ঢাকা ০৮:০৪ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৪ জুলাই ২০২৫

শান্তিনিকেতনে পৌষ মেলার অনিশ্চয়তা, হাইকোর্টে মামলা

  • আপডেট সময় : ০২:১৩:৩৯ অপরাহ্ন, বুধবার, ৩০ নভেম্বর ২০২২
  • ৮৬ বার পড়া হয়েছে

প্রত্যাশা ডেস্ক : কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের স্মৃতিবিজড়িত ঐতিহ্যবাহী শান্তিনিকেতনের পৌষ মেলা পূর্বপল্লি মাঠে আয়োজন নিয়ে এবারও অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছে। বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয় সেখানে মেলা আয়োজনের অনুমতি না দেওয়ায় বিষয়টি আদালতে গড়িয়েছে। পরিবেশদূষণের অভিযোগ তুলে শান্তিনিকেতনের বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয় পূর্বপল্লি মাঠে মেলা আয়োজনের অনুমতি দেয়নি। এরপর সেখানে মেলা আয়োজনের অনুমতি চেয়ে স্থানীয় বাসিন্দা ও ব্যবসায়ী গুরুমুখ জেঠওয়ানি কলকাতা হাইকোর্টে একটি জনস্বার্থ মামলা করেন।
গত মঙ্গলবার প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তব ও বিচারপতি রাজর্ষি ভরদ্বাজের ডিভিশন বেঞ্চে মামলাটির শুনানি হয়। শান্তিনিকেতনে পৌষ মেলা আয়োজনে কেন মাঠ ব্যবহার করা যাবে না, এক সপ্তাহের মধ্যে বিবাদীদের তা জানাতে বলা হয়েছে। আগামী ৬ ডিসেম্বর মামলার পরবর্তী শুনানি হবে। বিগত বছরগুলোতে পরিবেশ আদালতের অনুমতি নিয়ে পূর্বপল্লি মাঠে এই মেলা অনুষ্ঠিত হয়ে আসছে। সর্বশেষ ২০১৯ সালে সেখানে পৌষ মেলা আয়োজন করা হয়েছিল। পরের বছরগুলোতে বাংলা সংস্কৃতি মঞ্চের উদ্যোগে বোলপুরের ডাকবাংলো মাঠে বিশেষ ব্যবস্থায় এই মেলা অনুষ্ঠিত হয়। এবার পৌষ মেলাকে পুরোনো দিনে ফিরিয়ে নেওয়ার জন্য স্থানীয় বাসিন্দা ও ব্যবসায়ীরা শান্তিনিকেতনের পূর্বপল্লি মাঠে মেলা আয়োজনের দাবি তোলেন। শান্তিনিকেতন ট্রাস্টেরও এতে সায় আছে। স্থানীয় ব্যক্তিরা এই দাবিতে কিছুদিন আগে শান্তিনিকেতনের বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তীর দপ্তরের সামনে বিক্ষোভ করেন। সাড়া না পেয়ে শেষ পর্যন্ত তাঁরা আদালতে যান।
কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের স্মৃতিবিজড়িত শান্তিনিকেতনের এই ঐতিহ্যবাহী পৌষ মেলা এবার ১২৮ বছরে পা দেবে। মহর্ষি দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুরের দীক্ষা দিবস স্মরণ করে প্রতিবছর বসে এই মেলা। ১৩০১ বঙ্গাব্দের ১ পৌষ সূচনা হয়েছিল মেলার। প্রথমে কাঁচমন্দিরের সামনে এক দিনের জন্য বসত পৌষ মেলা। পরে বসে পূর্বপল্লির মাঠে। তিন দিন ধরে চলার কথা থাকলেও এই মেলা শেষ পর্যন্ত ছয় দিনে গড়ায়। বাংলাদেশসহ দেশ-বিদেশের বহু শিল্পী এই মেলায় অংশ নেন।

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

শান্তিনিকেতনে পৌষ মেলার অনিশ্চয়তা, হাইকোর্টে মামলা

আপডেট সময় : ০২:১৩:৩৯ অপরাহ্ন, বুধবার, ৩০ নভেম্বর ২০২২

প্রত্যাশা ডেস্ক : কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের স্মৃতিবিজড়িত ঐতিহ্যবাহী শান্তিনিকেতনের পৌষ মেলা পূর্বপল্লি মাঠে আয়োজন নিয়ে এবারও অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছে। বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয় সেখানে মেলা আয়োজনের অনুমতি না দেওয়ায় বিষয়টি আদালতে গড়িয়েছে। পরিবেশদূষণের অভিযোগ তুলে শান্তিনিকেতনের বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয় পূর্বপল্লি মাঠে মেলা আয়োজনের অনুমতি দেয়নি। এরপর সেখানে মেলা আয়োজনের অনুমতি চেয়ে স্থানীয় বাসিন্দা ও ব্যবসায়ী গুরুমুখ জেঠওয়ানি কলকাতা হাইকোর্টে একটি জনস্বার্থ মামলা করেন।
গত মঙ্গলবার প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তব ও বিচারপতি রাজর্ষি ভরদ্বাজের ডিভিশন বেঞ্চে মামলাটির শুনানি হয়। শান্তিনিকেতনে পৌষ মেলা আয়োজনে কেন মাঠ ব্যবহার করা যাবে না, এক সপ্তাহের মধ্যে বিবাদীদের তা জানাতে বলা হয়েছে। আগামী ৬ ডিসেম্বর মামলার পরবর্তী শুনানি হবে। বিগত বছরগুলোতে পরিবেশ আদালতের অনুমতি নিয়ে পূর্বপল্লি মাঠে এই মেলা অনুষ্ঠিত হয়ে আসছে। সর্বশেষ ২০১৯ সালে সেখানে পৌষ মেলা আয়োজন করা হয়েছিল। পরের বছরগুলোতে বাংলা সংস্কৃতি মঞ্চের উদ্যোগে বোলপুরের ডাকবাংলো মাঠে বিশেষ ব্যবস্থায় এই মেলা অনুষ্ঠিত হয়। এবার পৌষ মেলাকে পুরোনো দিনে ফিরিয়ে নেওয়ার জন্য স্থানীয় বাসিন্দা ও ব্যবসায়ীরা শান্তিনিকেতনের পূর্বপল্লি মাঠে মেলা আয়োজনের দাবি তোলেন। শান্তিনিকেতন ট্রাস্টেরও এতে সায় আছে। স্থানীয় ব্যক্তিরা এই দাবিতে কিছুদিন আগে শান্তিনিকেতনের বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তীর দপ্তরের সামনে বিক্ষোভ করেন। সাড়া না পেয়ে শেষ পর্যন্ত তাঁরা আদালতে যান।
কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের স্মৃতিবিজড়িত শান্তিনিকেতনের এই ঐতিহ্যবাহী পৌষ মেলা এবার ১২৮ বছরে পা দেবে। মহর্ষি দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুরের দীক্ষা দিবস স্মরণ করে প্রতিবছর বসে এই মেলা। ১৩০১ বঙ্গাব্দের ১ পৌষ সূচনা হয়েছিল মেলার। প্রথমে কাঁচমন্দিরের সামনে এক দিনের জন্য বসত পৌষ মেলা। পরে বসে পূর্বপল্লির মাঠে। তিন দিন ধরে চলার কথা থাকলেও এই মেলা শেষ পর্যন্ত ছয় দিনে গড়ায়। বাংলাদেশসহ দেশ-বিদেশের বহু শিল্পী এই মেলায় অংশ নেন।