ঢাকা ০৩:১০ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৫ মে ২০২৫

‘ক্যামেরুনের’ এমবোলোর গোলে জিতল সুইজারল্যান্ড

  • আপডেট সময় : ০১:২৯:৩৩ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২২
  • ৬০ বার পড়া হয়েছে

ক্রীড়া ডেস্ক : বিশ্বকাপে গোল করে কোথায় উচ্ছ্বাসে ভেসে যাবেন ব্রিল এমব্রোলো, তা না তিনি যেন স্তব্ধ হয়ে গেলেন। একটু যেন ক্ষমা চেয়ে নেওয়ার ভঙ্গি করলেন। করবেন না-ই বা কেন? গোল যে করলেন জন্মভূমি ক্যামেরুনের বিপক্ষে। তার গোলেই জয় দিয়ে কাতার আসর শুরু করল সুইজারল্যান্ড। আল জানোব স্টেডিয়ামে বৃহস্পতিবার ‘জি’ গ্রুপের ম্যাচে ১-০ গোলে জিতেছে ইউরোপের দেশটি। বল দখলে পিছিয়ে ছিল ক্যামেরুন। তবে গোলের জন্য শট বেশি নেয় তারা, লক্ষ্যেও রাখে বেশি। কিন্তু আসল কাজ যেটা- জালে বল পাঠানো, ফিনিশিংয়ের ব্যর্থতায় পারেনি তারা। এতে অনাকাঙ্ক্ষিত এক রেকর্ডের খুব কাছে পৌঁছে গেছে আফ্রিকার দেশটি। বিশ্বকাপে হেরেছে টানা আট ম্যাচে। সবচেয়ে বেশি নয় ম্যাচে হারার রেকর্ড মেক্সিকোর (১৯৩০ থেকে ১৯৫৮)।
প্রথমার্ধে ক্যামেরুনের দারুণ কিছু আক্রমণ রুখে দিয়ে বিশ্বকাপে নিজেদের প্রথম ম্যাচে অপরাজিত থাকার ধারা ধরে রেখেছে সুইজারল্যান্ড। প্রথমার্ধে তিনটি খুব ভালো সুযোগ পেয়েছিল ক্যামেরুন। সেগুলো কাজে লাগাতে পারলে খেলার চিত্র ভিন্ন হতেই পারত। দ্বিতীয়ার্ধে ভাটা পড়ে তাদের গতিতে। সেই সুযোগ কাজে লাগিয়ে ৩ পয়েন্ট তুলে নেয় সুইজারল্যান্ড। অনেকটা খেলার ধারার বিপরীতে দশম মিনিটে প্রথম সুযোগ পেয়েছিল ক্যামেরুন। ডি-বক্সের মাঝখানে আরও ভালো জায়গায় অপেক্ষায় ছিলেন এরিক ম্যাক্সিম চুপো-মটিং। তবে তাকে বল না দিয়ে দুরূহ কোণ থেকে শট নেন ব্রায়ান এমবিউমো। লক্ষ্যে রাখতে পারেননি তিনি, বল বেরিয়ে যায় ক্রসবারের ওপর দিয়ে। প্রতি-আক্রমণ থেকে ত্রিশ মিনিটে আরেকটি ভালো সুযোগ পায় ক্যামেরুন। মার্টিন হঙ্গলার ক্রস ঠিকমতো ফেরাতে পারেননি সুইজারল্যান্ড গোলরক্ষক। তার হাত থেকে ফস্কে যাওয়া বলে বিপদ হতে পারত। কিন্তু তৎপর ছিলেন না কার্ল টোকো একাম্বি। বিপদমুক্ত করেন ডিফেন্ডার সিলভান উইডমার। পাঁচ মিনিট পর আবার ত্রাতা তিনি। ক্রসে দুর্দান্ত স্লাইডে একাম্বিকে বলের নাগাল পেতে দেননি মাইন্সের এই ডিফেন্ডার। ব্যর্থ হয় ক্যামেরুনের দারুণ একটি আক্রমণ। প্রথমার্ধের যোগ করা সময়ে সুইজারল্যান্ডকে এগিয়ে নেওয়ার সুযোগ হাতছাড়া করেন মানুয়েল আকনজি। কর্নার থেকে একটুর জন্য হেড দূরের পোস্ট দিয়ে লক্ষ্যে রাখতে পারেননি ম্যানচেস্টার সিটির এই ডিফেন্ডার।
দ্বিতীয়ার্ধে বাড়ে খেলার গতি। দ্রুতই ভাঙে ‘ডেডলক।’ ৪৮তম মিনিটে এগিয়ে যায় সুইজারল্যান্ড। জেরদান শাচিরি নিখুঁত ক্রসে বল পেয়ে জালে পাঠান এমবোলো। আশেপাশে ছিলেন ক্যামেরুনের পাঁচ খেলোয়াড়। কিন্তু কেউই পাহারায় রাখেননি মোনাকোর এই ফরোয়ার্ডকে। ক্যামেরুনে জন্ম হলেও বয়সভিত্তিক দল থেকেই সুইজারল্যান্ডের হয়ে খেলেন এমবোলো। জন্মভূমির প্রতি শ্রদ্ধা থেকেই গোল উদযাপন করেননি ২৫ বছর বয়সী এই ফরোয়ার্ড। ৬৬তম মিনিটে এমবিউমোর ফ্রি-কিকে সুযোগ আসে ফ্রাঙ্ক জাম্বু আঙ্গিসার সামনে। কিন্তু হেড করেন গোলরক্ষক বরাবর। প্রতি-আক্রমণে ব্যবধান দ্বিগুণ প্রায় করেই ফেলেছিল সুইজারল্যান্ড। পেনাল্টি স্পটের কাছ থেকে রুবেন ভার্গাসের শট বাঁদিকে ঝাঁপিয়ে ব্যর্থ করে দেন গোলরক্ষক আন্দ্রে ওনানা। হার এড়ানোর আশায় শেষ দিকে বেশ কিছু পরিবর্তন করেন ক্যামেরুন কোচ। কিন্তু কাজ হয়নি, তেমন কোনো সুযোগ তৈরি করতে পারেননি কেউই। শেষ দিকে গ্রানিত জাকার শট ফিরিয়ে ব্যবধান আরও বড় হতে দেননি ওনানা। তার চমৎকার সেভে শেষ সময় পর্যন্ত ম্যাচে ছিল ক্যামেরুন। কিন্তু আক্রমণভাগের ব্যর্থতায় ব্যবধান ঘুচিয়ে দেওয়া গোলের দেখা পায়নি তারা।

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

‘ক্যামেরুনের’ এমবোলোর গোলে জিতল সুইজারল্যান্ড

আপডেট সময় : ০১:২৯:৩৩ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২২

ক্রীড়া ডেস্ক : বিশ্বকাপে গোল করে কোথায় উচ্ছ্বাসে ভেসে যাবেন ব্রিল এমব্রোলো, তা না তিনি যেন স্তব্ধ হয়ে গেলেন। একটু যেন ক্ষমা চেয়ে নেওয়ার ভঙ্গি করলেন। করবেন না-ই বা কেন? গোল যে করলেন জন্মভূমি ক্যামেরুনের বিপক্ষে। তার গোলেই জয় দিয়ে কাতার আসর শুরু করল সুইজারল্যান্ড। আল জানোব স্টেডিয়ামে বৃহস্পতিবার ‘জি’ গ্রুপের ম্যাচে ১-০ গোলে জিতেছে ইউরোপের দেশটি। বল দখলে পিছিয়ে ছিল ক্যামেরুন। তবে গোলের জন্য শট বেশি নেয় তারা, লক্ষ্যেও রাখে বেশি। কিন্তু আসল কাজ যেটা- জালে বল পাঠানো, ফিনিশিংয়ের ব্যর্থতায় পারেনি তারা। এতে অনাকাঙ্ক্ষিত এক রেকর্ডের খুব কাছে পৌঁছে গেছে আফ্রিকার দেশটি। বিশ্বকাপে হেরেছে টানা আট ম্যাচে। সবচেয়ে বেশি নয় ম্যাচে হারার রেকর্ড মেক্সিকোর (১৯৩০ থেকে ১৯৫৮)।
প্রথমার্ধে ক্যামেরুনের দারুণ কিছু আক্রমণ রুখে দিয়ে বিশ্বকাপে নিজেদের প্রথম ম্যাচে অপরাজিত থাকার ধারা ধরে রেখেছে সুইজারল্যান্ড। প্রথমার্ধে তিনটি খুব ভালো সুযোগ পেয়েছিল ক্যামেরুন। সেগুলো কাজে লাগাতে পারলে খেলার চিত্র ভিন্ন হতেই পারত। দ্বিতীয়ার্ধে ভাটা পড়ে তাদের গতিতে। সেই সুযোগ কাজে লাগিয়ে ৩ পয়েন্ট তুলে নেয় সুইজারল্যান্ড। অনেকটা খেলার ধারার বিপরীতে দশম মিনিটে প্রথম সুযোগ পেয়েছিল ক্যামেরুন। ডি-বক্সের মাঝখানে আরও ভালো জায়গায় অপেক্ষায় ছিলেন এরিক ম্যাক্সিম চুপো-মটিং। তবে তাকে বল না দিয়ে দুরূহ কোণ থেকে শট নেন ব্রায়ান এমবিউমো। লক্ষ্যে রাখতে পারেননি তিনি, বল বেরিয়ে যায় ক্রসবারের ওপর দিয়ে। প্রতি-আক্রমণ থেকে ত্রিশ মিনিটে আরেকটি ভালো সুযোগ পায় ক্যামেরুন। মার্টিন হঙ্গলার ক্রস ঠিকমতো ফেরাতে পারেননি সুইজারল্যান্ড গোলরক্ষক। তার হাত থেকে ফস্কে যাওয়া বলে বিপদ হতে পারত। কিন্তু তৎপর ছিলেন না কার্ল টোকো একাম্বি। বিপদমুক্ত করেন ডিফেন্ডার সিলভান উইডমার। পাঁচ মিনিট পর আবার ত্রাতা তিনি। ক্রসে দুর্দান্ত স্লাইডে একাম্বিকে বলের নাগাল পেতে দেননি মাইন্সের এই ডিফেন্ডার। ব্যর্থ হয় ক্যামেরুনের দারুণ একটি আক্রমণ। প্রথমার্ধের যোগ করা সময়ে সুইজারল্যান্ডকে এগিয়ে নেওয়ার সুযোগ হাতছাড়া করেন মানুয়েল আকনজি। কর্নার থেকে একটুর জন্য হেড দূরের পোস্ট দিয়ে লক্ষ্যে রাখতে পারেননি ম্যানচেস্টার সিটির এই ডিফেন্ডার।
দ্বিতীয়ার্ধে বাড়ে খেলার গতি। দ্রুতই ভাঙে ‘ডেডলক।’ ৪৮তম মিনিটে এগিয়ে যায় সুইজারল্যান্ড। জেরদান শাচিরি নিখুঁত ক্রসে বল পেয়ে জালে পাঠান এমবোলো। আশেপাশে ছিলেন ক্যামেরুনের পাঁচ খেলোয়াড়। কিন্তু কেউই পাহারায় রাখেননি মোনাকোর এই ফরোয়ার্ডকে। ক্যামেরুনে জন্ম হলেও বয়সভিত্তিক দল থেকেই সুইজারল্যান্ডের হয়ে খেলেন এমবোলো। জন্মভূমির প্রতি শ্রদ্ধা থেকেই গোল উদযাপন করেননি ২৫ বছর বয়সী এই ফরোয়ার্ড। ৬৬তম মিনিটে এমবিউমোর ফ্রি-কিকে সুযোগ আসে ফ্রাঙ্ক জাম্বু আঙ্গিসার সামনে। কিন্তু হেড করেন গোলরক্ষক বরাবর। প্রতি-আক্রমণে ব্যবধান দ্বিগুণ প্রায় করেই ফেলেছিল সুইজারল্যান্ড। পেনাল্টি স্পটের কাছ থেকে রুবেন ভার্গাসের শট বাঁদিকে ঝাঁপিয়ে ব্যর্থ করে দেন গোলরক্ষক আন্দ্রে ওনানা। হার এড়ানোর আশায় শেষ দিকে বেশ কিছু পরিবর্তন করেন ক্যামেরুন কোচ। কিন্তু কাজ হয়নি, তেমন কোনো সুযোগ তৈরি করতে পারেননি কেউই। শেষ দিকে গ্রানিত জাকার শট ফিরিয়ে ব্যবধান আরও বড় হতে দেননি ওনানা। তার চমৎকার সেভে শেষ সময় পর্যন্ত ম্যাচে ছিল ক্যামেরুন। কিন্তু আক্রমণভাগের ব্যর্থতায় ব্যবধান ঘুচিয়ে দেওয়া গোলের দেখা পায়নি তারা।