা হয়। প্রায় এক মাস হাসপাতালে থাকার পর বাড়ি ফেরেন তিনি। এরপর থেকে নিয়মিত কেমোথেরাপি চলছিল তার। তবে সাম্প্রতিক সময়ে কেমোথেরাপিতে প্রত্যাশিত ফলাফল না মেলায় তা আর দেওয়া হচ্ছে না বলে জানায় ব্রাজিলের দৈনিক পত্রিকা ‘ফোলহা ডি সাও পাওলো।’ এ প্রতিবেদনে বলা হয়, এখন তার শরীরের ব্যথা ও শ্বাসকষ্টের চিকিৎসা চলছে।
ফুটবলের রাজা’ পেলের জন্য প্রার্থনা
ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ